• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।  এরই মধ্যে রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে দুদক চেয়ারম্যান ও সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে অঢেল সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার আয়ের বিচারে অভাবনীয়। প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে নতুন করে আলোচনায় উঠে আসেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদে। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে অঢেল সম্পদ গড়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেনজীরের অঢেল সম্পদের মধ্যে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে তার বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।  অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা। এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি পাঠিয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনও জানান, বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলো অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এই মহাপরিদর্শক, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের নামে থাকা অঢেল সম্পদ কীভাবে অর্জিত হয়েছে, তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেছেন তিনি।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৮

বুয়েটের হলে ছাত্রলীগ নেতার সিট ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে রাব্বীকে ওই সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।  ছাত্রলীগ নেতার পক্ষে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ এ রিট দায়ের করেছেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। এর আগে গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের আগমনকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে ছয় দফা দাবি জানান তারা। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘন করে মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের দায়ে মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বীর স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল বাতিলের দাবি জানানো হয় বুয়েটের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ওই ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বীর সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিল, তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কারেরও দাবি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।  পরে শুক্রবার (২৯ মার্চ) শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ইমতিয়াজ রাব্বীর হলের সিট বাতিল করে বুয়েট প্রশাসন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত রাত ৯টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অ. দা) অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৮

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।  সোমবার (১ এপ্রিল) বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি এ রিট দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি বলেন, রাজনীতি বন্ধ করে যে নোটিশ দিয়েছিল, তা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চে দুপুর ১টায় এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রিটে শিক্ষা সচিব, বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশে সক্রিয় বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে জোরালোভাবে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি ওঠে। সে সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কাগজে-কলমে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটিতে এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি রাজনীতি। বরং ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ফায়দা নিচ্ছে উগ্রবাদী রাজনৈতিক সংগঠন। এদিকে গত ২৮ মার্চ মধ্য রাত থেকে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুয়েট। ক্যাম্পাসে রাজনীতির বীজ বপনের চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগ আনা হয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এরপর শুক্রবার (২৯ মার্চ) থেকে আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১২

এবার হাইকোর্টে লাশের সুরক্ষা ও কঙ্কাল চুরি রোধে রিট
এবার হাইকোর্টে সারাদেশের কবরের লাশ সুরক্ষা ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যাদের লাশ ও কঙ্কাল চুরি হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান বলেন, লাশ ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে বাংলাদেশে কোনো আইন নেই। বিশ্বের অনেক দেশেই এ সংক্রান্ত আইন আছে। কিন্তু লাশ সুরক্ষায় বাংলাদেশে কোনো আইন করা হয়নি। তিনি বলেন, লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনায় বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় নিউজ এসেছে। শত শত লাশ ও কঙ্কাল চুরি হয়েছে। লাশ চুরি করে বিক্রি করা হয়। কঙ্কাল চুরি করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিক্রি করা হয়। এমনটি পাচারেরও খবর আসছে গণমাধ্যমে। এজন্য আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে হাইকোর্ট বেঞ্চে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:১৪

হোটেল-রেস্টুরেন্টে অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
হোটেল ও রেস্টুরেন্টে হয়রানিমূলক অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) এ রিট আবেদন করা হয়। রিটে হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মালিকরা সব শর্তপূরণে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এই রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোঁরায় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এসব অভিযানে ৮৭২ জনকে গ্রেপ্তার এবং ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৮৮৭টি ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেইলি রোডের ঘটনার পর ধানমণ্ডি, খিলগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় একই রকম অনিরাপদ পরিবেশে ভবনজুড়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলার বিষয় নিয়ে আলোচনায় ওঠে। এসব অভিযানে আবাসিক ভবনে নিয়মের বাইরে গিয়ে বানানো রোস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এসব অভিযানে। কোথাও কোথাও গ্রেপ্তার ও জরিমানাও করা হচ্ছে। রাস্তার পাশে ছোট খাবারের দোকান থেকেও অনেককে আটক করছে পুলিশ। ঢাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় সরকারি সংস্থাগুলোর চালানো এসব অভিযানের সমালোচনা করে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি একে ‘হয়রানি’ বলছে। ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর এলাকার হোটেল-রেস্তোঁরা, ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ও রাসায়নিকের গুদামে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। 
১১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫২

