• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মোস্তাফিজের বিদায়ে হতাশ চেন্নাই কোচ ফ্লেমিং
চলতি আসরে চেন্নাইয়ের হয়ে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে টুর্নামেন্টের মাঝপথে দেশে ফিরতে হয়েছে এই টাইগার পেসারকে। কিন্তু ফিজের বিদায়ে পর চেন্নাইয়ে বোলিং লাইন দুর্বল হয়ে পড়েছে, এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং। নিজেদের দশম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে চেন্নাই। এ ম্যাচে মাত্র দুটি বল করেই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন চেন্নাই পেসার দীপক চাহার। চলতি মৌসুমে এর আগেও চোটের কারণে দুটি ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি।  চোটের কারণে পেসার মাথিশা পাতিরানাকেও এ ম্যাচে পায়নি চেন্নাই। আর ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ায় দলের সঙ্গে মাঠেই যাননি আরেক পেসার তুষার দেশপান্ডে। কিন্তু সমস্যার এখানেই শেষ নয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভিসার কাজে দ্রুতই শ্রীলঙ্কায় ফিরবেন পাতিরানা ও স্পিনার মহীশ থিকশানা। শ্রীলঙ্কার এই দুই বোলারকে অবশ্য রোববার পাঞ্জাবের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে পাওয়ার আশা করছে চেন্নাই। যদিও সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।  আর গতকালের ম্যাচ দিয়েই চেন্নাইয়ের হয়ে বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের এবারের আইপিএল অভিযানের সমাপ্তি ঘটেছে।  শেষ ম্যাচে উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে ২২ রান দেওয়ার পাশাপাশি একটি মেডেন পেয়েছেন মোস্তাফিজ। দেশে ফিরে তিনি যোগ দেবেন বাংলাদেশ দলে।  পাঞ্জাবের কাছে হারের পর চেন্নাইয়ের প্রধান কোচ ফ্লেমিং দলের বোলিং বিভাগের সমস্যাটা তুলে ধরেন, শ্রীলঙ্কান ছেলেরা ভিসার জন্য (দেশে) ফিরবে। আশা করি তাদের কাজটা দ্রুত শেষ হবে এবং আমরা পরের ম্যাচে তাদের পাব। মোস্তাফিজকে হারানোটা হতাশার। (বোলিং বিভাগে) আসলে অনেক কিছুই ঘটছে। চাহারের ইনজুরি নিয়ে ফ্লেমিং বলেছেন, দীপক চাহারকে দেখে ভালো মনে হয়নি। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হয়েছে ভালো নেই। ফিজিওদের কাছ থেকে আমি তাই ইতিবাচক খবর পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
০২ মে ২০২৪, ১৫:৪৭

শেষ বিদায়ে ভালোবাসায় সিক্ত জাতীয় পতাকার নকশাকার
শেষ বিদায়ে কুমিল্লার মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় নিজ জন্মস্থান কুমিল্লা টাউনহল প্রাঙ্গণে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এসময় তিনি বলেন, শিব নারায়ণ দাস মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তার মৃত্যুতে জাতি একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালো। শিবুদার মাঝে রাজনীতি নিয়ে ক্লান্তি ছিল না। উনি আমাদের হাতে পোস্টার বানিয়ে দিতেন। আমরা পুরো শহর সেই পোস্টার বিলিয়ে দিতাম। এমন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে কুমিল্লার মানুষ হারিয়েছে। যত দিন বাংলাদেশের ইতিহাস থাকবে, ততদিন এ জাতি উনাকে স্মরণ করবে। জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শিব নারায়ণ দাস একজন রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পতাকা শিব নারায়ণ দাসের হাতেই হয়েছে। উনি কখনো নিজের জন্য ভাবেননি। উনিই প্রথম কুমিল্লার টাউনহল মাঠে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়েছিলেন। আমরা সবার পক্ষ থেকে দাবি জানাই, শিব নারায়ণ দাসকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হোক। শিব নারায়ণ দাসের সহধর্মিনী বীর মুক্তিযোদ্ধা গীতশ্রী চৌধুরী বলেন, আমি ৫৫ বছর ধরে তার সঙ্গে ছিলাম। শেষ সময় পর্যন্ত কুমিল্লাবাসী শিব নারায়ণ দাসের পাশে ছিলেন। আমি কৃতজ্ঞ। এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শিব নারায়ণ দাস বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার মূল নকশাকার। তিনি একজন ছাত্রনেতা ও স্বভাব আঁকিয়ে ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৬ জুন রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলন করা হয়।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

