• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
হোয়াইট হাউসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা হুমকি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হতে পারে এ সাক্ষাতে৷ মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসে জাপানের সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট৷ এর মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা৷ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন এবং উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পাওয়া হুমকি মোকাবিলায় জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করবেন দেশ দুটির দুই শীর্ষ নেতা৷ ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৬০ সালের পর সামরিক খাতে এবারই ওয়াশিংটন ও টোকিওর মধ্যে বড় ধরনের অগ্রগতি দেখা যাবে৷ হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানিয়েছেন, এই দুই নেতা আমাদের সামরিক বাহিনীর সমন্বয় ও একীকরণের বিষয়ে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর ঘোষণা দেবেন বলে আশা করছি৷ কিশিদার সফরে যা থাকছে স্ত্রী ইউকোকে নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন কিশিদা৷ তাই হোয়াইট হাউসে তাদের স্বাগত জানানোর সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দেখা গেছে ফার্স্ট লেডি জিলকেও৷ বুধবার রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আগে জিল বাইডেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের দেশগুলো এমন একটি বিশ্বের অংশীদার যেখানে আমরা ধ্বংসের বদলে সৃষ্টি, রক্তপাতের পরিবর্তে শান্তি এবং স্বৈরাচারের বদলে গণতন্ত্রকে বেছে নিই৷ বুধবার দেশ দুটির মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে৷ এরপর বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী৷ বৈঠক শেষে রোজ গার্ডেনে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসবেন দুই নেতা৷ বৃহস্পতিবার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপাইনসের মধ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন জো বাইডেন৷ সেখানে উপস্থিত থাকবেন ফিলিপাইনসের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস৷ প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের পর দ্বিতীয় জাপানি নেতা হিসাবে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেবেন কিশিদা৷ এরপর তিনি যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে বিশেষ নৈশভোজে৷ গত বছরের আগস্টে সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন কিশিদা৷ সেবার সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল৷ গত মাসে জাপানের নিপ্পন স্টিলের কাছে ইউএস স্টিল বিক্রির বিরোধিতা করেছিলেন বাইডেন৷ এ ঘটনায় কিশিদার সঙ্গে তার সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল৷ যা এখন সম্পূর্ণ বদলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫০

বোলিংয়ে শক্তি বাড়াতে দিল্লির নতুন চমক
চলতি আইপিএলে শুরুটা ভালো করতে পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। পাঁচ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে তারা। তাই এবার দলের শক্তি বাঁড়াতে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার লিজার্ড উইলিয়ামসকে দলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এর আগে দাদি মারা যাওয়ার কারণে আইপিএলের চলতি আসর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার হ্যারি ব্রুক। তার পরিবর্তে এই প্রোটিয়া পেসারকে দলে নিয়েছে দিল্লি। দিল্লিতে পেসার হিসেবে আগে থেকেই আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এনরিখ নরকিয়া, ইশান্ত শর্মা, খলিল আহমেদ, ঝাই রিচার্ডসন ও মুকেশ কুমার। এবার তাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন উইলিয়ামস। এবারই প্রথমবার আইপিএল খেলতে আসছেন উইলিয়ামস। তাকে ৫০ লাখ রুপিতে কিনেছে দিল্লি। পেস আক্রমণকে আরও বেশি ধারালো করতেই একজন ব্যাটারের বদলে বোলারকে দলে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। দিল্লিতে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক পেসার লুঙ্গি এনগিদিও। পিঠের ইনজুরিতে পড়ে চলতি আইপিএল থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৮৩টি ম্যাচ খেলেছেন উইলিয়ামস। প্রোটিয়া এই পেসারের থলিতে আছে ১০৬ টি উইকেট। এছাড়া ৪টি ওয়ানডে ম্যাচও খেলেছেন উইলিয়ামস।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫০

বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে ভারত ও নেপালকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ 
ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে সরকার। সেই লক্ষ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে চুক্তি সম্পাদনের জন্য প্রতিবেশী ভারত ও নেপালের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ইতোমধ্যে।  শনিবার (৩০ মার্চ) ঢাকায় অবস্থিত নেপাল দূতাবাসে ‘প্রি-ইভেন্ট সেমিনার অন দ্য থার্ড নেপাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৪’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সীমানা অতিক্রম করে লাভজনক অংশীদারত্ব গড়ে তোলা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি এ সময় বলেছেন, যৌথ প্রয়াসের মাধ্যমে আমাদের এই অঞ্চলের সম্ভাবনা দ্রুতই কাজে লাগানো যাবে। টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর একত্রে কাজ করা অপরিহার্য। প্রতিমন্ত্রী এরপর বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি আবশ্যক। আলোচনা চলছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ভারত ও নেপালের কাছে। বর্তমানে ভারত থেকে প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রথম বিদ্যুৎ আমদানি করে। এখন প্রায় ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় এইচভিডিসি সাব-স্টেশনের অব্যবহৃত সক্ষমতার মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। নেপালের ন্যাশনাল ইলেকট্রিক অথরিটি (এনইএ) এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মাঝে ট্যারিফ নির্ধারণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, নেপাল ও ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ রেখে নেপালের সুঙ্কোশি-৩ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আরও এগিয়ে যাওয়ার আলোচনা চলমান রয়েছে। জিএমআর প্রকল্পে ভারতীয় কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন তৈরি করা গেলে বিদ্যুৎ আমদানির সঙ্গে রপ্তানিও করা যাবে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। নেপালের বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট তাদের প্রকৌশলীদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দিতে পারে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ আরও বলেন, সোলার পাওয়ার প্লান্ট ও সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ নেপালকে সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। তাদের উৎসাহিত করতে নেপালের বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা উচিত। প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি এ সময় বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উদার ও ব্যবসাবান্ধব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার নেপালের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথমবারের মতো এই দুই দেশ পরিবেশবান্ধব জলবিদ্যুৎ বাণিজ্যের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ সময় অন্যদের মধ্যে নেপাল ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুশীল ভাটও বক্তব্য রাখেন।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৬

পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে ১৪ কোটি টাকার প্রণোদনা
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে ২৪ জেলার ৩৬ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার। এতে একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিএডিসি এসব বীজ সরবরাহ করবে। বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা, বিশুদ্ধতা ও উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত মানের হতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৮

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়াতে আবেদন দুদকের
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। পিকে হালদারের ১৩ সহযোগী হলেন-লিলাবতী হালদার, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এর আগে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধে ১০ বছর ও অর্থ পাচারের অপরাধে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে পি কে হালদারকে। এছাড়া এ মামলার বাকি ১৩ আসামিকে আদালত সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ৪ অক্টোবর একই আদালত রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন। এ মামলার প্রধান আসামি পি কে হালদার। একই মামলা আরও ১৩ জন আসামি রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার ও প্রায় ৪২৬ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-পি কে হালদারের আইনজীবী সুকুমার মৃধা, মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, সহযোগী অবন্তিকা বড়াল ও চাচাতো ভাই শঙ্খ বেপারী, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার এবং ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার এবং সহযোগী পূর্ণিমা রানী হালদার, অমিতাভ অধিকারী, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, উত্তম কুমার মিস্ত্রি এবং স্বপন কুমার মিস্ত্রি। আর অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের অশোকনগরে পি কে হালদার গ্রেফতার হন। সুকুমার, অনিন্দিতা, অবন্তিকা ও শঙ্খ আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং কারা হেফাজতে আছেন। সুকুমার, শঙ্খ ও অনিন্দিতা এর আগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পি কে হালদারসহ ১০ জন পলাতক। আদালত এ মামলায় অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১০৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পিকে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। অভিযোগপত্রে পি কে হালদারসহ ১০ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে এবং তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার চলে। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর একই মামলায় পি কে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২৮

