• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নায়েব আলী
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. নায়েব আলী জোয়ার্দার। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে এসব তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ আসনের এমপি আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন মোট ২৫ জন। আসনটিতে আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে। দলের সভানেত্রী ও মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে বোর্ডের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রশিদুল আলম, রমেশ চন্দ সেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দলের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বৈঠকে অংশ নেন। 
০৪ মে ২০২৪, ২১:৫৯

কুমারখালীতে নৌকার সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নৌকায় ভোট করা নিয়ে পূর্ববিরোধে আমিরুল ইসলাম নান্নু (৪৫) নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।  বুধবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  নিহত আমিরুল ইসলাম উত্তর চাঁদপুর এলাকার মৃত জলিল শেখের ছেলে। তিনি জলাশয় লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন। হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিপক্ষের কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন নিহতের স্বজন ও উত্তেজিত এলাকাবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত জাতীয় নির্বাচনে নিহত নান্নু নৌকায় ভোট করেছিলেন। এ নিয়ে স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীর লোকজনের সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিদেন তলা বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে উত্তর চাঁদপুরে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন নান্নু। পথিমধ্যে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। রাত সাড়ে ৯টায় আমিরুলের বাড়ি থেকে ৩শ মিটার দূরে একটি কলাবাগানে তার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম। তিনি জানান, পূর্ববিরোধে তাকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৩

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকার আগুনে নিহত সবাই বাংলাদেশি, ধারণা আইওএমের
লিবিয়া থেকে সাগরপথে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৯ অভিবাসীর সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। এছাড়া ওই ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া ৪৩ জনের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানা গেছে।  নিহত ৯ জনের পরিচয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি উদ্ধার করা ২৬ বাংলাদেশিকে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি টিম তিউনিসিয়ার উপকূল এলাকা জারজিসের উদ্দেশে রওনা করেছে। ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া উপকূল থেকে ৫২ জনের একদল অভিবাসী সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে তাদের বহনকারী নৌকাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী নৌকাটি থেকে ৯ অভিবাসীর মরদেহ এবং ৪৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। যে ৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে তারা বাংলাদেশি বলে ধারণা করছে আইওএম। দূতাবাসের এ কর্মকর্তা জানান, জীবিত অবস্থায় উদ্ধার অভিবাসীদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমাদের দূতাবাসের একটি টিম ইতোমধ্যে জারজিসের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। তারা আইওএম ও রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় নিহত বাংলাদেশিদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি জীবিত বাংলাদেশিদের সহযোগিতা করবেন। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া মাত্র দূতাবাস সবাইকে জানিয়ে দেবে। নিহত বাংলাদেশিদের দেশে ফেরানো ও উদ্ধারদের বিষয়ে দূতাবাসের করণীয় জানতে চাইলে এ কূটনীতিক বলেন, আগে পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে। তারপর দূতাবাস সিদ্ধান্ত নেবে কী করা যাবে। আইওএমের তথ্যমতে, বিভিন্ন দেশের উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে গত বছর তিন হাজারের বেশি অভিবাসী মৃত্যুবরণ করেছেন ও নিখোঁজ হয়েছেন। ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী তাদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। ফলে বর্তমানে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রা অত্যন্ত বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ।  
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৪

নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচনে নৌকার জয়
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া নওগাঁ-২ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ শহিদুজ্জামান সরকার।   সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আসনটির ১২৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলে। মোট ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশ।  নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ শহিদুজ্জামান সরকার ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আখতারুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৩৮১ ভোট।  এ ছাড়াও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ তোফাজ্জল হোসেন পেয়েছে ৪ হাজার ৮৪ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী মাহমুদ রেজা ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ৪২৬ ভোট। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম মওলা জানান, সকাল থেকেই ভোটাররা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। আসনটিতে মোট ভোটের ৫৭ শতাংশ ভোট নিজ পছন্দের প্রার্থীকে দিয়েছেন ভোটাররা।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪১

