• ঢাকা শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কেজরিওয়াল
ভারতের দিল্লির কারাবন্দি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবগারি দুর্নীতি মামলায় ২৩ দিনের জন্য জামিন পেয়েছেন।    শুক্রবার (১০ মে) দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই স্বস্তি পেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে আম আদমি পার্টির (এএপি) এই প্রধান নেতাকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, আজ সুপ্রিম কোর্টে ছিল কেজরিওয়ালের মামলার শুনানি। সেই শুনানি শেষেই আগামী ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। আগামী ১ জুন অর্থাৎ লোকসভা ভোটের শেষ দফা পর্যন্ত জেলের বাইরে থাকবেন কেজরিওয়াল। দিল্লির আবগারি নীতিকাণ্ডে গত ২১ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ২ জুন কেজরিওয়ালকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। উল্লেখ্য, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার হন। তার রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টি সে সময় জানিয়েছিল, গ্রেপ্তার হলেও কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন। গ্রেপ্তারের পর থেকে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বন্দি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার গ্রেপ্তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করে আম আদমি পার্টি (আপ)।
৮ ঘণ্টা আগে

জামিন পেলেন ড. ইউনূস
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাকি ১৩ আসামি। বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন অর্থ আত্মসাতের আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে সকালে ড. ইউনূস পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করেন। এরপর এ মামলায় হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে  ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামান, মাইনুল ইসলাম ও ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা করে মোট ৯ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।  একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না। দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  এদিকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।  
০২ মে ২০২৪, ১৪:২০

ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার জামিন
পৃথক দুই মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের ৩ কর্মকর্তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। সম্পত্তি দখল, অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের পৃথক দুই মামলায় আজ আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় আসামিদের স্থায়ী জামিন দেন। জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ট্রান্সকম গ্রুপের ব্যবস্থাপক আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক, অ্যাসিস্ট্যান্ট কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও করপোরেট ফাইন্যান্সের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এর আগে, গত ২১ এপ্রিল আসামিদের জামিন বাতিল করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মেয়ে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় পৃথক তিনটি মামলা করেন। মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করার অভিযোগ আনা হয়।  
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৯

জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণা, আইনজীবীকে আদালতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তার আইনজীবী নিখিল কুমার সাহার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এক সপ্তাহের জন্য আদালতে প্রবেশ করতে মানা করা হয়েছে তাকে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার সাহা। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত। জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জি কে শামীমের জামিনের আদেশ কার্যতালিকার ৪ নাম্বার সিরিয়ালে ছিল, যা দেখে অবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এটি কীভাবে আদেশের জন্য আসে, এ বিষয়ে শুনানিই তো হয়নি। পরে আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এজলাসে ডাকেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আইনজীবীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, ‘এটা কি করে হলো?’ এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী নিখিল কুমার। এ সময় প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘চালাকি করেন? কটা টাকার জন্য এসব করেন! কেন করেন?’ পরে নিখিল কুমার সাহাকে এক সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি পাল্টা যুক্তি দিতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেশি কথা বললে এক বছর নিষিদ্ধ করা হবে। এর আগেও জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল হাইকোর্টে। ২০২০ সালে মার্চ মাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাসখানেক আগে করা জামিন আবেদনে পুরো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও জামিন আদেশে ঠিকই লেখা ছিল পুরো নাম। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আটক সাবেক যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে তিনি জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে নাটকীয় এক অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৮

মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারকে জামিন দেননি আদালত
স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শাহনেওয়াজ। আর আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। এর আগে মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এ আদেশ দেন। বাবুল আক্তারের সঙ্গে অভিযোগপত্রভুক্ত অপর ছয় আসামি হলেন কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া। তাদের মধ্যে বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার কারাগারে আছেন। এহতেশামুল জামিনে, কামরুল শিকদার মুসা ও খাইরুল ইসলাম কালু শুরু থেকে পলাতক। ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় স্ত্রী মাহমুদা খানম ওরফে মিতুকে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পরেরদিন নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন স্বামী বাবুল আক্তার। এরপর ২০২১ সালের ১২ মে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। ওই সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মিতুকে হত্যা করা হয়।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৭

ধর্ষণ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন সেই মুশতাক
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদীকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত।  খন্দকার মুশতাক প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ও ফাওজিয়া রাশেদী কলেজটির অধ্যক্ষ। মামলার বাদী হলেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। সোমবার (২৯ এপ্রিল) নির্ধারিত দিনে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় মুশতাক ও রাশেদীর স্থায়ী জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। পাশাপাশি মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুকুর রহমান ভুইয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে গত ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত। মামলার অভিযোগে বাদী মো. সাইফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তার মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং তার মেয়েকে  ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে খন্দকার মুশতাক মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতেন। কিছুদিন পর আসামি ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন মুশতাক।  এরকম আচরণের বিষয়ে পরে মেয়েটি কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে। এ সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়ে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী, মুশতাককে তার কক্ষে ডেকে আনেন। পরে মেয়েটিকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দেন এবং মুশতাক আহমেদকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।  মামলার বিররণ অনুযায়ী, এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা মো. সাইফুল ইসলাম অধ্যক্ষের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি ফাওজিয়া রাশেদী, বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে সাইফুল ইসলাম উপায় না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে গত ১২ জুন ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে চলে যান। কিন্তু মুশতাক আহমেদ তার লোকজন দিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সেখান থেকে। এরপর সাইফুল ইসলাম জানতে পারেন যে তার মেয়েকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে খন্দকার মুশতাক আহমেদ অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করেছেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৪

