• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্য পাগলের প্রলাপ: কাদের
উপজেলা নির্বাচনকে জনগণ প্রত্যাখান করেছে- বিএনপির এমন দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার যদি উপস্থিত হয় যেখানে বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দল নেই। তারপরও এ প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে এ উপস্থিতি সন্তোষজনকই। বিএনপির এ ধরনের বক্তব্য পাগলের প্রলাপ। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নিন্দুকেরা বিশেষ করে বিরোধী দল যে বক্তব্য রেখেছে তা হাস্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। অনেকের আশঙ্কা ছিল ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচন খুনোখুনি, মারামারি, রক্তারক্তি অবস্থায় সমাপ্ত হবে। এ নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে কোথাও ক্যাজুয়ালিটি নেই, প্রাণহানির ঘটনা নেই। কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, কিছু আহত হয়েছে, কিন্তু প্রাণহানির ঘটনা নেই। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি। এ পরিস্থিতিতে আমি মনে করি ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরাই বেশির ভাগ বিজয়ী হয়েছে। এখনো কোথাও কোথাও গণনা শেষ হয়নি। আমরা মনে করি, টার্ন আউট সন্তোষজনক। প্রাণহানি ছাড়া একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। প্রশাসন খুব দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে, দল থেকেও নেত্রীর নির্দেশে সবাই যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে, সে জন্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো বিএনপির উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তকে আত্মহননমূলক রাজনীতি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার পাঁচ দেশে সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার দেশে ফিরে বুধবার (৮ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে এ মন্তব্য করেন তিনি।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, যারা বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত তারা দেশের সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না। বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে আমার প্রশ্ন- কোনো নির্বাচনেই যদি অংশ নিতে না পারেন, তবে আর কেন বিএনপির রাজনীতি করবেন। উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হলেও বিএনপি কেন ঢাকা শহরে লিফলেট বিতরণ করছে- এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, এগুলো তাদের লোক-দেখানো কর্মসূচি। কখন যে তারা উপজেলা নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণ করতে দূতাবাসগুলোতে চলে যায়, সেটিই দেখার বিষয়, কারণ তারা তো কথায় কথায় বিদেশি দূতাবাসে ধর্না দেয়।  এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, ইউরোপ জুড়ে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যা নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে, হচ্ছে। আর আমরা দেখেছি, আমাদের এখানে হিরো আলমকে বা কোনো মেয়র পদপ্রার্থীকে কেউ ঘুষি মারলেও তারা বিবৃতি দেয়, আর তাদের ওখানে বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ যেভাবে বলপ্রয়োগ করছে, হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, শিক্ষকরাও রেহাই পাচ্ছেন না- এ নিয়ে তারা কি বলবেন সেটিই আমার প্রশ্ন? পাঁচ দেশ সফর বৃত্তান্ত এ দিন প্রেস ব্রিফিংয়ে ২৪ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত পাঁচ দেশে সরকারি সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  প্রধানমন্ত্রীর সাথে ২৪ থেকে ২৭ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফরে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরের পর ২৮ থেকে ২৯ এপ্রিল অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ‘হিউম্যানিটি এট দ্য ক্রসরোডস : অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস এন্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অভ রেগুলেশন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পাশাপাশি ভিয়েনায় অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গের সাথে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অস্ট্রিয়ার বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দ্বৈত কর এড়ানোর প্রস্তাবিত চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা, ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি’র (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসির সাথে সাক্ষাতে পারমাণবিক শক্তির অপ্রসারণ এবং শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিয়ে আলোচনা এবং অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় উদ্বোধনের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  ৩০ এপ্রিল ও পয়লা মে যথাক্রমে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ও যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসদ্বয় আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান। ব্রাসেলসের অনুষ্ঠানে বেলজিয়ামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপাক্ষিক বিষয়াবলী মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত জেরোএন কুরম্যান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক্সটার্নাল এ্যাকশন সার্ভিসের এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিকলাস কাভার্নস্টর্ম এবং বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ যোগ দেন।   