• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পর্যটকদের মারধর, এএসপি বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পর্যটকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে ফেনীর সহকারী পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। মারধরের ঘটনা সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ফেনীর সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, কমিটির অপর দু’সদস্য নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ, ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আফতাব উদ্দিন ঘটনাস্থল সোনাগাজী ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের পর্যটন কেন্দ্র রেগুলেটর এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করছেন।  এর আগে, মঙ্গলবার পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকারকে প্রধান করে নোয়াখালী ও ফেনীর দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা রয়েছে। তদন্ত কমিটি স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ওই দিনের ঘটনার বিষয়ে তথ্য নিচ্ছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও অভিযুক্ত ফেনীর সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইন, ভিকটিম আলী আজগর সজলও উপস্থিত ছিলেন বলে তদন্ত কমিটির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ঈদের পরের দিন শুক্রবার আলী আজগর সজল, তার স্ত্রী ফারজাহান আক্তার, দুই সন্তান, ভাই পুলিশ কনস্টেবল ওমর ফারুক ও তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে মুছাপুর ক্লোজারে ঘুরতে আসেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘুরাঘুরি শেষে নিজ এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে ফিরছিলেন। ওই মোটরসাইকেলে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান ছিল। কিছু পথ আসার পর বিপরীত দিক থেকে একটি পুলিশের গাড়ি আসে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সড়কটির দুই পাশে জ্যামের সৃষ্টি হয়। এরইমধ্যে গাড়ি থেকে একজন (সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইন) একটি লাঠি নিয়ে নেমে আসেন। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই লোকজনকে অকথ্যভাষায় গালমন্দ করেন। এ সময় গালাগালি করতে নিষেধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আজগরকে কলার ধরে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে বেধড়ক এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। আহতরা সবাই নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। অবশ্যই বিষয়টি ভুল-বোঝাবুঝি দাবি করে সহকারী পুলিশ সুপার তসলিম হুসাইন বলেন, সড়কে জ্যাম থাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আমি গাড়ি থেকে নেমে যাই। কাউকে মারেননি বলে দাবি করেন সহকারী পুলিশ সুপার। বিষয়টি তাদের সঙ্গে বসে মীমাংসা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৮

ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পর্যটন স্পট
ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত মৌলভীবাজারের পর্যটন স্পটগুলো। উঁচু-নিচু পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা-গাছ। একইসঙ্গে পাহাড়ি ঝর্ণার কলতান। মৌলভীবাজার জুড়েই রয়েছে প্রকৃতির নানা নৈসর্গিক সৌন্দর্য। জেলায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা একাধিক লেক আর শতাধিক পর্যটন স্পট এখন একেবারেই পর্যটক শূন্য। তবে ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে জেলার বিভিন্ন স্পটে অর্ধ লক্ষাধিক পর্যটক ঘুরতে আসবেন বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মৌলভীবাজার জেলাটিকে সাজাতে কোন কার্পণ্য করেনি প্রকৃতি। চা বাগানের সবুজ গালিচা লাউয়াছড়ার প্রাণ-প্রকৃতি কিংবা হাওরের অথই জল এনিয়েই পযর্টন জেলা মৌলভীবাজার। একসময়ে পর্যটক মুখর এই জেলার নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র দেখতে দর্শনাথীর নেই তেমন আনাগোনা। প্রতিদিন দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠতো জেলার অন্তত ১০০টিরও বেশী দর্শনীয় স্থান। কিন্তু অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং দর্শনীয় পর্যটন স্থানগুলোকে ঢেলে না সাজানোর কারণে প্রকৃতির এমন মায়াভরা আঙিনা এখন পর্যটকশূন্য। ফলে এ শিল্পের সাথে জড়িতরা বেকার হয়ে পড়েছেন। অনেকেই কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন। তবে এবারের ঈদে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের জন্য মৌলভীবাজারের প্রধান পর্যটন কেন্দ্রগুলোর  মধ্যে রয়েছে- শ্রীমঙ্গল উঁচু-নিচু পাহাড়ে ভাঁজে ভাঁজে সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা-বাগান, খাসিয়া পুঞ্জি, মণিপুরি ও ত্রিপুরাদের গ্রাম, বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, বাইক্কাবিল হাইল, বধ্যভূমি ৭১, নিমাই শিববাড়ী, শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফিনলে চা বাগানের ভেতরে ডিনস্টন সিমেট্রি। জেলার উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে আরও আছে- কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, ধলই বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, রাজকান্দি বন খাসিয়া পল্লী,হাম হাম জলপ্রপাত,কলাবন, বড়লেখায় মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, হাকালুকি হাওর, রাজনগর উপজেলার কমলা রাণীর দীঘি, কাউয়াদীঘি হাওর, জলের গ্রাম অন্তেহরি। জেলায় প্রায় দেড় শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ বুকিং সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ ও কটেজগুলো সাজানো-গোছানোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। ঈদের টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের আগমনে ভালো ব্যবসার প্রত্যাশা কথা জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গলে পর্যটন সেবা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কাজী সামছুল হক। হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা এখানে আসবেন। তাদের সেবা দিতে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অতিথির জন্য রিসোর্টগুলো সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। আশা করছি এবার বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসবেন। শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক ও গ্রীনলিফ গেস্ট-হাউজ এর স্বত্বাধিকারী এসকে দাশ সুমন বলেন, পর্যটন স্থানগুলো নতুন করে সাজিয়ে না তুলা হলে এবং সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি না করা হলে পর্যটকদের বিমুখ করবে এই জেলা ভ্রমণে। এতে দেশি পর্যটকরা বিদেশ ভ্রমণে উৎসাহিত হবেন। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাবে বলে মনে করেন তিনি। মৌলভীবাজার সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, ঈদের বন্ধে ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মৌলভীবাজারে স্পটগুলো বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে পরিকল্পনা করবে, আর জেলা পুলিশও সজাগ থাকবে।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৮

বোরকা পরে পর্যটকদের ব্ল্যাকমেইল করতেন তারা
কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনে পর্যটকদের টার্গেট করে ছিনতাই, ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যবসা, মাদক সেবনসহ অসামাজিক কার্যকলাপে সক্রিয় থাকার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে একটি চক্রের ২৫ সদস্যকে আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে ৯ জন নারী ও ১৬ জন পুরুষ রয়েছে। তারা কক্সবাজারের মহেশখালী, ঈদগাঁও, সাতকানিয়া ও লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা।  শনিবার (২ মার্চ) ভোর রাতে এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোন। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, আটককৃত নারী-পুলিশ সংঘবদ্ধ চক্র। তারা কক্সবাজার আগত পর্যটকদের টার্গেট করে কৌশলে তাদের আস্তানায় নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে সর্বস্ব লুট করে নেয়। ইতোপূর্বে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও পর্যটন জোনকে অপরাধ মুক্ত করতে এ বোরকা বাহিনীকে আইনের আওতায় আনতে ট্যুরিস্ট পুলিশ তাদের নিজস্ব গোয়েন্দা দিয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করে। দীর্ঘ তৎপরতায় অবশেষে এ বোরকা বাহিনীর আবিষ্কার করতে পেরেছি আমরা এবং তাদের গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছি।  তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর নেতৃত্বে একটি টিম মোটেল জোনের কলাতলী লাইট হাউজ এলাকা সংলগ্ন আবাসিক কটেজ জোন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বাহিরে তালাবদ্ধ একটি সাইনবোর্ড বিহীন কটেজে (যা বোরকা বাহিনী গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে) অভিযান চালিয়ে নারী-পুরুষসহ বাহিনীর ২৫ সদস্যকে আটক করা হয়।  