• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভোটার টানতে ‘টিকটক জলসা’ করবে ইমরানের পিটিআই
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচন। এরই মধ্যে নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ বিরাজ করছে দেশটিতে। হামলা-সংঘর্ষের পাশাপাশি চলছে ধরপাকড়। এদিকে নির্বাচনের মাঠে বিরাজমান থাকতে গিয়ে প্রধান নেতা ও প্রতীক হারানোসহ বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ।  ইমরান কারাগারে থাকায় তাকে ছাড়াই ভোটের মাঠে নামছে দলটি। সভা-সমাবেশ করতে না পারায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তাই এখন সম্বল মনে করছে ইমরানসহ দলের অন্য নেতারা। এরই অংশ হিসেবে এবার ‘টিকটক জলসা’ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এর আগে নির্বাচনি প্রচারণার অস্ত্র হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও (এআই) সহায়তা নিয়েছিল তারা। খবর ডনের।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে এ তথ্য দিয়েছে পিটিআই। শনিবার  (৩ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮ টায় টিকটক জলসার আয়োজন করবে দলটি।  গতানুগতিক প্রচারণা চালাতে না পেরে পিটিআই এখন অভিনব কৌশলের ওপর নির্ভর করছে। পিটিআইয়ের সোশ্যাল মিডিয়া কৌশল পরিচালনাকারী মার্কিন-ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক জিবরান ইলিয়াস বলেছেন, ‘ইমরান খানকে ছাড়া আমাদের কোনও রাজনৈতিক সমাবেশ পূর্ণ নয়, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত উদ্ভাবনই এখন প্রয়োজনীয়।’ ইমরানের সমর্থকরা বলছেন, ২৪০ মিলিয়নের পারমাণবিক সশস্ত্র দেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পিটিআই একটি রাজনৈতিক ও সামরিক সংস্থার সঙ্গে লড়াই করছেন, যা দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানে আধিপত্য করে আসছে। জারকা সোহারওয়ার্দী তৈমুর নামে একজন পিটিআই সিনেটর বলেন, আমাদের প্রচারণা এখন শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে। তবে, আশ্চর্যের বিষয় হল যে সেখানে আমাদের অনেক মানুষ অনুসরণ করছে। এখানেই আমরা অনেকটা এগিয়ে আছি।’
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৯

পঞ্চগড়ে সালানা জলসা বন্ধের দাবি
পঞ্চগড়ে আবারও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানী) সালানা জলসা বন্ধের দাবি জানিয়েছে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ পরিষদ। সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইসলামী এ সংগঠনটি।  রোববার (২৮ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনটির নেতারা। এ দিকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে ৩ দিনব্যাপী আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেওয়ার সময় সম্মিলিত খতমে নবুয়াতের উপদেষ্টা মাহমুদুল আলম, সভাপতি আব্দুল হান্নান, সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ক্বারী মো. আব্দুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার সভাপতি আব্দুল হাই, ইসলামবাগ মসজিদের ইমাম আমিরুজ্জামানসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সংগঠনটির নেতারা জানান, পঞ্চগড়ের আহমদনগর এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন আগামী ২৩-২৫ ফেব্রুয়ারী ৩ দিনব্যাপী সালানা জলসার আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই জলসার মাধ্যমে তারা ইসলামের নামে কুফুরি মতবাদ প্রচার করে আসছে। তাদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। অবিলম্বে তাদের এ জলসা বন্ধ না করা হলে যেকোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এর দায় প্রশাসন ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা। সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ক্বারী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, কাদিয়ানীরা কুফুরি মতবাদ প্রচার করে। তাই তাদের দ্রুতই কাফের ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি আমরা। আগামী ২৩-২৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী সালানা জলসার আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। আমরা জলসা বন্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। জেলার অভিভাবক হিসেবে এ সময় আমাদের কিছু দাবি তার কাছে জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে দ্রুতই তার কক্ষে চলে যান। এ কারণে তার সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারিনি আমরা। যদি প্রশাসন আমাদের কথা না রাখে তাহলে অপ্রীতিকর কিছু হলে এর দায় প্রশাসনকে বহন করতে হবে। আহমদিয়াদের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ পরিষদ নামে এক ইসলামী সংগঠনের স্মারকলিপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম। উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ মার্চ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে ৬টি ইসলামী সংগঠন আন্দোলনে নামে। পরে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে এক আন্দোলনকারী নিহত হন। এ ছাড়া আহমদিয়াদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা। এতে কয়েক কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বলে দাবি করেছিল আহমদিয়ারা।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়