• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের তালবারিয়া গ্রামের মো. সোহেল রানার ছেলে মো. আবু সাঈদ। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট, পুলিশের বড় কর্মকর্তা, এনএসআই কর্মকর্তা, অভিজাত হোটেলের ম্যানেজারসহ বিভিন্ন পরিচয় রয়েছে অষ্টম শ্রেণি পাস এই যুবকের। এসব পরিচয়ে ৩০ বছর বয়সেই ১৪টি বিয়ে করেছেন তিনি। জানা গেছে, বাবার স্টুডিওর দোকান থেকে ফটোশপে দক্ষ সাঈদের প্রতারণার প্রধান অস্ত্র টিকটক, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। যে নারী প্রতিষ্ঠিত, অর্থ-সম্পদ আছে সেই নারীদের টার্গেট করে সাঈদ টিকটক ও ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। সম্পর্কের পর বিয়ে করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে পালিয়ে যান তিনি। শুধু বিয়েই নয়, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এসব কারণে একাধিক মামলার আসামি হয়ে পলাতক রয়েছেন তিনি। ছোট থেকেই ধূর্ত আবু সাঈদ ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি গুরুদাসপুরের একটি ক্লিনিকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় আটক হয়ে গত ৪ বছর এলাকা ছাড়া। তবে ফেসবুক ও টিকটকে কখনও পাইলটের পোশাকে, কখনও পুলিশের পোশাকে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। পরিবারের সঙ্গে গত চার বছরে দেখা করতে আসেননি তিনি। তবে বিভিন্ন সময়ে দূর-দূরান্ত থেকে আবু সাঈদের স্ত্রী পরিচয়ে অনেক নারী তার সন্ধানে আসেন। ২০১০ সালে জামালপুরের মাউশি এলাকার বৃষ্টি বেগম নামে একজনকে বিয়ে করেন আবু সাঈদ। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। ২০১২ সালে রাজশাহীতে বিয়ে করেন। ওই বছরেই পাবনার চাটমোহর এলাকায় একজনকে বিয়ে করেন। ২০২১ সালে মানিকগঞ্জ জেলার এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে ঢাকার একজনকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট টাঙ্গাইল সদর উপজেলা খাদিজা আক্তার সাদিয়াকে বিয়ে করেন।  ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর নাটোরের লালপুর উপজেলার এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালে আবারও টাঙ্গাইল মধুপুরের এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরায় এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২৩ সালেই আবার ঢাকার সাভারের এক নারীকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিয়ে করেন তিনি। ২০২৪ সালে ১৩তম স্ত্রী বরিশালে বিয়ে করেন। ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ে করে ১৪তম স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরে সংসার করছেন আবু সাঈদ। এ বিষয়ে পঞ্চম স্ত্রী দাবি করা খাদিজা আক্তার সাবিনা জানান, বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কমার্শিয়াল পাইলট পরিচয়ে প্রায় আড়াই বছর আগে টিকটকে আবু সাঈদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তখন তিনি জানিয়েছিলেন তার বাবা-মা কেউ নেই, এতিমখানায় বড় হয়েছেন। এরপর প্রেমের পর ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে আমাদের বিয়ে হয়। টাঙ্গাইল সদরে আমার একটি বিউটি পার্লার ও একটি এনজিও পরিচালনা করি। বিয়ের পর আবু সাঈদ আমার দুই বোন ও এক ভাতিজিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩০ লাখ টাকা চান, আমরা তাকে সেই টাকা দিই। কয়েক দিন পর আমার কাছ থেকে আরও ১০ লাখ টাকা নেন তিনি। কিছুদিন পরে তিনজনকেই নিয়োগপত্র দেন এবং বলেন তিন মাস পর চাকরিতে যোগদান করতে হবে। তিনি বলেন, একপর্যায়ে সাঈদের আসল ঠিকানা এবং তার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি। তবে সাঈদ বুঝতে পেরেছিল আমি সব জেনে গেছি। এমনকি চাকরির জন্য যে নিয়োগপত্র দিয়েছিল সেগুলোও ভুয়া ছিল। এ কারণে আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সাঈদ। তারপর থেকে তাকে খোঁজার চেষ্টা করেও পাইনি। এসব ঘটনায় টাঙ্গাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে সাঈদের নামে মামলা করেছি। সাঈদের সন্ধান করতে গিয়ে তার আরও চার স্ত্রীর খোঁজ পাই। তাদের সবার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। সবার কাছ থেকেই বিয়ের পর বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।  