• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেড়েই চলছে নারী নির্যাতন
বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে। কিন্তু তারপরও নারীর প্রতি সহিংসতা যেন কমছে না। বিভিন্ন উপায়ে বেড়েই চলছে নারী নির্যাতন। কোনো নারী প্রতারণার মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। আবার কোনো নারীকে হয়তো বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হচ্ছে। কেউ হয়তো সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এ ব্যাপারে মামলাও হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুসারে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০২৩ সালে সারাদেশে শুধু থানায় ১৮ হাজার ৯৪১টি মামলা হয়েছে। এক ভুক্তভোগী নারী জানান, তিনি প্রতারণার মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, পরিচিত এক বাসচালক তাকে গাজীপুর থেকে রংপুরের বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই নারী জানান, বিয়ের কথা বলে তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। আরেক নারী জানান, তিনি স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুসারে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত বছর সারাদেশে শুধু থানায় ১৮ হাজার ৯৪১টি মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৬ থেকে সাড়ে ২২ হাজার মামলা হয়েছে। মূলত নারী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হলে তা পুলিশের পরিসংখ্যানে আসে। এ ছাড়া আদালতেও মামলা হয়। থানায় যত মামলা হয়, তার প্রায় ১০ শতাংশের সমপরিমাণ আদালতে হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, এখন নাগরিকদেরও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরির কাজে নামতে হবে। গত ৩১ মার্চ গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার। যখন যে ঘটনা ঘটছে, পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। এখন গণমাধ্যমকেও সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা নিতে হবে। অনলাইনেও নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পুলিশ সাইবার সাপোর্ট সেন্টার ফর উইমেনের (পিসিএসডব্লিউ) তথ্য অনুসারে, গত ১৫ মাসে অনলাইনে ভুয়া আইডি (পরিচয়) খোলা, আইডি হ্যাক, প্রতারণা, মুঠোফোনে হয়রানি এবং আপত্তিকর আধেয় বা কনটেন্ট ছড়ানোর সাড়ে ১২ হাজারের বেশি অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) গণমাধ্যমকে বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে তার মন্ত্রণালয় সচেতনতা সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন ও আইনি সহায়তা দেওয়ার কাজ করছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেষ্ট নয়, সেটা ঠিক।  ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র মাধ্যমে দরিদ্র নারী-পুরুষ, শ্রমিক এবং কারাবন্দীদের আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে আইন মন্ত্রণালয়। সংস্থাটির ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রতিবেদন অনুসারে, ওই বছর সারাদেশে ৩২ হাজারের বেশি মামলায় সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তবে সেখানে নারীর জন্য কতটা সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তা আলাদা করে বলা নেই।  ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) তথ্য বলছে, গত ২৩ বছরে সেখান থেকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন এবং দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় ৬২ হাজারের বেশি নারী ও শিশু সহায়তা পেয়েছে। মামলা হয়েছে মাত্র ১৯ হাজার ৪৪১টি। এর মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ ক্ষেত্রে রায় হয়েছে এবং সাজা কার্যকর হয়েছে ১ শতাংশের কম। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সংকলিত তথ্য বলছে, গত বছর ধর্ষণের শিকার হন ৫৭৪ জন এবং আরও ৩৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। স্বামীর হাতে খুন হন ২০৭ জন। আরও ৬৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে যৌতুকের কারণে। একই কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৪২ জন নারী। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১৪২ জন। অ্যাসিড মারা হয়েছে ১০ জনকে। নারী নির্যাতনের কথা জানিয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ গত বছর তাৎক্ষণিক অভিযোগ এসেছে ২৬ হাজার ৭৯৭টি। