• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভৈরবে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, শঙ্কায় কৃষক
চলতি বছরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজার দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, ফলন ভালো হয়েছে। তবে বাজারে দাম কম থাকায় পড়তে হবে লোকসানের মুখে।  স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভৈরব উপজেলার জোয়ানশাহী হাওরসহ বিস্তৃর্ণ ফসলি জমি রয়েছে। এর মধ্যে সাদেকপুর ও শ্রীনগর ইউনিয়নের জোয়ানশাহী হাওর এবং আগানগরের ডিগচর অন্যতম। চলতি বছরে ভৈরবে ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।  আবাদকৃত জমির মধ্যে আগাম জাতের বিআর ২৮, ৮৮ ও বঙ্গবন্ধু ধান অন্যতম। তবে, ২৯ ধানের চাষাবাদ বেশি। স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে হাওরের আগাম জাতের ১০ ভাগ ফসলি জমির ধান কাটা হয়েছে।  কৃষকদের দাবি, ধান উৎপাদনে সেচ, শ্রমিকের মজুরি, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। কিন্তু উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে ধানের দাম কম। ফলে লোকসান দিয়েই তাদেরকে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। ধানের মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, মোটা বোরো ধান ৭৪০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে, এখনও বাজারে চিকন ধানের আমদানি শুরু হয়নি। সবমিলিয়ে মুখে হাসি নেই কৃষকের। অথচ, সরকার এ বছর প্রতি কেজি ধান ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে। সে হিসেবে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ২৮০ টাকা দাম পড়ে। ফলে ধানের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক। উপজেলার জোয়ানশাহী হাওরের কৃষক ছানু মিয়া বলেন, জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আশা করি ফসল ঘরে তুলতে পারব।  আবুল মিয়া নামে আরেক কৃষক বলেন, জমি চাষাবাদ, সেচ, শ্রমিকের মজুরি, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে যে হারে উৎপাদন খরচ পড়ে, সে হিসেবে আমরা ন্যায্য দর পাই না। তাই, কৃষকরা যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার দাবি করছি।  এদিকে হাওরের কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি স্লুইচ গেটসহ কাচা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ ভূঁইয়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ফলে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। কৃষি অফিসের মাঠকর্মীরা কৃষকদের সব সময় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে।  তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে কৃষকরা সহজে ধান ঘরে তুলতে পারবেন। এ ছাড়াও সরকার এ বছর প্রতি কেজি ধান ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১২

মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে লিচু বাগান, বাম্পার ফলনের আশা 
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে লিচু বাগানগুলো। ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মৌমাছি নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন মৌয়ালরা। এতে একদিকে যেমন মধু সংগ্রহ করে লাভবান হচ্ছেন তারা, অন্যদিকে পরাগায়নের মাধ্যমে বাড়ছে ফলন। ভালো ফলনে চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছেন স্থানীয় কৃষি অফিস। বাম্পার ফলনের আশায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগানিরা।  কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর কালিয়াকৈর উপজেলায় প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। উপজেলার লিচু বাগানের জন্য বিখ্যাত চাপাইর ইউনিয়নের মেদীআশুলাই গ্রামের দেড়চালা ও চান্দের চালা। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও রাস্তাঘাটে পা রাখলেই চোখে পড়ে বাগান, বসতবাড়ি ও রাস্তার পাশে লিচু গাছগুলোতে মুকুলের সমাহার। প্রতিটি লিছু গাছ ভরে গেছে ফুলে ফুলে। দেড়চালা ও চান্দের চালা এলাকায় গোলাপী, চায়না-২, চায়না থ্রি, বোম্বাই, বেদানাসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার লিচু গাছ রয়েছে।  লিচু চাষি হানিফ ও সিরাজুলের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, প্রতিবছর তাদের ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। এতে লাভ হয় ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা। তবে গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় লাভের সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।  কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ভালো ফলনে চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। লিচুর মুকুল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৌ খামারিরা দূর-দূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন। এরমধ্যে তিনটি খামারে প্রায় ১৯২টি মৌ-বাক্স নিয়ে এসেছেন তারা। এতে একদিকে যেমন মধু সংগ্রহ করতে পারবেন মৌয়ালরা অন্যদিকে পরাগায়নের মাধ্যমে অধিক ফলনের আশা চাষিদের।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২১:২৬