বেইলি রোডে আগুন : পৃথক তিন রিট শুনানি হতে পারে আজ
হাইকোর্টের কার্যতালিকায় এসেছে রাজধানীর বেইলি রোডে একটি ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে বিচারিক কমিটি, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ এবং আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ চেয়ে করা পৃথক তিনটি রিট। সোমবার (৪ মার্চ) পৃথক বেঞ্চে এ তিনটি রিটের শুনানি হতে পারে। জানা গেছে, এর মধ্যে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দের দায়ের করা রিট আবেদন ও অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনার রিট আবেদন শুনানির জন্য বিচারপতি নাইমা হায়দার ও  বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় রয়েছে। অন্যদিকে আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং ব্লাষ্টের দায়ের করা রিট আবেদনটি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় শুনানির জন্য রয়েছে।  বেইলি রোডসহ ঢাকা সিটিতে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক ব্যবসা (কার্যক্রম) বন্ধের নির্দেশনা, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা এবং তদন্তে বিচারিক কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে এসব রিট করা হয়েছে। এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকার দুই সিটির মেয়র, গ্রিন কোজি কটেজ ও আমিন মোহাম্মদ রিয়েল স্টেট প্রপার্টিকে বিবাদী করা হয়েছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৩

আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধে হাইকোর্টে রিট
রাজধানীর বেইলি রোডসহ সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছে এক আইনজীবী। সেই সঙ্গে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ছাড়াও হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট ড. ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের। রিটকারী আইনজীবী জানান, বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩০

এবার রমজানে স্কুল বন্ধ রাখতে রিট
আসন্ন রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আইনজীবী আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন। এতে  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিব, উপসচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, উপসচিব শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠান। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ নাগরিক মুসলমান, সংবিধানের ২ এর ক অনুযায়ী ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম' এবং ৩১ অনুচ্ছেদে আইন ছাড়া কিছুই করা যাবে না, অনুচ্ছেদ ১৫২(১) আইন অর্থ ‘বাংলাদেশে আইনের ক্ষমতা সম্পন্ন যে কোন প্রথা ও রীতি' বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে রমজান মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে এটিই আইন প্রথা ও নীতি এবং ওইভাবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাহে রমজান মাসে বন্ধ থাকে। তাই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রমজান মাসে খোলা রাখার সরকারের তর্কিত সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক। নোটিশে আরও বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত বছরের ১১ ডিসেম্বর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আসন্ন রমজান মাসে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় কিন্তু সাম্প্রতিক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রমজান মাসে খোলা রাখার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক ও সাংঘর্ষিক। যদিও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রমজান মাসে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। এতে বলা হয়, রমজান মাসে শিক্ষকরা রোজা রেখে ক্লাসে লেখাপড়া শেখানো বিষয় মনোযোগী হয় না। এ ছাড়া অভিভাবকগণ রোজা রেখে সন্তানের স্কুলে যাতায়াত করা তাদের জন্য কষ্টকর হবে। স্কুল খোলা রেখে বাচ্চাদের ওপর এতো শারীরিক ও মানসিক চাপ, অত্যাচার অমানবিক। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে রমজান মাসে স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকতো। সরকারের বর্তমান সিদ্ধান্ত সংবিধানের ২৬,২৭,২৮,৩১,৩২ অনুচ্ছেদে সাংঘর্ষিক, তাই ওই সিদ্ধান্ত বাতিল ও পবিত্র মাহে রমজানে স্কুল বন্ধ রাখার জন্য এই অনুরোধ করছি। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, পবিত্র মাহে রমজানে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্কুল প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সরকারের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা এবং পবিত্র মাহে রমজান মাসে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার অনুরোধ করছি। এর ব্যর্থতায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে। পরে আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল বলেন, উক্ত কারণগুলোর কারণে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কোন সাড়া না পেয়ে আজ রিট দায়ের করেছি। তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহে বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি হতে পারে। রিটে রমজান মাসের প্রথম ১০ (দশ) দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রমজান মাসের প্রথম ১৫ (পনের) দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সরকারের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রমজান মাসে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এর আগে রমজান মাসে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা সচিব ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বরাবরে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫০

