• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তামিমের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার যোগ্যতা আছে কি কোচদের?
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই মুহূর্তে মেরুর একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বিসিবি এবং অপর প্রান্তে তামিম ইকবাল খান। দু’পক্ষ যেন কোনোভাবেই এক হতে পারছে না। জাতীয় দলে ফিরতে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়ে রেখেছেন তামিম। অন্যদিকে তামিমকে ফেরাতে সবকিছু পরিবর্তন করবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত বছর আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তামিম। তবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরেন দেশসেরা এই ওপেনার। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান তিনি। এরপর ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন তামিম; যা নিয়ে ব্যাপক সামালোচনার শিকার হতে হয় বিসিবিকে। এর মধ্যেই চাপা পড়ে যায় তামিমের হঠাৎ করে অবসর নেওয়ার রহস্য। বিষয়টি এখনও পরিষ্কার করেনি কোনো পক্ষই। বিশ্বকাপের দল থেকে তামিমের বাদ পড়ার মূল কারণ, আফগানিস্তান ম্যাচে এই ওপেনারকে নিচের দিকে ব্যাট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়; যা কোনোভাবেই মানতে পারেননি তিনি। মূলত আফগান পেসার ফারুকীর বলে শুরুতেই উইকেট না দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তামিমকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।   সবশেষ আফগানিস্তান ম্যাচগুলোতে ফারুকীর বলে দ্রুত উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন তামিম। অন্যদিকে সবশেষ এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত ভাবে ফারুকীদের সামাল দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মিরাজকে দিয়েই শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টাইগার ম্যানেজমেন্ট। তবে এই সিদ্ধান্ত তামিমকে জানানো হলেও বিশ্বকাপ থেকেই সরে দাঁড়ান তিনি। তাই তামিমের এমন অপেশাদার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। অন্যদিকে ১৭ বছর ধরে ওপেন করা একজন ব্যাটারকে নিচে ব্যাট করার প্রস্তাব দেওয়াটা কতটা যুক্তিসম্মত তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। তবে একজন ক্রিকেটার যখন বার বার ব্যর্থ হচ্ছে, সেখানে দলের স্বার্থে তাকে নিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনা করতেই পারে টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ এবং অধিনায়ক। এর আগে ২০২১ সালে তৎকালীন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তামিম ইকবালের টি-টোয়েন্টির স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যার পরই বেঁকে বসেন এই বাঁহাতি ওপেনার। বার বার আলোচনা করেও তামিমকে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরাতে পারেননি বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। এরপর ২০২২ সালে ব্যাটে রান পাওয়ার কারণে তামিমকে চারে ব্যাট করার পরামর্শ দিয়েছিলেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডেন্স। তবে এই অজি কোচের ভাবনাকে স্টুপিড বলে মন্তব্য করেছিলেন তামিম। ফলে প্রশ্ন ওঠে কোনো ক্রিকেটার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তাকে নিয়ে কি কোনো পরিকল্পনা বা মন্তব্য করতে পারবে না টিম ম্যানেজমেন্ট বা কোচ। প্রশ্ন ওঠে কোচদের পরামর্শ গুলোকে ইতিবাচকভাবে নেওয়ার ইচ্ছাশক্তি কতটুকু রয়েছে ক্রিকেটারদের মধ্যে। তাদের পরামর্শ দাতা হিসেবেই তো কোটি কোটি টাকা খরচ করে কোচ নিয়োগ দেয় বিসিবি। সবকিছু পিছনে ফেলে তামিম ইকবালকে দলে ফেরাতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে শর্ত আর নানা জটিলতায় সেই সম্ভবনাও দিন দিন কমে আসছে। এদিকে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই পরিকল্পনা সাজাতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই দলের প্রয়োজনে তামিমের দলে ফেরার সুষ্ঠ সমাধান দরকার খুব তাড়াতাড়ি। অন্যদিকে এতো নাটকীয়তার পর দলে ফেরাটাও অনেক চাপের হবে তামিমের জন্য। দীর্ঘ দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকার পর ব্যাট হাতে কতটা অবদান রাখতে পারবে সেটাও চিন্তার কারণ হতে পারে এই বাঁহাতি ওপেনারের। ২০২৩ সালে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার আগে ১১ ইনিংসে মাত্র একটিতে ফিফটি তুলতে পারেন দেশসেরা এই ওপেনার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ৮২ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে বিপিএল দিয়ে দুর্দান্তভাবে কাম ব্যাক করেন তিনি। ডিপিএলেও ব্যাট হাতে রান পাচ্ছেন তিনি। তাই বলা যায় বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার পর নিজেকে ভালোভাবেই প্রস্তুত করেছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২

সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণ করতে চায় সরকার
সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণে সাংবাদিকদের দাবির সাথে সরকার একমত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।  বৃহস্পতিবার ( ১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে 'স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক কর্মশালার প্যানেল আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের কিছু একটা থাকা দরকার। সরকার যখনই এটা বলবে তখনই বলা হবে সরকার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এজন্য এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে। দেশে ও বিদেশের সব জায়গায় এ বিষয়ে লিখতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আপনাদের এ বক্তব্য তুলে ধরতে হবে যে এটা আপনারাই চান। সরকার সাংবাদিকদের দাবির সাথে একমত। সরকারের এ বিষয়ে কোনো অসুবিধা নেই। সরকার বিষয়টির সমাধান করবে। তিনি এ সময় আরও জানান, সকল পেশাদার সাংবাদিকদের দাবি, সাংবাদিকদের একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হোক, একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকুক, একটা সংজ্ঞায়ন থাকুক কে সাংবাদিক, কে সাংবাদিক না। সাংবাদিকরাই বলছেন সাংবাদিকদের তালিকা থাকা উচিত। কেন বলছেন, কারণ অনেক অপেশাদার ঢুকে পড়েছে এ কমিউনিটিতে। যার দ্বারা সাংবাদিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু যখনই সরকার বলবে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, তখন আবার আরেক গোষ্ঠী বলে তালিকা কেন তৈরি হবে সাংবাদিকদের। প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, অপতথ্যের বিপক্ষে তথ্যের লড়াইটা খুব জরুরি। তথ্য এবং অপতথ্যের লড়াই এখনও চলছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অপতথ্য রোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। তিনি যোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হয়েছে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার দ্বারা। যেখানে সত্য থেমে যায়, সেখানে অসত্য ও মিথ্যাচার জায়গা করে নেয়। সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইনই নয়, যে কোন আইনের অপব্যবহারের বিপক্ষে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের দাঁড়াতে হবে। সরকার মোটেও চায় না কোন আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হোক। বিসিএস প্রশাসন একাডেমির সহযোগিতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কর্মশালা আয়োজন করে। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। প্যানেল আলোচনা পর্বে মডারেটর ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৫৫

শাকিব তার যোগ্যতা দিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন : অপু বিশ্বাস
পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে জোড়া সিনেমা নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘ট্র্যাপ: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ সিনেমাটি। আসছে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পাবে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ছায়াবৃক্ষ’। একটা সময় মাসজুড়ে মুক্তি পেত অপু বিশ্বাসের সিনেমা। এক ঈদে তার পাঁচটি সিনেমাও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। তবে হঠাৎ করেই সেই তালিকায় ছেদ পড়ে। দীর্ঘ সময় ছিলেন সিনেমা থেকে দূরে। সেই বিরতি কাটিয়ে কাজে ফিরে একের পর এক কাজ করছেন অপু বিশ্বাস। দীর্ঘ সময় পর এক মাসে দুটি সিনেমা মুক্তিতে উচ্ছ্বসিত এই নায়িকা। অতীতের কথা স্মরণ করে অপু বিশ্বাস বলেন, একটা সময় এক ঈদে আমার পাঁচটি সিনেমাও মুক্তি পেয়েছে। কাজ শুরুর পর থেকে মাসে দু-তিনটা সিনেমা মুক্তি পেত। মাঝে কাজে একটু অনিয়মিত ছিলাম। যার কারণে ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি। সেই বিরতি কাটিয়ে কাজে নিয়মিত হয়েছি। এখন দম ফেলার সময় পাচ্ছি না। কথা প্রসঙ্গে অপুর কথায় উঠে আসে বর্তমান সিনেমার হালচাল। তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র কিন্তু আস্তে আস্তে সেই আগের সোনালি দিনটা ফিরে পাচ্ছে। সবকিছু সুন্দর হচ্ছে। আমার সেই চিরচেনা জায়গা ফিরে আসছে। অনেক বছর পর একই মাসে দুটি সিনেমা মুক্তি পাওয়া আমার জন্য ভাগ্যের। সেই সঙ্গে আনন্দের। খুবই ভালো লাগছে। এটি সত্যিই আমার জন্য আশীর্বাদ। ভক্ত-দর্শকের কাছে এতটুকুই চাওয়া থাকবে যে, এ রকম যেন প্রতি মাসে কাজ উপহার দিতে পারি। রাতারাতি কিছু হয় না, তার জন্য অপেক্ষা করতে হয় উল্লেখ করে অপু বলেন, ভালো কাজের জন্য নিজেকে তৈরি করতে হয়। আজ থেকে তিন-চার বছর আগে এমনও শুনতে হয়েছে আমি আর সিনেমায় ফিরতে পারব না। আলহামদুলিল্লাহ, আপনাদের দোয়ায় কাজে ফিরেছি। ব্যক্তি কাজের জায়গাও অনেক বেড়েছে। প্রডাকশন হাউজ চলমান। একটা ব্যবসা শুরু করেছি। অভিনেত্রী হিসেবেও কাজ করছি। সব মিলিয়ে আমার ব্যস্ততা আছেই। কাজের জন্য দম ফেলার সুযোগ পাই না। দুটি সিনেমাতে দুটি ভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। ছবিগুলোতে নিজের চরিত্র নিয়ে অপু বলেন, দুটি ভিন্ন চরিত্রে দর্শকেরা আমাকে দেখতে পাবেন। একটিতে গ্ল্যামারাস লুক অন্যটিতে গ্ল্যামারাসহীন। ‘ট্র্যাপ’ সিনেমায় বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়েছে। আর ‘ছায়াবৃক্ষ’ সিনেমায় চা শ্রমিকের চরিত্রে দেখা যাবে। তাদের ভয়াবহতা নিয়েই সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। ক্রমেই নিজেকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন চিত্রতারকা শাকিব খান। প্রতিনিয়ত এই নায়ক নিজেকে ভাঙছেন। দর্শক থেকে শুরু করে নায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অপু বিশ্বাসও। শাকিব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুগে যুগে একটা এরকম হার্টথ্রব তৈরি হয়। হার্টথ্রবের জন্য সত্যিই যুগ লাগে। সেই সময়টা আর আসবে না সেটা বলব না তবে, শাকিব খান তো কাউকে আটকে রাখেনি। সে অন্য শিল্পীদের যেভাবে সুযোগ দেয় অন্যরা যদি তার অবস্থানে থাকত কখনোই তাকে সেই সুযোগ দিতো না এবং মেপে কথা বলত না। শাকিব খান বুঝেশুনে কথা বলেন। প্রতিটি মানুষ তার যোগ্যতা দিয়ে আসবে। সে (শাকিব) তার যোগ্যতা দিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন এবং নিজেকে প্রমাণ করেছেন। সে প্রতিনিয়ত প্রশংসিত কাজ করছেন। এটা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে গর্বের। এ সময় অপু বিশ্বাস তার সমালোচনাকারীদের বিষয়েও কথা বলেন। জানালেন—যাদের কাজ নেই তারাই আমাকে নিয়ে সমালোচনা করেন। এটা তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আমি আমার কাজটি করে যাচ্ছি।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়