• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভাতিজার অস্ত্রের আঘাতে চাচা খুন
গাইবান্ধায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে ভাতিজার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কাপড় ব্যবসায়ী চাচা মাজেদুল ইসলাম ওরফে মাহফুজ নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও অন্তত দুইজন।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের হাসেমবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ নীলুফা সুলতানা রেনু (৫০) নামে একজনকে আটক করেছে।  নিহত মাহফুজ সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের হাসেমবাজার হাজিপাড়া এলাকার আবু তাহের সরকারের ছেলে। নিহতের স্বজনরা জানান, সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের হাসেমবাজার হাজিপাড়া এলাকার আবু তাহের সরকারের সঙ্গে মৃত ফইম উদ্দিনের ছেলে মোকছেদুর রহমানের ৬২ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এনিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এরই জের ধরে আজ বিকেল ৪টার দিকে মোকছেদুর রহমান (৫০), মৃত ফইম উদ্দিনের ছেলে ফজলুল মিয়া ও ওসমান গনি, মোকছেদুর রহমানের ছেলে সিয়াম মিয়া (২৩), আব্দুল মালেকের ছেলে মোতালেব (৪০), আবুল মিয়ার ছেলে মাজেদ মিয়া (৩৮), তুহিন মিয়ার ছেলে জন্নুন মিয়া, মৃত নয়া মিয়ার ছেলে পিপুল মিয়া, মালেক মওলানার ছেলে তুহিন মিয়াসহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন ব্যক্তি আবু তাহের সরকারের ২০ শতক জমি দখল করতে যায়। এ সময় আবু তাহেরের ছেলে মাজেদুল ইসলাম ওরফে মাহফুজ, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ ও মাসুম মিয়া ওরফে গামা জমি দখলে বাধা দেয়। এতে মোকছেদুর রহমানের লোকজন তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে আক্রমণ চালায়। আবু তাহেরের ছেলে মাহফুজ মাটিতে পড়ে যায়। তখন মোকছেদুর রহমানের ছেলে সিয়াম মিয়া (সম্পর্কে চাচা) মাহফুজের গলায় দালালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। অন্যান্যরা তাকে এবং তার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ ও মাসুম মিয়া ওরফে গামাকে এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে। আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহফুজকে মৃত ঘোষণা করে। আহত মাসুদ ও গামাকে হাপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত মাহফুজ গাইবান্ধা সদর উপজেলার দাড়িয়াপুর হাটে কাপড়ের ব্যবসা করতো। তার দুই ছেলে সোহাগ (১০) ও সজিব (৬) নামে দুই ছেলে রয়েছে। স্ত্রী সীমা আক্তার মিম বলেন, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই। আমার দুই ছেলেকে যারা এতিম করল তাদের বিচার চাই। গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মোকছেদুর রহমানের স্ত্রী নীলুফা সুলতানা রেনুকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৭

ভাতিজিকে ধর্ষণচেষ্টা, চাচা আটক
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ভাতিজিকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় চাচা শহীদুল ইসলাম শহীদকে (৪৬) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সদর থানাধীন গেইটপাড় সিএনজিস্ট্যান্ড হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  শহীদুল ইসলাম সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের করগ্রাম এলাকার আব্দুস সবুরের ছেলে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র‌্যাব-১৪ সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার আবরার ফয়সাল সাদী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। কমান্ডার আবরার জানান, শহীদুল ইসলাম সম্পর্কে ভুক্তভোগীর চাচা হন। ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর রাতে তার ভাতিজি প্রকৃতির ডাকে বাইরে আসলে মুখে গামছা বেঁধে পুকুরের পূর্ব পাড়ে সরিষার খেতে নিয়ে জোরপূর্বক শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন চাচা শহীদুল। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে শহীদুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী (১৬) নিজে বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা করেন। সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল সদর থানার গেইটপাড় সিএনজিস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। র‌্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, আসামিকে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৮

জমি নিয়ে বিরোধে ভাইপোর হাতে চাচা খুন
নড়াইলের লোহাগড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ওলিয়ার মোল্যা (৬৫) নামে এক কৃষক খুন হয়েছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮ টায় দিঘলিয়া ইউয়িনের চরদিঘলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  ওলিয়ার মোল্যা চরদিঘলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মোল্যার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওলিয়ার মোল্যার সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল চাচাতো ভাই রোকনউদ্দিন মোল্যার। শনিবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে চাষাবাদের জন্য যায় ওলিয়ার। জমিতে যাবার পথে রোকউদ্দিনের দুই ছেলে রবিউল ও রিয়াদ দলবল নিয়ে ওলিয়ার মোল্যার ওপর আক্রমণ করে। এ সময় তারা কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোজকন খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ওলিয়ারকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।   নিহতের স্ত্রী আছমা বেগম অভিযোগ করেন, নিজ বাড়ি থেকে বিলে কাজের উদ্দেশ্য যাবার পথে পঞ্চপল্লীর মাতুব্বর ফিরোজ, মফিজ, রোকন মোল্যার নেতৃত্বে রবিউল, রিয়াদসহ অন্তত ২০-২৩ জনে আমার স্বামীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি করেন। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ কাঞ্চন কুমার রায় জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১২

বলাৎকারের ঘটনা প্রকাশ করায় সাব্বিরকে হত্যা করেন চাচা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মাদরাসা ছাত্র সাব্বির হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নিজ চাচার বলাৎকারের প্রতিবাদ করায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়। পুলিশ অভিযুক্ত চাচা ইমরান আকন্দকে গ্রেপ্তার করছে। গ্রেপ্তারের পর তিনি পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইবনে মিজান এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার ইমরান আকন্দ সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের আলেক আকন্দ গটুর ছেলে। হত্যার শিকার সাব্বির একই গ্রামের আনিছুর রহমান খুরুর ছেলে ও রাঘবপুর এতিম খানা ও হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র। ইমরান আকন্দ সাব্বিরের আপন ছোট চাচা। পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানায় সাব্বিরকে সে দীর্ঘ তিন বছর ধরে শারীরিকভাবে নির্যাতন (বলাৎকার) করে আসছিল। সাব্বির ঘটনাটি অভিভাবকদের জানায়। পরে পরিবারের লোকজন ইমরানকে রাগারাগি করলে গত ১৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে কৌশলে সাব্বিরকে ডেকে নিয়ে বসতবাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে কলা খেতে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর আলাই নদীর পাড়ে জঙ্গলে লুকিয়ে রাখেন। তার গায়ের গেঞ্জি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে শনাক্ত করা হয়। পরে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৮টার দিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামি ইমরান আকন্দকে সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম রাঘবপুর গ্রামে তার শ্বশুর আব্দুর রউফের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান আকন্দ পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। পরে তাকে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার সি-সার্কেল উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ উপস্থিত ছিলেন।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়