উপজেলা নির্বাচন / নৌকার অনুপস্থিতি কি ঠেকাতে পারবে অরাজনৈতিকদের?
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ব্যাপারটাকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাদের বেশিরভাগের মতে, নৌকা প্রতীক না থাকায় এবার 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' তৈরি হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে; যেখানে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাদের জন্য নিজেদের জনপ্রিয়তা প্রমাণের ভালো একটা সুযোগ তৈরি হতে যাচ্ছে। টাকা ও প্রতীকের জোরে হুট করে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ব্যক্তিদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে সামনের নির্বাচনে।   অবশ্য দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এ সিদ্ধান্তে নাখোশ খোদ আওয়ামী লীগেরই এক শ্রেণির নেতা। তাদের মতে, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতেই দলের এই কৌশল। গণতান্ত্রিক বিশ্বের অনুসরণে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া ঠিক হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ বলছে, দেশে একসময় স্থানীয় সরকার নির্বাচন ছিল নির্দলীয়। তবে ২০১৫ সালে আইন পরিবর্তনের পর কাউন্সিলর ও ইউপি সদস্য পদ ছাড়া বাকিগুলো দলীয় মনোনয়নে হচ্ছে। এতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে হুট করে রাজনীতিতে আসা ব্যক্তিরাও নৌকা প্রতীক পেয়ে জয়ী হয়েছেন। বঞ্চিত হয়েছেন পোড়খাওয়া অনেক তৃণমূল নেতা। এ কারণে এবার স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়া নিয়ে আপত্তি ছিল তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলেছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি। তিনি বলেন, প্রতীক দেওয়ার কারণে অনেক কর্মী হতাশ হয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে সরে গেছেন। আবার অনেক অরাজনৈতিক ব্যক্তি প্রতীক নিয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে যান। এ জন্য প্রতীক না দেওয়া ভালো। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আমরা ধরেই নিয়েছি বিএনপিসহ তাদের সঙ্গে যারা আছে, তারা এ নির্বাচনে (স্থানীয় সরকার) আসবে না। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনকে আরও প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর করতে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা জনপ্রিয়, তারা নিজ যোগ্যতা প্রমাণ করে নির্বাচন করে আসুক। আমরা মনে করি, এর মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্ব বের হবে, একইসঙ্গে সংসদ নির্বাচন ঘিরে যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, সেটাও দূর হবে।’ আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন, কুমিল্লা সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং ৯টি পৌরসভার নির্বাচনে নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে না বলেও জানান খায়রুজ্জামান লিটন। এসব নির্বাচনের তফসিল সোমবার ঘোষণা হলেও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানায়নি আওয়ামী লীগ। অতীতে তফসিল ঘোষণার দিনই দল থেকে মনোনয়ন সংগ্রহের আহ্বান জানানো হতো। ২০১৫ সালে আইন করার পর ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। অবশ্য ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনের আগেও নৌকা প্রতীক ছাড়া নির্বাচনের দাবি তুলেছিল দলটির একটি অংশ। তবে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তা অনুমোদন হয়নি। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, যুক্তরাজ্যকে অনুসরণ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও দেশে ওই পর্যায়ের নির্বাচন হতে অনেক সময় লাগবে। যুক্তরাজ্যে দলীয় প্রার্থী এক বছর আগেই নির্ধারণ করা হয়। আর বাংলাদেশে তফসিল ঘোষণার পরে প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়। ফাঁকফোকর গলে অনেক অরাজনৈতিক, টাকাওয়ালারা দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নেন। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য একটা জায়গায় একাধিক প্রার্থী থাকতে পারেন। কিন্তু সবাই তাকিয়ে থাকেন ওপরের দিকে। একজনকে দিলে বিভেদ সৃষ্টি হয়। উন্মুক্ত করে দিলেও যোগ্য ও জনপ্রিয়রাই প্রার্থী হবেন। প্রসঙ্গত, গত সোমবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আপাতত দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক (নৌকা) ব্যবহার না করার অভিমত দিয়েছে কার্যনির্বাহী কমিটি। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা এতে একমত পোষণ করেছেন।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৮

উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী থাকছে না 
প্রথম ধাপে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন নিয়ে জরুরি সভায় নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সোমবার (২২ জানুয়ারি) দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে জরুরি সভা করেছে দলটি। সভা শেষে এ বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ। দ্বাদশ সংসদের নারী এমপি বিষয়ে তিনি বলেন, শিডিউল ঘোষণার পর সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাদের জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দলের মধ্যে সৃষ্ট কোন্দল নিরসনে সংশ্লিষ্টদের ঢাকায় আনতে বিভাগীয় কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।   
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:০৯

স্থগিত হওয়া ময়মনসিংহ-৩ আসনে জয়ী নৌকার নিলুফার 
ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি ৫৩ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা পেয়েছেন ৫২ হাজার ৫৬৬ ভোট।  ১ হাজার ৯২৫ ভোট বেশি পেয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জানিয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।  শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করেন প্রিসাইডিং অফিসার আনন্দ মোহন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলো ৩০৩২ জন। এরমধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ১৬৭৭ জন। এ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ১২৯৫ ভোট ও ট্রাক প্রতীক ভোট পেয়েছে ৩৫৫। ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজনীন আলম এক ভোট, লাঙ্গল প্রতীকের মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ দুই ভোট, সোনালী আঁশ প্রতীকের মো. জামাল উদ্দিন এক ভোট, ফুলকপি প্রতীকের মোর্শেদুজ্জামান সেলিম দুই ভোট, আম প্রতীকের মো. শফিউল ইসলাম এক ভোট, কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শরীফ হাসান অনু ৪ ভোট, কাঁচি প্রতীকের রমিজ উদ্দিন স্বপন শূন্য ভোট পেয়েছেন।  জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভূঞার নেতৃত্বে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে র‌্যাব, বিজিবি, আর্মড পুলিশ, পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি মোতায়েন ছিল। কেন্দ্র ও তার চারপাশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয় জেলা প্রশাসন।  ৭ জানুয়ারি এ উপজেলার ৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯১টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সহকারী রিটার্নিং অফিসার ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদুল করিম ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি পেয়েছেন ৫৩হাজার ১৯৬ ভোট। ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা পেয়েছেন ৫২হাজার ২১১ ভোট।  জানা গেছে, ৪০ নং ভালুকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে রোববার বিকেলে ভোট চলাকালীন সময়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। প্রতিরোধে দায়িত্বরত মইলাকান্দা ইউনিয়ন দলনেতা মো. আজিজুল ইসলাম খান দুই রাউন্ড রাবার কার্তুজ ছুঁড়েন। হামলাকারীরা পাল্টা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত ব্যালট পেপার, সীল ছাড়াও আটটি ব্যালট বাক্স ও আনসারদের লাঠি নিয়ে যায়। বাঁধা দেওয়ায় আনসার সদস্য ও দায়িত্বরত পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলামকে পিটিয়ে জখম করে। পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে আহত এসআইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় কেন্দ্রটির ভোট স্থগিত ঘোষণা করা হয়।  এ উপজেলার মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪০ জন। ৯২টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ১ লাখ ২২ হাজার ৪৪৮ জন। শতকরা হার ৪৪.৩৬শতাংশ। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজনীন আলম ২ হাজার ২৫১ ভোট, লাঙ্গল প্রতীকের মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ ৩৫১ ভোট, সোনালী আঁশ প্রতীকের মো. জামাল উদ্দিন ১৫৩ ভোট, ফুলকপি প্রতীকের মোর্শেদুজ্জামান সেলিম ১০২ ভোট, আম প্রতীকের মো. শফিউল ইসলাম ১১৮ ভোট, কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শরীফ হাসান অনু ৯ হাজার ২৩০ ভোট, কাঁচি প্রতীকের রমিজ উদ্দিন স্বপন ৮৯৩ ভোট পেয়েছেন। এরমধ্যে লাঙ্গল ও ফুলকপি প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৯