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে মামলার জট কমাতে বিচারপ্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন আনা দরকার। পাবলিক প্রসিকিউটর রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ না দিয়ে ক্যাডার সার্ভিস থেকে ধাপে ধাপে নিয়োগ দিতে হবে।  তিনি বলেন, কঠোর সাজার ভয়ে লোকে অপরাধ করবে না, এই ভাবনা থেকে কোনো কোনো অপরাধের শাস্তি বাড়ানো হয়। এর ফলে বিচারকের আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করার হার কমে। কারণ, বিচারক মনে সামান্য সন্দেহ রেখেও বড় সাজা দিতে চান না। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা দরকার।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৬

নড়াইলে চলছে গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসব
বানরের তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে ওঠার অংক করতে গিয়ে কল্পনায় এমন দৃশ্য হয়তো অনেকেই এঁকেছে। কিন্তু বাস্তবে তৈলাক্ত কলাগাছ বেয়ে ওঠার মতো এমন অসাধ্য কাজ কী করেছেন কখনো? নড়াইলে এস এম সুলতানের ৯৯তম জন্মজয়ন্তীতে দেখা গেলো অসম্ভব সে চ্যালেঞ্জ নিতে দুর্দান্ত শিশুদের হার না মানা প্রয়াস।  আর তা উপভোগ করতেই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকেই। অভূতপূর্ব এ দৃশ্য নিজ চোখে অবলোকনের সুযোগ হারাতে চান না কেউই। শুধু কলা গাছ বেয়ে ওঠাই নয়। এখানে আয়োজন করা হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাড়ি ভাঙা প্রতিযোগিতা। যেখানে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে চোখ বেছে প্রতিযোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয় হাতে একটি লাঠি দিয়ে। আর সে লাঠি দিয়ে মাটিতে রাখা হাড়ি ভাঙার চেষ্টা করে প্রতিযোগী। যদিও এই কাজটিও খুব একটা সহজ নয়। তবে সফল যিনি হচ্ছেন, তার সঙ্গে উল্লাসে মাতছেন দর্শকরাও। দারুণ এসব খেলা উপভোগ করতে আসা গ্রামবাসী মনে করে নিয়মিত এসব আয়োজন পারে যুবকদের মাদক-নেশা থেকে দূরে রাখতে।  খেলা দেখতে আসা একজন জানান, আমার খুব ভালো লাগছে। এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলে ছেলেমেয়েরা কেউই মাদকে আসক্ত হবে না। নতুন প্রজন্ম আগের দিনের খেলার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে। গত ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া এ আয়োজন চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩২

চলছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন : এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচন চলছে বিএফডিসি প্রাঙ্গণে। নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক রাখতে ও সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে পুরো এফডিসিজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।  এদিন এফডিসির মূল ফটক থেকে এফডিসির বিভিন্ন জায়গায় প্রায় আড়াই শ’ পুলিশ সদস্যসহ সাদা পোশাকে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত লক্ষ্য করা যায়।  সরেজমিনে দেখা যায়, অভিনয়শিল্পী, প্রযোজক, পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ এফডিসির বিভিন্ন ইউনিট সদস্যদের নিজ নিজ সমিতির পরিচয়পত্র ছাড়া ভেতরে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।  এফডিসি সূত্র জানায়, এফডিসির নিরাপত্তার স্বার্থে এফডিসির বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি ৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এর আগে সকাল নয়টার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংগঠনের ভোটগ্রহণ। নির্বাচনের প্রথম ভোট প্রদান করেন অভিনেতা ডা. এজাজ।  ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একটি মিশা-ডিপজল পরিষদ, অন্যটি কলি-নিপুণ পরিষদ। এর মধ্যে সভাপতি পদে লড়ছেন একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক মাহমুদ কলি ও দাপুটে খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর।  অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে গেল আসরের মতো এবারও প্রার্থী হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তার বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর’খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে মধ্যাহ্নভোজের জন্য। এবারের মোট ভোটার ৫৭০ জন। তারাই বেছে নেবেন আগামী দুই বছরের চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতা-অভিভাবক।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২১

