• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির গুজব ছড়াচ্ছে বিএনপি : রেলমন্ত্রী
ষড়যন্ত্র করাই বিএনপির কাজ মন্তব্য করে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, জনগণ জানেন কারা গুজব সৃষ্টি করে, কারা ট্রেনে আগুন দেয়, রেললাইনকে ধ্বংস করে। কিছুদিন আগে গোপীবাগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল বিএনপি। যেটা পুরো জাতি দেখেছে। যে আগুন ধরিয়েছিল সে নিজেই সব স্বীকার করেছে। আপাতত ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই, এটি গুজব। সোমবার (১৮ মার্চ) রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুধী সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। আসন্ন ঈদে টিকিট কালোবাজারি রোধে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানো হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, টিকিট অনলাইনে ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায়। আমরা এবার প্রতিটি টিকিটের মোবাইল নম্বর যাচাই করব। প্রতিদিনের তালিকা অনুযায়ী এনআইডি নম্বরগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। ট্রেনের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে কোনোরকম অনিয়ম ধরা পড়লে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এবার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সহজ ডট কমের সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ১৭ মার্চ রেলের ৯টি কোচ লাইনচ্যুতির ঘটনার সঙ্গে আগুন-সন্ত্রাসী বিএনপি ও বিএনপি সমর্থনকারী জামায়াত জড়িত দাবি করে রেলমন্ত্রী বলেন, যে ব্যক্তি ফিস প্লেট খুলছিল, সে ধাওয়া খেয়ে ব্যাগ ফেলে পালিয়ে গেছে। তার আইডি কার্ডসহ কাগজপত্র পাওয়া গেছে। সে মূলত কিছু টাকার বিনিময়ে এ কাজ করেছে। বিএনপি-জামায়াত এগুলো করে জনসমর্থন পাচ্ছে না। বরং আস্তে আস্তে জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে। তারা জানে মানুষ তাদের ভোট দেবে না, সেজন্যই এসব অপকর্ম করছে তারা যোগ করেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২২:০৩

গ্রামীন ব্যাংকের স্পষ্ট ব্যাখ্যার পরেও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ইউনূস সেন্টার
বাংলাদেশে গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণসহ সাতটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মধ্যকার দ্বন্দ্ব স্পষ্ট করেছে গ্রামীণ ব্যাংক। ১৭ ফেব্রুয়ারি ডাকা সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীন ব্যাংক স্পষ্ট করে বলেছে কেনো এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা কোন ব্যক্তির নয়। এরপরেও ১৮ ফেব্রুয়ারি আবারও ইউনূস সেন্টার বিবৃতি দিয়ে পাল্টা বক্তব্য হাজির করায় বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করছেন বিশ্লেষকরা।  অধ্যাপক ইউনূস অভিযোগ করেছেন যে, প্রতিষ্ঠানগুলো ‘জবরদখল’ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, 'তাদের টাকাতেই ওইসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে' দাবি করে গ্রামীণ ব্যাংক বলছে, আইন মেনেই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এখন আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ ঘটনা প্রবাহের শুরু গত সপ্তাহে। গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) অধ্যাপক ইউনূস সংবাদ সম্মেলন করে তার প্রতিষ্ঠানে 'জবর দখলের' অভিযোগ করেন। পাল্টা জবাব হিসেবে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, অধ্যাপক ইউনূসের দাবি সঠিক নয়। এর আগে, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকম ভবনের ঢুকে পড়ে এবং তারা মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ দাবি করেছেন, চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও গ্রামীণ ব্যাংকসহ বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোেত ড. ইউনূসের কোনো মালিকানা বা অংশ নেই। ‌‌ ‘সব প্রতিষ্ঠানই তৈরি করা হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায়, এসব প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের’; শনিবার সাংবাদিকদের বলেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইফুল মজিদ। গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো প্রতিষ্ঠানে ড. ইউনূসের মালিকানা নেই বলে ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে ইউনূস সেন্টার বলেছে, ড. ইউনূস নিজেই বারবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকসহ তাঁর সৃষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানে তাঁর কোনো শেয়ার বা মালিকানা নেই। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক ব্যতীত তাঁর প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর ২৮ ধারা অনুসারে গঠিত। যার কোনো ধরনের মালিকানা থাকে না। গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণে ড. ইউনূস আর চেয়ারম্যান নেই, নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বক্তব্য হচ্ছে, গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকমের জন্মলগ্ন থেকে ড. ইউনূস চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত আছেন।  গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণে ড. ইউনূস আর চেয়ারম্যান নেই, নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বক্তব্য হচ্ছে, গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকমের জন্মলগ্ন থেকে ড. ইউনূস চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত আছেন। প্রতিষ্ঠান দুটির শুরুতে তাদের আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনে চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা গ্রামীণ ব্যাংকের হাতে ছিল। পরে প্রতিষ্ঠান দুটি পরিচালনার সুবিধার্থে কোম্পানি আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী গ্রামীণ কল্যাণের আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনের ৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। সেটি ২০১১ সালের ২৫ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংকের যুক্তি অপেক্ষাকৃত গ্রহণযোগ্য এবং তারা তাদের যুক্তির অংশ হিসেবে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি নিবে। ড. ইউনূস একভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানা চাইতে পারেন কিনা প্রশ্নে ব্যাংকের চেয়ারম্যান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এটা অসম্ভব। তিনি নিজেও সেটা জানেন। এখানে যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বলা হচ্ছে তার কোন মালিকানা থাকে না। উনি নিজেকে কেনো এখনও চেয়ারম্যান দাবি করছেন সেটাও আমাদের বোধগম্য নয়। গ্রামীন ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার বলেন, কমপ্রিহেন্সিভ অডিট করছি। সেখানে খুব চাঞ্চল্যকর বিষয় উঠে আসছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ড. ইউনূস যখন ব্যাংকের এমডি ছিলেন সেই সময় বোর্ডের মাধ্যমে। এটার মালিকানা তিনি নিজে ব্যক্তি হিসেবে কীভাবে দাবি করতে পারে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৩

উত্তাপ ছড়াচ্ছে ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন : মেয়র পদে ৭ প্রার্থী
আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে (মসিক) সামনে রেখে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সাতজন প্রার্থী। সেই সঙ্গে ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৪ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৬৯ জন প্রার্থী। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকেল পৌনে ৫টায় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে নগরীর অলিগলিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ভোটের হাওয়া। ফলে প্রার্থীদের জমজমাট প্রচার-প্রচারণায় উৎসবমুখর নির্বাচন আশা করছেন নগরবাসী। মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করা প্রার্থীরা হলেন- সদ্য পদত্যাগ করা সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল হক খান (টজু), মহানগরের সহসভাপতি অধ্যাপক গোলম ফেরদৌস জিলু, প্রয়াত পৌর মেয়র মাহমুদ আল নূর তারেকের ছেলে অ্যাডভোকেট ফারমার্জ আল নূর রাজীব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহীদুল ইসলাম (স্বপন মণ্ডল) এবং কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ২২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে দেওয়া হবে প্রতীক বরাদ্দ। জানা যায়, দেশের অষ্টম বিভাগ ময়মনসিংহ শহরের ১১৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী পৌরসভাকে বিলুপ্ত করে ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর সিটি করপোরেশন ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। ওই সময় ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মো. ইকরামুল হক টিটু। এরপর মসিক গঠনের পর টিটুকে প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করে সরকার। পরে ২০১৯ সালের ৫ মে অনুষ্ঠিত হয় এই সিটি করপোরেশন প্রথম নির্বাচন। সে সময় প্রশাসক পদে থেকেই নির্বাচনে অংশ নেন টিটু। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।       তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপির কোনো প্রার্থী অংশ না নিলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছয়জন এবং জাতীয় পার্টি থেকে একজন প্রার্থী নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে এবারের নির্বাচনে জমজমাট ভোটের লড়াইয়ে আশা করছেন ক্ষমতাসীনরা। যদিও উল্টো কথা বলছে বিএনপি।   উল্লেখ্য, বর্তমানে সিটি করপোরেশনে ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ৪৯০ জন। এরমধ্যে এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৭১ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৭২ হাজার ৬১০ জন নারী। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে নয়জন। এতে মোট ভোটে কেন্দ্র রয়েছে ১২৮টি। ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। 
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়