• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফের একসঙ্গে তাহসান-মিথিলা
শোবিজের জনপ্রিয় দুই তারকা তাহসান খান ও রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। গান ও অভিনয়ে বিচরণ রয়েছে দুজনেরই। পাশাপাশি বড় পর্দায়ও সরব তারা। ইতোমধ্যে নিজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও অভিনয়ের দ্যুতি ছড়াচ্ছেন মিথিলা।   ক্যারিয়ারে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের নজর কেড়েছেন তাহসান-মিথিলা। তবে এই জুটির পর্দার প্রেমের প্রভাব পড়ে তাদের বাস্তব জীবনেও। ভালোবেসে ২০০৭ সালের ৩ আগস্ট বিয়ে করেন তারা। বিয়ের পর তরুণদের কাছে জনপ্রিয় জুটি হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালের মে মাসে তাদের বিচ্ছেদের কারণে মন ভেঙে যায় ভক্তদের। এরপর কেটে গেছে প্রায় সাত বছর। এতদিন পর ফের একসঙ্গে দেখা যাবে তাদের।   জানা গেছে, একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন তারা। সাত পর্বের এই ওয়েব সিরিজটির নাম ‘বাজি’। এটি নির্মাণ করছেন আরিফুর রহমান। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি নির্মাতা কিংবা অভিনয়শিল্পী কেউই। সময় হলেই বিস্তারিত জানাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।    এরইমধ্যে ওয়েব সিরিজটির একটা ধাপের শুটিং শেষ হয়ে গেছে। তাহসান-মিথিলা ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন তারকা অভিনয় করেছেন সিরিজটিতে।   সিরিজটির গল্পে একজন ক্রিকেটারের চরিত্রে দেখা যাবে তাহসানকে। অন্যদিকে মিথিলাকে দেখা যাবে সাংবাদিকের ভূমিকায়। চলতি বছর দেশীয় একটি ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পেতে পারে সিরিজটি।    উল্লেখ্য, বর্তমানে আলাদা পথে হাঁটছেন তাহসান-মিথিলা। পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করে সংসার করছেন মিথিলা। অন্যদিকে অভিনয় আর গান নিয়ে ব্যস্ত তাহসান। অবশ্য তাদের একমাত্র মেয়ে আইরা তেহরীম খানকে ঘিরে বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে তাদের। দুজনের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধও কম নয়।   
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২২

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতা কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ডিবিপ্রধান
সম্প্রতি পুলিশের একটি প্রতিবেদনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অন্তত ২১ জন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। অভিযোগ তদন্তে কিশোর গ্যাং পরিচালনায় যার যার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। ডিবি প্রধান বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে জড়িত ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারী ও গুলশান বিভাগ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে বেশিরভাগ কিশোর গ্যাং সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তাররা বাড্ডা, ভাটারা, তুরাগ, তিনশো ফিট ও যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টার্গেট করা ব্যক্তিদের উত্ত্যক্ত করতো। এরপর সংঘবদ্ধভাবে ঘেরাও করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন এবং নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণের অলঙ্কার ছিনিয়ে নিতো। ছিনতাই ছাড়াও চাঁদাবাজি, চুরি এবং মাদক কারবারের সঙ্গেও জড়িত এই কিশোর গ্যাং সদস্যরা। গ্রেপ্তার কিশোর গ্যাং সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে কিছু ‘বড় ভাইয়ের’ নাম পাওয়া গেছে জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, তারা কিছু বড় ভাইয়ের নাম আমাদের জানিয়েছে।  এই বড় ভাইদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। ঢাকায় কিশোর গ্যাং পরিচালনাকারী এই বড় ভাইদের মধ্যে কিছু কাউন্সিলরের নাম এসেছে। ডিবি তাদের বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেবে কি না, জানতে চাইলে  হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতাররা সাবেক ও বর্তমান কিছু কাউন্সিলরের নাম জানিয়েছে। এটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যদি কোনও কাউন্সিলরের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৪

নির্মাতা হারুনর রশীদ আর নেই
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন নির্মাতা হারুনর রশীদ। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৩।  দেশের একটি গণমাধ্যমে হারুনর রশীদের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতার মেয়ে রোমানা রশীদ। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা বাড্ডা লিংক রোডের বাড়ির সামনের মসজিদে হারুনর রশীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানা গেছে।   রোমানা বলেন, আব্বা গত ২৭ দিন যাবত অসুস্থ। ব্রেন স্ট্রোক করেছিলেন। এরপর আব্বাকে লাইফ সাপোর্টে দেওয়া হয়। পরশু দিনও আব্বা আমার সঙ্গে কথা  বলেছিলেন। গতকাল রাতে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। নির্মাতার মেয়ে আরও বলেন, উঠতি বয়সে ঢাকায় আসেন আব্বা। এরপর চলচ্চিত্র নির্মাণে মনোযোগী হন তিনি। আমার বাবার বন্ধুদের মধ্যে ছিলেন জহির রায়হান, খান আতাউর রহমান ও সালাউদ্দিন জাকী আঙ্কেলরা।  ১৯৪০ সালের ১৫ মার্চ কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন হারুনর রশীদ। মৃত্যুর সময় ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। বাবার অসুস্থতার খবর পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে এসেছেন নির্মাতার ছেলে।  ১৯৬৩ সালে পরিচালক সালাউদ্দিনের সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে বশীর হোসেন, জহির রায়হানের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। ঢালিউডে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি নির্ভর অন্যতম সিনেমা ‘মেঘের অনেক রং’ ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায়। ওই বছরে সেরা সিনেমা, পরিচালক, সংগীত পরিচালক (ফেরদৌসী রহমান), চিত্রগ্রাহক (হারুন অর রশিদ) ও শিশুশিল্পী (মাস্টার আদনান) বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় সিনেমাটি।  এছাড়া হারুনর রশীদের উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে— ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’, ‘গৌরব’, ‘রঙিন গুনাই বিবি’, ‘ধনবান’, ‘অসতী’। সহকারী পরিচালক হিসেবে হারুনর রশীদ কাজ করেছেন ‘সুয়োরানী দুয়োরানী’, ‘কাঞ্চনমালা’ ও ‘রূপবান’ সিনেমায়।  
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়