হাওরে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলনেও কৃষকের মুখে হাসি নেই
কিশোরগঞ্জের হাওরবেষ্টিত ইটনা উপজেলায় এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। স্বল্প সার, কীটনাশক প্রয়োগে আশানুরূপ মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন হলেও বাজার সিন্ডিকেটের কারণে কাঙ্ক্ষিত দাম না-পাওয়ায় কুমড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাষিরা। হাওরে পাইকার না আসায় জমিতেই নষ্ট হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া। কাঙ্ক্ষিত দাম ও সবজি পচন রোধে হাওরে হিমাগার নির্মাণের দাবি কৃষকদের। ইটনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৭৪০ একর জমিতে সুইট বল, ইউলোকার্ট, ওয়ান্ডার গোল্ড ও বারী মিষ্টি কুমড়া-১ জাতের মিষ্টি কুমড়া আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর ব্যাপক ফলন হলেও, কাঙ্ক্ষিত দাম না-পাওয়ায় হতাশায় ভুগছে কৃষকরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পতিত ও অনুর্বর জমিতে কম খরচ ও পরিশ্রমে বেশি লাভের আশায়, মহাজনী সুদের টাকা নিয়ে সবজি চাষ করেন কৃষকরা। উৎপাদিত পণ্য যথাসময়ে বিক্রি ও ন্যায্য দাম না পেয়ে লোকসানের ঝুঁকিতে রয়েছে কৃষকরা কয়েক শত কৃষক। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বড়িবাড়ি, রায়টুটি, বাদলা ও এলেংজুরী, মৃগা ও ধনপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সাড়ে ৭০০ প্রান্তিক কৃষক ৪৭০ একর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছে। গত বছরের হিসেবে এবার চাষ ও উৎপাদন বেড়েছে। একর প্রতি ১৮-২০ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধনুনদীর তীরে বড়িবাড়ি ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জমিতে আবাদে পরে আছে পরিপক্ব মিষ্টি কুমড়া। অনেক পচা কুমড়া তুলে নিয়ে নদীতে ফেলছেন কৃষকরা। কৃষকরা জানান, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে হাওরাঞ্চলের সবজি কিনতে গড়িমসি ও কম দাম দিচ্ছে। এতে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক পরিবারগুলো। এই ব্যাপারে কৃষি বিপণন বিভাগের সহায়তা চান তারা। কৃষক আবদুল কাদির বলেন, বেশি লাভের জন্য ধার-কর্জ করে এবার সাড়ে চার একর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করছি। ভালো ফলন হইছে, কিন্তু বেচা-বিক্রি করতে পারি না। ৬ লাখ বিক্রির আশা করছি, বিক্রি হইছে ৩ লাখ টাকা। এখন পাইকার আসেনা, পচন ধরেছে কুমড়ায়। কৃষক রাজ্জাক মিয়া বলেন, কুমড়া ৭-৮ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু হাওরের বিভিন্ন হাট-বাজারে চার-পাঁচ গুণ বেশি দরে বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা। সবজি চাষে কৃষক থেকে ফড়িয়াদের লাভ বেশি। হাওরে হিমাগার থাকলে সুবিধামত সময়ে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারতাম সবজি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ উজ্জ্বল সাহা বলেন, আমিও বিভিন্ন সূত্রে শুনেছি মিষ্টি কুমড়া চাষিরা তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারছে না। আমরা সারা বছর কৃষকদের উৎসাহিত করে উৎপাদন বাড়ায়। উপযুক্ত দাম না পান এতে উৎসাহ হারাবে কৃষক। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দামের বিষয়ে সরকারি সহযোগিতা কামনা করি। 
২০ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৪

রসুনের বাম্পার ফলন, কেজি ১০০ টাকা
রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে রসুনের বাম্পার ফলন হওয়ায় জমিতে ১০০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এই রসুন বাজারে নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা করে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে কালিদাসখালী চরে জমিতে থেকে তুলে জমিতেই দাড়ি দিয়ে ওজন করে দেওয়া হয়। কালিদাসখালী চরের কৃষক মিলন শেখ বলেন, তিনি ১০ কাঠা জমিতে রসুন আবাদ করেছেন। তিন মাসে তার বীজ, সার, সেচসহ খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে তার দেড় লাখ টাকা বিক্রি করবেন।  ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান জমিতে লেবার দিয়ে রসুন উঠিয়ে ওজন করে নেন। প্রতি কেজি ১০০ টাকা। প্রতি মণ ৪ হাজার টাকা। তিনি বলেন, যাতায়াত খরচসহ আমি ১৫০ টাকা দরে বাঘা ও আড়ানী হাটে বিক্রি করব। কালিদাসখালী চরের গোলাম মোস্তফা বলেন, এবার প্রচুর পরিমাণ রসুন আবাদ হয়েছে। আমি নিজেও বাড়ির আঙ্গিনায় রসুন আবাদ করেছি। আসা করছি ফলন ভাল হবে। পলাশিফতেপুর চরের রেজাউল ইসলাম বলেন, পদ্মার চরে তিন বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করেছি। গেঢ়, সার, বীজসহ প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা জমি থেকে বিক্রি করব আশা করছি। চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়া বলেন, পদ্মার চরে প্রচুর পরিমাণে রসুনসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয়। এগুলো ব্যবসায়ীরা জমি থেকে নিয়ে যায়। কৃষকদের হাটে আর নিয়ে যাওয়া লাগে না। এখান থেকে বিক্রি করে।  এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, এবার উপজেলায় ৯৩৪ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে পদ্মার চরে অর্ধেক রসুনের আবাদ করা হয়েছে। এ রসুন স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় চালান করা হয়।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৭

