• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাজধানীতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
রাজধানীর মিরপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছয়তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯) নামের এক ট্রান্সজেন্ডার নারী আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ খবর নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সি সাব্বির হোসেন। সোমবার রাত আটটার দিকে মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে। মুন্সি সাব্বির হোসেন বলেন, ওই ছাত্রী হোস্টেলের ছয়তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান (রূপসজ্জাকারী) হিসেবে কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। ওই শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, সেটার তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। জানা গেছে, মিরপুরের বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন রাদিয়া তেহরিন উৎস। তিনি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার সাইফুল ইসলামের সন্তান। গত সেপ্টেম্বরে গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অডিশন রাউন্ডে ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে। মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলিং করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪২

ট্রান্সজেন্ডার চরিত্রে রজনীকান্ত!
সুপারস্টার রজনীকান্ত কয়েক দশক ধরে দক্ষিণী সিনেমায় রাজত্ব করছেন। ৭২ বছর বয়সেও তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম খ্যাতিমান তারকা। গত বছর বিরতি ভেঙে ফিরেছেন নতুন ছবি ‘জেলার’ নিয়ে। প্রেক্ষাগৃহে চালিয়েছেন তাণ্ডব। রোজ গড়ে এক শ কোটি করে আয়ের ঝুলিতে তুলেছে ছবিটি।  পাঁচ দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে ১৬৯টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন রজনীকান্ত। তবে একটি চরিত্রে অভিনয় করা হয়নি তার। সেটি হলো রূপান্তরকামীর চরিত্র। ২০১৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন ট্রান্সজেন্ডার চরিত্রে অভিনয় করতে চান। ওই ভিডিওতে রজনীকান্ত বলেন, সব ধরনের ছবিতে অভিনয় করেছি আমি। ৪৫ বছরে ১৬০টি ছবি রয়েছে আমার ঝুলিতে। কিন্তু এবার এক রূপান্তরকামীর চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। এদিকে রজনীকান্তের এই ইচ্ছা পোষণের পর কেটে গেছে কয়েক বছর। তবে রূপান্তরকামী চরিত্রে তাকে দেখা যায়নি পর্দায়। অবশ্য এ নিয়ে আর কোনো কথাও বলেননি দক্ষিণি এই সুপারস্টার।  প্রসঙ্গত,  রজনীকান্তের সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘জেলার’ পরিচালনা করেছেন নেলসন। অ্যাকশন ঘরানার এই ছবিতে রজনীকান্তকে দেখা গেছে পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে। আরও অভিনয় করেছেন জ্যাকি শ্রফ, প্রিয়াঙ্কা মোহন, শিব রাজকুমার, তামান্না ভাটিয়া, রাম্য কৃষ্ণান, যোগী বাবু প্রমুখ।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৬

ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্র্যাকের স্পষ্ট অবস্থান জানতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করায় ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট অবস্থান জানতে চেয়ে দু-দফা বিক্ষোভ করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক ও অডিটোরিয়ামের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করার ব্যাখ্যা ও ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান কী তা বিবৃতির মাধ্যমে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। শিক্ষক আসিফ মাহতাব ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি কোনো ভুল থাকে তাহলে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্ষমা চাইতে হবে। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক মনে করেন তারা। দাবি আদায় না হলে ক্লাস বর্জন ও সেমিস্টার ফি বন্ধের হুঁশিয়ারিও দেয় তারা। তবে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষকরা। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। যাতে লেখা ‘সে নো টু এলজিবিটিকিউ’, ‘উই ডোন্ট প্রমোট এলজিবিটিকিউ’, ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটির নামে আমার দেশে ট্রান্স মতবাদ চলবে না।’ এর আগে সপ্তম শ্রেণির একটি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই ছিঁড়ে সমালোচনা করায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরই জের ধরে বিক্ষোভ করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়