• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৯ নেতাকে শোকজ
আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে দেড়শ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নয় নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পাঠিয়েছে দলটি। এনিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।   বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রূহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রার্থী হওয়া নেতাদের এই শোকজপত্র পাঠানো হয়।   সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বিএনপি নেতা মোতাহার হোসেন তালুকদার।     শোকজপ্রাপ্ত নেতারা হলেন- হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, ঢাকা আইনজীবী ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত তারেক, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উত্তর জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি মনোয়ারা বেগম ময়না, সহকুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সুমী বেগম এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা এবিএম কাজল সরকার, ধোবাউড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শামছুর রশীদ মজনু, উপজেলা বিএনপির সদস্য ফরিদ আল রাজী কমল, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খান এবং ফুলপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান হোসেন পল্লব।   নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী জানান, বছরের পর বছর ধরে দলের সাংগঠনিক কাঠামো না থাকায় ভেঙে পড়েছে দলীয় শৃঙ্খলা। এ কারণে অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এতে দল এবং তৃণমূল চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।             প্রার্থীতার বিষয়ে জানতে চাইলে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, আমার দল বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে না। কিন্তু আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের মাঠে আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকব। এর আগেও আমি বিগত পৌর নির্বাচনে দলের পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছিলাম।   এ প্রসঙ্গে ধোবাউড়া উপজেলার প্রার্থী শামছুর রশীদ মজনু বলেন, কেউ বলছে বিএনপি নির্বাচনে যাবে, কেউ বলছে যাবে না আবার কেউ বলছে এটা দলের কৌশল। কিন্তু আমি দলের ধার ধারি না। দল করে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, জেল খেটেছি, মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। কিন্তু বর্তমানে দলের মধ্যে আমার মতো অনেকের কোনো মূল্যায়ন নেই, এখন দল বিক্রি করে খাচ্ছে অনেকেই। তাই আমি নির্বাচন করছি, এ কারণে দল থেকে বহিষ্কার হলেও আমার কোনো আক্ষেপ নেই কারণ দলের বহিষ্কার আদেশটিকেও আমি একটি ‘পদ বা পদবি’ মনে করি। আমি দুবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে টানা ১৪ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। এখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। জনগণ আমার পাশে আছে, আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমি শতভাগ বিজয়ী হব।   তবে বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তকে কৌশল হিসাবে দেখছেন ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বিএনপি নেতা মো. এমরান হোসেন পল্লব। তিনি বলেন, নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত সঠিক কিন্তু আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। কারণ আমরা প্রার্থী না হলে উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো আওয়ামী লীগের হাতে চলে যাবে। আশা করি দল আমাকে বহিষ্কার করবে না, আর যদি করে তখন দেখা যাবে।  
৯ ঘণ্টা আগে

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যার পদে প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুর রহমান তুষার ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোশাররফ হোসেন মুছাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।  সোমবার (২২ এপ্রিল) উপজেলার লেছড়াগঞ্জ বাজার থেকে পাটগ্রাম পর্যন্ত এ মিছিল করেন তারা। এ সময় তারা তুষার ও মুছাকে আওয়ামী লীগের দালাল, বেইমান, সুদখোর, ভূমিদস্যু ও বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যায়িত করে দল থেকে বহিষ্কার দাবি করে। মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হরিরামপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সামসুল আলম মিশুক, হরিরামপুর থানা যুবদল এর যুগ্ম সম্পাদক মৃধা মো. শাহীন, উপজেলা যুদবলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়ের ওমর, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি লিংকন, উপজেলা যুবদলের সদস্য মো ইকবাল হোসেনসহ অনেকে।  মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী তুষার ও মুছার বিগত দিনের নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরেন।  উপস্থিত একজন বিএনপি কর্মী প্রতিবেদককে বলেন, 'বিএনপি দলগতভাবে গত জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি এ উপজেলা নির্বাচনো বয়কট করেছে। তুষার ও মুছা সে নির্দেশনা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভোটে দাঁড়িয়েছে। আমরা তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের এজেন্ট তুষারের বহিষ্কা চাই।' এ সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি উপজেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দলের দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।  উল্লেখ্য, জাহিদুর রহমান তুষার বর্তমানে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং ছাত্রদলের সাবেক একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে নির্বাচন করায় নিজ দলের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন তুষার। হরিরামপুর উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ৮ মে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০১