সাঈদের চতুর্থ স্ত্রী দাবি করা এক নারী বলেন, আমি কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে চাকরি করি। তিন বছর আগে আমাদের টিকটকে পরিচয়  হয়। এনএসআই কর্মকর্তার পরিচয়ে সে আমার সঙ্গে কথা বলতো। এরপর প্রেম ও বিয়ে হয় আমাদের। বিয়ের পর চাকরি করে জমানো প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সে। তখন থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ। আজ পর্যন্তও তার সন্ধান পাইনি। একই কথা জানিয়েছেন সাঈদের আরও পাঁচ স্ত্রী। সাঈদের প্রতিবেশী মাসুদ রানা বলেন, সাঈদ ফটোশপে নিজের ছবি এডিট করে পাইলট, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তার পরিচয় দেয়। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পোশাক পরে ছবি তুলে তা ফেসবুক ও টিকটকে পোস্ট করত। এতে সুন্দরী মেয়েরা অল্প সময়ে তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে যায়। সাঈদের বাবা সোহেল রানা বলেন, সাঈদের জন্য কোথাও মুখ দেখাতে পারি না। লজ্জা হয়, মাঝে মাঝে মরে যেতেও মন চাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েরা তার সন্ধানে আসে এবং ছেলের বউ হিসাবে পরিচয় দেয়। কিন্তু সাঈদের সঙ্গে গত চার বছরে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। পাশের গ্রামে সাঈদকে বিয়ে দিয়েছিলাম। সেই ঘরে ২টি সন্তান রয়েছে। ওই মেয়েটা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় করেছে। কিন্তু সাঈদ না আসায় বউমা এখন বাবার বাড়িতে চলে গেছে। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৫

ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের সাফল্যের ৪০ বছর উদযাপিত
দেশের শীর্ষতম জীবনবীমা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি গৌরবময় সাফল্যের ৪০ বছর উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষে কোম্পানির কাওরান বাজারস্থ প্রধান কার্যালয় এনএলআই টাওয়ারে কেক কাটা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কোম্পানির চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম, সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক তাহের, পরিচালক বিলকিস নাহার, পরিচালক এ এস এম মাঈনুদ্দিন মোনেম, পরিচালক এয়ার কমোডোর মো. আবু বকর এফসিএ, পরিচালক দাস দে প্রসাদ, পরিচালক মো. হারুন পাটোয়ারী, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাজিম উদ্দিন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এন্ড সিএফও প্রবীর চন্দ্র দাস এফসিএসহ কোম্পানির নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম বলেন, ১৯৮৫ সালের ২৩ এপ্রিল দেশের প্রথম বেসরকারি জীবনবীমা কোম্পানি হিসেবে ন্যাশনাল লাইফ যাত্রা শুরু করে। ন্যাশনাল লাইফের পথ ধরে আজ দেশে বহু বেসরকারি জীবন বীমা কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন বীমা দেশের অর্থনীতিতে অন্যতম চালিকা শক্তি। বীমার প্রিমিয়ামের টাকা ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ হয়ে থাকে। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময়ে ন্যাশনাল লাইফ বিপুল জনগোষ্ঠীকে সঞ্চয়মুখী করার পাশাপাশি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পরে চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম নির্বাহীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা দিবসের কেক কাটেন। উল্লেখ্য ন্যাশনাল লাইফ এ পর্যন্ত প্রায় ৬৭ লক্ষ লোককে বীমার আওতায় এনেছে, প্রিমিয়াম আয় করেছে ১৭,১৮১ কোটি টাকা এবং দাবী পরিশোধ করেছে ১০,১২৪ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানির লাইফ ফান্ড ৫,৩৫৭ কোটি টাকা, সম্পদ ৬,০৬৪ কোটি টাকা এবং বিনিয়োগ প্রায় ৫,৫৪৫ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিতে বেতন ভিত্তিক প্রায় ৫০০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় দুই লক্ষ লোক কাজ করছে। সর্বোচ্চ বীমা দাবী পরিশোধের জন্য কোম্পানিটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পর পর দুই জাতীয় সম্মাননা, শীর্ষ করদাতার সম্মাননা ও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশী ও বিদেশী অসংখ্য অ্যাওয়ার্ড লাভ করে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৮

আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার 
বর্তমান শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষা (এসএসসি) তিন ঘণ্টার হলেও আগামী বছর থেকে পরিবর্তন আসছে এ ধারায়। ২০২৫ সালে এ পরীক্ষা হবে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী। এতে মোট ১০টি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে পাঁচ ঘণ্টায়। দীর্ঘ এ সময়টা পরীক্ষার হলেই অবস্থান করতে হবে পরীক্ষার্থীদের। অবশ্য মাঝে বিরতি পাবেন তারা।  জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৈরি করা ‘২০২৫ এর দশম শ্রেণি শেষে পাবলিক মূল্যায়ন পরীক্ষা’ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান। জানা গেছে, আগামী বছর দশম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা মোট ১০টি বিষয় পড়বে। বিষয়গুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি। এই পাঠ্যসূচির ওপরই অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। বিষয়ের চাহিদা ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রকল্পভিত্তিক কাজ, সমস্যা সমাধান, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদির পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে পরীক্ষার্থীদের। মূল্যায়নে অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয় থাকবে। এনসিটিবি সূত্র জানিয়েছে, লিখিত মূল্যায়নে ৫০ শতাংশ ওয়েটেজ থাকবে। আর বাকি ৫০ শতাংশ ওয়েটেজ থাকবে কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নে। পরীক্ষার মান ও মূল্যায়নে নিরপেক্ষতা যাতে বজায় রাখা যায়, সে জন্য লিখিত মূল্যায়নে বর্তমান পাবলিক পরীক্ষার মতো খাতা ব্যবহার করা হবে। আর পরীক্ষা শেষে একযোগে ফল প্রকাশ করবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এদিকে নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষার নাম পরিবর্তন হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বয় কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার। এছাড়া নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণের সার্বিক আয়োজনের জন্য বিষয়ভিত্তিক ৬০০ শিক্ষকের সমন্বয়ে রিসোর্সপুল গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে এনসিটিবির। সূত্র বলছে, রিসোর্সপুলকে প্রথমে বোর্ডের আয়োজনে এনসিটিবির বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ৭ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিটির জন্য প্রতি বিষয়ে ৪ জন করে মোট ৪৪ জন শিক্ষককে চূড়ান্ত করা হবে। উল্লেখ্য, নতুন শিক্ষাক্রম গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৯

১৮ বছর শিকলে বন্দি হাফেজ আব্দুল খালেকের মানবেতর জীবনযাপন
নিজ ঘরে প্রায় ১৮ বছর ধরে শিকলে বন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন ৩৫ বছরের যুবক হাফেজ আব্দুল খালেক। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর জানাজার নামাজ পড়াবেন, এমন স্বপ্ন নিয়ে মেধাবী ছেলেকে মাদরাসায় দেন বাবা-মা। তবে ছেলে কোরআনের হাফেজ হলেও বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন আর নেই। হাফেজ হওয়ার মাসখানিকের মধ্যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন আব্দুল খালেক। এরপর থেকে গত প্রায় ১৮ বছর ধরে তাকে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে। ছেলে অসুস্থ হওয়ার পর সম্পত্তি ও গরু বিক্রি করেও তার চিকিৎসা করা হয়েছে। এতেও হাফেজ আব্দুল খালেক সুস্থ না হওয়ায় তার বাবা আব্দুল কুদ্দুস দুঃখে-কষ্টে কয়েক বছর আগে মারা যান। