চারুকলায় বর্ষবরণে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়েই। তাই বৈশাখকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত পুরো জাতি। বর্ষবরণের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এবার নববর্ষ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভেতরে হাতি এবং টেপা পুতুলের বিশাল আকৃতির ভাস্কর্য তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এগুলোর কাঠামো দাঁড় করানো হয়েছে। এখন তাতে কাগজ লাগিয়ে রং করা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন পশু-পাখির আদলের মুখোশ তৈরি হচ্ছে। এর মধ্য বাঘের মুখাবয়ব, প্যাঁচা, ফল এবং রাজা-রানিসহ একাধিক মুখোশ তৈরি করা হয়েছে। রঙিন কাগজের ওপর বিভিন্ন নকশা এঁকে তৈরি করা হচ্ছে এসব মুখোশ।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিবারই প্রবীণতম ব্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পালন করে। তবে তাদের সঙ্গে অন্যান্য ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীরাও কাজ করছেন। মঙ্গল শোভাযাত্রার আগ পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চলবে। যেহেতু সময় কম, তাই কষ্ট একটু বেশি হচ্ছে, এরপরও কাজটি বেশ উপভোগ করছেন তারা। এবার জাঁকজমকপূর্ণভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গল শোভাযাত্রা উপকমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শোভাযাত্রার আগমুহূর্ত পর্যন্ত প্রস্তুতি চলবে। ঢাকায় যেসব শিক্ষার্থী রয়েছেন, তাদের নিয়েই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন এবারের শোভাযাত্রাও বড় পরিসরে করা যায়।
গত ২১ মার্চ বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রার এ প্রস্তুতি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিল্পী হাশেম খান। এ বছর কবি জীবনানন্দ দাশের ‘তিমির হননের গান’ কবিতা থেকে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ চরণটিকে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন