• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হেপাটাইটিসে প্রতিদিন সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে : ডব্লিউএইচও     
বিশ্বজুড়ে হেপাটাইটিস ভাইরাসে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সতর্ক করে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংক্রামক ঘাতকের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই সপ্তাহে পর্তুগালে বিশ্ব হেপাটাইটিস সম্মেলন উপলক্ষে রেখে প্রকাশিত ডব্লিউএইচও রিপোর্ট অনুসারে ১৮৭টি দেশের নতুন তথ্যে দেখা গেছে, ভাইরাল হেপাটাইটিসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২০২২ সালে ১৩ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৯ সালে ছিল ১১ লাখ। ডব্লিউএইচওএর গ্লোবাল এইচআইভি, হেপাটাইটিস এবং যৌন-সংক্রমিত সংক্রমণ কর্মসূচির প্রধান মেগ ডোহার্টি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এগুলো হল ‘আশঙ্কাজনক প্রবণতা।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেপাটাইটিস সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন ৩,৫০০ জন মারা যাচ্ছে। এদের মধ্যে হেপাটাইটিস বি থেকে ৮৩ শতাংশ, হেপাটাইটিস-সি থেকে ১৭ শতাংশ। কার্যকর এবং সস্তা জেনেরিক ওষুধ রয়েছে যা এই ভাইরাসগুলো প্রতিরোধ করতে পারে। তবুও দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস-বি আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র তিন শতাংশ ২০২২ সালের শেষ নাগাদ অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা পেয়েছে। হেপ সি-এর জন্য, মাত্র ২০ শতাংশ - বা ১২.৫ মিলিয়ন লোককে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  ডোহার্টি বলেন, ‘এই ফলাফলগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী হেপ বি এবং সি এর সাথে বসবাসকারী সমস্ত লোকের ৮০ শতাংশের চিকিৎসা করার জন্য বিশ্বব্যাপী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে।’ হেপাটাইটিস সংক্রমণের সামগ্রিক হার কিছুটা কমেছে। তবে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস জোর দিয়েছিলেন যে, প্রতিবেদনটি ‘একটি উদ্বেগজনক চিত্র এঁকেছে’। তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হেপাটাইটিস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি সত্ত্বেও, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে কারণ হেপাটাইটিসে খুব কম লোকেরই নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হচ্ছে।’  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার নতুন হেপ বি সংক্রমণের ৬৩ শতাংশের জন্য দায়ী, তবুও মহাদেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের কম শিশুর জন্মের সময় টিকা দেওয়া হয়। জাতিসংঘের সংস্থাটিও দুঃখ প্রকাশ করেছে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে জেনেরিক হেপাটাইটিস ওষুধের পর্যাপ্ত অ্যাক্সেস নেই এবং তাদের আরও বেশি অর্থ প্রদান করা উচিত।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেপাটাইটিসের দুই তৃতীয়াংশই বাংলাদেশ, চীন, ইথিওপিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, রাশিয়া এবং ভিয়েতনামে। ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০২৫ সালের মধ্যে এই ১০টি দেশে প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সার্বজনীন সুবিধা এবং আফ্রিকান অঞ্চলে জোর প্রচেষ্টার পাশাপাশি এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা অপরিহার্য।’ 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১

ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন সদরঘাট ছাড়ছে ১২০ লঞ্চ
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় সদরঘাটের চিত্র বদলে গেছে। ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন প্রায় ১২০টি লঞ্চ এখান থেকে চলাচল করছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।    প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সদরঘাটে এখন যাত্রীচাপ নেই বললেই চলে। এক কথায় শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। যাত্রীচাপ কমায় এ এলাকার যানজটও কমে গেছে। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন লঞ্চভর্তি মানুষ ছিল। মানুষ ছাদে উঠে যেত। সেই চিত্র এখন অতীত। তাই এখন আর তেমন দুর্ঘটনাও ঘটছে না। চলতি মাসে আবহাওয়া মাঝেমধ্যেই পরিবর্তন হচ্ছে। তাই লঞ্চ মালিকদের আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে মিরপুর এলাকার মানুষের ভোগান্তি দূর করতে একটা সময় সদরঘাট পর্যন্ত মেট্রোরেল কানেক্ট করা হবে। 
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৯

