• ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

‘আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই’

আরটিভি নিউজ

  ০৮ মে ২০২৪, ১৮:৫০
ছবি : সংগৃহীত

প্রতিশ্রুত ঋণের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর তৃতীয় কিস্তি পাওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী আয়শা খান।

বুধবার (৮ মে) ঢাকায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে অর্থ প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক হয়। এরপর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে গত ২৪ এপ্রিল থেকে টানা ১৫ দিন আইএমএফ প্রতিনিধিদল সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে। তার সারমর্ম নিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আজ বৈঠক করে ঢাকায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল।

আইএমএফ প্রতিনিধিদল অর্থ প্রতিমন্ত্রীর কাছে ঋণের শর্ত ও সংস্কারের কতটা অগ্রগতি এবং আরও কতটা করতে হবে সেই সুপারিশের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

করের হার বা আওতা বাড়ানোর যে আলোচনা আছে, তাতে মানুষের কষ্ট বাড়বে কি? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শর্ত পূরণ করতে গিয়ে মানুষের জন্য ভোগান্তি হয় এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না বাংলাদেশ।

আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সফর নিয়ে এদিন কথা বলেন অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদারও। তিনি জানান, ১০টি শর্তের মধ্যে বাংলাদেশ কেন একটি পূরণ করতে পারেনি তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে বাংলাদেশ পক্ষ। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে জুনে রিজার্ভে যোগ হতে পারে তৃতীয় কিস্তির টাকা।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের প্রথম কিস্তি ছাড় করা হয়। আর ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি।

এবারের সফরে ঋণ পেতে বেঁধে দেওয়া শর্ত ও সংস্কার কতটা পূরণ হয়েছে সেসব বিষয় খতিয়ে দেখেছে আইএমএফের বিশেষজ্ঞ দল। মোটা দাগে বাজেটের আকার, রাজস্ব আয়, যৌক্তিক ভর্তুকি নির্ধারণ ও নিট রিজার্ভ নিয়ে নতুন করে লক্ষ্যমাত্রা ও সুপারিশ দিয়েছে এই প্রতিনিধিদল।

বাংলাদেশ পক্ষ বলছে, রিজার্ভ ছাড়া যেহেতু শর্তের অন্যান্য দিক পূরণ করা হয়েছে সেহেতু ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ নেই। যদি এই রিভিউ মিশনের মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় কিস্তি ছাড় করে আইএমএফ, তাহলে সেটির পরিমাণ সব মিলিয়ে ৬৮ কোটি ডলার হতে পারে।

চলতি মে মাসের শেষ দিকে কিংবা আগামী জুনের শুরুতে তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করতে পারে আইএমএফ। বাংলাদেশের জন্য অনুমোদন করা ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে আইএমএফের প্রতিনিধিদল ঢাকায় তাদের মিশন পরিচালনা করছে। প্রতিনিধিদল সরকারের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক শেষ করেছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নগদ ডিজিটাল ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ ঋণ সহায়তা দেবে: পলক
বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তামাকজাত দ্রব্যে কর বৃদ্ধিতে পাশে থাকবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী
জলবায়ু তহবিল দেশের ওপর ঋণের বোঝা বাড়াচ্ছে: টিআইবি
X
Fresh