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুসের ছেলে হাফেজ আব্দুল খালেক। তারা ৫ ভাই ৩ বোন। ৫ ভাইয়ের মধ্যে ৩য় আব্দুল খালেক সবার আদরের ছিলেন। পড়ালেখায় যেমন ভালো ছিলেন, তেমনি এলাকায়ও ভদ্র ছেলে হিসেবে যথেষ্ট সুনাম ছিল। উপজেলার জয়শ্রেরী রাহমানিয়া আরাবিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করে আব্দুল খালেক কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। পড়াশোনায় তিনি খুব মনোযোগী ছিলেন। কিন্তু হাফেজ হওয়ার মাস খানেকের মধ্যে আস্তে আস্তে খালেক মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকেন। পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ী তার চিকিৎসা করানো হয়। অসহায় এই পরিবারটি তাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করেও খালেককে সুস্থ করতে পারেনি। পায়নি কোনো সাহায্য সহযোগিতা। এগিয়ে আসেনি কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা। সুস্থ না হওয়ায় বসতঘরের একটি কক্ষে এভাবে হাফেজ আব্দুল খালেককে ১৮ বছর শিকলবন্দি মানবেতার জীবন যাপন করতে হচ্ছে।   গত ৩ বছর পূর্বে উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর মাত্র ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন। এ পর্যন্ত আর কোনো সহযোগিতা পায়নি এ পরিবারটি। অর্থের অভাবে আব্দুল খালেকের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছে না, এজন্য বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছে তার বৃদ্ধা মা শামসুন্নাহার। কেঁদে কেঁদে হাফেজ আব্দুল খালেকের মা শামসুন্নাহার বলেন, মেধাবী হওয়াতে আব্দুল খালেককে হাফেজি মাদরাসায় পড়িয়েছেন। ছেলে হাফেজ হয়ে ইসলাম প্রচারের সঙ্গে নিজের বাবা-মায়ের শেষ যাত্রায় জানাজার নামাজে ইমামতি করবেন। কিন্তু ওই সন্তান হাফেজ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তার নিজের জীবনই এখন বিপর্যস্ত। তাকে শিকলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ছেলের এই করুণ পরিণতি দেখে গত ১৩ বছর পূর্বে তার বাবা মারা গেছেন। হাফেজ আব্দুল খালেকের ভাই মো. মোস্তফা, আবু বকর সিদ্দিক ও বেলায়েত হোসেন বলেন, সে বিভিন্ন সময় ঘরের আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে। অনেক সময় এদিক-সেদিক চলে যায়। পরিবারের পক্ষে সারাক্ষণ দেখে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। এজন্য তাকে ঘরে এভাবে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। পারিবারিক অর্থিক অনটনের কারণে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছে না। স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করে আব্দুল খালেক কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। খুব মনোযোগী ছিলেন। ১৮ বছর আগে মানসিক ভারসাম্য হারানোর পর জমিজমা বিক্রি করে আমাদের পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ী তার চিকিৎসা করানো হয়। ভাইয়ের চিকিৎসায় বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন তারা। জয়শ্রেরী রাহমানিয়া আরাবিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মহসিন মিয়া বলেন, আবদুল খালেক খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরাসহ তার পরিবরের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছি চিকিৎসার জন্য, কিন্তু সে সুস্থ হয়নি। বর্তমানে সে শিকল বাঁধা অবস্থায় আছে, বিষয়টি অনেক দুঃখজনক। সরকার অথবা কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি যদি তার চিকিৎসার দায়িত্ব বহন করে। আমরা বিশ্বাস করি সে সুস্থ হয়ে উঠবে। প্রতিবেশী মো. ইয়াছিনসহ আরও কয়েকজন বলেন, একজন কোরআনে হাফেজের এমন মানবেতর জীবন খুবই দুঃখজনক। সমাজের বৃত্তবানরা যদি অসহায় এ পরিবারটি পাশে দাঁড়িয়ে হাফেজ আব্দুল খালেকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। তাহলে আমরা আশা করি হাফেজ আব্দুল খালেক সুস্থ হয়ে উঠবে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সহিদ এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারসহ সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।   গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান পাটওয়ারী বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখন যেহেতু আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমি খোঁজখবর নিয়ে তার পাশে দাঁড়ানো ও চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করব। ফরিদগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, হাফেজ আব্দুল খালেকের বিষয়ে জানতে পেরে আমরা নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছি এবং একটি প্রতিবন্ধী ভাতার বই করে দিয়েছি। হাফেজ আব্দুল খালেকের সু-চিকিৎসা হলে আবার সে সুস্থ জীবনে ফিরে আসবে মনে করছেন তার পরিবার। তাই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসবেন এমনটাই প্রত্যাশা গ্রামবাসীর।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৬