সরিষার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ফলন ধানের চেয়ে বেশি হবে বলে আশা করছেন সরিষা চাষিরা। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও আট ইউনিয়নের চাষিরা বর্তমানে সরিষার পরিচর্যা নিয়ে ব্যাপক সময় পার করছেন। জমি থেকে পাকা সরিষা সংগ্রহ করতে পারলেই কৃষকদের দুশ্চিন্তা দূর হবে। মাঠে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখে খুশি কৃষকরা। সরেজমিনে জেলার শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিস্তীর্ণ মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে রঙিন দেখা গেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর শ্রীপুর উপজেলায় ২৮৯ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হলেও টরি-৭, বারি-১৪, বীনা-৯ সহ কয়েক জাতের আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। অনেকেই আমন ধান সংগ্রহের পর জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ করেছেন। এতে একই জমিতে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হচ্ছে। উপজেলার বলদিঘাট গ্রামের চাষি ফজলুল হক বলেন, দেশে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েই চলছে, তাই তেলের চাহিদা মেটাতে আমি সরিষার চাষ করছি। প্রতি বছর নিজেদের জন্য ১০ শতক জমিতে সরিষা চাষ করতাম। কিন্তু স্থানীয়দের চাহিদা পূরন করতে এবার আরো ১র শতক বেশি সরিষার চাষ করেছি। তেলের চাহিদা মেটাতে আমি বেশি করে সরিষার চাষ করছি। কাওরাইদ ইউনিয়নের বিধাই কৃষক রমিজ উদ্দীন জানান, জমি তৈরি করা থেকে ফলন ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় ৭ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা। যদি আবহাওয়া ভালো থাকরে তিনি প্রায় ২০ মণ সরিষার পাবেন বলে আশা করছেন। উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের শৈলাট গ্রামের চাষী আব্দুল জলিল জানান, অল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়। ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় চলতি মৌসুমে সরিষার ফলনও হয়েছে বেশ। রোদে শুকিয়ে গুদামজাত করে পরে বিক্রি করতে পারলে সরিষার বাজারদর আরো বেশি পাওয়া যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কিন্তু সংসারে টাকা খরচের কারণে ফসল তুলার সাথে সাথেই বিক্রি করে দিতে হবে। পৌরসভার উজিলাব গ্রামের কৃষক নাজিম উদ্দিন বলেন, বারি-১৭ গাছের উচ্চতা হয় দেড় থেকে ২ ফুটের মতো। আগে সরিষা গাছ বড় হলেও ফলন কম হতো। নতুন জাতের ছোট আকারের এ সরিষা গাছের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত সরিষা আসছে। বীজ বপনের ৭০ দিনের মধ্যেই খেত থেকে সরিষা সংগ্রহ করা যায়। এবার প্রতি বিঘা জমি থেকে ৬-৭ মণ সরিষা উৎপাদনের আশা করছেন। আশা করছি অন্য বছরের তুলনায় এবার সরিষার ফলন ভালো হবে। চাষি জামাল উদ্দিন জানান, বিঘা প্রতি জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা। মণ প্রতি সরিষা বিক্রি করা যায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দরে। গড়ে প্রতি বিঘাতে সাত মণ সরিষা উৎপাদন হলে বিঘা প্রতি ১৫-১৬ হাজার টাকা লাভ করা যায়। সরিষা আবাদে সেচের প্রয়োজন না হওয়ায় কম সময়ে সরিষা আবাদ করা যায়। তবে, সরিষার বড় শত্রæ জাব পোকা হলেও এবার এ পোকার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে না। একাধিক কৃষক জানান, অন্যান্য ফসলের মতো সরিষা আবাদে তেমন শ্রমের প্রয়োজন হয় না। জমি থেকে পাকা সরিষা সংগ্রহ ও মাড়াই করে ফসল ঘরে তোলার জন্য পরিবারে পুরুষের পাশাপাশি নারী, বৃদ্ধ ও শিশু সদস্যরাও নিয়মিতভাবে কাজ করেন। চাষীরা এবার বাজারদর বেশি পাওয়ার আশা করছেন অনেকেই। শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, শ্রীপুর উপজেলায় সরিষা চাষাবাদে কৃষকেরা প্রথম দিকে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। তবে তারা যখন জানতে পারলেন স্বল্প খরচে বেশি ফসল উৎপাদন করা যায়। পরেই তারা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে উন্নত জাতের বীজ বিতরণ ও কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া জমিতে সরিষার আবাদ করলে ওই জমিতে সরিষার পাতা পড়ে জমির খাদ্য চাহিদা অনেকাংশে মিটিয়ে থাকে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়