• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘বুয়েটকে জঙ্গি কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলেই অ্যাকশন’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) জঙ্গি রাজনীতির কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে সরকার অ্যাকশনে যাবে। রোববার (৩১ মার্চ) আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বুয়েটে আবরার হত্যায় কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে নেতাকর্মীদের দণ্ড হয়েছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। বুয়েটের ঘটনাও তদন্ত চলছে। কিন্তু ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নামে ক্যাম্পাসকে জঙ্গি রাজনীতির কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে সেক্ষেত্রে সরকার ব্যবস্থা নেবে। স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের পাঠক ঘোষক হতে পারে না জানিয়ে তিনি বলেন, ৫৩ বছর পরও বিতর্ক চলছে কে স্বাধীনতা এনেছে! নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন বঙ্গবন্ধু। ৭০ এর নির্বাচনের ম্যান্ডেট পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই হিসেবেও তারই তো ঘোষণা করার কথা। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইয়ুব খান যেমন কথা বলতো তেমনি বিএনপি ভারতের বিরুদ্ধে বলছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ থাকবে না। এমপি মন্ত্রীদের বিবেকের কাছে ছেড়ে দিলাম। আওয়ামী লীগ কর্মীরা চায়ের দোকানে বসে দলের নেতাদের গীবত করে। সব খবরই পাওয়া যায়।  নির্বাচনে যে কেউ অংশ নিতে পারবে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কাউকে ক্ষমতার অপব্যবহার না করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৯

মোস্তাফিজের উপর আনা গাঙ্গুলীর অভিযোগকে ভুল প্রমাণ করলেন ধোনি
গত বছর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বিশেষ বিমানে করে মোস্তাফিজকে আইপিএল খেলতে নিয়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ধারণা করা হয়েছিল, দিল্লির জার্সিতে নিয়মিত সুযোগ পাবেন এই টাইগার পেসার। কিন্তু বাস্তবতা ছিল তার উল্টোটা। ফিজকে একাদশে সুযোগ না দেওয়ার কারণ হিসেবে ফিল্ডিং ডিরেকশনের ঘাটতিকে দায়ী করেছিলেন দিল্লির মেন্টর সৌরভ গাঙ্গুলী। সৌরভ বলেছিলেন, মোস্তাফিজের ফিল্ডিং ডিরেকশনে ঘাটতি আছে। কারণ, প্রায় সময়ই দেখা যায় ওর বলে খোঁচা মেরে চার হচ্ছে, ক্যাচ মিস হচ্ছে, এক রানের জায়গায় দুই রান হচ্ছে। কিন্তু ঠিক জায়গায় ফিল্ডিং সাজানো থাকলে এমনটা হতো না। এই দিক দিয়ে তাকে উন্নতি করতেই হবে। তবে চলতি আইপিএলে চেন্নাইয়ের ম্যাচে দেখা গেল বিপরীত চিত্র। উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো একজন থাকার কারণেই কি না রীতিমত বদলে গেলেন দ্য ফিজ। চেন্নাইয়ের ইনিংসে ফিজ আর ধোনির এমন রসায়ন মনে ধরেছে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মাঝেও।  ধোনি আর মোস্তাফিজের এমন রসায়ন নিয়ে  কথা বলেছেন সাবেক কিউই পেসার মিচেল ম্যাকলেনাঘান। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে চেন্নাইয়ের দাপুটে জয়ের পর তিনি বলেন, ধোনিকে দেখে অনেক নির্ভার মনে হয়েছে। মোস্তাফিজ যখন বোলিং এলো, ধোনিকে নানা কিছু জিজ্ঞেস করছিল। চেন্নাই ও ভারতের ক্রিকেটকে এভাবেই দিনের পর দিন ধোনি সার্ভিস দিয়ে আসছে। গত দুই ম্যাচেই ধোনি একাধিকবার বোলিং এর সময় কথা বলেছেন মুস্তাফিজের সঙ্গে। বিষয়টি মনে ধরেছে রোহান গাভাস্কারের। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি বলেন, এক হলো নিজের অভিজ্ঞতা, আরেকটা দলের অভিজ্ঞতা। সে ধোনির সাথে পরামর্শ করছে। ভাই, আমার মনে হয় এই পিচে এভাবে করলে ভালো। সাথে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে।  মোস্তাফিজের সাফল্য নিয়ে তিনি আরও বলেন, ভ্যারিয়েশনেই মোস্তাফিজ বাজিমাত করছে। কোন ভ্যারিয়েশন, কীভাবে করছে এসবের উপর নির্ভর করে। প্রথম ম্যাচ বা এই ম্যাচে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স হলো অভিজ্ঞতার খেলা। 
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫০