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী যে খাবার
মানবশরীরের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের বিকাশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কথা বলা ও চলাফেরা থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজের নির্দেশ আসে এখান থেকে। তাই মস্তিষ্ক ভালো থাকলে সবকিছু ঠিকঠাকমতো চলে। এ জন্য মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বাড়াতে বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য খাদ্যের তালিকাও প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।  এ তালিকায় রয়েছে- ডার্ক চকোলেট: প্রতিদিন এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অল্প পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আখরোট: মস্তিষ্কের জন্য আখরোট খুবই উপকারী। এতে বাদামের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি মস্তিষ্ককে যে কোনো রোগ থেকে রক্ষা করে। ওটস খেতে হবে নিয়মিত: ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। এটি পেটের নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়াতে পারে এই ওট্স। তাই বাচ্চা-বুড়ো সবারই প্রতিদিন ওটস খাওয়া উচিত। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। ওটস খেতে ভালো না লাগলে ওটসের কুকিজ, কেক, বিস্কুট খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজ ভিটামিন ই-এর ভালো উৎস। সঠিক মাত্রার ভিটামিন ই আমাদের মস্তিষ্কের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে তাই প্রতিদিনের ডায়েটে শুকনো ফল যেমন- আখরোট, কাজু, পেস্তা, চিনা বাদাম এবং কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, তিল বীজ রাখতে পারেন। টমেটো: আমাদের দেশে একটি সহজলভ্য সবজি টমেটো। এই সবজি এখন বাংলাদেশে প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। টমেটোতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই উপাদানটি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়। এ ছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে টমেটো। স্যামন ও সামুদ্রিক মাছ: মানুষের মস্তিষ্কের ৬০ শতাংশ চর্বি দিয়ে তৈরি। তাই এটিকে সক্রিয় রাখতে প্রয়োজন ফ্যাটি অ্যাসিড। সামুদ্রিক মাছ- যেমন স্যামন, টুনাসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ মস্তিষ্কের খাবার হিসেবে বেশ উপকারী। কারণ এই খাবারগুলোতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদানটি আলজইমার রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। পালংশাক: পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। এই উপাদানটি মস্তিষ্কের সংযোগশক্তি বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে।  তৈলাক্ত মাছ: তৈলাক্ত মাছ খেলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের মাছ মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ উপকারী। যে সব মাছে তেল বেশি থাকে, তেমন কিছু বড় মাছ নিয়মিত খেলে বুদ্ধি বাড়বে দ্রুত। গ্রিন টি: গ্রিন টি এখন বাংলাদেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়। গবেষকরা বলছেন, গ্রিন টি মস্তিষ্কের সংযোগ ক্ষমতা বাড়ায়। তা ছাড়া এটি পারকিনসনের হাত থেকে রক্ষা করে। চিনি ছাড়া দিনে তিন কাপ সবুজ চা মস্তিষ্কের জন্য ভীষণ উপকারী। ব্লু বেরি: বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা বাড়াতে ব্লু বেরির জুড়ি নেই। এতে আছে ফ্ল্যাভোনয়েডস। এ ছাড়া এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে এটি। পারকিনসনস বা আলজইমার থেকেও রক্ষা করে ব্লু বেরি।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৮

আউশের উৎপাদন বাড়াতে এবার ৬৪ কোটি টাকার প্রণোদনা
ধানের উৎপাদন করতে কৃষকদের উৎসাহ দিতে আবার পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। এবার আউশের আবাদ ও উৎপাদনে প্রণোদনা দেবে সরকার। প্রণোদনার অঙ্কটি নেহাত কম নয়, ৬৪ কোটি ১৫ লাখ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ৯ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন। উচ্চফলনশীল আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। অধিক ফলনশীল ব্রিধান ৪৮, ব্রিধান ৮২, ব্রিধান ৮৫, ব্রিধান ৯৮, ব্রিধান ১৯ ও ব্রিধান ২১ এর বীজ দেওয়া হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে।  
১২ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯

ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়াতে সেনাবাহিনীর অধীনে ট্রেনিং
ভারত বিশ্বকাপে ফিল্ডিং দেখে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দেশটি কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। এবার পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগে ছক্কা মারতে না পারায় বাবর-রিজওয়ানদের ফিটনেস নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন নতুন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তার আগে ক্রিকেটারদের সম্পূর্ণ ফিট করতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে পিসিবি। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ইসলামাবাদের একটা হোটেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাপ কালে এই ঘোষণা দিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভী। আগামী ২৫ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত কুকুল সেনাবাহিনী ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেবেন বাবর-রিজওয়ানরা। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে পিসিবি। সেনাবাহিনীর অধীনে ট্রেনিং নিয়ে নাকভী বলেন, আমি যখন লাহোরে খেলা দেখছিলাম, আমার মনে হয় না তোমাদের মধ্যে (পাকিস্তানি ক্রিকেটার) কেউ গ্যালারিতে ছক্কা মেরেছো। যখনই এরকম কোনো ছক্কা মারা হয়েছে, আমার মনে হয়েছে বিদেশি কোনো খেলোয়াড় মেরেছে। আমি বোর্ডকে বলছিলাম, খেলোয়াড়দের ফিটনেস বাড়ানোর জন্য একটা পরিকল্পনা করতে। তোমাদের সবাইকে যথাযথভাবে চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সামনে নিউজিল্যান্ড সিরিজ আছে। এরপর আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমি অবাক হয়েছি এটা ভেবে, ‘কখন আমরা প্রস্তুতি নিব?’ কোনো সময়ই নেই। যাইহোক, আমরা একটা সময় খুঁজে পেয়েছি।  ‘সেই সময়টাতে আমরা কুকুল (মিলিটারি অ্যাকাডেমি) একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেছি মার্চের ২৫ তারিখ থেকে এপ্রিলের ৮ তারিখ। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তোমাদের প্রশিক্ষণে যুক্ত থাকবে এবং আশা করি তারা তোমাদের উপকার করবেন।’ এর আগে ২০১৬ সালে মিসবাহ উল হক অধিনায়ক থাকাকালীন একবার কুকুলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। সেবার ইংল্যান্ডে গিয়ে তাদের বিপক্ষে ২-২ এ টেস্ট সিরিজ ড্র করেছিল দলটি। জাতীয় দলে থাকা খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে নাকভি বলেন, আমি তোমাদের শতভাগ সমর্থন দেব। কিন্তু তোমাদের বলব, পাকিস্তানকে সবার আগে প্রাধান্য দিতে এবং টি-টোয়েন্টি লিগকে পরে প্রাধান্য দিতে। যখন দেশের আগে টাকা প্রাধান্য পায়, এটা আসলেই দুর্ভাগ্যজনক। আর তোমরা যদি তাইই করো, তবে আমাদের মাঝে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৩

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্য বাড়াতে পণ্য বহুমুখীকরণ জরুরি
বাংলাদেশ–অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য পণ্য বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেছে উভয় দেশ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে একটি পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে হাইকমিশন জানায়, ১১ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া সফর করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। সফরকালে তার সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক কমিশনের উপ-নির্বাহী প্রধান ফিলিপ্পা কিং বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পণ্য বহুমুখীকরণের ওপর জোর দেন। এ সময় তপন কান্তি ঘোষ তৈরি পোশাক ছাড়াও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তথ্য প্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও শিক্ষার বিষয় উল্লেখ করেন। অস্ট্রেডের উপ-নির্বাহী প্রধান উচ্চ শিক্ষার বিকল্প মডেল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীদারত্ব বাড়ানোর ওপর জোর দেন। বৈঠকে উচ্চ শিক্ষা ছাড়াও কারিগরী শিক্ষা কার্যক্রমে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চাওয়া হয়। দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ বাড়াতে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ যৌথভাবে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সেমিনার আয়োজনের বিষয়েও এ সময় আলোচনা হয়।   সিনিয়র সচিব এ সফরকালে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রথম সহকারী সচিব গ্যারি কাওয়ান, অস্ট্রেলিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বাণিজ্য বিষয়ক প্রধান ক্রিস বার্নস এবং সেদেশে স্থানীয় বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া চেম্বারের সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। তপন কান্তি ঘোষ অস্ট্রেলিয়ার গ্যারি কাওয়ানের সঙ্গে বৈঠককালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা বাংলাদেশের জন্য অব্যাহত রাখার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন কামনা করেন। এছাড়া আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় সভায় ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টেকে পরবর্তী ধাপে উন্নয়নের জন্য করণীয় সম্পর্কিত আলোচনা হয় এই বৈঠকে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের আয়োজনে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারেও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তপন কান্তি ঘোষ। সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া বক্তারা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চার বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের অধিক। গত দশকে দুদেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১১ শতাংশ। বাংলাদেশ–অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিশীল এ বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৪

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে যে আলু
পুষ্টিগুণে ভরপুর মিষ্টি আলু খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। এই আলুর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ম্যাংগানিজ মেলে উপকারী মিষ্টি আলু থেকে। স্টার্চি এই সবজি ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। মিষ্টি আলু শীতকালসহ সারা বছরই পাওয়া যায়। দেখতে আলুর মতো হলেও রঙে ও স্বাদে ভিন্ন এটি। অন্যদিকে এতে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম। চলুন জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি আলু খেলে কী কী উপকার মিলে- মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন আছে, যা আমাদের দেহে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। এই ভিটামিন চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে বিটা ক্যারোটিনের অভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বিশেষ করে শিশু এবং প্রসূতিদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়।  মিষ্টি আলুতে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।   এতে কোনও ধরনের চর্বিজাতীয় পদার্থ নেই। আঁশজাতীয় মিষ্টি আলু খেলে ক্ষুধা লাগে না সহজে। ডায়েট চার্টে তাই এটি রাখতে পারেন সহজেই। গর্ভবতী মায়ের জন্য মিষ্টি আলু খুবই উপকারী। এটি গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি সহায়ক। প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে মিষ্টি আলুতে। পটাসিয়াম হার্টের রোগ থেকে দূরে রাখে। পাশাপাশি মাংসপেশির যত্ন নেয়। মিষ্টি আলুতে থাকা ফাইবার ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।  ত্বক ও চুল ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত খান মিষ্টি আলু।  মিষ্টি আলুতে ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা পেট, কিডনি এবং স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।  হৃদযন্ত্র ও স্নায়ুর সুস্থতা বজায় রাখে মিষ্টি আলু। কলার চাইতেও বেশি পটাসিয়াম পাওয়া যায় মিষ্টি আলু থেকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা খেতে পারেন এই আলু। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়