ময়মনসিংহে ৩ উপজেলায় বিএনপির ৮ প্রার্থী  
আগামী ৮ মে সারাদেশে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে দেড় শ’ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার তিনটি (হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর) উপজেলা পরিষদ রয়েছে। চলমান এই তিনটি উপজেলার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৮ জন নেতা প্রার্থী হয়েছেন। এ নিয়ে দলটির ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।   স্থানীয় বিএনপি সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের অধীনে চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়ে বিএনপি দলীয়ভাবে কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেও ময়মনসিংহের তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী হয়েছে হালুয়াঘাট উপজেলায়। এতে অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পাঁচজন নেতা মনোনয়ন দাখিল করে প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচনের মাঠে সরব রয়েছেন। তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ ও ঢাকা আইনজীবী ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত তারেক, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উত্তর জেলা মহিলাদলের সহসভাপতি মনোয়ারা বেগম ময়না, সহকুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক সুমী বেগম এবং সাবেক ছাত্রদলনেতা এ বি এম কাজল সরকার। একই সঙ্গে ধোবাউড়া উপজেলায় মনোনয়ন দাখিল করেছেন দুজন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শামছুর রশীদ মজনু এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খান প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়াও ফুলপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান হোসেন পল্লব।   তবে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে দলের সাংগঠনিক কাঠামো না থাকায় ভেঙে পড়েছে দলীয় শৃঙ্খলা। এতে দল এবং তৃণমূল চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রার্থিতার বিষয়ে জানতে চাইলে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, আমার দল বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে না কিন্তু আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের মাঠে আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকব। এতে দলের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এর আগেও আমি বিগত পৌর নির্বাচনে দলের পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছিলাম। এ প্রসঙ্গে ধোবাউড়া উপজেলার প্রার্থী শামছুর রশীদ মজনু বলেন, কেউ বলছে বিএনপি নির্বাচনে যাবে, কেউ বলছে যাবে না আবার কেউ বলছে এটা দলের কৌশল। কিন্তু আমি দলের ধারধারি না। দল করে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, জেল খেটেছি, মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। কিন্তু বর্তমানে দলের মধ্যে আমার মতো অনেকের কোনো মূল্যায়ন নেই। এখন দল বিক্রি করে খাচ্ছে অনেকেই। তাই আমি নির্বাচন করছি, এ কারণে দল থেকে বহিষ্কার হলেও আমার কোনো আক্ষেপ নেই। কারণ দলের বহিষ্কার আদেশটিকেও আমি একটি ‘পদ বা পদবী’ মনে করি। আমি দু’বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে টানা ১৪ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। এখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। জনগণ আমার পাশে আছে। আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমি শতভাগ বিজয়ী হবো।           তবে বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তকে কৌশল হিসাবে দেখছেন ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বিএনপি নেতা এমরান হোসেন পল্লব। তিনি বলেন, নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত সঠিক কিন্তু আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। কারণ, আমরা প্রার্থী না হলে উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো আওয়ামী লীগের হাতে চলে যাবে। আশা করি, দল আমাকে বহিষ্কার করবে না। আর যদি করে তখন দেখা যাবে।  এই বিষয়ে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন তালুকদার বলেন, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ডাক দেওয়ায় ইতোমধ্যে বিএনপির অনেক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। তারপরও এখনও অনেকে নির্বাচনে আছেন। আগামী ২২ এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। এরপরও তারা যদি নির্বাচন থেকে সরে না আসে তাহলে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।   জানা যায়, ময়মনসিংহের তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৩৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করছেন। এর মধ্যে দুজনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় বর্তমানে ৩৫ জন প্রার্থী বহাল আছেন। এর মধ্যে ধোবাউড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৫ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে ৩ জন। হালুয়াঘাটে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৫ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে ৪ জন এবং ফুলপুরে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৩ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম। প্রসঙ্গত, তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে গত ১৭ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তির সময় ছিল ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। সেই সঙ্গে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ ২২ এপ্রিল।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২১