সীমান্তে হতাহতের ঘটনা প্রমাণ করে সার্বভৌমত্ব চরম সংকটে : ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সীমান্তে দুই জনের হতাহতের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে। বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নামে এক বাংলাদেশিকে হত্যা এবং লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে গুলি করার পর লিটন মিয়া নামে (১৯) এক বাংলাদেশি যুবককে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে। তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ ধরনের প্রাণ বিনাশি রক্তাক্ত ঘটনা হৃদয় বিদারক ও আত্মমর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা ও আর একজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও ডামি সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা এখনও নিশ্চুপ। প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া দূরে থাক টু শব্দটিও পর্যন্ত তারা করেনি বরং মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এ সমস্ত রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ডামি সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য এরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করে না। শুধু সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার ধরে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন। তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সব কিছু উজাড় করে দিলেও দেশের মানুষ এক বিন্দু ছাড় দেবে না। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। একমাত্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৯

‘আমি চুরি করি নাই, প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবো’
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, মন্ত্রী থাকা অবস্থায় এক টাকাও দুর্নীতি করিনি, সুশীল ও সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধিসহ সরকারের উচ্চ মহলের লোক দিয়ে কমিটি করা হোক। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি ওই কমিটি যদি আমার ১ টাকার দুর্নীতি পায়, তাহলে আমি সংসদ থেকে পদত্যাগ করবো। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, হলফনামায় বিদেশে থাকা সম্পদের কোনো কলাম নাই। তাই বিদেশে থাকা সম্পদের বিবরণ দেয়া হয় নাই। বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা আমি বিদেশে নিই নাই। বিদেশে আমার বাবার ব্যবসা ছিল, প্রায় ৫০ বছরের, এটা আমাদের পারিবারিক ব্যবসা। তিনি বলেন, মন্ত্রী হিসেবে তিনি বাড়ি, গাড়ি কিছুই ব্যবহার করেননি। এমনকি ভাতাও নিজে খরচ না করে দান করেছেন। তিনি দেশকে দিতে এসেছেন, নিতে আসেননি। তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে বিদেশে ব্যবসা করি আর রাজনীতিতে এসেছি ২০১৩ সালে সেই ধারাবাহিকতায় সেখানে সম্পদ বেড়েছে। টিআইবি বা লন্ডনের যেকোনো সংস্থা তদন্ত করতে চাইলে সহায়তা করবো। প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এর আগে আরও অনেক গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর আগে, গত ২৬ ডিসেম্বর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এক মন্ত্রীর বিদেশে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। তবে তিনি নির্বাচনী হলফনামায় এ তথ্য দেননি। ওই সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি ওই মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেনি। এর পরেই দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪২

প্রমাণ মুছতে সিসি ক্যামেরা নষ্ট করে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৯
রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মজিদ বেয়ারা এলাকার একটি আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ির নিচতলার জানালার গ্রিল কেটে পাঁচ থেকে ছয়জন ডাকাত ডুকে পড়ে ভেতরে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় বাড়ির মালিক, তার স্ত্রী এবং দুই শিশু সন্তানকে। ডাকাতি করে নেওয়া হয় নগদ টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী। প্রমাণ মুছতে আগেই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, গত ৯ অক্টোবর রাত ৩টা ৪৮ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয় ডাকাতরা। প্রথমেই তারা ওই বাসায় থাকা প্রতিটি কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বাসার লোকজনকে একে একে অস্ত্রের মুখে করে জিম্মি। নারীদের আটকে রাখা হয় আলাদা কক্ষে। রাত সাড়ে ৪টার মধ্যেই ডাকাত দলটি লুট করে নেয় বাড়িতে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৯ সদস্যকে গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)  গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রটি ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল জানিয়ে পুলিশ বলেছে, ডুপ্লেক্স বাড়ি টার্গেট করে ডাকাতির আগে তারা বেশ কয়েক দিন রেকি করেছে।  ঢাকার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ডাকাতরা কেউ ফেরিওয়ালা সেজে, কেউ বাড়িগুলো সুন্দর বলে পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেন। এই ফাঁকেই তারা খুঁজে নিতেন, কীভাবে কোন পথে বাসায় প্রবেশের সুযোগ আছে।   তিনি বলেন, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে অনেকেই বাগানবাড়ি টাইপের অট্টালিকা তৈরি করছেন। মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে তারা অবস্থান করেন। আবার অনেকেই স্থায়ীভাবে সেখানে অবস্থান করেন। কিন্তু আমরা দেখেছি যে অনেকেই অনেক টাকা খরচ করে বাড়িগুলো বানিয়েছেন। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তার বিষয়টি যেমন সিটি ক্যামেরা বা পাহারাদার রাখার মতো অনেক বিষয়ে তাদের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে।  তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা আছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২২

‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ প্রমাণ করে সরকার সাংবাদিকবান্ধব : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন ও পরিচালনা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন সরকার সাংবাদিকবান্ধব।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে  বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ২৯তম সভায় এ কথা বলেন তিনি।  সভায় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সরকারিভাবে সাংবাদিকদের জন্য অনেক কিছু করার বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা আছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কল্যাণে ২৫ কোটি টাকা দিয়েছেন। তিনি আরও ১০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। তারপরও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু কিছু জায়গা থেকে কখনও কখনও অপপ্রচার করা হয়, প্রশ্ন তোলা হয় যে, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সাংবাদিকতার জায়গা সংকুচিত করছে না প্রসারিত করছে। অথচ সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের এত বড় উদ্যোগ প্রমাণ করে তিনি সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বাধীন সরকার যে সাংবাদিকবান্ধব সরকার কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে এটি প্রমাণ হয়। এ বিষয়গুলো আরও সামনে নিয়ে আসা দরকার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক কণ্যাণ ট্রাস্টের কাজে পেশাদারত্ব ও স্বচ্ছতা আছে। সাংবাদিকদের কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সাংবাদিক বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও পেশাদারত্বে সঙ্গে যেন হয় সে বিষয়টি  লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। বাছাইয়ের প্রতিটি স্তরে যেন সাংবাদিকদের প্রতিনিধি থাকে সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড থেকে আমরা পক্ষপাতহীন ও পেশাদার সিদ্ধান্ত দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্দেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন তার বাস্তবায়ন আমরা চাই। সত্যিকার অর্থে যেন সাংবাদিকদের কল্যাণ কাজেই ট্রাস্টের অর্থ ব্যয় হয় সেটিই আমাদের চাওয়া। সভায় সাংবাদিকদের কল্যাণ অনুদান বরাদ্দের বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং কমিটিকে এক মাসের মধ্যে খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের সময় দেওয়া হয়। এ ছাড়া দুস্থ, অসচ্ছল, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ও মৃত সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের জরুরি শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. হুমাযুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব সুভাষ চন্দ্র (বাদল), তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মো. শাহেনুর মিয়া, অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মো. কাউসার আহাম্মদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ওমর ফারুক, দৈনিক সংবাদ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য কাশেম হুমায়ুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য সোহেল হায়দার চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০০

বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি কী নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে? 
সংসদীয় গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে শক্তিশালী বিরোধী দল। সংসদকে কার্যকর করতে, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে এবং সরকারের যেকোনো অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিশেষ করে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে যেসব অনিয়ম ও দুর্নীতি হয় সেগুলোর বিরুদ্ধে সংসদের ভিতরে বাইরে জোরালো ভূমিকা রাখতে হয় বিরোধী দলকেই। সাধারণ মানুষের নানা বিষয়ে সংসদের বিরোধী দলকে শক্তিশালী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। বিশেষ করে বিরোধ দলকে ছায়া সরকারের কাজটা করতে হয়।  কিন্তু বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে শক্তিশালী বিরোধী দলে খুব একটা দেখেনি দেশবাসী। সব সময় সকল সংসদের বিরোধী দলই নিজেদেরকে নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে বেশিরভাগ সময়। জনবান্ধব বিষয়ে সংসদের বিরোধী দলের ভূমিকা খুব একটা দেখা যায়নি নিকট অতীতে দুই একটি ব্যতিক্রম ছাড়া। বিশেষ করে গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংসদের বিরোধী দলের ভূমিকায় আছে জাতীয় পার্টি। সামরিক শাসক প্রয়াত জেনারেল এ এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে জন্ম নেওয়া জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী দলে থেকেও তারা সরকারের কোনো গঠনমূলক সমালোচনা করেনি বা করতেও দেখা যায়নি। সংসদে তাদের আসন সংখ্যা যথেষ্ট থাকার পরও দলটি কখনোই সরকারের কঠোর সমালোচনা তো দূরের কথা নূন্যতম সমালোচনা পর্যন্ত করেনি। এই অবস্থায় দ্বাদশ সংসদে মাত্র ১১ জন সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় পার্টি কতোটা শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারবে তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা যথেষ্ট সন্দিহান।  এর কারণও আছে, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টি সরকারের সঙ্গে প্রায় একিভূত হয়ে যাওয়ায় দলটি তাদের রাজনৈতিক স্বকীয়তা প্রায় হারিয়ে ফেলেছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টি ও তাদের নেতৃত্বের উপর আস্থা রাখতে পারেননি।  দেশের গভীর সংসকটময় মুহুর্তেও জাতীয় পার্টি নিজেদের হাত-পা গুটিয়ে বসেছিল। এবার জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে সেই খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে চায় দলটি। কিন্তু সেটা কী আদৌও সম্ভব? না-কি আগের মতই একই বৃত্তের মধ্যে ঘুরপাক খাবে স্বৈরশাসক এরশাদের গড়া দলটি।  জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জিএম কাদের শনিবার (৩ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তার কিছু কিছু আংশিক সত্য। নেতাকর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘সবার স্মরণ রাখা উচিত, আমাদের দলের ব্যাপারে মানুষের পারসেপশন খুব একটা ভালো নয়।’ প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকবেন দাবি করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, সংসদে সংখ্যা কোনো ব্যাপার না। ছয়জন কাঁপিয়ে দিয়েছিল গত সংসদ। দু-তিনজন থাকলেই কাঁপিয়ে দেওয়া যায়। তার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এটা পরিস্কার যে, জাপা নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছে তাদের দলের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তো এটি আরও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনসহ জাতীয় পার্টির মোট আসন সংখ্যা ছিলো ২৬টি। দ্বাদশ সংসদে এসে এই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তারা জিতেছে ১১টি আসনে। আর এখন আরও দুটি নারী আসন যুক্ত হলে হবে ১৩টি।  জাতীয় পার্টির এই বিপর্যয়ে প্রধান কারণ হচ্ছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল হয়েও তারা বিগত দিনে রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারেনি। বরং সরকারের সব কাজে হ্যাঁ সূচক মাথা নেড়েছে।  জাতীয় পার্টির জিএম কাদের অংশের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু শনিবার আরেক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বিরোধী দল কাকে বলে এবার সংসদে তারা সেটি দেখিয়ে দেবেন। সত্যিকার বিরোধী দল হিসেবেই জাতীয় পার্টি ভূমিকা রাখবে।  যদিও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের গত ৩০ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, বিরোধী দল হিসেবে তারা খুবই দুর্বল। সরকারি দলের অনুপাতে বিরোধী দলের সদস্য সংখ্যা খুবই কম। যা সংসদে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবে না। তিনি স্পিকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, তাদেরকে যেন কথা বলতে দেওয়া হয়। মাইক যেন বন্ধ করে দেওয়া না হয়।  এটা সত্য যে, সংসদে বিরোধী দল হিসেবে সংখ্যানুপাতে জাতীয় পার্টি একেবারেই দুর্বল। কিন্তু যদি দলটির সংসদীয় নেতা এবং অন্য সদস্যরা সদিচ্ছা রাখেন যে, তারা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। সরকারের ভুলগুলো ধরিয়ে দিবেন, সাধারণ মানুষের কথা বলবেন, দুর্নীতি, অনিয়ম, ব্যাংক লুটের বিরুদ্ধে কথা বলবেন তাহলে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়, এসব ক্ষেত্রে তাদের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের ভাবমূর্তী দিনে দিনে বাড়বে বৈ কমবে না।  সংসদে বিরোধী দলে কয়জন সদস্য আছেন সেটা বড় বিষয় নয়, যারা বা যে কয়জন আছেন, তারা কথা বলতে পারলেন কি-না সেটাই হচ্ছে বিষয়। আর সরকারি দলের সদস্যরা যদি বিরোধী দলকে কথা বলতে বাধা দেন বা স্পিকার মাইক বন্ধ করে দেন তাহলে সেটাও সাধারণ মানুষ দেখবে। তখন মানুষ বিচার করতে পারবে। কিন্তু জাতীয় পার্টির সদস্যরা যদি কথা না বলে, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা না করে শুধু এই করবো, সেই করবো বলে গর্জে যান, তাহলে সেটা শুধু দেশের জন্য তাদের দলের জন্যও কাল হয়ে দাঁড়াবে। ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টি থাকবে কি না- সেটি নির্ভর করবে দ্বাদশ সংসদে দলটির কার্যক্রম ও ভূমিকার উপর। একাদশ সংসদে বিএনপির মাত্র সাত জন্য সদস্য ছিলেন। তারা কিন্তু সংসদকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে হারুন-উর রশীদ ও রুমিন ফারহানা তো সংসদে ঝড় তুলেছিলেন। বিএনপি যদি মাত্র সাত সদস্য নিয়ে সংসদে উত্তাপ ছড়াতে পারে, তাহলে জাতীয় পার্টি কেন ১৩ জন সদস্য নিয়ে কথা বলতে পারবে না? তাছাড়া বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের একজন ভালো বক্তা হিসেবে পরিচিত। দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি দেশবাসীর মনোযোগ কেড়েছে। তার সঙ্গে রয়েছেন বিরোধী দলীয় উপনেতা ও প্রবীণ রাজনীতিক আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আছেন প্রধান হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তারা প্রত্যেকেই ভালো বক্তা। তারা চাইলে সংসদকে প্রাণবন্ত করতে পারেন। দ্বাদশ সংসদকে একটি কার্যকর সংসদে পরিণত করতে পারেন। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি দেশের মানুষের কাছে পৌঁছার পাশাপাশি নিজেদেরকেও সংসদীয় গণতন্ত্রে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। যার মধ্য দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নিয়ে দেশি-বিদেশি যারা নানান প্রশ্ন তুলেছেন বা তোলার চেষ্টা করেছেন তাদের একটা মোক্ষম জবাবও দেওয়া যাবে।  পুরো দেশবাসী কিন্তু এখন জাতীয় পার্টির দিকেই তাকিয়ে। দ্বাদশ সংসদে তাদের ভূমিকা কি হয়, তারা কী প্রকৃত বিরোধী দল হিসেবে নিজেদেরকে প্রমাণ করতে পারবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।    লেখক: সাংবাদিক ও লেখক
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৬

