• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফোনে ‘পার্টটাইম চাকরি’ দেওয়ার নামে ভয়াবহ প্রতারণা
‘হ্যালো স্যার, আমি স্ন্যাপটেক ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি থেকে বলছি। আমরা আপনাকে ঘরে বসেই পার্টটাইম চাকরির অফার করছি। যার মাধ্যমে আপনি দৈনিক পনেরশ থেকে দুই হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি কি কাজটি করতে আগ্রহী? যদি আগ্রহী হন তাহলে আমরা আপনাকে এ বিষয়ে বিস্তারিত হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাচ্ছি।’ আরটিভির একজন সাংবাদিককে ফোন করে অপরপ্রান্ত থেকে কেউ একজন নারীকণ্ঠে ইংরেজিতে কথাগুলো বলছিলেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার এমন ফোনকল পেয়েছিলেন ওই সাংবাদিক, তবে আগ্রহ দেখাননি। কিন্তু এবার বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য তিনি তার আগ্রহের কথা জানান। এরপরই বেরিয়ে আসে অনলাইনে ভয়াবহ প্রতারণার নতুন কৌশল। আরটিভির ওই সাংবাদিকের নাম সজিব খান। ফোনকলে তিনি কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করার পর ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে জানতে চাওয়া হয়, ‘আপনাকে যে নম্বরে ফোন করেছি, তাতে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খোলা আছে কি না।’ জবাবে ‘হ্যা’ সূচক শব্দ শোনার পর ‘ঠিক আছে আপনাকে বিস্তারিত পাঠাচ্ছি’ বলে ফোন কেটে দেন নারীকণ্ঠের ওই ব্যক্তি। এই পর্যন্ত ইংরেজিতেই কথাবার্তায় চলছিল। এবার হোয়াটসঅ্যাপ খুললে দেখা যায়, অপরিচিত আরেকটি নম্বর থেকে বাংলায় ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে, ‘আমি স্ন্যাপটেক ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি থেকে আফরোজা সুলতানা বলছি। আমাদের দলের একজন সদস্য আপনার আগ্রহের কথা আমাকে জানিয়েছে। আমরা মূলত ইউটিউবের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির প্রচার বা প্রসার বাড়াতে সাহায্য করে থাকি। আপনার কাজ হলো। ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা। এর মাধ্যমে আপনি দৈনিক ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন।’  এরপর ওই সাংবাদিকের নাম, বয়স, পেশা, বিকাশ নম্বর এবং মোবাইল নম্বর জানতে চাওয়া হয়। তিনি চালাকি করে মোবাইল নম্বর ঠিক রেখে বাকিসব ভুয়া তথ্য দেন (ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার জন্য)। এরপর প্রথম ধাপে তাকে তিনটি ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে স্ক্রিনশট পাঠাতে বললে তিনি তা করেন। পরে সঙ্গে সঙ্গে বিকাশে তিন শ টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপের লিংক দিয়ে সেখানে যুক্ত হতে বললে তিনি তা করেন। এরপর ওই টেলিগ্রাম চ্যানেলে গিয়ে দেখা যায় সেখানে আরও কয়েকশ সদস্য রয়েছেন। গ্রুপে বিভিন্ন টাস্ক দেওয়া হচ্ছে। টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হওয়ার পর প্রথম টাস্ক হিসেবে দুটি ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে বলা হয়। এরপর সেগুলো সাবস্ক্রাইব করে স্ক্রিনশট পাঠানোর পর আরও দুই শ টাকা ওই সাংবাদিকের বিকাশে আসে। প্রথমে ৩০০ টাকা এবং পরের ধাপে ২০০ টাকা। এভাবে মোট ৫০০ টাকা পাঠানোর পরই বেরিয়ে আসে চক্রটির আসল রূপ। পরবর্তী টাস্ক হিসেবে এবার তারা তাদের কোম্পানিতে বিনিয়োগের অফার করেন। যেই অংক প্যাকেজভেদে ১৬০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। আর বিনিয়োগ করলেই ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে সেই টাকা নির্দিষ্ট হারে সুদসহ ফেরত পাওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। যেমন: ১৬০০ টাকা বিনিয়োগ করলে পাওয়া যাবে ২৪০০ টাকা। আর ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮০০ টাকা বিনিয়োগ করলে দেওয়া হবে ৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৪০ টাকা। টেলিগ্রাম গ্রুপটিতে বিনিয়োগের এই টাস্ক দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দেখা যায়, গ্রুপে থাকা বিভিন্ন আইডি থেকে একের পর এক বিনিয়োগের টাকা জমা করার স্ক্রিনশট দেওয়া হচ্ছে। চক্রটির বিকাশ নম্বর ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঠানোর স্ক্রিনশট গ্রুপে দেখা যায়। তবে স্ক্রিনশটগুলো যাচাই-বাছাই করে আরটিভির ওই সাংবাদিকের কাছে ভুয়া মনে হয়েছে। তারপরও তিনি চক্রটির কার্যক্রম সম্পর্কে আরও জানার জন্য ১ লাখ টাকা বিনিয়োগের মিথ্যা অফার দেন। কিন্তু তারা প্রথম ধাপে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ না করে কম টাকা বিনিয়োগের অফার দেন।  