আটককৃতরা হলেন চকরিয়ার উওর কাহারিয়া ঘোনা এলাকার নুরুল আলমের পুত্র মো. ইউনুস, কক্সবাজার শহরের কলাতলীর আব্দুল আজিজের পুত্র ইমাম হোসেন, চকরিয়ার ভরামহুরী এলাকার ফেরদৌস আহমদের পুত্র মো. রুবেল, শহরের কলাতলীর আবুল কালামের পুত্র মো. রাব্বি, লক্ষীপুর  লামচর এলাকার মো. হারুনের পুত্র মো. বিপ্লব, কিশোরগঞ্জের সরওয়ার জাহানের পুত্র ইয়াহিয়া, চট্টগ্রাম সাতকানিয়ার বাবুল বড়ুয়ার পুত্র বিপুল বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সাতকানিয়ার মৃত অরবিন্দ বড়ুয়ার পুত্র জনপ্রিয় বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সাতকানিয়ার মৃত অসীম বড়ুয়ার পুত্র সবুজ বড়ুয়া, মহেশখালীর আব্দুল মোনাফের পুত্র রুবেল, চট্টগ্রাম লোহাগড়ার জাহিদ মোল্লার পুত্র তামিম মোল্লা, নোয়াখালীর বালুচরা এলাকার জাকির হোসেনের পুত্র রিফাত, শহরের নাজিরারটেকের আমান উল্লাহর পুত্র শওকত ওসমান, চট্রগ্রাম আনোয়ারার আবু সৈয়দের পুত্র মো. লোকমান, চকরিয়ার বদরখালীর জামাল উদ্দিনের পুত্র ফোরকান, সিরাজগঞ্জের শরীফ সলঙ্গা এলাকার আব্দুস সামাদের পুত্র মো. নান্নু, গাজীপুর টংগীর মজিবুর হোসেনের মেয়ে নোহা জাহান, ময়মনসিংহ ফরাজিবাড়ি এলাকার মনির হোসেনের স্ত্রী নূরী, ঈদগাঁ পূর্ব নাপিতখালির বেলালের মেয়ে জোবাইদা আক্তার, উখিয়ার জয়নাল উদ্দিনের মেয়ে তানিয়া আক্তার, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সম্রাট আহমেদের মেয়ে আফরিন আক্তার, চট্টগ্রাম বাঁশখালীর আব্দুল মজিদের মেয়ে ঝিনুক, ঈদগাঁও বাঁশখালীর আলী হোসেনের মেয়ে শারমিন, গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার আজগর আলীর মেয়ে ফাতেমা ও ঢাকা মুগদা থানা এলাকার রমজানের মেয়ে নিলা।  এ সময় আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আপেল মাহমুদ।
০২ মার্চ ২০২৪, ২০:৩২

পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে ভ্রমণপিপাসু হাজার হাজার পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠছে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্যতায় মন্দাভাব কাটিয়ে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত।  শীতের তীব্রতা কাটিয়ে আগত এসব পর্যটকদের আনন্দ উচ্ছাসে মুখরিত ১৮ কিলোমিটার সৈকতসহ সকল দর্শনীয় স্থান। সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন অনেকেই। কেউ বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন চেনা প্রাকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। ঘুরছেন ঘোড়ায় কিংবা সৈকতের ওয়াটার বাইকে।  সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ হোটেল-মোটেলের কক্ষ ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি দুদিন হওয়ায় হাজার হাজার পর্যটকদের আগমন ঘটেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত অবলোকনের পর পর্যটকরা ছুটে যান রাখাইনদের আদি কুয়া অথবা রাখাইন পল্লীতে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন রয়েছে নজরকাড়া প্যাগোডা। এই প্যাগোডা তথা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার-সংলগ্ন বেড়িবাঁধের পাশে রয়েছে ২০০ বছরের প্রাচীনতম নৌকা। রাখাইন মহিলা মার্কেট, মিশ্রিপাড়ায় অবস্থিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ সীমা বৌদ্ধ বিহার। ইকোপার্ক, লেম্বুরচর, শুটকিপল্লী, সমুদ্রপথে চর বিজয়, ফকিরহাটসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থান। পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনে প্রস্তুত রয়েছে ট্যুরিস্ট বোট, স্পিডবোট। কেউ বিচে ছাতার নিচে বসে সাগরের জল আর সূর্য রশ্মির রঙিন খেলায় মেতে ওঠা অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করে।  ঢাকা থেকে আসা হাবিবুর রহমান রানা বলেন, একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত উপভোগ করার দৃশ্য একমাত্র কুয়াকাটায় দেখা সম্ভব, যা সত্যিই বিমোহিত করার মতো। কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল সি প্যালেসের ম্যানেজার রুবেল বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত বছর তেমন ট‍্যুরিস্ট আসেনি। সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে আমাদের হোটেলের সকল রুম বুকিং হয়েছে এবং অন্যান্য হোটেলেও বেশ পর্যটক রয়েছে।  স্থানীয় ব্যবসায়ী আ. সোবাহান বলেন, এ বছরে আজকেই সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এভাবে পর্যটক আসলে আমরা পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মো. রিমন বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে যাওয়ায় পর্যটক বেড়েছে, তবে শীত কমলে আরও বাড়বে। কুয়াকাটায় হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, এ বছরে আজকে ভাল পর্যটকের আগমন ঘটেছে। প্রায় হোটেলে রুম বুকিং রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, আমরা সর্বদা নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছি। কুয়াকাটার বিভিন্ন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়