• ঢাকা শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নারী আম্পায়ারে আপত্তি, আসলে কী ঘটেছিল মোহামেডান বনাম প্রাইম ব্যাংক ম্যাচে?
মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংক ম্যাচ নিয়ে বিতর্ক যেন শেষই হচ্ছে না। মুশফিকুর রহিমের আউট নিয়ে সমালোচনার ইতি না ঘটতেই শুরু হয়ে গেছে আম্পায়ার-বিতর্ক। খবর ছড়িয়ে পড়েছে, আইসিসির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসির অধীনে ম্যাচ খেলতে চাননি প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ক্রিকেটাররা। এ নিয়ে দেশের ক্রিকেট মহলে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সুপার লিগের প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে মনিরুজ্জামানের সঙ্গে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। নারী আম্পায়ারকে দেখে মাঠেই ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ করেন দুই দলের ক্রিকেটার ও অফিসিয়ালরা। যার ফলে নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি ম্যাচ। এ সময় আম্পায়ার পরিবর্তন চেয়ে নাকি ফোনও করা হয়েছিল বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যানকে। অবশ্য ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর জেসিকে নিয়েই শুরু হয় খেলা। পরে বেসরকারি একটি গণমাধ্যমকে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, দুই দল এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল, কিন্তু পরে মেনে নিয়েছে। জেসি একজন আইসিসির অফিশিয়াল আন্তর্জাতিক আম্পায়ার। তাকে যেহেতু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, অবশ্যই মূল্যায়ন করে দেওয়া হয়েছে। এখন এটা না মানলে তো আমরা বৈষম্য করছি। বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটি চেয়ারম্যানের এই বক্তব্যে স্পষ্টতই মনে হচ্ছে যে, জেসি নারী বলেই মোহামেডান আর প্রাইম ব্যাংকের আপত্তি। কিন্তু আসলে কি ঘটনাটা তেমন? মোহামেডান আর প্রাইম ব্যাংক কি সত্যিই নারী আম্পায়ারের অধীনে খেলতে চায়নি? মোহামেডান আর প্রাইম ব্যাংক দুই শিবিরেই কথা বলে জানা গেছে, তারা জেসির বিপক্ষে অফিসিয়াল কোনো অভিযোগ করেননি।  বৃহস্পতিবার মোহামেডান বনাম প্রাইম ব্যাংক ম্যাচের ম্যাচ রেফারি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান বলেন, ‘আমার কাছে লিখিত কোনো আপত্তি দেয়নি দুই দলের কেউ। আর সেটা আমার কাছে দেওয়ার কথাও না। আম্পায়ারের ব্যাপারে আপত্তি থাকলে সেটা জানাতে হয় বিসিবি আম্পায়ার্স কমিটিতে যারা ম্যাচ আম্পায়ার ও স্কোরার নিয়োগ দেন তাদের কাছে।’  বিসিবি আম্পায়ার্স অ্যালটমেন্ট কমিটির ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন তৌহিদ। তিনি শনিবার রাতে একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এ সম্পর্কে কিছুই জানি না আমি। আমার কাছে কোনো দল আনুষ্ঠানিকভাবে কোনোরকম আপত্তি জানায়নি।’  তৌহিদ জানান, প্রতি ম্যাচের আগের দিনই আম্পায়ার ও অফিসিয়াল এবং ডিএল ও অন্যান্য স্কোরার নিয়োগ চূড়ান্ত হয়ে যায়। সেটা আম্পায়ার্স কমিটি সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে জানিয়েও দেয়। কোনো দলের এক বা দুজন আম্পায়ারের বিপক্ষে আপত্তি থাকলে সেটা আম্পায়ার্স নিয়োগ কমিটি যাচাই বাছাই করে তারপর অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু জেসির ক্ষেত্রে কোনোরকম আনুষ্ঠানিক আপত্তি আসেনি।  
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৬

আবাহনীকে হারিয়ে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখল মোহামেডান 
বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে আবাহনী-মোহামেডানের লড়াই মানেই বাড়তি উত্তেজনা। ফেডারেশন কাপের গত মৌসুমের ফাইনালে আবাহনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহামেডান। এবারে এগিয়ে থেকে মোহামেডানকে হারাতে পারল না আবাহনী। ফেডারেশন কাপের রোমাঞ্চকর ম্যাচে মোহামেডান ২-১ গোলে আবাহনীকে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপের সেরা হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে মোহামেডানের বড় তারকা সুলেমানে দিয়াবাতে খেলতে পারেননি। অসুস্থতার কারণে ছিলেন খেলার বাইরে। প্রথমার্ধে তাই আবাহনীর রাজত্ব করতে বড় রকমের সমস্যা হয়নি। জোনাথন-ওয়াশিংটনরা মিলে বারবারই আক্রমণে গেছে।  তবে সফল হয়েছে বিরতির কয়েক মিনিট আগে। ৩৯ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে দেন কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট। ওয়াশিংটনের বাড়িয়ে দেওয়া বল ধরে দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে গোল করেন তিনি। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আবাহনী। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় মোহামেডান। জয় ছিনিয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাদা-কালোরা। মুজাফরভের গোলে ১-১ সমতা টানে আলফাজের দল। ৫১ মিনিটে উজবেক প্লে-মেকার মোজাফফরভের থ্রু ধরে আবাহনীর অরক্ষিত রক্ষণের সুবিধা নিয়ে পাপ্পু হোসেনকে পরাস্ত করেন মোহামেডানের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইমানুয়েল সানডে। তিন মিনিটের মধ্যেই নাটকীয়ভাবে ম্যাচে এগিয়ে যায় মোহামেডান। ডান দিক থেকে হাসান মুরাদের থ্রো আইভরিকোস্টের দোসো সিদি ব্যাক হেড পোস্টের দিকে থাকা বলে আলতো টোকায় গোল করেন সানডে। ম্যাচের বাকি সময়টা স্কোরলাইন ধরে রেখে মাঠ ছাড়ে মতিঝিল পাড়ার দলটি। এই জয়ে গ্রুপ সেরা হয়েই পরের রাউন্ডে যাচ্ছে মোহামেডান। অন্যদিকে ম্যাচ হারলেও গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে আবাহনী।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৮

ফেডারেশন কাপের শেষ আটে আবাহনী ও মোহামেডান
একই দিনের ভিন্ন ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে ফেডারেশন কাপের কোয়াটার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দেশের ফুটবলের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী ও মোহামেডান। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে মোহামেডান। একই গ্রুপের অন্য ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। প্রথম ভালো সুযোগটি অবশ্য পেয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনীই। ২৫তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুল পাসে বল পেয়ে যান জাহেদুল আলম, কিন্তু এই ফরোয়ার্ডের শট আটকে দেন আরেক ডিফেন্ডার মিলাদ শেখ সুলেমানি। ৪৩ মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী। বক্সের বাইরে থেকে একজনকে ডোজ দিয়ে জায়গা করে জোরালো শটে জাল কাঁপান ব্রুনো। বিরতির পর আবাহনী লিমিটেডের দাপট অব্যাহত থাকে। ৪৮ মিনিটে বাড়ে ব্যবধান। ব্যবধান দ্বিগুণ করে ম্যাচে চালকের আসনে বসে আবাহনী। নিখুঁত টোকায় রানাকে পরাস্ত করেন ওগবাহ। ৮৩ মিনিটে আবাহনী লিমিটেডের স্কোর ৩-০ করেন ওয়াশিংটন। মেহেদী হাসান রয়েলের পাসে দ্রুত গতিতে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে দলকে তৃতীয় গোল উপহার দেন এই ব্রাজিলিয়ান। অন্যদিকে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও মোহামেডানের ম্যাচের সপ্তম মিনিটে বক্সে ভালো জায়গায় বল পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নেন জাফর। তিন মিনিট পর কর্নারে দূরের পোস্টে থাকা দলটির কোত দি ভোয়ার ফরোয়ার্ড দোসো সিদিকও ঠিকঠাক হেড নিতে পারেননি। অষ্টাদশ মিনিটে ব্রাদার্সের একটি প্রচেষ্টা ক্রসবার কাঁপায়। অবশেষে ৬৬তম মিনিটে গোলের দেখা মেলে। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন সুলেমানে দিয়াবাতে, ফাঁকায় থাকা সৌরভ দেওয়ান নিখুঁত প্লেসিং শটে গোলটি করেন। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাদা-কালোরা।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়