এ বিষয়ে আরটিভির সাংবাদিক সজিব খান বলেন, তাদের যখন আমি ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবো বলে জানাই। তখন তারা আমাকে প্রথমে কম অর্থ বিনিয়োগ করতে বলে। কিন্তু আমি তাদের জানাই আমি এক লাখ টাকাই বিনিয়োগ করবো। কিন্তু তারা আমাকে জানায় নতুন সদস্যরা ১৬০০ টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে না। পরে আমি তাদের বলি আমার টাকা আমি বিনিয়োগ করব তাতে আপনাদের সমস্যা কী? এ নিয়ে কথা চালাচালির এক পর্যায়ে তারা আমাকে ব্লক করে দেয়। তিনি বলেন, প্রথম থেকেই আমার ধারণা ছিল, তারা প্রতারণা করছে। চক্রটির কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং পরবর্তীতে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে আমি তাদের সঙ্গে নাটকীয়তার আশ্রয় নিয়েছি। ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করার মিথ্যা অফার দিয়ে চক্রটি কোন পর্যন্ত যেতে পারে এবং তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে কম টাকা বিনিয়োগ করে আমার বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করছিল। এটি তাদের একটি কৌশল। আর আমি তো তাদের কোনো টাকা দেব না। ফলে আমি এমনিতেই তথ্য বের করার জন্য কথা-চালাচালি করছিলাম। এরপর বিনিয়োগ না করায় একপর্যায়ে তারা আমাকে গ্রুপ থেকে ব্লক করে দেয়। এদিকে গত কয়েকমাস ধরে আরও অনেকেই এমন ফোন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। কখনও স্ন্যাপটেক ডিজিটাল মার্কেটিং, কখনও আর্চ ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানির পরিচয়ে এসব ফোনকল পাচ্ছেন তারা। প্রতিবারই ভিন্ন ভিন্ন নম্বর থেকে ফোন আসছে এবং ইংরেজিতে ঘরে বসে ‘পার্টটাইম চাকরি’র লোভনীয় অফার দেওয়া হচ্ছে। সাভারের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলামের কাছেও বেশ কয়েকবার এমন ফোন এসেছিল। তিনি বলেন, কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করার পর আমাকে বিনিয়োগ করতে বলা হয়। এর জন্য আমাকে দুইদিন সময় দিয়েছিল। কিন্তু আমি তাদেরকে টাকা পাঠাইনি। দুইদিন পরে আমাকে গ্রুপ থেকে বের করে দিয়েছে। জানা গেছে, চক্রগুলো সাধারণত প্রথমে অল্প পরিমাণ টাকা দিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে। এরপর তাদের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে অতিরিক্ত সুদসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। অনেক ক্ষেত্রে শুরুর দিকে বিনিয়োগ করলে অর্থ ফেরতও পাওয়া যায়। কিন্তু প্রতারকদের মূল উদ্দেশ্য হলো বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া। ইন্টারপোলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ধরনের প্রতারণাকে বলা হয় ‘পিগ বুচারিং ফ্রড’। এটি এক ধরনের ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্রড’ বা বিনিয়োগ প্রতারণা।  