• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সড়কে প্রতিদিনের অপমৃত্যু যেন স্বাভাবিক ঘটনা : জি এম কাদের
ফরিদপুর এবং ময়মনসিংহে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জনসহ মোট ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি। জি এম কাদের বলেন, ‘প্রতিদিনই সড়কে প্রাণ যাচ্ছে, কোনো প্রতিকার নেই। সড়কে প্রতিদিনের অপমৃত্যু যেন স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিদিন এমন দুর্ঘটনার সংবাদ মেনে নেওয়া যায় না। তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ প্রকাশ করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়ক ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’  তিনি বলেন, ‘নিহতদের প্রতি পরিবারকে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।’
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৮

‌‘এবার ঈদ ও নববর্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি’
ডিএমপির প্রতিটি সদস্যের তৎপরতার কারণেই এবার রমজান, ঈদ ও বাংলা নববর্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ঈদপুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ডিএমপির সহকর্মীদের নিয়ে গর্বিত। কারণ ডিএমপির প্রতিটি সদস্যের তৎপরতার কারণেই এবার রমজান, ঈদ ও বাংলা নববর্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’ তিনি বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে পুলিশের তৎপরতার জন্য কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা বা অজ্ঞান ও মলম পার্টির অপতৎপরতা চোখে পড়েনি। সচরাচর অতীতে যে ধরনের অপরাধ সংগঠনের কথা আমরা শুনে এসেছি তার একটিও এবারের রমজানে সংঘটিত হয়নি। সেইসঙ্গে সদ্য সমাপ্ত পহেলা বৈশাখের নানা অনুষ্ঠান আয়োজন হয়েছে, সেখানেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সবগুলো অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিএমপির প্রতি নগরবাসীর যে প্রত্যাশা তার পুরোপুরি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এবারের রমজানে কাজ শেষে বাসায় ইফতার করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অতীতে আমরা লোকজনকে রাস্তায় ইফতার করতে দেখেছি। অন্যান্যবারের চেয়ে এবার ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের তৎপরতার কারণে রোজাদাররা বাসায় গিয়ে ইফতার করতে পেরেছেন। অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনার সবাই দায়িত্ব পালন করেছেন। অনেকে রাস্তায়ই ইফতার করেছেন। এজন্য আমি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’ ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে প্রায় ৩৪ হাজার সদস্য কাজ করেন। এটা শুধু বাংলাদেশ পুলিশের জন্য নয়, সমগ্র দেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়। একসঙ্গে এত অফিসার ও ফোর্স দেশের আর কোনো প্রতিষ্ঠানে নেই। আমরা একসঙ্গে একটি টিম হয়ে কাজ করি। ঢাকা মহানগরীর দুই কোটি মানুষের নিরাপত্তা দিতে ডিএমপির প্রতিটি সদস্য কাজ করেন।’ ঈদের ছুটি শেষে সোমবার প্রথম কর্মদিবসে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত সব পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী, দাপ্তরিক কর্মচারী এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত সবস্তরের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন কমিশনার হাবিবুর রহমান। এ সময় ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৭

‘আর্মড-গার্ড থাকলে জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত না’
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আল্লাহর ভেতরে আর্মড-গার্ড থাকলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিট গ্রিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপে যখন কোনো জাহাজ যায় তখন আর্মড-গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি তদন্ত করেছি, তখন তাদের বক্তব্য ছিল যে, তারা প্রায় এক হাজার নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। যে কারণে আর্মড গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়নি। ভাড়া করে নিয়ে গেলে এমন ঘটনা ঘটত না। যারা জলদস্যু তারাও খবর রাখে কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড আছে, কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড নেই। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে আমাদের নাবিকদের আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘সোমালিয়ান জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের সুস্থ অবস্থায় মুক্তি দিয়েছে। নাবিকরা ইতোমধ্যে সোমালিয়া থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে চলে এসেছেন। ইউরোপিয়ান একটি জাহাজ তাদের গাইড করে নিয়ে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার) দেশে হসপিটাল সেক্টরে ট্রেনিংয়ের জন্য আমাদের দেশের সহযোগিতা চায়। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটাল বিভাগ আছে, সেই বিভাগের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইউনিভার্সিটির যদি সমঝোতা হয় তাহলে ছাত্ররা সেখানে যেতে পারবে। আমাদের ছাত্রদের জন্য যেন স্কলারশিপ দেওয়া হয় সেই আলোচনা করেছি। তারা আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য এয়ারপোর্ট এন্ট্রি ভিসা চালু করতে চায়, আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। পুরো বিষয়টি আগে পরীক্ষা করতে হবে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ১৪০টি দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানি করি। তাদের দেশেও যাতে আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের লেদার, সিরামিকস, গার্মেন্টস পণ্য আরও ব্যাপকভাবে যাতে রপ্তানি করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫২