পাশাপাশি লন্ডনের আয়োজনে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল, হাউস অব কমন্সের নেতা পেনি মর্ডান্ট, মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ, পরিবেশ বিষয়ক ছায়াসচিব স্টিভ রিড, বাংলাদেশ বিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের চেয়ারম্যান রুশনারা আলী এমপি প্রমুখ উপস্থিত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে অভিনন্দন জানান। এরপর ৩ থেকে ৫ মে পশ্চিম আফ্রিকার গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে দেশের প্রতিনিধিত্বের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, উদ্বোধনী অধিবেশনে আমি বিশেষ করে ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহবান জানিয়েছি। আপনারা জানেন আন্তুর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে, আমরা তাদের সহায়তা দিচ্ছি। ওআইসি সম্মেলন সমাপনীতে আমরা রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহযোগিতার জন্য ওআইসি সদস্যদেরকে আহবান করেছি। ব্রিফিংয়ে সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ ও আন্তুর্জাতিক সংস্থার ১০ জন মন্ত্রী ও সংস্থাপ্রধানের সাথে বৈঠকের সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন মন্ত্রী।  গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদোউ তাংগারা, বিচারমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল দাওদা এ জালও, মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ হাসান শুকরি, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি উতামা হাজি, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেত্নো এল পি মারসুদি, আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেইহুন বাইরামভ, বাহরাইনের বিচারমন্ত্রী নওয়াফ বিন মোহামেদ আল-মাওয়াদেহ, ব্রুনাই দারুস-সালামের সেকেন্ড মিনিস্টার ফর ফরেন এফেয়ার্স দাতো সেরি সেইতা হাজি এরউইন, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত রিয়াদ মনসুর, ডিজিটাল কোঅপারেশন অর্গাইনাইজেশনের (ডিসিও) মহাসচিব দিমা আল ইয়াহিয়ার সাথে পৃথক বৈঠকগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতার পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।  পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ব্রিটিশ মিনিস্টার অভ স্টেট অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের বৈঠক বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক মিনিস্টার অভ স্টেট অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সাক্ষাতে মিলিত হন।  বৈঠক বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, মেট্রোরেলেও ভ্রমণের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।  যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা তুলে ধরে মিনিস্টার অভ স্টেট ট্রেভেলিয়ান দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে সন্তোষ ব্যক্ত করে এর আরও সম্প্রসারণে জোর দেন। বৈঠকে পূর্বসম্মতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্য থেকে এয়ারবাস কেনা, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 
৬ ঘণ্টা আগে

বুধবার দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল
পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামীকাল বুধবার দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিন দুপুরে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক তিনি ঢাকায় ফিরবেন। মঙ্গলবার (৭ মে) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ২ মে ওমরাহ পালনের উদ্দেশে বিকেলে সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়েন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। ওইদিনই মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ বিমানে মদিনা পৌঁছান। সেখানে পৌঁছে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। এর আগে শনিবার (৪ মে) এশার নামাজের পরে মির্জা ফখরুল ও তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম ওমরাহ পালন করেন।
০৭ মে ২০২৪, ১৭:৪০

বিএনপির সমাবেশের ব্যাপারে যা জানাল ডিএমপি
পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, বিএনপির সমাবেশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১০ মে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ডিএমপি। প্রসঙ্গত, তীব্র তাপদাহের কারণে স্থগিত সমাবেশ আগামী শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। সোমবার (৬ মে) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ মে নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
০৭ মে ২০২৪, ১৭:৩৫

বিএনপির স্থগিত সমাবেশ শুক্রবার