এদিকে পুলিশ বলছে, আকর্ষণীয় বেতনে ঘরে বসে পার্টটাইম বা ফুলটাইম চাকরির প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ১০-১২ লাখ টাকাও হারিয়েছেন এই ধরনের অভিযোগ তারা নিয়মিত পেয়ে থাকেন। বিদেশি একটি চক্র মূলত এ ধরনের অপকর্ম করছে। তাদের সঙ্গে কিছুও বাংলাদেশিও জড়িত। এ ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে ইতোমধ্যেই কয়েকজন চীনা ও বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সহকারী কমিশনার (এডিসি) জুনায়েদ আলম সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, এটা ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম যা মূলত বিদেশিদের দ্বারা পরিচালিত। তারা টাকা সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশিদেরও ব্যবহার করে। এসব প্রতারক চক্রকে ধরতে আমরা প্রায়ই অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু যাদেরকে ধরছি তারা মূলত সহযোগী। তিনি বলেন, এ ধরনের চক্রের কবলে পড়ে খোয়ানো টাকা উদ্ধার করা খুবই জটিল প্রক্রিয়া। কারণ ভিক্টিমদেরও অনেক সময় ভিক্টিমাইজ করা হয়। ধরেন আপনাকে তারা টার্গেট করল, বলল যে তাদের কাছে রেজিস্ট্রেশন করলে ৩০০ টাকা পাবেন। যে নম্বর থেকে টাকা আসে দেখা যায় সেটিও আরেকজন ভিক্টিমের। যিনি ওই টাকা ইনভেস্ট করেছেন। এটা খুবই জটিল চক্র। এখানে কয়েক স্তরে অর্থ লেনদেন হয়। এর ফলে অপরাধীকে ধরা না যায়।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৭

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা
দিনাজপুরের ধর্ষণ মামলার আসামি রাহমাতুর রাফসান অর্ণব রাজধানী ঢাকায় নতুন করে প্রতারণায় মেতে উঠেছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অর্ণবের প্রেমের ফাঁদে পড়ে উঠতি বয়সী অনেক তরুণী সর্বস্ব হারিয়েন। এসব ঘটনায় দিনাজপুর ও ঢাকায় তার নামে একাধিক মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, চাকরি দেওয়া ও বিদেশ লোক পাঠানোর নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অর্ণবের বিরুদ্ধে। মামলার নথি ও পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশের ডিআইজির ছেলের ভুয়া পরিচয় দিয়ে পুলিশের ভ্যান ব্যবহার ও ডিএমপির স্টিকার লাগিয়ে, হুডার ব্যবহার করে অর্ণব কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়ে এসে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়। সেই সাথে পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষকে হুমকিও দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন শিল্পপতি ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে সেসব ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এসব বিষয়ে জানার জন্য তার বাবা পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অভিযুক্ত অর্ণবের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তিনি আর কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে ফোন কেটে দেন। প্রসঙ্গত, এর আগে দিনাজপুর শহরে লিগেসি নামের একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের আড়ালে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় ও ধর্ষণ মামলায় জেল খেটেছেন অর্ণব।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২২:০৮

প্রতারণা করে গড়া অর্থ-সম্পদ সব ফ্রিজ হবে : সিআইডি প্রধান
যারা প্রতারণা করে গাড়ি-বাড়ি করছে এবং বিদেশে অর্থপাচার করছে তাদের নামে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা হবে। সেই সঙ্গে তাদের সব সম্পদ, টাকা, ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ ফ্রিজ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। টাকা পাচারের বিষয়ে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, যারা প্রতারণা করে মানুষের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে টাকা পাচার করছে আমরা তাদের কাউকে ছাড় দেবো না। এরই মধ্যে আমরা বেশ কিছু ঘটনায় এমন অর্থ ফ্রিজ করেছি। এখনও আরও কিছু কাজ চলছে। তিনি বলেন, আমরা দেখছি যারা প্রতারক তারা প্রতারণার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর সেই টাকা আর রাখেন না। এমনটাই হয়েছে লাগেজ ভর্তি ডলার পাঠানোর কথা বলে প্রায় ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাৎকারী মূলহোতার ক্ষেত্রে। চক্রটি মানুষকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো। ভার্চুয়াল টোপ থেকে সাবধান হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করে সিআইডি প্রধান বলেন, ইদানীং যে কোনো