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ / বিরল মহাজাগতিক ঘটনা দেখল কোটি মানুষ
কোটি কোটি মানুষ সোমবার উত্তর আমেরিকার পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হলেন। মহাজাগতিক এ বিরল ঘটনায় এদিন বিশালকার সূর্যকে ঢেকে ফেলে তুলনামূলক ক্ষুদ্রাকার চন্দ্র। এক পর্যায়ে দিনের আলো নিভে গিয়ে চারদিক ঘন অন্ধকারে ঢেকে যায় আর হাজার হাজার মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়ে। বিরল এ দৃশ্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেছে। খবর বিবিসি ও এপির। সোমবার উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে দেখা গেছে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। দেশ তিনটির ১৫৫ মাইল প্রশস্ত কিন্তু ৪০০০ মাইলেরও বেশি লম্বা ফিতার মতো একটি ভূখণ্ডজুড়ে কয়েক কোটি মানুষ বিরল এই দৃশ্য উপভোগ করেছেন। মেক্সিকোর মাজাতলান শহরের উষ্ণ বালুর সৈকত থেকে শুরু হয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বিপুল জলরাশির ওপরের আকাশ অন্ধকার করে দিয়ে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সমুদ্র তীরে গিয়ে শেষ হয় এই বিশেষ প্রাকৃতিক ঘটনা। পেছেনে রেখে যায় বিস্ময়াবিভূত কয়েক কোটি প্রত্যক্ষদর্শীকে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগেই জানিয়েছিল, এই তিন দেশে ৩ কোটি ১৬ লাখ মানুষ এই সূর্যগ্রহণ উপভোগ করতে পারবে। বিবিসি জানিয়েছে, মেক্সিকোর স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূলের মাজাতলান শহরের কাছ থেকে প্রথম এই সূর্যগ্রহণ দেখা যেতে শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে মনে হচ্ছিল চাঁদের কিনারাটি সূর্যকে একটু স্পর্শ করেছে মাত্র, কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূর্যকে ‘গ্রাস’ করতে শুরু করে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহটি আর শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি ঢেকে দিলে হঠাৎ করেই অন্ধকার নেমে আসে। এ সময় উল্লাসে ফেটে পড়েন সূযগ্রহণ দেখতে জড়ো হওয়া হাজার হাজার মানুষ। চাঁদের কিনারা দিয়ে সূর্যের আলোকচ্ছটা (করোনা) বের হওয়ায় এক অপার্থিব দৃশ্য তৈরি হয়। এরপর আসে ‘ডায়মন্ড রিং’ এর বিরল মুহূর্ত। এ সময় হঠাৎ তাপমাত্রা কিছুটা নেমে যায়, প্রাণীরা চুপ হয়ে যায়, পাখিরা ওড়াউড়ি করে বাসায় ফেরার তোড়জোড় শুরু করে। দিনের আকাশেই তারা দেখা যেতে শুরু করে।     মেক্সিকোর উপকূলীয় শহর থেকে সূর্যগ্রহণের পথ এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। টেক্সাস অঙ্গরাজ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। সূর্যগ্রহণের সময় কয়েকশ মার্কিন জুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৩টা ১৩ মিনিটে দেশটির মধ্যপশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ওহাইও অন্ধকারে ঢেকে যায়। এখানে আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস করে সূর্যগ্রহণ দেখতে আসা লোকজন। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় শহর নিউ ইয়র্কে কয়েকশ মানুষ ম্যানহ্যাটনের আকাশচুম্বি ভবন অ্যাজ এর একটি উঁচু বড় বারান্দায় বসে সূর্যগ্রহণ উপভোগ করে। অবশ্য শহরটি থেকে পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায়নি। ঈদের চাঁদের মতো সূর্যের একটি অংশ দৃশ্যমান হয়ে ছিল, এ সময় অপার্থিব এক মৃদু আলোতে ছেয়ে যায় পুরো শহর।  যুক্তরাষ্ট্র থেকে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের দিক দিয়ে সূযগ্রহণ কানাডায় প্রবেশ করে। এখানে সীমান্তের উভয়পাশে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে গ্রহণ উপভোগ করে। তবে এখানে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ কিছুটা বিঘ্ন ঘটালেও পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় মেঘ সরে যায়।  এরপর কানাডার মন্ট্রিয়েল শহর হয়ে সূর্যগ্রহণ এগিয়ে যায় আরও উত্তর দিকে। মন্ট্রিয়েলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাঠে একসঙ্গে ২০ হাজার মানুষ পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ উপভোগ করে। এই পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ শেষ দেখা যায় কানাডার পূর্ব উপকূলের নিউফাউন্ডল্যান্ডের ফোগো দ্বীপ থেকে। ফেলে আসা পথের বিভিন্ন এলাকার তুলনায় এখানে অপেক্ষাকৃত কম মানুষ বিরল এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে জড়ো হয়েছিলেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৮

সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে বুয়েট শিক্ষক সমিতির উদ্বেগ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বুয়েট শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ। সোমবার (৮ মার্চ) বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম মনজুর মোরশেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ মার্চ থেকে উদ্ভূত ঘটনাবলিতে (রাত্রি দ্বিপ্রহরে একটি ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের বুয়েট ক্যাম্পাসে অনাহুত আগমন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ দাবি, সংশ্লিষ্ট কয়েকজন বুয়েটছাত্রের বহিষ্কার দাবি, উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে যথাযথ আচরণ না করা, টার্ম-ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন, ১ এপ্রিল হাইকোর্ট কর্তৃক বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধে জারিকৃত আদেশ স্থগিতকরণ, শিক্ষার্থীদের অব্যাহত আন্দোলন এবং একাডেমিক কার্যক্রমে স্থবিরতা) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (প্রবিশিস) উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে কিছু পর্যবেক্ষণ সন্নিবেশ করছে- প্রথমত, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রেজিস্ট্রারের। সবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানানো যাচ্ছে। নিষিদ্ধ-ঘোষিত সংগঠনের ইমেইল প্রেরণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এ ব্যাপারে জাতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের আহ্বান জানাচ্ছি। দ্বিতীয়ত, সাংগঠনিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে দেওয়া জরুরি বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করার যে রায় গত ১ এপ্রিল হাইকোর্টে দিয়েছেন তার বিপরীতে আপিল করার বিষয়টিতে প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগী হবেন এবং এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতি সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। তৃতীয়ত, ২০১৯ পরবর্তী বছরগুলোতে বুয়েটে শিক্ষা কার্যক্রম অবাধে চলেছে এবং সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ বজায় ছিল। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা, নিরাপদ রাখা, বিদ্যাচর্চা অক্ষুণ্ণ রাখা ইত্যাদি আমাদের সবার দায়িত্ব। শিক্ষক সমিতি এমন পরিবেশই প্রত্যাশা করে। এমন অবস্থায় বর্তমান অচলাবস্থা নিরসন এবং স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি জানাচ্ছে শিক্ষক সমিতি। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং নিষ্কলুষ ক্যাম্পাস আমাদের সবার কাম্য। সব অংশীজনের সহযোগিতা ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে অচিরেই সে অবস্থা ফিরে আসবে বলে শিক্ষক সমিতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫১

পাহাড়ে কুকি-চিনের সশস্ত্র তৎপরতা বিচ্ছিন্ন ঘটনা : কাদের
পাহাড়ে কুকি-চিনের সশস্ত্র তৎপরতা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রোববার (৭ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে ‍তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, পাহাড়ের ঘটনা নিয়ে সরকার অত্যন্ত সতর্ক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যে ওই এলাকা ঘুরে এসেছেন। যৌথ অভিযান চলছে।  তিনি বলেন, ব্যর্থতা ঢাকতে কুকি-চিন নিয়ে ইস্যু খুঁজছে বিএনপি। মিয়ানমার ইস্যুতে ব্যর্থ হয়ে এখন তাদের কুকি-চিন ইস্যু। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির আন্দোলনের শক্তি ও সামর্থ্য সবই হারিয়ে ফেলেছে। নেতাকর্মীরা দলটির নেতৃত্বের ওপর হতাশ। তারেকের ওপরও হতাশ। নেতা দেশে না থাকলে কী আন্দোলন হবে? আন্দোলন করতে হলে রাজপথে এসে করতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থার জন্য বিএনপিই দায়ী। তাকে মুক্তির জন্য বিএনপি ৫০০ লোকের একটা মিছিলও করতে পারেনি। বিএনপি আন্দোলনের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার আইনি লড়াইয়েও ব্যর্থ। তাদের এখন চোখের পানি, কান্না, দীর্ঘশ্বাস সম্বল। আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমপি ও মন্ত্রীরা কোথাও কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৪

