• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কুমিল্লার হোমনায় স্বামীকে হত্যা, স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার হোমনায় প্রবাসী আব্দুল জলিল হত্যা মামলায় তার স্ত্রী শাহনাজ বেগমসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। এ মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মো. শাহজাহান নামের এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।  রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন।   রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবু ইউসুফ মুন্সী জানান, ২০১৩ সালের ৯ জুন ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে হোমনার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আবদুল জলিল৷ পরদিন বাহের খোলা এলাকার রাস্তার পাশ থেকে জলিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই তাজুল ইসলাম। পরে আব্দুল জলিলের স্ত্রী শাহানাজ বেগম, মো. শাহজাহান, মো. কুদ্দুস মিয়া, আবদুল খালেক ও মো. রাজিব নামে ৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।   তিনি আরও জানান, দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে আজ সকালে চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পলাতক ছিলেন। আদালতে হাজির মো. শাহজাহান নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন বিচারক।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৮

বেইলি রোডে আগুন / কুমিল্লার দু’বোনসহ নিহত ৩ জনের বাড়িতে চলছে মাতম
ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কুমিল্লার আপন দু’বোনসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।  তারা হলেন, কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল ইউনিয়নের চরবাড়িয়া এলাকার ব্যবসায়ী হাজী কোরবান আলীর ২ মেয়ে ফৌজিয়া আফরিন রিয়া ও সাদিয়া আফরিন আলিশা। রিয়া মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও সাদিয়া আফরিন আলিশা ঢাকার ভিকারুননিসা স্কুলের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় কোরবান আলীর ভায়রা ভাই কুমিল্লা সদর উপজেলার বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান নিমু (১৮) মারা যায়। তিন বোন একসঙ্গেই কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলন। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে তিনজনের মরদেহ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় নিয়ে আসে স্বজনরা। এ সময় স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠে বাড়ির পরিবেশ। দূর-দূরান্ত থেকে স্বজনরা এসেছেন সান্ত্বনা দিতে।   দুই মেয়ে হারিয়ে পাগল প্রায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী কোরবান আলী।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৩