ঝিনাইদহে নৌকার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা
ঝিনাইদহে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অর্ধশত বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নারীসহ অন্তত ১০ জন। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের বারইখালী, হীরাডাঙ্গা ও সুরাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল নির্বাচিত হন। ফলাফল ঘোষণার পর সদরের ওই ৩টি গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই জের ধরে সোমবার সকালে মহুলের সমর্থক পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরনের অনুসারীরা পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির সমর্থক জেলা যুবলীগের সদস্য ইব্রাহিম খলিল রাজার বাড়িসহ তার অনুসারীদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বারইখালী, হীরাডাঙ্গা ও শুরাপাড়া গ্রামের অন্তত ৫০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। বাধা দেওয়ায় তাদের হামলায় নারীসহ আহত হন অন্তত ১০ জন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন বলেন, ৩টি গ্রামে কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৯

কলাপাড়ায় নৌকার ৭ কর্মীকে কুপিয়ে জখম
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসার পথে নৌকার ৭ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে পরাজিত ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা।  সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার টিয়াখালী হাটখোলা বাজার-সংলগ্ন মুজিব কিল্লার পাশে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন, বশির চৌকিদার (৫৫), মো. মিজানুর রহমান (৫০), শিপন (৪০), ইদ্রিস প্যাদা (৬৪), মো. সোহেল (৪২), মিজানুর রহমান হাওলাদার (৪৮) ও আকিব (২৪)। এর মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় বশির চৌকিদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টিয়াখালী হাটখোলা বাজার থেকে এমপির সঙ্গে দেখা করতে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসের উদ্দেশে রওনা দেয় নৌকার সমর্থকরা। এ সময় ওই বাজার-সংলগ্ন মুজিব কিল্লা এলাকায় পৌঁছালে টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান সুজন মোল্লার নেতৃত্বে ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মদ গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় এখনও অভিযোগ পাইনি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৮

চাঁদপুরের ৫টি আসনেই নৌকার জয়
উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের ৫টি আসনেই শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান। নির্বাচনে চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনে ড. সেলিম মাহমুদ নৌকা নিয়ে পেয়েছেন ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৩০৭ ভোট। তাফর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ইসলামি ফ্রন্টের সেলিম প্রধান চেয়ার প্রতীকে ৫ হাজার ৭৭৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। আরও পড়ুন : বিরোধীদের বয়কট মানেই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল নয় : পাউলো কাসাভা   চাঁদপুর-২ মতলব আসনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৯৯ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসফাক আহমেদ ঈগল প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৩৩৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। চাঁদপুর-৩ সদর ও হাইমচর আসনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নৌকা প্রতীকে ১ লক্ষ ৮ হাজার ১৬৬ ভোট পেয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া ঈগল প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। চাঁদপুর- ৪ ফরিদগঞ্জ আসনে সাংবাদিক মুহাম্মদ শফিকুর রহমান নৌকা প্রতীকে ৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট পেয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ আসনেরই সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া ঈগল প্রতীক নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৩৫ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। তাদের দুজনের ভোটের ব্যবধান ছিল মাত্র ১ হাজার ৩৩ ভোট। আরও পড়ুন : কুড়িগ্রামে দুটিতে নৌকা, লাঙ্গল-স্বতন্ত্র একটিতে জয়ী   চাঁদপুর-৫ আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ৮৩ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মাইনুদ্দিন ৩৮ হাজার ৬৩৬ ভোট ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সফিকুল আলম ২২ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। চাঁদপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহারে সকলে সহযোগিতা করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়