ব্যক্তিকে ফোন করে অথবা ফেসবুকে বিনা বিনিয়োগে অর্থ কামানো যায় বলে প্রলোভন দেখাচ্ছে। তারা আপনাকে ফোন করে বলবে ৩০০ টাকা বিনিয়োগ করলে ৬০০ টাকা পাবেন, বাসায় বসে বিনা পুঁজিতে লাভবান হবেন, নানা কথা বলে আকৃষ্ট করছে। তাদের ফাঁদে পা দিলেই তারা একটি লিংক পাঠায়। তাতে ক্লিক করলে তারা আপনাকে টোপ হিসেবে কিছু টাকা দিচ্ছে এরপর সেই লিংক বন্ধ করে দিচ্ছে। পরে জিম্মি করে টাকা আদায় করছে চক্রটি। চক্রটির সঙ্গে বিদেশি একটি চক্র জড়িত। আমরা তাদের নিয়ে কাজ করছি। লাগেজ ভর্তি ডলার পাঠানোর কথা বলে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাৎ সুমন আল রেজা (৪০)। বাংলাদেশেই থাকেন। তার সঙ্গে প্রতারক চক্রের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রতারক চক্রের একজন সদস্য নিজেকে ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের একজন ক্লাইন্টের ৬০ লাখ ডলার ডিপোজিট রয়েছে। সেই অর্থ ডলারে আনতে তাকে খরচ দিতে হবে। যার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা। রেজা প্রলোভনে পড়ে তার বোন-দুলাভাইয়ের কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা নেন। এরপর সেই টাকা পাঠান প্রতারক চক্রের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এরপর সেই টাকা তুলে নেয় চক্রটি। এভাবে বিভিন্নজনকে ডলার পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েছে চক্রটি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চক্রটির মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার ইউনিট। গ্রেফতাররা হলেন- সোহেল আহমেদ অপু (২৮), ইব্রাহিম (৩০) ও আকাশ (২৪)। তাদের মধ্যে মূলহোতা তপুকে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দুজনকে গত মাসে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, তপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তপু মিরপুরের আব্দুল মান্নানের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, সুমন আল রেজার সঙ্গে প্রতারক চক্রের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রতারক চক্রের এক সদস্য নিজেকে ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের একজন ক্লাইন্টের ৬০ লাখ ডলার ডিপোজিট রয়েছে। সেই ব্যক্তি গত ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর মারা গেছেন। কিন্তু তার কোনো ওয়ারিশ নেই। এরপর প্রতারক সুমন আল রেজাকে প্রতারক ব্যাংক ক্লায়েন্টের ওয়ারিশ হওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করেন। তার ডিপোজিট করা টাকা উত্তোলনের পর দুজনে সমানভাগে ভাগ করে নেওয়ার প্রস্তাবও দেন তাকে। এরপর প্রতারক চক্রটি সুমন আল রেজার কাছে লাগেজ ভর্তি ডলার কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো চার্জ বাবদ ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন। সেই টাকা দেওয়ার পর প্রতারক চক্রটি ফেডারেল ট্যাক্স হিসাবে ৫৫ হাজার ডলার (৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা) দাবি করে। এবার রেজা লাগেজ ভর্তি ডলারের প্রলোভনে পড়ে যান। সেই প্রতারক চক্রের কথামতো বাংলাদেশ ফেডারেল ট্যাক্স হিসাবে ৫৫ হাজার ডলার (৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা) গোল্ডেন লজিস্টিক এন্টারপ্রাইজের ডাচ বাংলা ব্যাংক ঢাকার মিরপুর-১০ শাখায় পাঠিয়ে দেয়। রেজা অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখতে পান তার অ্যাকাউন্টে কোনো ডলারই ঢোকেনি। তিনি বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় গত বছর ১৭ ডিসেম্বর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তপুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৩

পেট্রোল-অকটেনের দাম ৩-৪ টাকা কমিয়ে প্রতারণা করেছে সরকার : আলাল