উপজেলা নির্বাচন / নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন যেসব মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজন ও ছেলেমেয়েরা প্রার্থী হতে পারবেন না-এই নির্দেশনা খোদ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। দলের হাইকমান্ড থেকে এমন নির্দেশনা দিলেও তার তোয়াক্কা করছেন না নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনরা। এমপি-মন্ত্রীর স্বজন হয়েও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তে এখনো অটল। এসব নিয়ে গা-ছাড়া ভাব অনেক এমপি-মন্ত্রীরও।  অনেকেই বলছেন, অতীতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে অনীহা দেখা যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ বর্তমান এমপি-মন্ত্রী ও সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জনের স্বজন এখনো নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন। বরিশালের আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আওয়ামী লীগের অন্তত ১০ জন নেতা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ছয় মাস ধরে তারা গণসংযোগ করেছেন। কিন্তু গত ৩০ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ষীয়ান নেতা ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ আগৈলঝাড়ায় নিজের ছেলে সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ এবং গৌরনদীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. হারিছুর রহমানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। ফলে অন্য প্রার্থীরা চুপ হয়ে গেছেন। এই দুই উপজেলাতে কোনো ভোটের আমেজ নেই। আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী আসনের (বরিশাল-১) এমপি। এ দুই উপজেলায় ভোট হবে তৃতীয় ধাপে। এছাড়া প্রথম ধাপের নির্বাচনে নোয়াখালীতে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন তিন এমপির আত্মীয়রা। নোয়াখালী-২ আসনের এমপি মোর্শেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম বিপুকে প্রার্থী করা হয়েছে তার নির্বাচনি এলাকা সেনবাগ উপজেলায়। নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে সাবাব চৌধুরী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সুবর্ণচর উপজেলায়। এছাড়া নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের এমপি ও হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী ও স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌস প্রথম ধাপে ৮ মের নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন এবং তাদের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।  এদিকে নরসিংদী-২ আসনের এমপি আনোয়ার আশরাফ খানের শ্যালক মো. শরিফুল হক নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় এবং প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেল সিংড়া উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। মাগুরা-২ আসনের এমপি বীরেন শিকদারের ছোট ভাই বিমল শিকদার, বগুড়া-১ আসনের এমপি সাহাদারা মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ও ছোট ভাই মিনহাদুজ্জামান ওরফে লিটন ভিন্ন ভিন্ন উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া  সুনামগঞ্জ-৩ আসনের এমপি সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানের ছেলে শাহাদাত মান্নান সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায়, সুনামগঞ্জের সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার বেগমের ছেলে ফজলে রাব্বি, মানিকগঞ্জ-৩ আসনের এমপি সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুপাতো ভাই ইসরাফিল হোসেন সদর উপজেলায়, কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব-উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী, পিরোজপুর-১ আসনের এমপি শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই নূর-ই আলম নাজিরপুর উপজেলায়, শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো ভাই বিল্লাল হোসেন নিপু সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।  পাবনা-৩ আসনের এমপি মো. মকবুল হোসেনের বড় ছেলে রাসেল ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে।  এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনের দুই চাচাসহ তিনজন স্বজন প্রার্থী হয়েছেন। মৌলভীবাজার-১ আসনের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের ভাগ্নে শোয়েব আহমদ বড়লেখা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন।  বরিশাল-৬ আসনের এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিকের ভাই বাকেরগঞ্জ উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক তাঁর নির্বাচনি এলাকা টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেন খালাতো ভাই হারুনুর রশিদ হিরাকে। আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাদারীপুর-১ আসনের এমপি শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খানকে সদর উপজেলায় প্রার্থী করা হয়েছে। দলের সভানেত্রীর নির্দেশনা যেসব মন্ত্রী-এমপি মানছেন না, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা প্রার্থী হতে চান, তাদেরও নির্বাচনি প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছেন তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।’
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৩

প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোটে যাচাই-বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে ১ হাজর ৭৮৬ জন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল)  মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর তিনি এ তথ্য জানান।  অশোক কুমার দেবনাথ জানান, মোট ১ হাজার ৮৯০ জন প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৮৬ জন। প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপের নির্বাচনের জন্য কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।  
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৬

উপজেলা নির্বাচন / ঋণ খেলাপি প্রার্থী শনাক্তে তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী  প্রার্থীদের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রার্থীদের মধ্য থেকে ঋণ খেলাপিদের শনাক্ত করতেই সব রিটার্নিং কর্মকতার কাছে এ তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর অতিরিক্ত পরিচালক মো. আনিচুর রহমান। এর আগে, ঋণ খেলাপিদের তথ্য দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। চিঠির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের ঋণ খেলাপ সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের লক্ষ্যে সব প্রার্থীর পূর্ণনাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, স্বামীর নাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) বাংলা ও ইংরেজিতে, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, করদাতা শনাক্তকরণ সংখ্যা (টিআইএন), জন্ম তারিখ, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সম্বলিত তথ্য সংযুক্ত ছক অনুযায়ী যথাযথভাবে পূরণ করে রিটার্নিং অফিসার অথবা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নামসহ সিল, স্বাক্ষর ও ফোন (মোবাইল) নম্বর যুক্ত করে ই-মেইল এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে প্রেরণ করতে হবে। প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এই ধাপের নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়ন দাখিলের সময় শেষ হয়েছে আজ বিকেল ৪টায়। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ১৫০টি উপজেলায় মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তপসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই আগামী ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত, যা নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিলে। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৩ এপ্রিল। প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৫