গাজায় প্রতিদিন কয়টি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে পারবে, জানাল ইসরায়েল
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।  দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বরাত দিয়ে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, কারেম আবু সালেম (কারেম শালোম) ক্রসিং দিয়ে দক্ষিণ ইসরায়েলের মধ্য দিয়ে ২৫০টি এবং মিসরের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে আরও ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে। এ ছাড়া উত্তর গাজায় বেইট হানুন (ইরেজ) ক্রসিং খোলার পাশাপাশি ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরের মাধ্যমে সাময়িক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৮

বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয় : জাতিসংঘ
বিশ্বজুড়ে ২০২২ সালে প্রতিদিন ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হয়েছে। বেশির ভাগ খাবার অপচয় হয়েছে বাসাবাড়িতে। বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে। জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন। বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষাবিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশনস এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, খাদ্যের এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, , ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি। প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন,‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এ ছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্য প্রকৃত আরও অনেক, অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি।  সূত্র : সিএনএন
২৮ মার্চ ২০২৪, ২০:০২

প্রতিদিন আমার খোঁজ নিতে হবে মামুনি : পূজা চেরি
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায়। রোববার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মিরপুরের নিজবাসায় মারা যান তিনি। মায়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন পূজা। হারানোর যন্ত্রণা বুকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে দিয়েছেন এক বেদনার্ত পোস্ট। মায়ের শেষ কীর্তি সম্পন্ন হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন পূজা। সেখানে পূজা চেরি লেখেন, শেষ, একটা আবদার তোমার কাছে, চলে গেছ বলে ভুলে যাবে তা কিন্তু হবে না প্রতিদিন আমার খোঁজ নিতে হবে। হয়তো মেসেন্জারে প্রতিদিন কল দিয়ে জিজ্ঞাস করবে না, ‘পূজা আসতে কি দেরি হবে? আমার পাশে এসে বসো তাতেই আমি বুঝে নেব।  আর আরেকটা কথা শোনো ওইখানে কিন্তু বেশি মিষ্টি খাবে না  সুগার বেড়ে যাবে। আচ্ছা তাহলে থাকো মামুনি।  দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন পূজার মা। কয়েক সপ্তাহ আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ফলে মিরপুরের একটি হাসপাতালে তাকে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিউতে রাখা হয়। এরপর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে বাসায় আনা হয় তাকে। তারপরও শেষরক্ষা হলো না।   
২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৪০

মোবাইলে প্রতিদিন ৪ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা লেনদেন
মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এই অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড লেনদেন। বুধবার (২০ মার্চ) মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে দেখা গেছে- বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এই অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড লেনদেন। এর আগে একক মাসে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল গত বছরের জুনে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেলেন পাশাপাশি দিনদিন বাড়ছে গ্রাহক সংখ্যা। বর্তমানে বিকাশ, রকেটের, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানা নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে। ২০২৪ সালের জুন মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৯১ লাখ ৭৩ হাজার জন। নিবন্ধিত এসব হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ৭১ লাখ ৮১ হাজার ও নারী ৯ কোটি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার। এ সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩২১টি। বর্তমানে গ্রাহক ঘরে বসেই ডিজিটাল কেওয়াইসি (গ্রাহকসম্পর্কিত তথ্য) ফরম পূরণ করে সহজেই এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে হিসাব খুলতে পারছেন। ফলে গ্রাহক ঝামেলামুক্তভাবে হিসাব খুলতে পারছেন।  প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) যাত্রা শুরু হয়। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সিংহভাগই বিকাশের দখলে। এরপর ‘নগদ’-এর অবস্থান। শুধু লেনদেন নয়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, বেতন-ভাতা প্রদান, রেমিট্যান্স তথা বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৯

ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজায় প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন ৬৩ জন নারী
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ফিলিস্তিনের গাজায় নারীদের ওপর চলমান ইসরায়েলি সেনাদের ভয়াবহ নির্মমতার চিত্র স্মরণ করিয়ে দিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক শরণার্থী সংস্থা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর এক পোস্টে সংস্থাটি জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সেনাদের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে প্রতিদিন ৬৩ জন নারী প্রাণ হারাচ্ছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রতিদিন ইসরায়েলি হামলার ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করছেন গাজার নারীরা। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৯ হাজার নারী প্রাণ হারিয়েছেন। তাছাড়া ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে আছে আরও অনেকে। এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮৩ জন নিহত এবং আরও ১৪২ জন আহত হয়েছেন। অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। সব মিলিয়ে টানা ৫ মাসের ইসরায়েলি হামলা ও অভিযানে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি।  এরই মধ্যে অধিকৃত গাজার পশ্চিম তীরে ইহুদিদের বসতি স্থাপনে ৩৪০০টিরও বেশি নতুন বাড়ি স্থাপনের চূড়ান্ত অনুমতি দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়ি তৈরি করা হবে জেরুজালেমের পূর্বে মা’লে আদুমিমে। বাকিগুলো বেথলেহেমের দক্ষিণে কেদার ও এফরাতে। নাম না প্রকাশের শর্তে ইসরায়েলের এক মন্ত্রী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই মন্ত্রী বলেছেন, দুই সপ্তাহ আগে মালে আদুমিমের কাছে হামাসের হামলার জবাবে এ নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। দলখদার রাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের চরম নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের এই বিষয়টির বিরোধিতা করে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ অংশও। কিন্তু সব আপত্তিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ফিলিস্তিনিদের হটিয়ে বসতি স্থাপন করেই চলেছে ইসরায়েল।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৬

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কতবার আলিঙ্গন করবেন, জানালেন গবেষকরা
খুব খুশিতে থাকলে অথবা দুঃখে থাকলে আমরা আমাদের প্রিয় ব্যক্তিদের আলিঙ্গন করতে পছন্দ করি। সেই প্রিয় মানুষটি যে কেউ হতে পারে। হতে পারে মা বা বাবা। হতে পারে ভাই বা প্রেমিক। বলা হয় আলিঙ্গন মনের কষ্ট কমায় এবং অনেক স্বস্তি দেয়। প্রিয় মানুষটির সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা হতেই জড়িয়ে ধরলে অদ্ভুত শান্তি পাওয়া যায়। যেন দূর হয়ে যায় যাবতীয় খারাপ লাগা। গবেষণা এই জড়িয়ে ধরার বেশ কিছু উপকারিতা খুঁজে পেয়েছে। আলিঙ্গন শুধুমাত্র অনুভূতি প্রকাশের মাধ‍্যম নয়। নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ধরলে মস্তিষ্ক থেকে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নানাভাবে সাহায্য করে। একটি গবেষণা অনুসারে, আলিঙ্গন শুধুমাত্র একাকীত্বের অনুভূতি দূর করতে পারে না, তবে  মানসিক চাপের কারণে শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাবও কমাতে পারে। কাউকে আলিঙ্গন করলে মানুষ আনন্দ অনুভব করে, যা সুস্থ থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 'আলিঙ্গন' করলে শরীর ও মন বিশ্রাম পায়। অনুভূতি-গুড হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে।  গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, আলিঙ্গন যে কারো মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম। আলিঙ্গন অবস্থায় অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যার ফলে মস্তিষ্ক শান্ত থাকে। ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় ধরে আলিঙ্গন করলে মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে খুব কাছের কোনো বন্ধু বা প্রিয়জন কেউ জড়িয়ে ধরলে মানসিক প্রশান্তি আসে। জেনে নিন আলিঙ্গন করলে কী ধরনের উপকার পাওয়া যায়- ১. আলিঙ্গন নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসের অনুভূতি তৈরি করে। 'আলিঙ্গন' করলে অক্সিটোসিনের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ২. একাকীত্ব, বিচ্ছিন্নতা এবং রাগের অনুভূতি হ্রাস পায়। ৩. আলিঙ্গন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। এটি শরীরে শ্বেত রক্ত ​​কণিকার উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ব্যক্তি সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১০