প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব : মোরশেদ আলম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নোয়াখালী-২ আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম বলেছেন, স্বচ্ছ ও নিরেপক্ষ নির্বাচন হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।  বুধবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে শপথ নিতে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।  সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটের সামনে ভিড় করে আছেন নেতাকর্মীরা। মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।  সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে হবে। শপথ গ্রহণের পরই কার্যভার গ্রহণ করেছেন বলে গণ্য হবেন। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি রোববার সারা দেশে একযোগে ২৯৯ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৮ আসনের ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠা লাভ করেছে। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১১ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেছেন।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৮

‘মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে প্রমাণ দিয়েছেন তারা উন্নয়ন ও শান্তির পক্ষে’
‘অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে, আর বিএনপির শত বাধা সত্ত্বেও বিপুল পরিমাণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়েছেন, এর মাধ্যমেই জনগণ প্রমাণ দিয়েছেন তারা উন্নয়ন ও শান্তির পক্ষে। তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জিতে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।  সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া শহরে নিজ বাসভবনে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রেস বিফ্রিংকালে হানিফ এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  কুষ্টিয়া-২ এ ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হাসানুল হক ইনু হারার কারণে জোটে কোনো প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, জনতার রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাদের রায় মেনে নেওয়া উচিত। এখানে ভোটাররা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, অসন্তুষ্ট হওয়াটা যৌক্তিক হবে না। আর এতে জোটে কোনো প্রভাব পড়বে না। জোট আছে, থাকবে। এই ঐক্য অটুট থাকবে।  হানিফ বলেন, বিএনপি এখন সন্ত্রাসী দল। তারা সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদ কর্মকাণ্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। নতুন সরকারের প্রথম কাজ হবে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ কর্মকাণ্ডকে কঠোরভাবে দমন করা।  নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে অনেক বিভ্রান্ত ছড়িয়ে ছিল বিএনপি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেটা বলেন, সেটাই করেন। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকার সর্বাত্তক সহযোগিতা করেছে।  হানিফ বলেন এই নির্বাচনের পর এদেশে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো নীতিবাচক কথা বলার সুযোগ থাকবে না।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৪

অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রমাণ মিলেছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ তাদের রিপোর্ট পেশ করে। সেখানে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়।  সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।  সভা শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। গত ১ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠন করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এই বিষয়টিকে হাইকোর্ট নির্দেশিত যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে এবং তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। এই তিন মাস অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আরেক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। গত ১১ নভেম্বর এক নারী শিক্ষার্থীকে রুমে ডেকে নিয়ে তাকে যৌন নিপীড়রের অভিযোগ উঠে অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি উল্লেখ করে ২৮ নভেম্বর উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী।  পরবর্তীতে গত ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ড. সীমা জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি সদস্যরা ছিলেন গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়