জোরেশোরে চলছে কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়ার কাজ (ভিডিও)
কারওয়ান বাজার সরিয়ে নিতে যাত্রাবাড়ী ও গাবতলিতে আড়তদারদের দোকান বরাদ্দ দেওয়ার কাজ হাতে নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না গেলে নতুন জায়গার বরাদ্দ বাতিলের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মেয়র। গাবতলিতে যেতে না চাইলেও যাত্রাবাড়ীতে আপত্তি নেই ব্যবসায়ীদের, সেক্ষেত্রে রয়েছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসেই কাঁচাবাজার খালির কাজ শুরু হচ্ছে।  শত বছরের পুরোনো কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার এমন ঘোষণা আসলেও শেষ মুহূর্তে আলোর মুখ দেখেনি। তবে এবার ২৮ মার্চ কারওয়ান বাজারে অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয় সরানোর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারওয়ান বাজারের ১৭৬টি পাইকারি দোকান গাবতলিতে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেখানে মূলত উত্তরবঙ্গ থেকে আসা পণ্যের জন্য পাইকারি আড়তের কথা বলছে ডিএনসিসি। তবে ব্যবসায়ীরা যেতে চান যাত্রাবাড়ীতে। এ বিষয়ে কাওরান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, দুই তিন প্রজন্ম ধরে তারা এখানে ব্যবসা করছেন। কৃষকদের টাকা দাদন দেওয়া আছে। বিভিন্ন জায়গাতে টাকা পড়ে আছে। এই মুহূর্তে বাজার সরালে তাদের টাকাগুলো উদ্ধার না-ও হতে পারে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, যাত্রাবাড়ীর মার্কেটটি দীর্ঘদিন পড়ে আছে অবহেলায়। সেখানে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা পণ্যের জন্য আড়তের আন্ডারগ্রাউন্ডে যাদের বরাদ্দ মিলবে, তাদের জন্য ৯০ স্কয়ার ফিট বেশি থাকবে। কাঁচাবাজারের পর পর্যায়ক্রমে মার্কেটের অন্যান্য দোকানও সরিয়ে নেওয়া হবে। এর আগে কারওয়ান বাজার স্থানান্তর কমিটির সদস্য ও ডিএনসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী নাঈম রায়হান খান বলেছিলেন, কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ত ভবনে থাকা ১৭৬ জন ব্যবসায়ীই শুধু ভবনের ভেতর দোকান বরাদ্দ পাবেন। অস্থায়ী কাঁচাবাজারের ১৮০ জন ব্যবসায়ীকে বাজারের পূর্ব পাশে খালি জায়গায় দোকান দেওয়া হবে। বেশির ভাগ দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে দক্ষিণ পাশের ভবনে। ঢাকা উত্তর সিটির সূত্র অনুযায়ী, কারওয়ান বাজার আড়ত ভবনে নিচতলায় ৪০০ বর্গফুটের ৬২টি ও দোতলায় ১৭০ বর্গফুটের ১১৪টি দোকান রয়েছে। আর আড়ত ভবনের দুই পাশে টিনের ছাউনির নিচে অস্থায়ী কাঁচাবাজারে ১৮০টি দোকান রয়েছে। ২০০ বর্গফুট আয়তনের এসব দোকান সম্পত্তি বিভাগ থেকে বরাদ্দ দেওয়া।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৬

ধনবাড়ীতে মেলাকে কেন্দ্র করে চলছে অশ্লীল নৃত্য
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন মাঠে শুরু হয়েছে জাঁকজমকপূর্ণভাবে গ্রামীণ মেলা। আর এ মেলার নামে প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীল নৃত্য আর বিকট শব্দের গান। এসব অশ্লীল নৃত্য দেখে বিপথগামী হচ্ছে শিক্ষার্থী, যুবক ও উঠতি বয়সের ছেলেরা। অশালীন কর্মকাণ্ড দ্রুত বন্ধের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল। অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন দপ্তর মেনেজ করেই এ কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।  অভিযোগে জানা যায়, মেলায় জাদু খেলার নামে প্যান্ডেলের ভেতরে চলে অশ্লীল নৃত্য। নৃত্যের জন্য আনা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সী নারী। বিকেল থেকে শুরু হওয়া নৃত্য চলে পুরো রাতজুড়ে। একশ টাকার টিকিটে লাইন ধরে ঢোকানো হয় দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীর তালিকার বড় একটি জায়গায় রয়েছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বয়সী যুবকেরা। মেলায় দোকান নিয়ে আসা রহিম মিয়া, আব্বাস উদ্দিন, সিদ্দিক হোসেন ও শরাফত আলী বলেন, ধনবাড়ীর মেলার ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগে দোকানীরা আসতো সামগ্রী নিয়ে। এখন আসে না। মেলায় দোকান বসালেই ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা, জায়গা যেমন ঝুড়ির দোকানে বেশী জায়গা নিলে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেয় কমিটির লোকেরা। এই টাকা তো সরকারের ঘরে জমা হয় না। মেলার নামে চলছে এখন অশ্লীল নৃত্য। ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ মেলাটি ধনবাড়ীর ঐতিহ্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এগুলো বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, ধনবাড়ীর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী ব্রিটিশ সরকারের নিকট বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি ১ম উত্থাপন করে ছিলেন। বাংলার প্রতি অঘাত ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ ১৯২১ সালে বাংলা নববর্ষে ১ বৈশাখে ধনবাড়ীর বৈশাখী মেলার সূচনা করেন। মেলাকে প্রসারিত করতে ১ বৈশাখে বিভিন্ন হস্ত, কুটিরশিল্প ও পালাগানের উৎসব চালু করেন। সেই থেকেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে গ্রামীণ মেলা।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০৭

কেন গতি কমিয়ে চলছে ট্রেন
বছরের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। মাসের অর্ধেক পার না-হতেই তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ তাপমাত্রা রেলপথেও বাধতে পারে বিপত্তি। ফলে দুর্ঘটনা রোধে সব ধরনের ট্রেনের গতি কমিয়ে চালাতে বলেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিভিন্ন সেকশনের লোকোমাস্টার ও রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কমার তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিন রেলওয়ের এই নির্দেশনা মেনে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের একটি সেকশনের ট্রেনকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার বেগে চলতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সেকশনের লোকমাস্টারদের বরাত জানা গেছে, তাপমাত্রার কারণে লাইন বেঁকে যায়, তাই রেলওয়ের কন্ট্রোলরুম থেকে গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। মূলত সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ নির্দেশনা চলমান থাকলেও এটি তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে। রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, গরমে লাইন বেঁকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য একটি স্ট্যান্ডিং অর্ডার রয়েছে। তবে স্থান, কাল, পাত্রের ওপর নির্ভর করে নির্দেশনা কার্যকর হবে। অর্থাৎ, কর্মকর্তারা ট্র্যাকের টেম্পারেচার কেমন, পরিবেশ কেমন দেখার পর নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, নতুন ট্র্যাকগুলো ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নিতে পারে। তবে পুরোনো ট্র্যাকগুলোতে এত বেশি তাপমাত্রা নিতে পারে না। এজন্য সবকিছু বিবেচনা করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪০

দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চলছে বঙ্গবাজারে  
রাজধানীর বঙ্গবাজারে বহুতল নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানে ভেঙে ফেলা হচ্ছে অস্থায়ী সব দোকান।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকেই এই কার্যক্রম শুরু করে সিটি কর্পোরেশন।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবাজারের সামনের অংশে একটি ভেকু দিয়ে বাঁশের কাঠামো সরিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থেকে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সেখানে উপস্থিত থেকে মোবাইলে উচ্ছেদ অভিযানের দৃশ্য ধারণ করতে দেখা যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউ। এর আগে গতকাল (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বঙ্গবাজারের অস্থায়ী দোকানগুলো উচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু হয়। সংস্থাটির সম্পত্তি বিভাগের উদ্যোগে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গত বছরের ৪ এপ্রিল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায় রাজধানীর সবচেয়ে পুরোনো ও জনপ্রিয় পাইকারি কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজার। পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজারের আধুনিকায়ন করে সেখানে ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। সেখানে ১.