পরোয়ানা জারির ৬ বছর পর উপজেলা চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার
পরোয়ানা জারির ৬ বছর পর আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মর্তুজা হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার পশ্চিমভাগ গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ। পুলিশ জানায়, আজ ভোর রাতে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ ও আজমিরীগঞ্জ পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে শহরের ইনাতাবাদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তাকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  এ বিষয়ে মামলার বাদী অলিউর রহমান জানান, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পশ্চিমভাগ বাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তখন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানের নির্দেশে লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় তার ফুফাতো ভাই এগিয়ে এলে তাকে মারধর করে আহত করে। এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। এর প্রেক্ষিতে আদালত ২০১৮ সালে করা মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। তবে এতদিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টভুক্ত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। তবে সেই পরোয়ানায় উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানকে ছয় বছর পর গ্রেপ্তার করা হলো। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা মর্তুজা হাসানকে দুপুরে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৪

প্রায় ১৯ বছর পর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পা রাখলেন ক্রিকেটাররা
এক সময়ের দেশের ক্রিকেটের তীর্থস্থান বলা হতো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এ স্টেডিয়াম নানা ইতিহাসের সাক্ষী। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আসরের বিভিন্ন রেকর্ডে ঠাই হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়। টেস্টে বাংলাদেশের পথচলা, প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ও প্রথম পাঁচ উইকেট শিকারের ইতিহাসও রচনা হয়েছিল এ মাঠেই।  গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন স্মৃতি বিজড়িত এই স্টেডিয়ামের শেষ ক্রিকেট ম্যাচটি ছিল ২০০৫ সালের ৩১ জানুয়ারি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে লড়েছিল টাইগাররা। এরপর ক্রিকেটের ঠিকানা বদলে যায় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামটি এই প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে বড্ড অচেনা। দীর্ঘ ১৯ বছর পর আবারও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরল ক্রিকেটের কার্যক্রম। উপলক্ষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস যাচাই। যার জন্য মাঠটির অ্যাথলেটিক ট্র্যাকটিকে বেছে নিয়েছে বিসিবি। দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে যা নতুন। বিসিবির ট্রেইনার ইফতেখার ইসলাম ইফতির ভাষ্য, ‘এটা তাদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। তার জন্য আমার কাছে মনে হয় তাদের ভিন্নতা কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে।’ গরমের তীব্রতা এড়াতে একেবারে ভোরে শুরু হয় এ সেশন। সকাল ৬ টা থেকে দেড় ঘণ্টা প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ১৬০০ মিটার দৌড়াতে হয়। রানিং টেস্টে দেন তিন ফরম্যাটে থাকা ৩৫ জন ক্রিকেটার। ইফতি আরও জানালেন, ‘অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক বেছে নেওয়ার কারণ আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করি তাহলে বেশ কিছু টেস্টিং মেথড আছে, আমরা আজ ১৬শ মিটার টাইম-ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে যদি নেই তাহলে প্রপার টাইমিংটা হয়। কারণ, ওইভাবেই হিসাব করা হয়। এটা ওদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।’ রানিংয়ে প্রথম ভাগে সেরা হন তানজিম হাসান সাকিব। দ্বিতীয় ভাগে সেরা ছিলেন নাহিদ রানা। এই আয়োজনে অনুপস্থিত ছিলেন সাকিব আল হাসান, তাসকিন, মোস্তাফিজ ও সৌম্য।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৬

