• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাঁচতে চান ববি শিক্ষার্থী জান্নাত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসি। লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ করতেন পথশিশু ও অসহায়দের নিয়ে। গত ২৫ জানুয়ারি হঠাৎ এক দুর্ঘটনা এলোমেলো করে দিয়েছে তার জীবন। অসাবধানতাবশত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের তিনতলা থেকে পড়ে গিয়ে জান্নাতের মেরুদণ্ডে প্রচন্ড আঘাত লাগে। পরে তার স্পাইনাল কর্ডে ফ্র্যাকচার হয়েছে। সঙ্গে ডান পায়ের গোড়ালিও ভেঙে যায়। স্পাইনাল ফ্র্যাকচারের কারণে অস্ত্রপচার করা হয়েছে। ডান পায়ের গোড়ালিতে করা হয়েছে প্লাস্টার। তার কোমর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত প্যারালাইজড হয়ে আছে। জান্নাত বর্তমানে ঢাকার শ্যামলী ট্রমা হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন। ছয় মাসের ফিজিও থেরাপি ও অন্যান্য ট্রিটমেন্ট এর জন্য অন্তত সাত থেকে আট লাখ টাকার প্রয়োজন। জান্নাতের ভাই জিওন জানান, প্রথমে বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা করানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সর্বশেষ থেরাপি দেওয়ার জন্য তাকে ট্রমা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে পঙ্গু হাসপাতালের সাবেক ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. আব্দুল গণি মোল্লার তত্ত্বাবধায়নে অস্ত্রপচার করানো হয়। ডা. নাসির উদ্দীন থেরাপি দিচ্ছেন। তবে প্রতিমাসে দেড় লাখের বেশি খরচ। যা আমাদের পরিবারের পক্ষে সম্ভব না। পাঁচ-ছয় লাখ টাকা এর আগে খরচ হয়ে গেছে। তাই বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান থাকবে সহযোগিতা করার। ইংরেজি বিভাগের ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সহসভাপতি নাহিদ আকন্দ জানান, আমাদের বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি সহযোগিতা করার। বিত্তবানদেরও আহ্বান থাকবে এগিয়ে আসার। ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক তানভীর কায়ছার বলেন, বিভাগ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা প্রয়োজন আমরা করছি। শিক্ষার্থীর বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ওই শিক্ষার্থীর খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা চালাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। এজন্য তাকে বাঁচানোর জন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান থাকবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার। সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানা- ০১৭০০-৮৭৯০৯৭ (বিকাশ), ০১৭০০-৮৭৯০৯৭ (নগদ), ০১৭০০-৮৭৯০৯৭৫ (রকেট) ০১৭৫৪৭৩২৮৯৮ (জিওন, জান্নাতের ভাই)।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫০

‘ত্রাণের চাল খেয়ে বাঁচতে হতো, মানুষ এখন শখ করে পান্তা ভাত খায়’
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, একসময় আমরা মঙ্গাতে অবস্থান করতাম। ত্রাণের চাল দিয়ে খেয়ে বাঁচতে হতো। অথচ, আমরা এখন ভালোমানের চাল খাই। একটা সময় অনেকে ভাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পান্তা করে খেত। আর এখন পান্তা শখ করে খায়, বৈশাখে উৎসব করে খায়। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সেইফ ফুড কার্নিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগ্রাম করছি। সেটি পেতে যা যা করণীয়, তা আমরা জেনেও করি না। আমরা জেনেশুনে খাবারে ভেজাল দেই ও বিক্রি করি। কিন্তু সেই ব্যবসায়ী ভাবে না, অন্য ভেজাল খাবারগুলোও তো তাকে খেতে হবে। তিনি বলেন, মসজিদের ইমাম যদি জুমার আগে নিরাপদ খাদ্য নিতে সচেতন করেন তাহলে মানুষ এ বিষয়ে সচেতন হবে। স্কুলের শিক্ষকরা তার পাঠদান শুরুর আগে দুই মিনিট নিরাপদ খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করলে তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রভাব ফেলবে। এভাবে সবার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। গুণগতমান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে খাবার কেনার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সস্তা পেলেই বেশি খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে অনেকের। মানসম্মত খাবার পেতে একটু খরচ বেশি হয়। প্রয়োজনে অল্প খাব কিন্তু মানসম্মত খাবার খাব।   মন্ত্রী আরও বলেন, রপ্তানি করতে হলে মানসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। ভেজাল মেশানোয় আমরা খাদ্য রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়েছি। একসময় চিংড়ি রপ্তানিতে বেশ এগিয়ে ছিলাম তবে পরবর্তীতে চিংড়িতে জেলি মেশানোর ফলে চিংড়ি রপ্তানিতে আমরা পিছিয়ে গেছি। দেশের বাহিরে মানসম্মত খাদ্যের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন। এসময় তিনি নিরাপদ খাদ্যের লক্ষ্যে সচেতনতা বাড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা থেকে যদি নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া যায় তাহলে বিষয়টি সহজ হবে। ইতোমধ্যে নিরাপদ খাদ্য পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত তা  যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত থাকলে আর তা কলেজ পর্যায়ে প্রয়োজন হবে না। সমাজের যারা প্রভাবশালী মানুষ আছে তাদের এখানে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ুম সরকার। কার্নিভালটি সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। এবারের কার্নিভালে দেশের প্রায় ৭০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১১