নান্নু-বাশারের বিদায়ে নতুন দায়িত্ব পেলেন যারা
প্রায় এক যুগ ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তবে প্রায় সব সময়ই তাকে দল নির্বাচনের জন্য সমালোচনার শিকার হতে হয় তাকে। গত বছর এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবির পর তাকে বাদ দেওয়ার দাবি জানায় ক্রিকেট ভক্তরা। অবশেষে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে নান্নুকে বাদ দিয়েছে বিসিবি। সোমবার ( ১২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে বোর্ড সভায় বসেছিল বিসিবি। এই সভায় আলোচনা করে মিহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনকে বাদ দিয়েছে বিসিবি। আর প্রধান নির্বাচক হিসেবে  গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে ঘোষণা করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। নির্বাচকের পদ থেকে নান্নু ও সুমনকে ছাটায় হলেও প্যানেলে রাখা হয়েছে আব্দুর রাজ্জাককে। আর নতুন করে যোগ হয়েছে হান্নান সরকার ও গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। এই নির্বাচক প্যানেলকে নেতৃত্ব দিবেন লিপু। এর আগে বিসিবির সাবেক পরিচালক, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বিপিএল গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।    বিসিবির প্রধান নির্বাচক হিসেবে গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হয় মিনহাজুল আবেদীন নান্নুদের প্যানেলের। এরপরে বিশেষ অনুমোদনে বাড়ানো হয় সেটির মেয়াদ। ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।  এর আগে বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের সদস্য ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। এ দিকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নির্বাচক হিসেবে কাজ করা হান্নান সরকারের জন্য জাতীয় দলের দুয়ার খুলছে।   
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৬

ঢাকার বিদায়ে জমজমাট বিপিএলের পয়েন্ট টেবিল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরের শুরু থেকেই কাগজে-কলমে পিছিয়ে দুর্দান্ত ঢাকা। যদিও ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারিয়ে চমক দিয়েছিল রাজধানীর দলটি। তবে আর জয়ের দেখা পায়নি তারা। এরপর টানা ৮ পরাজয়ে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে ঢাকার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। সবার আগে বিদায় নিশ্চিত করে নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পাড়ি জমাচ্ছে তাসকিন-মোসাদ্দেকরা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের চতুর্থ পর্বে খেলা হবে। রানপ্রসবা এই উইকেটেই নির্ধারিত হবে, কারা হচ্ছেন প্লে-অফের ৪ দল। এই ফায়সালায় দলগুলো বেশ কিছু বিদেশি ক্রিকেটারকে নতুন করে পেতে যাচ্ছে। তাই বিপিএলের এই পর্বে বিশেষ নজর থাকবে ক্রীড়াপ্রেমীদের। ঢাকায় দ্বিতীয় পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে রংপুর রাইডার্স। টানা জয়ে টেবিলে রাজত্ব করছে তারকায় ঠাসা দলটি। ৮ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট সাকিব-সোহানদের। গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচগুলোতে তাদের প্রতিপক্ষ খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও কুমিল্লা। বাকি ৪ ম্যাচের দুটিতে জয় পেলেই প্লে-অফ নিশ্চিত নুরুল হাসান সোহানের দলের। হার দিয়ে আসর শুরু করা কুমিল্লা আছে টেবিলের দুইয়ে। ৭ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে কিছুটা স্বস্তিতেই আছে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিনে চট্টগ্রাম। দলটির অন্যতম চিন্তার কারণ হতে পারে নেট রানরেট। টেবিলের চার ও পাঁচে থাকা ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্সের পয়েন্টও সমান ৮। তবে এক ম্যাচ কম খেলে নেট রানরেটে পিছিয়ে পাঁচে খুলনা। টেবিলের তলানির দুই দল সিলেট ও ঢাকা। তবে কাগজে-কলমে এখনও প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। শেষ ৪ ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে তারা। তাই পরের ম্যাচগুলোতে জয়ের পাশাপাশি অন্যদের হারের প্রত্যাশাও করতে হবে তাদের।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়