‘ভোটে ছোট-বড় সব ঘটনা সমান দৃষ্টিতে দেখব’
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ভোটে ছোট-বড় সব ঘটনা সমান দৃষ্টিতে দেখব। যাতে করে বড় ঘটনা সৃষ্টির শুরুতেই শেষ হয়ে যায়। বড় ঘটনার সৃষ্টি হবে না। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা শিল্পকলা একাডেমিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে খুলনাসহ পাঁচ জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। আহসান হাবিব বলেন, আমাদের একটাই উদ্দেশ্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উৎসবমুখর পরিবেশে কোনো প্রকার সহিংসতা ছাড়া একটা নির্বাচন সকলের কাছে উপহার দেওয়া। তবে এই নির্বাচনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে, একই মতাদর্শের প্রার্থী একাধিক হতে পারে। সুতরাং তাদের মধ্যে কিছুটা রাগ-বিরাগ সহিংসতা সৃষ্টি হতে পারে। সেটাকেও কীভাবে আমরা রক্ষা করতে পারি বিশ্লেষণ করেছি এবং আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সুন্দর ব্যবহার ও বিনয়ের সঙ্গে সবাইকে আমরা একইভাবে পরিচালিত করব। নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের ছোট-বড় সব ঘটনা সমান দৃষ্টিতে দেখব। যাতে বড় ঘটনা সৃষ্টির শুরুতেই শেষ হয়ে যায়। বড় ঘটনার সৃষ্টি হবে না। উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যত প্রভাবশালী হোক না কেন, নির্বাচনী আইনকানুন শতভাগ মেনে চলতে হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। তিনি বলেন, এবারই প্রথম সব প্রার্থীর জন্য অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে কেউ কাউকে প্রার্থী হতে বাধা দিতে পারবে না এবং জোরপূর্বক প্রার্থিতা প্রত্যাহার করানোর সম্ভাবনাও কমে যাবে। অনলাইন ব্যতীত কোনোভাবেই মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে না। এ কারণে উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কারিগরি ও পদ্ধতিগত সুবিধার্থে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনের অপেক্ষা না করে আগেই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৬

কুষ্টিয়ায় এজেন্ট ব্যাংকে গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ
কুষ্টিয়ায় ইসলামী ব্যাংকের এক এজেন্ট অফিসে গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগরে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং অফিসের জানালার গ্রিল কেটে মোট ৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৮ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে ওই এজেন্ট ব্যাংকিং অফিস খোলার পর বিষয়টি নজরে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।  এজেন্ট ব্যাংক শাখার ইনচার্জ শামসুল আলমের দাবি, চোররা ৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৮ টাকা, চুরির সময় সিসিটিভি, ডিভাইসসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে গেছে। টাকা রাখার আলমারির তালা ভেঙে টাকা চুরি করেছে তারা।  কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, রাতের কোনো এক সময়ে গ্রিল কাটার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি সাজানো কিনা, ব্যাংকের কেউ জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যান্য সিসিটিভির ভিডিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত শেষে জানানো হবে। এ ঘটনায় এজেন্ট ব্যাংক শাখার ইনচার্জ শামসুল আলম থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৭

ডেমরায় ভলভো বাসে আগুনের ঘটনা রহস্যজনক : ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
রাজধানীর ডেমরায় গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি ভলভো বাস আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনাকে রহস্যজনক মনে করছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। তিনি বলেন, তদন্ত করে আগুনের সূত্রপাত জানার চেষ্টা চলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার ইকবাল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, সেটা তদন্তের পর বলা যাবে। পুলিশ বলছে, গ্যারেজে বাসগুলো পাশাপাশি রাখা ছিল। কীভাবে আগুন লেগেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। আলামত সংগ্রহ করবেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট। প্রসঙ্গত, সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ডেমরার ধার্মিক পাড়া এলাকায় গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলোতে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:২৪

সীমান্তে হতাহতের ঘটনা প্রমাণ করে সার্বভৌমত্ব চরম সংকটে : ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সীমান্তে দুই জনের হতাহতের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে। বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নামে এক বাংলাদেশিকে হত্যা এবং লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে গুলি করার পর লিটন মিয়া নামে (১৯) এক বাংলাদেশি যুবককে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে। তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ ধরনের প্রাণ বিনাশি রক্তাক্ত ঘটনা হৃদয় বিদারক ও আত্মমর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা ও আর একজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও ডামি সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা এখনও নিশ্চুপ। প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া দূরে থাক টু শব্দটিও পর্যন্ত তারা করেনি বরং মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এ সমস্ত রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ডামি সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য এরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করে না। শুধু সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার ধরে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন। তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সব কিছু উজাড় করে দিলেও দেশের মানুষ এক বিন্দু ছাড় দেবে না। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। একমাত্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়