পেট্রোল-অকটেনের দাম ৩-৪ টাকা কমানোর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। দাম কমানোর নামে সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, কয়েক দিন ধরে চিৎকার–চেঁচামেচি হচ্ছে যে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম, পেট্রোলের দাম কমানো হলো ৩ টাকা আর অকটেনের দাম কমালো ৪ টাকা। প্রতারণার একটা সীমা থাকা উচিত। শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে আলাল বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়েছে আকাশ সমান। কিছু মানুষ এখন অপরিহার্য হয়ে গেছে। ওয়াসার তাকসিম, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ— এরকম কিছু লোক ছাড়া আওয়ামী লীগ অচল হয়ে গেছে। এরা থাকলে জনগণের পকেট কাটতে সুবিধা হয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতারণার সরকার। তারা বলে রোজায় কোনো জিনিসের দাম বাড়বে না। কিন্তু রোজার তিন মাস আগে থেকেই জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে থাকে। জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে তারা। এরপর জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে ইঙ্গিত করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ইদানীং আবার কিছু লোক শেখ হাসিনার ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে যেসব কথা বলছেন তাতে হাস্য ও কৌতুকের সৃষ্টি হচ্ছে। হাসানুল হক ইনু খুব অসন্তুষ্ট হয়েছেন। এবার ভোটে তাকে ঠকানো হয়েছে। এজন্য উনি অসন্তুষ্ট। এর আগে পেঁয়াজ ছাড়া রান্না খেতে অসুবিধা হয়নি? গত রোজার সময় কুমড়া দিয়ে বেগুনি খেয়েছিলেন, তখন অসুবিধা হয়নি। কাঁঠালের বার্গার খেয়েছিলেন, তখনও অসুবিধা হয়নি। আর এখন ছোট্ট একটি বরই খেতে এত অসুবিধা হয়ে গেল?  দেশের সব জায়গায় লুটপাট চলছে দাবি করে আলাল বলেন, দেশটাকে এমন এক অরাজকতার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশের কোনও পাড়া-মহল্লা, কোনও এলাকা, এমনকি কোনও প্রতিষ্ঠানে পর্যন্ত আর ভোট অনুষ্ঠিত হয় না। সব আওয়ামী লীগের লোকেরা দখল করে নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে গত রাতে ব্যালট বাক্স এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আওয়ামী যুবলীগের বর্তমান চেয়ারম্যানের স্ত্রী তার নিজের লোকজনদেরকে দিয়ে এ কাজগুলো করিয়েছেন। এরকমভাবে দেশের সব জায়গায় লুটপাট চলছে।   বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন বেপারী। জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন খানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতুল্লাহসহ অনেকে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৪

যুবলীগ নেতার মামলায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার
পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য মিম খাতুন ওরফে আফসানা মিম (২৬) ও তার স্বামী ওবায়দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যুবলীগ নেতার করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে গুলশান থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রতারণা মামলায় বুধবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই জেলার আটঘড়িয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বাবুর করা মামলায় পাবনা সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার বাদী মনিরুজ্জামান বাবু বলেন, মিম ওবায়দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে তার দুলাভাই হিসেবে আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরে বিভিন্ন সময় ব্যবসার কথা বলে তারা আমার কাছ থেকে ১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা নেয়। দলিল ছাড়া লেনদেন হলেও পরে দলিল করতে চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। পরে পাওনা টাকা ফেরত দেবেন না বলে আমাকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি ও হুমকি দেখায়। তিনি আরও বলেন, মিম ও ওবায়দুল্লাহ আমাকে প্রতারণার জালে ফেলে টাকা আত্মসাৎ করেছে। নিরুপায় হয়ে একপর্যায়ে আমি গুলশান থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করি।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৮