হাতির ওপর নির্যাতন বন্ধে হাইকোর্টে জয়া আহসানের রিট
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঢালিউড-টালিউডে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়ানোর পর বলিউডেও বাজিমাত করেছেন এই অভিনেত্রী। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রাণীদের প্রতি তার ভালোবাসা চোখে পড়ার মতন। মানুষের নিয়ন্ত্রণে রেখে হাতিকে সার্কাসে ব্যবহার, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়ে বাড়িতে শোভাবর্ধন এবং বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের র‍্যালিতে বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বিনোদনের কাজে হাতির ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রোববার (১৮ ফ্রেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্থপতি রাকিবুল হক এমিল। বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব বলেন, বাংলাদেশের ক্যাপটিভ হাতিকে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বন্ধ, হাতিকে বিনোদনের কাজে ব্যবহার এবং হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সংগঠনটি বেশ কয়েক বছর ধরে নানা কর্মসূচি দিয়ে আসছে। এর মাঝে দুইবার বন ভবন ঘেরাও করেন প্রাণী অধিকারকর্মীরা। এ সময় বন বিভাগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কোনো ফলপ্রসূ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। নির্যাতিত হাতিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দফায় দফায় চিঠি দেওয়া হলেও কোনো উপযুক্ত জবাব আসেনি বিভাগটির পক্ষ থেকে। এ কারণে রিট দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নির্যাতনের মাধ্যমে বাধ্য হাতিরা প্রায়শই নিজের ভেতরে থাকা ক্ষোভ ও যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ফলশ্রুতিতে লোকালয়ে তাণ্ডব ঘটিয়ে বিভিন্ন সময় অনেকেরই প্রাণহানি ঘটিয়েছে। কতিপয় অসৎ ব্যক্তির অনৈতিক ব্যবসা ও বেআইনি চাঁদা বাণিজ্যকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে জনগণের জানমালের এ ক্ষতি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, আইইউসিএনের লাল তালিকাভুক্ত প্রাণী হিসেবে এশিয়ান হাতি বর্তমানে মহাবিপদাপন্ন হওয়া সত্ত্বেও এই হাতিকে বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ ব্যক্তি মালিকানায় সার্কাসের কাজে ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি বর্তমানে প্রশ্নবিদ্ধ। সার্কাস ও চাঁদাবাজিতে বাধ্য করতে শৈশব থেকেই মা হাতির কাছ থেকে শাবককে ছাড়িয়ে নিয়ে নির্মম অত্যাচারের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হয়। হাতির মাহুত চাঁদাবাজির সময় একটি ধাতব হুক হাতে নিয়ে বসে থাকে। যা দিয়ে সে হাতির শরীরের বিভিন্ন দুর্বল স্থানে আঘাত করে, চাঁদাবাজিসহ মানুষের ওপর চড়াও হতে বাধ্য করে। এই প্রক্রিয়াটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এবং প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯ এর পরিপন্থি। আর এ কারণে হাতির ওপর নির্যাতন বন্ধ, বিনোদনের কাজে এই মহা বিপদাপন্ন প্রাণীর অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষতি বন্ধ করতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন রিটকারীরা। এর আগেও রাজধানীতে কুকুর অপসারণ বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেন জয়া আহসান।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৭

সনির সংসদ সদস্য পদ বাতিল চেয়ে রিট
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিজয়ী খাদিজাতুল আনোয়ার সনির সংসদ সদস্য পদ বাতিল ছাড়াও আসনটিতে পুনর্নির্বাচনের জন্য মামলা করা হয়েছে। একই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ এ রিট করেছেন। তার বিরুদ্ধে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ব্যাংক ঋণের তথ্য গোপনের অভিযোগ করা হয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ্আলম অভি জানান, নির্বাচনী হলফনামায় খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত অর্থঋণ আদালতের মামলাসহ ৮টি ব্যাংক ঋণের তথ্য গোপন করে প্রতারণামূলক ভাবে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৭০ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও তরমুজ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মো. আবু তৈয়ব পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৮৭ ভোট।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়