ফের মামুনুল হকের তিন মামলায় জামিন 
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ধর্ষণ মামলায় জামিন পাওয়ার পর হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক ফের তিন মামলায় জামিন পেয়েছেন। এসব মামলা রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানায় বিভিন্ন সময় হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছন মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না। তবে এসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন। 
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৫

জামিন বাতিল, রাখিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ আদালতের
বলিউডে ড্রামা কুইন খ্যাত অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। কাজের চেয়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডেই বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁসের অভিযোগে মানহানির মামলা করেছেন প্রাক্তন স্বামী আদিল দুরানি। গ্রেপ্তার এড়াতে রাখি আগাম জামিনের আবেদন করলেও সেটা খারিজ করে দিয়েছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন রাখির আইনজীবী। কিন্তু সেটা খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।  গতকাল ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্টে আদিল বলেন, আজ আমার খুব আনন্দের দিন। কারণ, রাখির আগাম জামিন বাতিল করেছেন আদালত। শুধু তাই নয়, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাখিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোজা হিসাব, আগে রাখিকে জেলে যেতে হবে। এরপরই তার জামিন মিলবে। এদিকে রাখির আইনজীবী জানান, যে ভিডিও টিভি অনুষ্ঠানে দেখানো হয়েছে সেটা পাঁচ বছরের পুরোনো। আর ভিডিওর কোয়ালিটি এতোটাই খারাপ যে ঠিকভাবে কাউকে বোঝা যাচ্ছে না। পাশাপাশি রাখির স্বাস্থ্যগত অবস্থা ও চিকিৎসা পদ্ধতি বিবেচনা করে তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাবাসাদ এড়ানোর দাবি জানানো হয়। গেল বছরের ২৫ আগস্ট একটি টিভি অনুষ্ঠানে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও নিজের মুঠোফোনে রাখি প্রদর্শন করেন। সে সময় প্রায় ২৫-৩০ মিনিট দৈর্ঘ্যের মোট দুটি ভিডিও দেখানো হয়েছিল। পরবর্তীতে মুম্বাইয়ের আম্বোলি থানায় রাখির বিরুদ্ধে মানহানি ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন রাখির প্রাক্তন স্বামী আদিল। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, অশ্লীল ভিডিও সম্প্রচার করে গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করেছেন রাখি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৯

মেজর মান্নানসহ ৭ জনের জামিন বাতিলের বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানসহ সাতজনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তাদের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (২২ এপ্রিল) শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে দুদকের আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। অর্থ আত্মসাতের এ মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন পাওয়া অন্যরা হলেন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক পরিচালক আ ন ম জাহাঙ্গীর, রইস উদ্দিন, রোকেয়া ফেরদৌস, ডিএমডি ইনামুর রহমান, পরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ফখরে ফয়সল। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পরস্পর যোগসাজশে মেসার্স টেলিকম সার্ভিস এন্টারপ্রাইজের রাজিয়া সুলতানার নামে বিআইএফসি হতে মোট ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯২ টাকা ‍ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখিয়ে টাকা স্থানান্তর ও রূপান্তর ঘটিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ মামলায় গত ৭ মার্চ অভিযুক্ত সাতজনকে জামিন দেন মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ। পরে সেই জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৭

স্থগিতই থাকবে শিশু নূরীর মায়ের জামিন
আদালত প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মানববন্ধনে কান্না করে আলোচনায় আসা শিশু নূরীর মা হাফসা আক্তার পুতুলকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ওই স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে জামিন বহাল রাখতে হাফসা আক্তারের দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে চেম্বার জজ আদালতের দেওয়া আদেশ বহাল রইল আপিল বিভাগেও। সোমবার (২২ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দোজা বাদল। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ। প্রসঙ্গত, গত ২৯ নভেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন হয়। সেদিন নূরজাহান ও আকলিমার মতো মানববন্ধনে এসেছিল আরও কিছু শিশু। মানববন্ধনের ব্যানারে আয়োজক হিসেবে লেখা ছিল, ‘রাজবন্দিদের স্বজন’। মানববন্ধনে কান্না করে আলোচনায় আসা শিশু নূরীর বাবা আবদুল হামিদ ভূঁইয়া বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। শিশুর দাদা আবদুল হাই ভূঁইয়া ২৯ নভেম্বরের মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেছিলেন, তার বড় ছেলে হামিদকে পুলিশ খুঁজছে। তাকে না পেয়ে ছেলের স্ত্রী হাফসাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। অথচ হাফসা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়