২৭ বছর পর স্বামীর প্রতারণা বুঝে সংবাদ সম্মেলন করলেন স্ত্রী
আনসার বাহিনীতে চাকরি করেন সেই সুবাদে প্রায় ২৭ বছর আগে ফিরোজ আহমেদ বিয়ে করেন মাহাফুজা আক্তারকে। পরে তাদের সংসারে আসে ২ সন্তান।  তবে শুরু থেকেই সন্তানদের খোঁজ খবর নেওয়ার ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন ফিরোজ আহমেদ, এমন অভিযোগ করেন মাহাফুজা আক্তার।   তার অভিযোগ, সংসারে মন না থাকলেও তার স্বামীর নেশা ছিল শুধুই টাকার ওপর। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর বেতনও নিয়েছিলেন নিজের কবজায়। কৌশলে ব্যাংক থেকে স্ত্রীর নামে নেন মোটা অঙ্কের ঋণ। এরপর বাড়িসহ সমস্ত সম্পত্তি নিজের করে নিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকার চেক ডিজওর্নার মামলা দেন ফিরোজ আহমেদ।  সর্বশেষ ২৭ বছরের ছলচাতুরীর সংসার শেষে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি পাঠিয়ে দেন তালাকনামা। ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার নায়ারনপুরের সুখনগর এলাকায়। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহাফুজা আক্তার কান্নাজড়িত কন্ঠে স্বামীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন। মাহাফুজা আক্তার বলেন, আমার স্বামী এতবড় প্রতারণা করবে আমি কখনও কল্পনাও করতে পারিনি। ২৭ বছরের সংসারে সমস্ত গ্লানি মুখ বুজে সহ্য করেছিলাম। কিন্তু আমার শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে তালাক জুটলো আমার কপালে। প্রায় দুই বছর আগে চিকিৎসা ও ঋণ পরিশোধের কথা বলে দুটি ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর নেন ফিরোজ। পরে আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করে গত বছর জানুয়ারিতে তার ছোট ভাই রাশেদুল ইসলামকে দিয়ে প্রথমে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং রাজ্জাক মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার চেক ডিজঅর্নার মামলা দেন। তিনি বলেন, আমার নামে আনসার ভিডিপি ব্যাংক থেকে ৬ লাখ টাকা ঋণ তুলে নেন। যা এখন আমি নিজেই পরিশোধ করে আসছি। আমার চাকরি জীবনের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে তৈরিকৃত বাড়িও সমস্ত সম্পত্তি লিখে নিয়ে বাড়ি উচ্ছেদ মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগসহ বিচ্ছিন্নসহ সর্বশেষ গত ১১ ফেব্রুয়ারি আমাকে তালাক দেন আমার স্বামী। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমার স্বামী বান্দরবান জেলায় আনসার ব্যাটালিয়ানে কর্মরত। তিনি আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করে আমাকে ও আমার সন্তানদের পথে বসিয়েছেন। সারা জীবনের অর্জিত সম্পদ হারিয়ে আমি এখন নিঃস্ব। এমন প্রতারণার বিষয়ে আমি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু সেই মামলার তেমন অগ্রগতি নেই। আমি আপনাদের মাধ্যমে এই ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।  
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৪

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণা : গ্রেপ্তার ৩ পুলিশ সদস্য
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে রাজশাহী ও দিনাজপুর থেকে তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা দায়েরের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত তিনজন হলেন এএসআই গোলাম রাব্বানী, কনস্টেবল আবদুর রহমান ও শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল। জানা যায়, আবদুর রহমান ও শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। এএসআই গোলাম রাব্বানীও আগে পুলিশ কনস্টেবল ছিলেন। তখন তিনি আরএমপিতেই ছিলেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে এএসআই হন। শাহরিয়ার পারভেজ শিমুলের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায়। আবদুর রহমানের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং গোলাম রাব্বানীর বাড়ি কোথায় তা জানা যায়নি। তাদের তিনজনকে শনিবার সন্ধ্যার পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আরএমপির মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার আগে পুলিশের এই সদস্যরা ১৫-২০ জন চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীকে পাস করিয়ে দেওয়ার চুক্তি করেন। এ জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেককে খুবই ছোট আকারের হেডফোন সরবরাহ করেন। এই হেডফোনের মাধ্যমে বাইরে থেকে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের সব উত্তর বলে দেওয়ার কথা ছিল। এ জন্য একেক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার চুক্তি করা হয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল চেক ও স্ট্যাম্প। পুলিশের অভিযানে কিছু স্ট্যাম্প, একটি ১০ লাখ টাকার চেক এবং ১৪টি গোপন ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগে কারিমা খাতুন নামের এক ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী শনিবার সন্ধ্যায় রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে এএসআই গোলাম রাব্বানী এবং কনস্টেবল আবদুর রহমান ও শাহরিয়ার পারভেজ শিমুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৬

প্রতারণা মামলায় জামিন পেলেন নুসরাত
ফ্ল্যাট প্রতারণার ঘটনায় করা মামলায় শেষ পর্যন্ত আদালতে হাজিরা দিয়েছেন সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। শনিবার (২০ জানুয়ারি) ভারতের পশ্চিম বঙ্গের আলিপুর নিম্ন আদালতে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। এর আগে আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে না চেয়ে আলিপুর জজ কোর্টে আবেদন করেছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরাত। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে নিন্ম আদালতে হাজির হতে নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারক। যদিও আগামী ২৪ জানুয়ারি আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। তবে তার আগেই আইনজীবীকে নিয়ে আলিপুর আদালতে পৌঁছে যান এ অভিনেত্রী। আলিপুর আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ফ্ল্যাট প্রতারণার মামলায় এদিন ৪ হাজার টাকার সিকিউরিটি বন্ডে জামিন নিয়েছেন নুসরাত। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ একটি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরাত। তখন ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে অবসরপ্রাপ্ত ৪২৯ জন ব্যাংক কর্মীদের কাছে টাকা তোলে সেই সংস্থাটি। প্রত্যেকের কাজ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ করে টাকা নেওয়া হয়। মোট ২৩ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল বলে জানা গেছে। তবে সেই ফ্ল্যাট আজও তারা পাননি। এর পর নুসরাতের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা এই ব্যাংক কর্মীদের নিয়ে ইডির দপ্তরেও গিয়েছিলেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ ও ইডির গোয়েন্দারা। ফ্ল্যাট ‘প্রতারণা’র অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূল সাংসদকে ডেকেও পাঠিয়েছিল ইডি। গত বছর সেপ্টেম্বরে সিজিও কমপ্লেক্সে নুসরাতকে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। জিজ্ঞাসাবাদের ঠিক পর পরই কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন নুসরাত। তিনি জানান, অভিযোগ ওঠার অনেক আগেই তিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি জানান, কয়েক কোটি টাকা তিনি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণের টাকা তিনি কড়ায়-গণ্ডায় শোধও করে দিয়েছেন।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০২

‘বাণিজ্য মেলায় প্রতারণা করলে স্টল বরাদ্দ বাতিল’