আমরা নির্বাচন করি ৫ বছরে একবার, শেখ হাসিনা প্রতিদিন : কাদের
সবাই পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিদিনই নির্বাচন করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।  আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা নির্বাচন করি পাঁচ বছর পর একবার। শেখ হাসিনা নির্বাচন করেন পাঁচ বছরে প্রতিদিন। কোথাও মিটিংয়ে গেলে শেখ হাসিনা ডায়েরিতে নোট নেন। সেখান থেকেই প্রার্থী ঠিক করে মনোনয়ন দেন। গত ১৫ বছরে রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা।    বঙ্গবন্ধু হত্যার পর গত ৪৮ বছরে শেখ হাসিনার মতো জনপ্রিয় নেতা আর একজনও সৃষ্টি হয়নি দাবি করে এরপর তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর গত ৪৮ বছরে তার মতো জনপ্রিয় নেতা আর একজনও সৃষ্টি হয়নি। মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে বারবার জীবনের জয়গান গেয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে সৃষ্টি করেছেন নতুন ইতিহাস।  সকাল পৌনে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে এই বিশেষ সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে সকাল ৮টা থেকে সারা দেশ থেকে আসা নেতারা গণভবনের সামনে জড়ো হন এবং সাড়ে আট থেকেই এক এক করে নেতারা গণভবনে প্রবেশ শুরু করেন। সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা-মহানগর ও উপজেলা-থানা-পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য এবং জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানরা উপস্থিত রয়েছেন।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৩

তামাকজনিত রোগে প্রতিদিন ৪৪২ জনের মৃত্যু
তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ও জীবন রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার পক্ষে একমত পোষণ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি জানান, প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন শুধুমাত্র তামাকজনিত রোগে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে মন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন ‘নারী মৈত্রীর’ একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় তিনি এ আশ্বাসের কথা বলেন। ‘নারী মৈত্রীর’ তামাক নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের কার্যক্রমে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তামাক অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন তামাকজনিত রোগের কারণে। এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে শুধু অবগত হলেই চলবে না, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের পদক্ষেপ যাতে বেগবান হয়, সেজন্য যার যার অবস্থান থেকে শক্ত অবস্থান নেয়া অতন্ত্য জরুরি। এই ধরনের চমৎকার উদ্যোগের জন্য ‘নারী মৈত্রীকে’ ধন্যবাদ জানান তিনি। মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সংগঠনের সদস্যরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের গুরুত্ব এবং বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।   দাবিগুলো হলো-  *সকল ধরনের পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও গণপরিবহণে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা *বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা *তামাক কোম্পানির ‘কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা’ বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা *বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা ও মোড়কবিহীন বিক্রি নিষিদ্ধ করা *ই-সিগারেট ও হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট (এইচটিপি) আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা *সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি (৫০% থেকে ৯০% এ উন্নিতকরণ) ও প্লেইন প্যাকেজিংসহ তামাকজাত দ্রব্য *মোড়কজাতকরণের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম প্রণয়ন করা।   নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি জানান, পাবলিক প্লেসে ধূমপানের কারণে অধূমপায়ীরা মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যগত ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এর ভুক্তভোগী। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস, গর্ভপাত এবং সন্তান জন্মদানে মা ও শিশুর উভয়ই মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে, রেস্তোরাঁসহ সকল পাবলিক পরিবহনে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা গেলে, সেখানে আগত অধূমপায়ীদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৮৫% পর্যন্ত হ্রাস পাবে। শ্বাসতন্ত্র ভালো থাকবে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পাবে। মৃত্যুর এই ভয়াল ছোবল থেকে বেরিয়ে আসতে নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের সচেতন হতে হবে এখনই।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়