৭৯ একর জায়গার ওপর ১০ তলাবিশিষ্ট একটি আধুনিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা সিটি কর্পোরেশনের। সেইসঙ্গে বঙ্গবাজারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান।  পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে গ্রাউন্ড ফ্লোর ও বেজমেন্ট ছাড়াও থাকবে মোট আটটি ফ্লোর। ভবনে থাকবে তিন হাজার ৪২টি দোকান। প্রতিটি দোকানের আয়তন হবে ৮০-১০০ স্কয়ার ফুট। ভবনটিতে থাকবে আটটি লিফট। এর মধ্যে চারটি থাকবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য। আর বাকি চারটি কার্গো লিফট থাকবে মালামাল ওঠানো-নামানোর জন্য। এছাড়া থাকছে গাড়ি পার্কিং, খাবারের দোকান, সমিতির অফিস, নিরাপত্তাকর্মী এবং সেখানকার কর্মীদের আবাসন ব্যবস্থা। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা। ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১০ তলাবিশিষ্ট আধুনিক এ ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে মোট ৩৮৪টি, প্রথম তলায় ৩৬৬টি, দ্বিতীয় তলায় ৩৯৭টি, তৃতীয় তলায় ৩৮৭টি, চতুর্থ তলায় ৪০৪টি, পঞ্চম তলায় ৩৮৭টি, ষষ্ঠ তলায় ৪০৪টি ও সপ্তম তলায় ৩১৩টি দোকান থাকবে। এ ছাড়া, অষ্টম তলায় দোকান মালিক সমিতির অফিস, কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা রাখা হবে। ভবনের পার্কিংয়ে একসঙ্গে প্রায় ১৮৫টি গাড়ি ও ১১০টি মোটরসাইকেল পার্কিং করা যাবে। ভবনটিতে ২২টি খাবারের দোকান রাখা হবে। সেইসঙ্গে নকশায় আরও ৮১টির বেশি দোকান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।  বঙ্গবাজারের পুরাতন মার্কেটটি মূলত বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, আদর্শ ইউনিট, মহানগর ইউনিট ও গুলিস্তান ইউনিট নিয়ে গঠিত ছিল। গত ৪ এপ্রিল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মার্কেটগুলো পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়। এছাড়া, মহানগর শপিং কমপ্লেক্স, এনেক্সকো টাওয়ার, বঙ্গ হোমিও মার্কেট এবং বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটের কিছু অংশেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে তিন হাজার ৮৪৫ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০৩ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এতোদিন পর্যন্ত পুড়ে যাওয়া মার্কেটের ফাঁকা স্থানে শামিয়ানা ও ছোট ছোট চৌকি বসিয়ে কোনোমতে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৯

বর্ষবরণে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি 
দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ। পুরনোকে বিদায় জানিয়ে আসছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবেন বাঙালি। বৈশাখকে বরণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।  নববর্ষ বরণে ঢাবির চারুকলা অনুষদের দেয়ালে ইতোমধ্যে বিভিন্ন চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। দেয়ালে দেয়ালে ফুটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক, বুড়িগঙ্গার নৌকা, মা ও প্রকৃতির বিভিন্ন চিত্র। শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রে ঠাঁই পেয়েছে ফুল, মাছ, নৌকা, বাঘ, ময়ূরসহ নানা ফুল-পাখি। দর্শকরা ঘুরে ঘুরে চারুশিল্পীদের আঁকা বিভিন্ন চিত্র দেখছেন। এ ছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য চারুকলার ভেতরে চলছে মুখোশ, পুতুল ও ছবি আঁকার কাজ।  চারুকলার শিল্পী ইলহাম গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করি, বাকি কাজ রাতের মধ্যেই শেষ হবে। এদিকে ঢাবির চারুকলা অনুষদ থেকে রোববার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। রোববার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্ক ঘুরে টিএসসিতে এসে শেষ হবে। এ ছাড়া বিকেল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। এদিকে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলায় জেলায় বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এবার তাদের পহেলা বৈশাখের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠানটি হবে যশোরে। এ ছাড়া খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নেত্রকোনা, বরিশালে