প্রার্থী যতই প্রভাবশালী হোক কোনো ছাড় নয় : ইসি রাশেদা
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে প্রভাবশালী প্রার্থী, তা আমরা দেখব না। প্রার্থী যতই প্রভাবশালী হোক আইন মেনে চলতে হবে। আইনবহির্ভূত কাজ করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বিভাগের সব জেলা ও উপজেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইসি রাশেদা বলেন, এর আগেও আমরা অনেক নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল করেছি। নির্বাচনের দিনেও প্রার্থিতা বাতিল করেছি। রাষ্ট্র আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা কঠোরভাবে পালন করব। তিনি বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাঠপর্যায়ে যেসব কর্মকর্তা দায়িত্বরত থাকবেন তাদেরকে বলব, আপনারা কোনো বেআইনি কাজে জড়িত হলে বরদাশত করা হবে না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনোভাবে কোনো অনিয়ম আমরা মেনে নেব না। নির্বাচনে জামায়াত অংশ নেবে কি না, জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে ইসি রাশেদা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলগতভাবে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচন করা যাবে। এর ফলে কে জামায়াত বা কোন দল সেটা আমরা দেখব না, আমরা দেখব প্রার্থীকে। সব প্রার্থীকেই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। এ সময় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুর বিভাগের কোনো উপজেলাতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থাকবে না বলে জানান ইসি রাশেদা সুলতানা। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান। এ ছাড়াও রংপুর বিভাগের ৮ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভাগের সব নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারসহ সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৬

উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে সই লাগবে না ভোটারের, বাড়ল জামানত
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী মে মাসে হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধিমালায় কিছু সংশোধন এনেছে। একই সঙ্গে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনসূচক সইসহ তালিকা জমা দেওয়ার বিধানও বাদ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানা গেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এসব সংশোধনী প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেছে সংস্থাটি। আগামী উপজেলা নির্বাচনে এসব বিধান কার্যকর হবে। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর বাইরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধিমালায় আরও কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।  সংশোধিত বিধি অনুযায়ী, প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এতদিন তা ছিল প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ। এ ছাড়া এবার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীরা জনসংযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে পারবেন। প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন। বিধিতে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পস্ট করা হয়েছে। আগামী মে মাসে ৪ ধাপে ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে ইসি। প্রথম ধাপে আগামী ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপে ২৫ মে ভোট হবে।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৯

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় বসছেন সাড়ে ১৮ লাখ প্রার্থী
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ (শুক্রবার)। দুই শিফটে দেশের ৮টি বিভাগের ২৪ জেলা শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থী। এনটিআরসির তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষা, বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, সিটি করপোরেশন ও উপজেলা নির্বাচনসহ নানা কারণে এবার একদিনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৪ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে আবেদন করেছেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি প্রার্থী। পরীক্ষার সময় ও নম্বর : শুক্রবার প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার এক ঘণ্টায় মোট ১০০টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য বরাদ্ধ ১ নম্বর। ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০। লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত স্ব স্ব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এ নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৭

স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন নাসরিন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যেনো আলোচনা ও উন্মাদনা শেষ নেই। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে শিল্পীদের মাঝে উত্তেজনা। ইতোমধ্যেই নতুন-পুরোনো অনেক তারকারই নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে নির্বাচনের নতুন তারিখ। আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচনে লড়বেন অভিনেত্রী নাসরিন। বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় এফডিসিতে অবস্থিত শিল্পী সমিতির অফিসে আলাপকালে এ কথা জানান নাসরিন নিজেই। তিনি বলেন, আমি স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করছি এবং কার্যকরী পরিষদে আমি থাকতে চাই। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আমি অনেক আশাবাদী। এর আগেও আমি নির্বাচন করেছি এবং সেখানে জয়লাভ করেছি। কথা প্রসঙ্গে নাসরিন বলেন, গত নির্বাচনেও আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমাকে করতে দেওয়া হয়নি। একটি প্যানেল আমাকে নির্বাচন করতে বাধা দেয়। আমি তাদের নাম বলতে চাই না। এবার আর পিছু হাঁটতে চাই না। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে লড়ব। প্রসঙ্গত, শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তে আগামী ১৯ এপ্রিল (শুক্রবার) নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং ছাড়াই নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করে শিল্পী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার। নতুন এই তারিখ ঘোষণায় বিস্মিত গত দুই মেয়াদের সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগর। নতুন তারিখের ফলে আর্থিক ক্ষতিসহ বহু সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বরাবর চিঠি দিয়েছেন এই অভিনেতা।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়