• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যাদের জমি রক্ষা করেছি তারাও পাশে দাঁড়ায়নি : তৈমুর
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি যখন প্রচারণায় যাই তখন প্রকাশ্যে বলেছে, টাকা দেন ভোট দেবো। মানুষের মধ্যে টাকা দিয়ে ভোট বিক্রির প্রবনতা শুরু হয়ে গেছে। আমি যাদের জমি রক্ষা করেছি তারাও আমার পাশে দাঁড়ায়নি। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নিজ বাড়িতে নির্বাচন পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এবার নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে  নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন এই প্রার্থী। তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, যে পরিমাণ ভোটার উপস্থিতি দেখানো হয়েছে, এত ভোটার আমি ভোটকেন্দ্রে দেখিনি। মানুষ বলাবলি করছে সিল আগের রাতেই মারা হয়েছে। একটা গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্ন থেকেই গেলো। তিনি বলেন, আমাদের প্রজন্ম-রাজনীতি দূষিত হয়ে গেছে। আমাদের প্রজন্ম বা পরবর্তীতে প্রজন্মের দ্বারা সম্ভব হবে না সুষ্ঠু রাজনীতির মধ্যে চলে আসা। যদি আমরা নিজেরা সংশোধন না হই। তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রশাসন ক্ষমতার বাইরে যেতে চায় না। এজন্য ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের থিওরি দিয়েছিলেন। আমি মনে করি, এই নির্বাচন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। কেমন নির্বাচনে হয়েছে, সেটা দেশবাসী দেখেছে।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৬

এমন তো কথা ছিল না : তৈমুর
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, এটা কোনো নির্বাচনই না।এমন তো কথা ছিল না। ভোরে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পাঠানোর পরেই নৌকার লোকজন সব সিল মেরে দিয়েছে। এক মুহূর্তও নির্বাচন ঠিকঠাক ছিল না। সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে রূপগঞ্জে নিজ বাড়িতে গণমাধ্যমকে তিনি এসব অভিযোগ করেন। তৈমুর বলেন, নির্বাচনের আগে আমাাদের লোকজন বাড়িঘরেই থাকতে পারেননি। নৌকার লোকজন টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে। এ বিষয়ে বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েছি, কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পক্ষপাতদুষ্ট না হলে তারা কীভাবে এমনটি করতে পারে। তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম, আমাদের নির্বাচন যারা করছে, তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। কিন্তু প্রশাসন নিরাপত্তা দেয়নি। চনপাড়ায় আমার পক্ষে নির্বাচন করায় জেলা মহিলা দলের সাবেক প্রচার সম্পাদক ফাতেমা বেগমের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। তার পরিবার এখন এলাকা ছাড়া। এসময় তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বলেন, দলের চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা এখনও তাদের নির্বাচনী এলাকায় রয়েছেন। আমরা যৌথভাবে আলাপ-আলোচনা করে তিন দিনের মধ্যে একটি বিবৃতি দেব। সেখানে সরকার কীভাবে নির্বাচন করল, তা প্রমাণসহ বিস্তারিত তুলে ধরব। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে সোনালী আঁশ প্রতীকে নির্বাচন করেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মাত্র ৩ হাজার ১৯০টি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৮

ভোটের পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্ট তৈমুর
ভোটের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। রোববার (৭ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের রূপসী নিউ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ভোটে এসে দেখি আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য প্রার্থীরা ভোটারদের টাকা দিয়ে প্রভাবিত করছেন। তবে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি আসনটির রূপসী নিউ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দান শেষে বলেন, ভোটার উপস্থিতি ভালো, পরিবেশ সুষ্ঠু। তবে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী অভিযোগ করেন কেটলি মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সাবেক তিনবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাজাহান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, এক ভূমিদস্যুর অর্থ ভোটারদের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে। হিন্দু ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছে। উল্লেখ্য, ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়