নববর্ষ পালনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, ছায়ানটের বর্ষবরণ সফল করতে আমরাও সহযোগিতা করছি। বর্ষবরণে উদীচী কার্যালয়ে ঘরোয়াভাবে আনন্দ আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে। নববর্ষ আয়োজনের নিরাপত্তা সম্পর্কে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর জানান, পহেলা বৈশাখ বাঙালির ঐতিহ্য। বর্ষবরণ প্রস্তুতির শুরু থেকেই এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পহেলা বৈশাখের সব আয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ছায়ানটের অনুষ্ঠানকে নির্বিঘ্ন করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রমনা পার্কে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এ ছাড়া আশপাশের ভবনের সিসি ক্যামেরাগুলোও আমরা মনিটরিং করব।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৪

চারুকলায় বর্ষবরণে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়েই। তাই বৈশাখকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত পুরো জাতি। বর্ষবরণের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এবার নববর্ষ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন তারা। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভেতরে হাতি এবং টেপা পুতুলের বিশাল আকৃতির ভাস্কর্য তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এগুলোর কাঠামো দাঁড় করানো হয়েছে। এখন তাতে কাগজ লাগিয়ে রং করা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন পশু-পাখির আদলের মুখোশ তৈরি হচ্ছে। এর মধ্য বাঘের মুখাবয়ব, প্যাঁচা, ফল এবং রাজা-রানিসহ একাধিক মুখোশ তৈরি করা হয়েছে। রঙিন কাগজের ওপর বিভিন্ন নকশা এঁকে তৈরি করা হচ্ছে এসব মুখোশ। শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিবারই প্রবীণতম ব্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পালন করে। তবে তাদের সঙ্গে অন্যান্য ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীরাও কাজ করছেন। মঙ্গল শোভাযাত্রার আগ পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চলবে। যেহেতু সময় কম, তাই কষ্ট একটু বেশি হচ্ছে, এরপরও কাজটি বেশ উপভোগ করছেন তারা। এবার জাঁকজমকপূর্ণভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গল শোভাযাত্রা উপকমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শোভাযাত্রার আগমুহূর্ত পর্যন্ত প্রস্তুতি চলবে। ঢাকায় যেসব শিক্ষার্থী রয়েছেন, তাদের নিয়েই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন এবারের শোভাযাত্রাও বড় পরিসরে করা যায়। গত ২১ মার্চ বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রার এ প্রস্তুতি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিল্পী হাশেম খান। এ বছর কবি জীবনানন্দ দাশের ‘তিমির হননের গান’ কবিতা থেকে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ চরণটিকে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৮

আজ থেকে আবার চলছে মেট্রোরেল
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবার মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই চলছে এ মেট্রোরেল। ফলে যাত্রীরা আগের মতোই বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির এই গণপরিবহনে ভ্রমণ করতে পারছেন। এর আগে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম.এ.এন. ছিদ্দিক জানান, ঈদের জন্য মেট্রোরেল শুধু ঈদের দিন (১১ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া পরের দিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সাপ্তাহিক বন্ধ যথারীতি কার্যকর থাকবে। সে হিসেবে মেট্রোরেল টানা দুই দিন বন্ধ থাকবে। পরে শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে আবারও যথানিয়মে মেট্রোরেল চলাচল করবে। বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ৭টা ১০ মিনিটে দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনে উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় ছেড়ে যায়।  এ ছাড়া দিনের শেষ ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে রাত ৮টায় এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায়।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়