এ বছর খাদ্যশস্য উৎপাদন খুবই ভালো : নাছিম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, এ বছর খাদ্যশস্য উৎপাদন খুবই ভালো। এ কারণে খাদ্য সংকটে সরকারের প্রতি বাড়তি চাপ থাকবে না আগামী বছর। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এদিকে এ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনাই হয়েছে কৃষকদের হাতে। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতি বাঁচবে। এটাকে গুরুত্ব দেওয়ার ফলে বৈশ্বিক সংকটেও কঠিন পরিস্থিতি সহজে মোকাবিলা করতে পেরেছে বাংলাদেশ। কাদের বলেন, যারা এ দেশকে নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের সমালোচনা করেন, যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ, তারাই গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। এ দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না।  কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটুর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৪

১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২২ বছর পর গ্রেপ্তার
ফেনীতে অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মনিরুল আলম মিনার (৪৩) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৭। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর পর পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাকে ফেনী শহরের মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মনিরুল আলম মিনার ফেনী শহরের পূর্ব উকিলপাড়া এলাকার দিদারুল আলমের ছেলে। র‍্যাব এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত ১০টার দিকে মাস্টারপাড়ায় অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিনারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ফেনী মডেল থানায় দায়েরকৃত একটি অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০০২ সাল থেকে পলাতক ছিলেন। ফেনী র‍্যাব-৭-এর অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, ১৭ বছরের সাজা ও ১০ হাজার টাকার দণ্ড এড়াতে মিনার দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে নিজের নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে পালিয়ে ছিলেন। গতকাল রাতে শহরের মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আজ বুধবার ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, র‍্যাবের কাছে গ্রেপ্তার মনিরুল অস্ত্র মামলায় আজ দুপুরে মিনারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৯

কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরী চলে যাওয়ার তিন বছর
ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরীর চলে যাওয়ার তিন বছর পূর্ণ হলো বুধবার (১৭ এপ্রিল)। ২০২১ সালের আজকের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ‘মিষ্টি মেয়ে’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে একাধারে কবরী ছিলেন অভিনেত্রী, সংগঠক, নির্মাতা, প্রযোজক ও রাজনীতিক। ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্ম নেন কবরী। তার আগের নাম ছিল মিনা পাল। অভিনেত্রীর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি বাজারে। তার বাবা কৃষ্ণদাস পাল ও মা লাবণ্য প্রভা পাল।  ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন কবরী। কাজ করেন টেলিভিশনে। এরপর দ্রুত সময়ে যুক্ত হন চলচ্চিত্রে। ১৯৬৪ সালে মাত্র নির্মাতা সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে মিনা পাল থেকে কবরী হয়ে ওঠেন তিনি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঢাকাই চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে হিসেবে পরিচিতি পান এই নায়িকা।    ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক হয় কবরীর। এরপর ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘পরিচয়’, ‘দেবদাস’, 'অধিকার', ‘বেঈমান', ‘সারেং বউ’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘দীপ নেভে নাই’, ‘সুজন সখি’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’সহ তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই কিংবদন্তি।      ৫০ বছরের বেশি সময়ে চলচ্চিত্রে রাজ্জাক, ফারুক, সোহেল রানা, উজ্জ্বল, জাফর ইকবাল ও বুলবুল আহমেদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। ঢাকার চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন রাজ্জাক-কবরী।  ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কবরী। যুক্ত ছিলেন অসংখ্য নারী অধিকার ও সমাজসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে। ২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’ প্রকাশ পায়।  মৃত্যুর আগে সরকারি অনুদান পাওয়া ছবি ‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমায় কাজ করছিলেন কবরী। সিনেমায় তিনি নিজেও অভিনয় করেন। এখানেও কবরী তুলে ধরার চেষ্টা করেন নতুন মুখ নিশাত সালওয়াকে। এর শুটিং ছিল প্রায় শেষ পথে। পাশাপাশি চলছিল ডাবিং ও সম্পাদনার কাজ। তবে ছবিটি পুরোপুরি শেষ করে যেতে পারেননি কবীর। বছর দুয়েক আগে তার ছেলে শাকের চিশতী সিনেমাটির শুটিং পুরো সম্পন্ন করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন।  ব্যক্তিগত জীবনে প্রথমে চিত্ত চৌধুরীকে বিয়ে করেন  কবরী। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে তিনি সফিউদ্দীন সরোয়ারকে বিয়ে করেন। ২০০৮ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পাঁচ সন্তানের মা ছিলেন   কবরী।  অভিনয় ক্যারিয়ারে সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি স্বরূপ ছয়বার বাচসাস পুরস্কার, একবার বিসিআরএ অ্যাওয়ার্ডস এবং দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন কবরী। ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।   
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৯

নিখোঁজের ২০ বছর পর মা-বাবার কাছে ফিরলেন সন্তান 
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নে দীর্ঘ ২০ বছর পরে নিখোঁজ হওয়া সন্তানের দেখা পেয়েছেন এক পরিবার। এদিকে নিখোঁজ থাকা সন্তানকে কাছে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা মা-বাবা। বলছিলাম উপজেলার রায়হানপুর-কাকচিড়া পুরান ভাড়ানী খাল সংযোগ ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ী সংলগ্ন পূর্ব লেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা জেলে সেলিম মিয়ার বড় পুত্র নিখোঁজ হওয়া শ্যাম্ভুর কথা।  নিখোঁজের ২০ বছর পরে ১৫ এপ্রিল (সোমবার) দুপুরে কাকচিড়া বাজারে এসে বাবার নাম ধরে জিজ্ঞেস করতে করতে পৌঁছে যায় তার পরিবারের কাছে, ছেলেকে পেয়ে আবেগময় হৃদয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন শ্যাম্ভুর মা-বাবাসহ পুরো পরিবার। পরিবারে মা-বাবা, ভাই সোহেল ও সেলিনা নামের বোন রয়েছে। শ্যাম্ভুর বর্তমান বয়স প্রায় ৩৬ বছর, তার কথা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কোনো সাংসারিক জীবনে আবদ্ধ হয়নি। বাড়ি ফেরা নিয়ে শ্যাম্ভুর কাছে জানতে চাইলে বলেন, বাড়ি থেকে না বলেই চট্টগ্রাম যাই, সেখান থেকে গিয়ে সিলেটে থাকা শুরু করি, এতদিন থাকার পরে বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছিল, তাই ঠিকানা পুরোপুরি মনে না থাকা স্বত্বেও অনুমান করে করে বাড়িতে পৌঁছাই। এদিকে নিখোঁজ সন্তানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তার মা-বাবা বলেন, ২০০৫ সালের শেষের দিকে না বলে আমাদের সন্তান বাড়ি ছাড়ে, তখন বয়স ছিল ১৬ বছর, সেই থেকে বিভিন্ন জায়গায় আমরা খোঁজ করেছি কিন্তু কোথাও কোনো সন্ধান মেলেনি, হয়তো আল্লাহ আমাদের ওপরে দয়া করে আমাদের কাছে সন্তান ফিরিয়ে দিয়েছেন। সন্তান কাছে পেয়ে আমাদের পুরো পরিবার খুবই আনন্দিত।   তারা আরও বলেন, সিলেট যে জায়গায় এতদিন বসবাস করতো সেই মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে সেখানে শ্যাম্ভুর তিনটি অটোরিকশা আছে, সবকিছু মিলিয়ে আমরা ছেলেকে নিয়ে সিলেটে যাব মালিকের সঙ্গে দেখা করে আমাদের সন্তান আমাদের কাছে নিয়ে আসবো।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়