• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফ্রি প্রশিক্ষণে ফ্রিল্যান্সার তৈরি করবে সরকার, দিনে ভাতা ৫০০
দেশে আগামী তিন বছরে প্রায় ২৯ হাজার তরুণ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করবে সরকার। এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় ভাতা হিসেবে দিনে ৫০০ টাকা ও প্রশিক্ষণে কোনো ফি দিতে হবে না।  সরকারের নতুন এই প্রকল্পে সব মিলিয়ে খরচ হবে ৩০০ কোটি টাকা। এটির নাম ‘দেশের ৪৮টি জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্প’। প্রকল্পের মেয়াদ চলতি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় একনেক সভায় সব মিলিয়ে ১০টি প্রকল্প উঠতে পারে অনুমোদনের জন্য। যেভাবে প্রশিক্ষণ পাওয়া যাবে- এই প্রশিক্ষণ দিতে প্রতিটি জেলায় ২৫টি কম্পিউটার ও হাইস্পিড ইন্টারনেট-সংবলিত দুটি ল্যাব স্থাপন করা হবে। প্রতিটি ল্যাবে ২৫ জন করে প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। প্রতি জেলায় একেক ব্যাচে ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। এ জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী নারী-পুরুষেরা আবেদন করতে পারবেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর প্রশিক্ষণার্থী চূড়ান্ত করা হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিন মাসের এই প্রশিক্ষণকালে প্রত্যেকে দৈনিক ২০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। আর খাবারের জন্য দৈনিক ৩০০ টাকা হারে দেওয়া হবে। এভাবে সারা দেশে সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ৮০০ জন ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা হবে, যাদের অর্ধেকই হবেন নারী।  ভর্তি কীভাবে- প্রতি ব্যাচে ভর্তির জন্য অনলাইনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আগ্রহী প্রশিক্ষণার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বাছাই পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে নির্বাচন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী বাছাইয়ের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একটি প্রশ্ন ব্যাংক থাকবে। প্রতিটি ব্যাচের জন্য প্রশ্ন নবায়ন করা হবে। এই নবায়নের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালককে সভাপতি ও প্রকল্প পরিচালককে সদস্যসচিব করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে। জেলা পর্যায়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালককে সভাপতি এবং সহকারী পরিচালককে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের কমিটি প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।  প্রশিক্ষণে কী কী থাকবে- পরিকল্পনা কমিশনের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রশিক্ষণার্থীদের দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে হাতে কলমে ৮টি বিষয় শেখানো হবে। তিনি বলেন, “ফ্রিল্যান্সিং সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ইউরোপ, আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোর বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অনলাইনে তাদের কাজ করতে করা। এজন্য প্রথমেই ইংরেজিতে যোগাযোগ করার মতো দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাই এই প্রশিক্ষণে ফ্রিল্যান্সিংয়ের উপযুক্ত একটি বেসিক ইংরেজি শেখানোর কোর্স থাকবে। “এ ছাড়াও কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন, কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হয়, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণার্থীদের সফট স্কিল ট্রেইনিং দেওয়া হবে।”
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৭

৩ বছরে ২৯ হাজার ফ্রিল্যান্সার বানাবে সরকার
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যে বেকার যুবসমাজকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দিয়ে ৩ বছরে ২৮ হাজার ৮০০ যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য সরকার ২৯৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ২৮ হাজার ৮০০ জন যুবকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে জনপ্রতি খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ১৬৩ টাকা। কমিশন সুত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে। এজন্য প্রকল্পটি সভার কার্যতালিকার এক নম্বরে রাখা হয়েছে। শিক্ষিত ও কর্মপ্রত্যাশী যুবকদের কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ইংলিশ ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থান, স্বনির্ভরতা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ তৈরি করা হবে। এর আওতায় ২৮ হাজার ৮০০ জন তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে যুবকদের জন্য ফ্রিলান্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ মেয়াদে দেশের ৪৮ জেলায় বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের মূল কাজ হচ্ছে ২৮ হাজার ৮০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া। পাশাপাশি প্রশিক্ষক হায়ারিং, কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করা। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকদের স্বনির্ভরতা অর্জন হবে। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়বে। প্রকল্প প্রসঙ্গে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) এম এ আখের গণমাধ্যমকে বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ ব্যয় পাস হওয়ার পরে সেটি একনেকে উপস্থাপনের জন্য উঠছে। তারা বাজারদর যাচাই বাছাই করেছে। অনেক কিছু চিন্তাভাবনা করেই মাথাপিছু প্রশিক্ষণ ১ লাখ ৬ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। সেটার হিসেবেও প্রশিক্ষণ ব্যয় কম। প্রশিক্ষণে ব্যয় বেশি ধরা হয়েছে বলে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের অভিযোগ ছিল। তবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বলছে, অন্যদের তুলনায় আমাদের প্রশিক্ষণ খরচ কম।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৬

বেকার থেকে তরুণ ফ্রিল্যান্সার মুশফিক 
তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে ১৯ বছর বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল হওয়ার চেষ্টায় তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মুশফিক আর. রায়হান। প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়। এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী মুশফিক আর. রায়হান। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত। বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন মুশফিক আর. রায়হান। তিনি বলেন, দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। তিনি বলেন, এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।  
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়