তীব্র তাপদাহের কারণে স্থগিত সমাবেশ আগামী শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।  সোমবার (৬ মে) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।   এতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ মে নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
০৬ মে ২০২৪, ২৩:২৮

বিএনপির জন্য মায়াকান্না করছে ওবায়দুল কাদের: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সম্পাদক আছেন, প্রায় সময়ই তিনি বকবক করেন, খুব কথা বলেন। বিএনপির জন্য ওনার খুব মায়াকান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে এটা মনে হয়। মুরগির ছানার নিরাপত্তার জন্য যেমন চিল মায়াকান্না করে, কুমির যেমন কান্নাকাটি করে তেমন কুম্ভিরাশ্রু ওবায়দুল কাদেরের চোখ দিয়ে ক্রমাগত পড়ছে। সোমবার (৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হাবীব উন নবী খান সোহেল মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে রিজভী এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে—এমন আওয়াজ ওবায়দুল কাদের মাঝে মাঝে দেন। আরও অনেক কথা বলেন, বিএনপি ক্লান্ত, বিএনপি হতাশ, বিএনপির নেতারা বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা (আওয়ামী লীগ) যে ভেতর থেকে ধ্বসে গেছে, ভেঙে গেছে এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এ কথাগুলো বলেন। রিজভী বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মানুষ তিন বেলা খেতে পায় না। আজ মায়ের গর্ভ থেকে যে শিশুটা জন্মগ্রহণ করছে তার ঋণ হচ্ছে এক লাখ টাকারও বেশি। তারপরও তিনি (শেখ হাসিনা) ঋণ নিতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করা। জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়া। এই কারণে তাদের জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণ খেলাপি, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোক আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। এরা তো গণশত্রু, যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে, টাকা বিদেশে পাচার করে। তাদের সঙ্গে তো দেশের জনগণ থাকে না। তারাই যদি এই সরকার এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকে তাহলে তো শেখ হাসিনা জনগণের সমর্থন পাবে না। জনগণের সমর্থন পাবে না বলে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সে জন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছে প্রধানমন্ত্রীর তো ২০/২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছে। তারা যদি দাঁড়াতে পারে তাহলে আমরা বাদ যাবো কেন। এই নির্বাচনে জনগণ তো যাবেই না এবং অন্য কেউ চান্স পাবে না। কারণ, অধিকাংশই আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন এবং ব্যবসায়ীরা নমিনেশন কিনছে। দলের সংকট হলে তারা তো থাকবে না কিন্তু তারাই এখন দখল করে আছে। ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভাঙা কলসি বাজে বেশি। আপনাদের আওয়ামী লীগ ভাঙা কলসি। তাই আপনারা বাজছেন বেশি করে। জনগণকে যা দেখিয়েছেন, যা বলেছেন সব মিথ্যা। ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল,পদ্মা সেতু দেখান এইবার বাজেটে লাখো কোটি টাকার ঋণ চাচ্ছেন কেন? জনগণের গলায় পা দিয়ে বিদ্যুতের বিল, গ্যাসের বিল, পানির বিল বাড়াচ্ছেন কেন? মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলে রাখা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, একেবারে সাজানো মামলা দিয়ে গণতন্ত্রের মা আমাদের অসুস্থ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। যে মামলার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি তার উন্নত চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না।  ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ অর্থসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহিদুল কবির, সাদরুজ্জামান, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।
০৬ মে ২০২৪, ১৫:২৪

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বহিষ্কার
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টোকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।  শনিবার (৪ মে) দুপুরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলফিকার আলী ভুট্টোকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ বিএনপির সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অমান্য করে কোনো নেতা কর্মী যদি এই অবৈধ সরকারের পাতানো কোনো নির্বাচনে অংশ নেই তাকে বহিষ্কার করা হবে এমন সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেওয়া হয়েছে। সারা দেশেই বিএনপি নেতাদের কঠোরভাবে হুশিয়ারি করা হয়েছে। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন অংশ নেবে না বিএনপি। জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, বহিষ্কার হব এসব মাথাই নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। যদি আবারও পাতানো নির্বাচন হয় তবে দেশবাসীর কাছে পুনরায় প্রমাণ হবে যে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচনে অংশ যখন নিয়েছি তখন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে মাঠে থাকব। 
০৪ মে ২০২৪, ২২:৫৩

বিএনপির আরও ৬১ নেতা বহিষ্কার
