• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বঙ্গোপসাগরে কার্গো জাহাজডুবি / ১১ নাবিক জীবিত উদ্ধার, নিখোঁজ ১
নোয়াখালীর হাতিয়ার পূর্ব পাশে বঙ্গোপসাগরে এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে হাতিয়ার ইসলাম চরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় ১১ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজের মাস্টার এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া নাবিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে কোস্টগার্ড জানায়, প্রবল ঢেউয়ের মধ্যে জাহাজটির তলা ফেটে ডুবে যায়। প্রথমে লাইফ জ্যাকেট পরে মাস্টার সবার আগে নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে স্রোতের টানে মাস্টার অনেক দূরে চলে যাওয়ায় তাকে আর পাওয়া যায়নি। অন্য ১১ নাবিকরা সবাই জাহাজের ওপরের অংশ ধরে রেখে ভাসতে থাকে। এদিকে জাহাজের সঙ্গে ভাসতে থাকা ১১ নাবিককে একটি মাছধরার ট্রলার উদ্ধার করে চট্রগ্রাম যাওয়ার পথে অন্য একটি জাহাজে তুলে দেয়।  এর আগে দুর্ঘটনার পরপরই নাবিকরা ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহযোগিতা চায়। ৯৯৯ থেকে হাতিয়া নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে সহযোগিতার জন্য বলা হয়। দুপুর ২টার দিকে হাতিয়া কোস্টগার্ড ও নলচিরা নৌ-পুলিশের দুটি টিম উদ্ধার করার জন্য হাতিয়ার নলচিরা ঘাট থেকে রওনা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে উদ্ধার হওয়া নাবিকদের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ঘাটে ফিরে আসে কোস্টগার্ডের সদস্যরা।  এদিকে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মেহেদী জামান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে সাগর মোহনায়। আমরা একটি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি গিয়ে ফিরে এসেছি। নদী খুবই উত্তাল রয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারিনি। তবে দুর্ঘটনার কবলে পড়া নাবিকদের স্বজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা এখন নিরাপদে রয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ জাহাজের মাস্টারের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি নৌ পুলিশের ওই কর্মকর্তা।  জীবিত উদ্ধার হওয়া জাহাজের ইঞ্জিন চালক মো. আলী হোসেনের ভাই মো. ওহিদুল ইসলাম বলেন, একটি মাছধরার ট্রলার আমার ভাইসহ ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করে একটি জাহাজে উঠিয়ে দিয়েছে। ১১ জনের সবাই এখন নিরাপদ আছেন। তবে নিখোঁজ জাহাজের মাস্টারের বিষয়ে তার ভাই কিছু বলতে পারেননি। পানিতে পড়ে মোবাইল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অন্য একজনের মোবাইল থেকে সে বাড়িতে কথা বলে এসব তথ্য দিয়েছে। জাহাজটি চট্রগ্রাম থেকে মালমাল নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। জাহাজে ১২ জন নাবিক ছিলেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৩

সোমেশ্বরী নদীতে নিখোঁজ তরুণের মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বেড়াতে এসে সোমেশ্বরী নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ আবির হাসানের (২০) মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।  রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই তরুণ নিখোঁজ হন। দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম শফিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  নিখোঁজ আবির গাজীপুরের কেওড়াবাজার এলাকার ফেরদৌস মিয়ার ছেলে।  স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর থেকে শনিবার দুর্গাপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন আবির। পরে রোববার দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বরইকান্দি নামক স্থানের সোমেশ্বরী নদীতে গোসলে নেমে তিনি নিখোঁজ হন।  পরে স্থানীয়রা দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম শফিকের তত্ত্বাবধানে ময়মনসিংহ থেকে আসা ডুবুরি দল উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ ফুট দূরে বালুর নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।  এ বিষয়ে দুর্গাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাদের একটি টিম। তারপর ময়মনসিংহের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। তারা আসলে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধারে সক্ষম হয়েছি।’
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৮

মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ নারীর মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মালবাহী কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। উদ্ধার হওয়া নারী হচ্ছেন রীনা বেগম (৩২)। তিনি পিরোজপুর জেলার পারেরহাট সংকরপাশা গ্রামের অলি উল্লাহর স্ত্রী। সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মাশহাদ উদ্দীন নাহিয়ান। কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার মাশহাদ উদ্দীন নাহিয়ান বলেন, সোমবার সকালে মেঘনা নদীর হাইমচরের গাজীপুর ইউনিয়নের এয়ারটেলচর এলাকা থেকে রীনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি দিনগত রাতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার আমিরবাদ এলাকায় মেঘনা নদীতে মার্কেন্টাইল-৩ নামের কার্গোর ধাক্কায় তলা ফেটে চরে আটকা পড়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ। ওইসময় এই নারী নিখোঁজ হন। ওই ঘটনায় লঞ্চের পাঁচ শতাধিক যাত্রী মতলব উত্তরের আমিরাবাদ চরে আটক পড়ে। পরে এমভি সুন্দরবন-১৪ ও এমভি সুন্দরবন-১৫ লঞ্চ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়