• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মিশা-ডিপজলকে জয়ের মালা পরিয়ে দিলেন নিপুণ (ভিডিও)
সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচন। এতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তবে ১৬ ভোট কম পেয়ে মিশা-ডিপজলের কাছে হেরে যান তিনি।  আগেই জানিয়েছিলেন নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন মেনে নেবেন নিপুণ। এদিকে নির্বাচনে হেরে গেলেও মিশা-ডিপজলকে জয়ের মালা পরিয়ে দেন এই চিত্রনায়িকা।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে পরের দিন শনিবার সকালে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।   ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার। তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।  ভোটে হেরে গণমাধ্যমের কাছে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে নিপুণ বলেন, ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন যারা পরিচালনা করেছেন, প্রথমেই আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। এ সময় ডিপজলের কাছে নিজের হার নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ভেবেছিলাম ডিপজল সাহেবের বিপরীতে আমি যখন দাঁড়াব, ভোট পাবো সর্বোচ্চ ৫০টা। সেখানে ভোট পেলাম ২০৯টা। হেরে গেলাম মাত্র ১৬ ভোটে। এতে প্রমাণ হলো শিল্পী সমিতির ভাই-বোনেরা আমাকে কতটা ভালোবাসেন। এত সম্মান দেওয়ার জন্য তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।  নির্বাচনে জয় পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত হয়ে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মিশা জানান, আপনাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানানোর কোনো ভাষা আমার জানা নেই। আপনারা পাশে ছিলেন বিধায় এ সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিনম্র শ্রদ্ধা, সম্মান। অন্যদিকে নির্বাচনে জিতে ডিপজল বলেন, আমরা সবাই মিলে এক থাকতে চাই। কোনো ভাগাভাগি চাই না। নির্বাচনে হার-জিত বড় কথা না। নিপুণকে আমিই এনেছিলাম চলচ্চিত্রে। তাকে আমি মেয়ের মতোই আদর করি। প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৬ মেয়াদে সমিতির ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ঠাঁই পেতে এবারের নির্বাচনে ৬জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৯

‘ফুলের মালা কখনও কখনও ফাঁসির দড়িও হতে পারে’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, যেসব নেতারা এখন ফুলের মালা নিচ্ছেন তাদের বলি— ফুলের মালা কখনও কখনও ফাঁসির দড়িও হতে পারে। সোমবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও স্বরণসভায় এই কথা বলেন তিনি। দুদু বলেন, দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা গৌরবের বিষয় না। স্বল্প সময় ক্ষমতায় থেকে কীভাবে গৌরবের বিষয় হতে হয় তা জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া দেখিয়ে দিয়েছেন। যারা ক্ষমতায় আছেন তার প্রতিনিয়ত বুঝতে পারছেন ক্ষমতা কত কষ্টের। কত আতঙ্কের। বিদায় হলে কী পরিস্থিতি হবে। যারা এখন ফুলের মালা নিচ্ছেন তাদের বলি— ফুলের মালা কখনও কখনও ফাঁসির দড়িও হতে পারে। এটি যদি রাজনীতিকরা বিশেষ করে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা স্মরণে রাখেন তাহলে ভালো হয়। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি। একটি স্বাভাবিক বাংলাদেশ তৈরি করতে একটি গুণগত পরিবর্তন দরকার। একটি সুষ্ঠু বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য যে ব্যবস্থা দরকার সেটা এখনও হয়নি। এসময় দুদু বলেন, খন্দকার দেলোয়ার হোসেনযে বিএনপিকে রক্ষা করেছে এ কথা বলতে আমি এখানে আসিনি। একজন সাহসী মানুষের যে ভূমিকা থাকার কথা তিনি সেটাই করেছেন। তিনি বলেন, আন্দোলন সংগঠিত করে নিজেকে বাঁচিয়ে জেলের বাইরে থাকা যে কষ্ট জেলের ভেতর থাকার কষ্টের চেয়ে কোনো অংশে কম না। জেলে থাকলে রাতে তো একটু ঘুম হয়। কিন্তু যারা বাইরে থাকে তাদের রাতের ঘুম হয় না। একটু শব্দ করলেই মনে হয় তারা আসলো। কবি আবদুল হাই শিকদারের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবেদিন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২০:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়