বরিশালের প্রথম নাকি কুমিল্লার পঞ্চম শিরোপা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের নয় আসরের মধ্যে সর্বোচ্চ চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সবশেষ দুই আসরে টানা শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা। এবার তাদের সামনে হ্যাটট্রিক শিরোপার হাতছানি। ফরচুন গ্রুপ বরিশালের মালিকানা হওয়ার পর দুই আসরে মধ্যে একটিতে ফাইনাল খেলেছিল। তবে শিরোপা জিততে পারেনি তারা। তাই ফরচুন বরিশালের সামনে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। প্রথমবার শিরোপা জয়ের মিশনে থাকা বরিশালের ফাইনালে আসার রাস্তাটা খুব একটা সহজ ছিল না। গ্রুপ পর্বে ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করে তারা। এলিমিনেটরে চট্টগ্রামকে উড়িয়ে তাদের নতুন যাত্রা শুরু হয়। এরপর কোয়ালিফায়ার রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পায় তামিম ইকবালের দল। বরিশালে সবচেয়ে বড় পুঁজি অভিজ্ঞতা। জাতীয় দলের একাধিক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন বরিশাল শিবিরে। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে দেখা যেতে পারে মিরাজ অথবা সৌম্য সরকারকে। দুইজনই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। তিনে খেলবেন কাইল মায়ার্স। সবমিলিয়ে দলটার টপ অর্ডার নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি দিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। চারে দেখা যাবে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে। পাঁচে আছেন ডেভিড মিলার। এই প্রোটিয়া ব্যাটার হতে পারেন ট্রাম্পকার্ড। মিডল অর্ডারে আরেক ভরসার নাম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মিডল অর্ডারকে মজবুত করেছে। ফিনিশিংয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ অথবা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনরা নিজেদের সামর্থ্যের প্রামণ দিয়েছেন। তাছাড়া জেমস ফুলার ও ওবেদ ম্যাকয়রাও ব্যাট চালাতে পারেন। সবমিলিয়ে লম্বা ব্যাটিং লাইন আপ তাদের। অন্যদিকে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে হেরে আসর শুরু করেছিল কুমিল্লা। প্রথম ৪ ম্যাচে তাদের নামের পাশে ছিল ৪ পয়েন্ট। তখন প্লে-অফ নিয়েই শঙ্কা ছিল কুমিল্লার। তবে এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। টানা ৫ জয়ে ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডে এক পা দিয়ে রাখে কুমিল্লা। শেষ পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে তারা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে টেবিল টপার রংপুর রাইডার্সকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে প্রথম সুযোগেই ফাইনাল নিশ্চিত করে কুমিল্লা। এটা কুমিল্লার পঞ্চম ফাইনাল। এর আগে চার বার ফাইনাল খেলে চারবারই শিরোপা জিতেছে। অর্থাৎ ফাইনালে হারের রেকর্ড নেই তাদের। অতীত পরিসংখ্যানের মতোই এবারের ফাইনালেও প্রতিপক্ষের বড় পরীক্ষা নিতে পারে কুমিল্লা। দলটার প্রধান শক্তির জায়গা ব্যাটিং অর্ডারে বেশ কয়েকজন হার্ডহিটার। ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গী হতে পারেন সুনীল নারিন। মূলত লিটনের ওপরই থাকবে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেবার দায়িত্ব।  তিনে খেলবেন ইনফর্ম তাওহীদ হৃদয়। এই তরুণ ব্যাটার হতে পারেন কুমিল্লার ট্রাম্পকার্ড। মিডল অর্ডারে দেখা যেতে পারে জনসন চার্লস, মঈন আলী ও আন্দ্রে রাসেলকে। নিজেদের দিনে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন এই তিন ক্রিকেটার। লোয়ার মিডল অর্ডারে দেখা যাবে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জাকের আলী অনিককে। কুমিল্লার স্পিন বিভাগে নেতৃত্ব দেবেন তানভীর ইসলাম। এই অফ স্পিনারকে সঙ্গ দেবেন মঈন আলী। পেস বোলিংয়ে চোট থেকে ফিরে খেলতে পারেন মোস্তাফিজ। তার সঙ্গে দেখা যেতে পারে মুশফিক হাসানকে। আর রাসেলের সার্ভিস পাবে ভিক্টোরিয়ান্সরা। আর দলটার স্পিন বিভাগের নেতৃত্বে থাকবেন তাইজুল ইসলাম। তার সঙ্গে আছেন মেহেদি মিরাজ। আর পেস বিভাগে ওবেদ ম্যাকয়, ফুলার, সাইফুদ্দিনদের সঙ্গে আছেন মায়ার্সও। শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে ফরচুন বরিশাল। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৬

কুমিল্লার মেয়র প্রার্থীরা ব্যস্ত গণসংযোগে
কুমিল্লা সিটির মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে ৬ষ্ঠ দিনের মতো প্রচারণা চলছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে পাড়া মহল্লায় গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয়ের পাশাপাশি দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রতি। ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ৩নং ওয়ার্ডের ইস্টাপ্লাজা এলাকায় প্রচারণা করেন। নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাপ্তান বাজার এলাকায় উঠান বৈঠক করেন বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনা। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জানু মিয়া মসজিদ এলাকায় প্রচারণা করেন। এ ছাড়া হাতি প্রতীকে মেয়র প্রার্থী নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালায়। কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে আগামী ৯ মার্চ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে শেষ হবে প্রচার-প্রচারণা।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯

উঠান বৈঠক ও গণসংযোগে ব্যস্ত কুমিল্লার মেয়র প্রার্থীরা
কুমিল্লা সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচনে পঞ্চম দিনের মতো প্রচারণা চলছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে পাড়া মহল্লায় গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয়ের পাশাপাশি দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কান্দিরপাড় এলাকায় প্রচারণা চালান। নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়াজুরী এলাকায় উঠান বৈঠক করেন বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনা। ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ২০নং ওয়ার্ডের দিশাবন্দ এলাকায় প্রচারণা করেন। এ ছাড়া হাতি প্রতীকে মেয়র প্রার্থী নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান। কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে আগামী ৯ মার্চ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে শেষ হবে প্রচার-প্রচারণা।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৩

গণসংযোগে ব্যস্ত কুমিল্লার মেয়র প্রার্থীরা
কুমিল্লা সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচনে চতুর্থ দিনের মতো প্রচারণা চলছে। অন্যান্য দিনের মতো উঠান বৈঠক আর গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয় করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তারা। পাশাপাশি ভোটারদের দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। জানা যায়, নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাপ্তার বাজার এলাকায় বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনার উঠান বৈঠক রোববার অনুষ্ঠিত হয়। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগ করেন।  অপরদিকে ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু  নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় প্রচারণা করেছেন। কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে আগামী ৯ মার্চ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে শেষ হবে প্রচার-প্রচারণা।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৮

প্লে-অফ নিশ্চিতের ম্যাচে কুমিল্লার সামনে বড় লক্ষ্য
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরের প্লে-অফে ওঠার লড়াইয়ে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। অন্যদিকে সিলেটের কাছে এটি কেবলই নিয়মরক্ষার ম্যাচ। সহজ সমীকরণের ম্যাচে কুমিল্লাকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে সিলেট। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৭ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে সিলেট। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালো শুরু করেন মাত্র ২ ম্যাচের জন্য বিপিএলে যোগ দেওয়া কেনার লুইস। তবে সমান দুই চার-ছক্কায় ২৫ বলে ৩৩ রানে বিদায় নেন এই ক্যারিবিয়ান।  এরপরই শুরু হয় মূল বিপর্যয়। ১৮ রানে জাকির হাসান ও ১২ রানে টাইগার দলপতি শান্ত সাজঘরে ফেরার পরই চাপে পড়ে সিলেট। এরপর ব্যাট করতে নেমে ইয়াসির আলীও সুবিধা করতে পারেননি। ৫ বলে মাত্র ২ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার। পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন বেনি হাওয়েল ও মোহাম্মদ মিঠুন। এরপর ২০ বলে ২৮ রানে ফেরেন অধিনায়ক মিঠুন।  তবে একপ্রান্ত দাঁড়িয়ে রানের চাকা এগিয়ে নেওয়া হাওয়েল ঠিকই ফিফটি তুলে নেন। তার ৬ চার ও ৪ ছক্কার অপরাজিত ৬২ রানে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পায় সিলেট।    কুমিল্লার হয়ে সুনীল নারাইন ও রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৫