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর বসছে আগামীকাল রোববার (২১ জানুয়ারি)। এবারের মেলায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ একাধিক মনিটরিং জোরদার থাকবে। প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া গেলে বাতিল করা হবে স্টল বরাদ্দ। শনিবার (২০ জানুয়ারি) পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবেশন সেন্টারে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ (ডিআইটিএফ) উপলক্ষে সার্বিক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় এ হুঁশিয়ারি দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, বাণিজ্য মেলায় আগত দর্শনার্থীদের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ রাখা হবে না। ভোক্তা অধিদফতরসহ একাধিক মনিটরিং জোরদার থাকবে। প্রতারণার প্রমাণ পেলে বাতিল হবে স্টল। মেলায় আসার জন্য মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা হবে উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবহনে যোগাযোগের হাব হিসেবে থাকবে ফার্মগেট। সেখান থেকে মেলা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের নিয়ে যাতায়াত করবে বিআরটিসি পরিবহন। তিনি আরও বলেন, রপ্তানিকে বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রফতানি বাড়ানোই বাণিজ্য মেলার মূল লক্ষ্য। গার্মেন্টসের মতো পাট ও চামড়াকে গুরুত্ব দিয়ে রফতানিতে জোর দিতে হবে।   সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, পূর্বাচলে মেলা প্রাঙ্গণে নতুন করে বাকি কাজ শেষের লক্ষ্যে প্রকল্পের ডিজাইন করা হয়েছে। অতীতের বিভিন্ন সমস্যাও সমাধান করা হয়েছে।   রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, রোববার ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ উদ্বোধন করা হবে। এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের বাণিজ্য মেলার প্রবেশ টিকিট মূল্য গতবারের চেয়ে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর শিশুদের টিকিটের মূল্য ২০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৫ টাকা।   বিভিন্ন ক্যাটগরির ৩৫১টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল থাকছে এবারের আয়োজনে। এছাড়া দুই হলে ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে থাকছে রেস্তোরাঁ, মসজিদ, ব্যাংক, এটিএম বুথ, শিশু পার্ক, মা ও শিশু কেন্দ্র। বাসের সার্ভিস রুটও বাড়ানো হয়েছে এ বছর।   
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৫

এটি কোনো নির্বাচন নয়, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা মাত্র : রিজভী
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এটি কোনো নির্বাচন নয়, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা মাত্র। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে মতিঝিল এজিবি কলোনি বাজারে ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ শেষে এসব কথা বলেন তিনি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, অবৈধ সরকার জোর করে একতরফা নির্বাচন করে দেশটাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে কোনো নির্বাচন নেই, এখানে জনগণের কোনো ভোটাধিকার নেই, জনগণের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। এ নির্বাচন বর্জন করুন, তাদের বিরুদ্ধে সবাই একসঙ্গে রুখে দাঁড়ান। তিনি বলেন, বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকার দেশে আরও বেশি লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করতে আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চায়। আপনারা দেখছেন একজন এমপি বাংলাদেশ থেকে টাকা লুট করে ইংল্যান্ডে কীভাবে পাচার করেছে, তারা এরকম আরও পাচার করতে চায়। তারা বিদেশে টাকা প্রচার করে সুখে থাকতে চায়। রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ব্যাংক ডাকাতি করে, জনগণের টাকা লুট করে, সেটা বিদেশে পাচার করে বেশি সুখে থাকতে চায়। দেশ জাহান্নামে যাক, জনগণ জাহান্নামে যাক তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকূল ইসলাম, সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু প্রমুখ।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়