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এর আগে ৬১ জনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছিল দলটি।  শনিবার (৪ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএনপির নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং, দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন নিয়ে মোট ৬১ বিএনপি নেতা অংশ নিয়েছেন। এর আগে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তৃণমূলের ৮০ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
০৪ মে ২০২৪, ১৮:৪১

বহিষ্কারের পর বিএনপির প্রার্থী আরও বেড়েছে 
প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এখন পর্যন্ত ৮১ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিস্কারের পরও তৃণমূলের নেতাদের দমাতে পারছে না বিএনপি। ফলশ্রুতিতে দ্বিতীয়ধাপের নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন, যা প্রথম ধাপের থেকে বেশি। বিশ্লেষকদের ধারণা, তৃতীয় ধাপে আরও প্রার্থী বাড়তে পারে।  সারাদেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন ২৮ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপে ৩৩ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর সংখ্যাও অনেক।  বহিষ্কারের মতো কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েও বিএনপির নেতাদের উপজেলা নির্বাচন থেকে ফেরানো যাচ্ছে না। দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে বিএনপির ৭৩ জন নেতা মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন। এর মধ্যে মাত্র ১২ জনকে বুঝিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করানো সম্ভব হয়েছে। এখনো ৬১ নেতা নির্বাচনে রয়ে গেছেন।  তৃতীয় ধাপেও বিএনপির অন্তত অর্ধশত নেতা–কর্মী প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দলটির সাবেক, বর্তমান ও একজন বহিষ্কৃত নেতাসহ ২৬ জনের নাম পাওয়া গেছে। বাকি ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।   বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, যে ৬১ জন নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাঁদের গত বৃহস্পতিবার কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও ৬১ জনকে একযোগে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের দিকে যাচ্ছে বিএনপি। যদি এর মধ্যে কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা না দেন, তাহলে প্রথম ধাপের ৭২ জনসহ দুই ধাপে বিএনপির নেতাদের বহিষ্কারের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৩৩–এ।  প্রথম ধাপে বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে ২৮ জন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ২১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ময়মনসিংহে। এই সাংগঠনিক বিভাগের ১৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া রংপুরে ১১, রাজশাহীতে ১০, সিলেটে ৯, কুমিল্লায় ৮, ফরিদপুরে ৬, ঢাকায় ৫, চট্টগ্রামে ৪, খুলনায় ৩ এবং বরিশাল বিভাগের ১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, প্রার্থীরা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার পাশাপাশি সাংগঠনিক ব্যবস্থাকেও আমলে নিচ্ছেন না। এমনকি প্রার্থীদের নির্বাচনবিমুখ করতে কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলার নেতাদের বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হলেও সেটিও খুব একটা কাজে লাগছে না। এ নিয়ে দলের নীতিনির্ধারকেরা অস্বস্তিতে পড়েছেন।  পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী উপজেলার আহ্বায়ক রহিমুল ইসলাম জানান, দলের অবস্থান যে কঠোর, তা তিনি জানেন, তবু তিনি নির্বাচন করবেন। প্রথম ধাপেও প্রার্থীদের থামাতে বিএনপির নেতৃত্বের তৎপরতা তেমন একটা কাজে লাগেনি। বোঝানোর পর মাত্র ১৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। শেষ পর্যন্ত প্রথম ধাপে ৭২ জনকে বহিষ্কার করতে হয়। বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন।  উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপেও বিএনপির নেতাদের অনেকে প্রার্থী হতে মাঠে তৎপর রয়েছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের অবস্থানে থাকা দলটির বহিষ্কারের সংখ্যা দীর্ঘ হবে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে যাঁরা ভোটে অংশ নিচ্ছেন, তাঁদের নিয়ে কাজ করছেন, বিএনপির এমন নেতাদের অনুমান, উপজেলা নির্বাচনের শেষ ধাপ পর্যন্ত বহিষ্কারের সংখ্যা দুই থেকে আড়াই শতে গিয়ে ঠেকতে পারে। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় বহিষ্কারের এই সংখ্যাকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না বিএনপির নেতৃত্ব।  তবে গণহারে দল থেকে এই বহিষ্কার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, দলকে আরও দুর্বল করবে কি না, সে আলোচনা রয়েছে বিএনপিতে। যদিও কঠোর অবস্থানেই থাকছে দলটির নেতৃত্ব।  বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাঁদের বহিষ্কার করা ছাড়া বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে কিছু নেতা বহিষ্কারের ফলে সাংগঠনিক ভিত্তি কিছুটা দুর্বল হতে পারে, যা দলকে উপেক্ষা করতে হচ্ছে সচেতনভাবে।  সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট করে আগেও জিতেছিলেন গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার। এবারও ভোটে আছেন। বিএনপি ভোটে না থাকায় তিনি এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী। গণেন্দ্র ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি। বহিষ্কারাদেশ পেয়েও তিনি দমে যাননি। বরং ভোটের প্রচারে নেমে কেন্দ্রীয় নেতাদের তীব্র সমালোচনা করছেন।  তিনি বলেন, আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কেন্দ্রে বসে নির্দেশনা দেয়। বাস্তবে মাঠের খবর নেয় না। তৃণমূলের কর্মীদের থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা দূরে সরে যাচ্ছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা দলকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিষ্কারের এই হঠকারী সিদ্ধান্তকে আমি মানি না। আমি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো। নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা-প্রথম ধাপে ভোট হতে যাওয়া দুই উপজেলাতেই ভোট নিয়ে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। কারণ বিএনপির দুই জন বহিষ্কৃত নেতা জনপ্রিয়তার লড়াইয়ে আছেন। ২০১১ সালে নলডাঙ্গার ব্রহ্মপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জয় পাওয়া সরদার আফজাল হোসেন এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন কৈ মাছ প্রতীক নিয়ে। বিএনপির ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তে বিরক্ত এই নেতা বলেন, বারবার নির্বাচনে যাচ্ছে না, এই দলে থেকে লাভ কী? নির্বাচনে না গেলে আঞ্চলিক রাজনীতিতে আমরা টিকে থাকব কীভাবে? নিজেকে এখন বিএনপির নেতা মানতে নারাজ আফজাল। তিনি বলেন, উনারা কী কারণে আমাকে শোকজ করে, বহিষ্কার করে আমিতো বুঝি না। আমি তো এখন কোনো পদ পদবিতে নাই, সদস্যও নাই। তিন বছর আগে সব বাদ দিছি, বিএনপির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।  
০৪ মে ২০২৪, ১৫:৩৪

বিএনপির ঘরের রাজনীতিও ঝিমিয়ে পড়েছে: কাদের
আওয়ামী লীগের  সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বিধা-বিভক্ত বিএনপির ঘরের রাজনীতিও ঝিমিয়ে পড়েছে। শুক্রবার (৩ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে বিরোধীদল কথা ও বিবৃতিসর্বস্ব রাজনীতি করছে। মাঠে তাদের কোনো কর্মসূচি নেই। দ্বিধা-বিভক্ত বিএনপির ঘরের রাজনীতিও ঝিমিয়ে পড়েছে। নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে এবং আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করতে গিয়ে সারা দেশে যে অবস্থার সৃষ্টি করেছে, যে নেতিবাচক রাজনীতি করেছে- তাতে দলটির প্রতি জনগণের অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। আবার দল ক্ষমতায় আসবে, নেতারা এ কথা বললেও কর্মীরা তা বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আটকে আছেন আইনের ফাঁদে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় তিনি বন্দি। বিএনপি নেতাদের উপেক্ষা এবং অবহেলার জন্য, হাজিরা বিলম্বিত করা; এক বছরে যেটা শেষ হতো সেটার বিচার ১০ বছরেও শেষ হয়নি। লিগাল ব্যাটেল (আইনি লড়াই) করেও তারা পারেনি। রাজপথেও তারা দেখার মতো কোনো মিছিল করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার উদারতায় খালেদা জিয়ার শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। বাড়িতে বসেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিদেশ থেকেও চিকিৎসক এসে চিকিৎসা করাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারকে যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল নিজেরাই যথেষ্ট চাপে আছে। কারণ আরব বসন্তের স্পর্শ আটলান্টিকের ওপারেও (যুক্তরাষ্ট্রে) লেগেছে। নির্বাচনের আগেও তো চাপ,  হুমকি-ধমকি ছিল। নিষেধাজ্ঞা দেবে, এগুলো তো তারা প্রকাশ্যে বলেছে। এখন স্বাভাবিক কারণে যারা চাপ দেবেন, তারা নিজেরাই যথেষ্ট চাপে আছে। আরব বসন্তের স্পর্শ আটলান্টিকের ওপারেও লেগেছে। আমরা দূর থেকেই সেটা দেখতে পাচ্ছি। উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের নিকটাত্মীয় বলতে দলীয় সভাপতি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সুনির্দিষ্টভাবে স্ত্রী ও সন্তানদেরই বুঝিয়েছেন। তিনি গতকাল সকালে এবং বিকেলে দলীয় সভায় সেটা খোলাসা করেছেন। নির্দেশ দিয়েছেন, নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার, হস্তক্ষেপ না করতে। প্রশাসনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করা যাবে না। পরিষ্কার করে তিনি সে কথা বলেছেন। নেত্রীর গাইডলাইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করব। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের অনেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে অনেকেই করেছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ইতিবাচক রাজনীতি করি। বিশ্বে সংকটের যে প্রভাব-প্রতিক্রিয়া, বাংলাদেশেও সে প্রতিক্রিয়া থেকে জনগণকে পরিত্রাণ দিতে এবং এ সংকট সাময়িক হলেও তা দূর করতে কিছু বাস্তবমুখী কর্মসূচি নিতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে, বেকার সমস্যা দূরীকরণ এবং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দলকে সুসংগঠিত করতে নেত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন এবং সেভাবে দলকে আমরা সাজিয়ে নিচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।  
০৩ মে ২০২৪, ১৬:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়