দুটি কিডনিই নষ্ট, বাঁচতে চান পল্লব
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থী পল্লব কুমার সাহার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের (দ্বিতীয় ব্যাচ) সাবেক শিক্ষার্থী। তার কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পল্লব ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কলেজপাড়া এলাকার প্রদ্যুৎ সাহার ছেলে। তার বড় ভাই প্রহ্লাদ সাহা এলাকার একটি ওষুধের দোকানে চাকরি করেন। তার মা মায়া রানী সাহা একজন গৃহিনী। জানা গেছে, ডাক্তার অতিসত্বর তার কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। তবে কিডনি প্রতিস্থাপন করার মতো আর্থিক সচ্ছলতা নেই তার পরিবারের। এমতাবস্থায় সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে পল্লব এবং তার পরিবার। আর্থিক সাহায্য পেলে পল্লব ফিরে পেতে পারে নতুন জীবন। পল্লব বর্তমানে রাজধানীর শ্যামলীর সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে সপ্তাহে দুবার তার ডায়ালাইসিস চলছে। তাকে বাঁচাতে গেলে কিডনি প্রতিস্থাপনের বিকল্প কোনো উপায় নেই। তার মা একটি কিডনি দান করতে সম্মত হয়েছেন। এখন কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার প্রয়োজন৷ যা তার নিম্নবিত্ত পরিবারের পক্ষে বহন করা অসম্ভব। পল্লব জানান, কিডনি প্রতিস্থাপনজনিত এত ব্যয় আমার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তবান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী, বড়ভাই, ছোটভাই ও শিক্ষকদের সহোযোগিতা কামনা করেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : পল্লব- ০১৮২৩৩৯২১৩৯ (নগদ), ০১৬৭৬৩৬৩৪৬৮ (বিকাশ) খাদেমুল ইসলাম- ০১৮৬০০৩৯০৬৮ (নগদ) সুভ্রা কনা বিশ্বাস, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ০২১০৩১৬০৮৭৮৫১ (আইএফসি ব্যাংক), কোটচাঁদপুর উপশাখা (০৬২০)।  
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৩

শিকার থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ, ক্ষতসহ ভাসমান হরিণ উদ্ধার
বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী নদী থেকে একটি পাল্লা হরিণ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা।  মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে হরিণঘাটা ইকোপার্ক-সংলগ্ন বিষখালী নদী থেকে হরিণটি উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড কর্মকর্তা লে. শাকিব মেহেদী। কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, বিষখালী নদীতে নিয়মিত টহল অবস্থায় হরিণঘাটা ইকোপার্ক-সংলগ্ন নদীতে হরিণটিকে সাঁতার কাটতে দেখা যায়। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে বিকেল ৫টার দিকে পাথরঘাটা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পাথরঘাটা বনবিভাগের কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া হরিণটির শরীরে একাধিক ক্ষত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে হিংস্র প্রাণির আক্রমণের শিকার হয়ে বাঁচার জন্য নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে হরিণটি। হরিণটি পাঁচ ফুট লম্বা এবং এর ওজন প্রায় দুই মন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাথরঘাটা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপসহকারী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দিকে পাথরঘাটা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আহত অবস্থায় হরিণটি বন বিভাগের লোকজন নিয়ে আসে। হরিণটির শরীরের ২০টি শেলাই লেগেছে। হরিণটি সুস্থ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়