‘কোটি টাকা’র হৃদয় ঝড়ে উড়ে গেল খুলনা, কুমিল্লার সপ্তম জয়
চলতি বিপিএলের শুরুতে টানা চার ম্যাচ জিতে আসরে উড়ন্ত সূচনা করেছিল খুলনা টাইগার্স। তবে সেই জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারেননি বিজয়-আফিফরা। পরের পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিতেই হরেছে খুলনা। সবশেষ কুমিল্লার ব্যাটিং লাইনের কাছে পাত্তাই পায়নি তারা। খুলনাকে সাত উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে লিটন-ফিজরা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লাকে ১৬৫ রানের লক্ষ্য দেয় খুলনা। জবাব দিতে নেমে সাত উইকেট ও ২১ বলে হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় কুমিল্লা। ৯১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে খেলে আরও একবার কোটি টাকার বিনিময়ে দলে ভিড়ানোর প্রতিদান দেন এই টাইগার ব্যাটার। ১৬৫ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় কুমিল্লা। ৩ বলে ২ রান করে ক্যাচ আউট হন লিটন। তৃতীয় উইকেটে হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন উইল জ্যাক। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই ইংলিশ ব্যাটার। ১০ বলে ১৮ রান করে মুকিদুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আসরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা জনসন চার্লস। ৮ বলে ১৩ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। কিন্তু পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন তাওহীদ হৃদয়। ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন এই তরুণ ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাকের আলী। ফিফটি পূরণের পর আরও বিধ্বংসী রুপ ধরেন হৃদয়। বলে বলে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত জাকের আলীর ৩১ বলে ৪০ রান এবং তাওহীদ হৃদয়ের ৪৭ বলে অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংসে ভর করে সাত উইকেট ও ২১ বলে হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। খুলনা টাইগার্সের হয়ে ওয়েন পার্নেল, মুকিদুল ইসলাম ও নাহিদ রানা একটি করে উইকেট নেন। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে খুলনা টাইগার্সের দুই ওপেনার আফিফ হোসেন ও অ্যালেক্স হেলস।। ১৭ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ইংলিশ ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে ১৩ বলে ১৮ রান করেন তিনি। ৩৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন আফিফ। চতুর্থ উইকেটে ৩৩ বলে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন লুইস ও মাহমুদুল। ১৯ বলে ২৮ রান করে আউট হন জয়। ম্যাথিউ ফোর্ডকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এই ডান হাতি ব্যাটার। ২০ বলে ৩৬ রান করেন লুইস। মঈন আলীকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন তিনি। এক বল পরেই বোল্ড হন লুক উড। শেষ পর্যন্ত নাসুমের ২ রান এবং পার্নেলের ১১ বলে ১৮ রানের ইনিংসে ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় খুলনা টাইগার্স।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৫

কুমিল্লার বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি পেল খুলনা
চলমান বিপিএলে লিগ পর্বের প্রথম দেখায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ৩৪ রানের হেরেছিল খুলনা টাইগার্স। লিগ পর্বের দ্বিতীয় দেখায় আবারও কুমিল্লার মুখোমুখি হয়েছে হয়ে খুলনা। এই ম্যাচে লিটন-মোস্তাফিজদের ১৬৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বিজয়ের দল। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে খুলনা টাইগার্সের দুই ওপেনার আফিফ হোসেন ও অ্যালেক্স হেলস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি হেলস। ১৭ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ইংলিশ ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন এনামুল হক বিজয়। ১৩ বলে ১৮ রান করেন তিনি। ৩৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন আফিফ। আলিস ইসলামের বলে বোল্ড আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর খুলনা শিবিরে হাল ধরেন ইভেন লুইস ও মাহমুদুল হাসান জয়। দুজনের ব্যাটে ভর করে শতক পূরণ করে খুলনা। চতুর্থ উইকেটে ৩৩ বলে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন লুইস ও মাহমুদুল। ১৯ বলে ২৮ রান করে আউট হন জয়। ম্যাথিউ ফোর্ডকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর ব্যাট চালাতে থাকেন লুইস। ২০ বলে ৩৬ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। মঈন আলীকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন তিনি। এক বল পরেই বোল্ড হন লুক উড।   শেষ দিকে নাসুমকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ওয়েন পার্নেল। নাসুমের ২ রান এবং পার্নেলের ১১ বলে ১৮ রানের ইনিংসে ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় খুলনা টাইগার্স।   কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে হয়ে ম্যাথিউ ফোর্ড ও মঈন আলী দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া আলিস ইসলাম ও মোম্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট শিকার করেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৪

রানবন্যার ম্যাচে চট্টগ্রামকে হারিয়ে কুমিল্লার বিশাল জয়
চলমান বিপিএলে রান না হওয়ায় টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার মুখস্ত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচেও এই নিয়ম অনুসরণ করে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিকরা। এই সিদ্ধান্তই কাল হয়েছে বন্দরনগরীর দলটি জন্য। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামকে রানবন্যায় ভাসায় কুমিল্লা। সেই সঙ্গে তাদের ৭৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে কুমিল্লা। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে পাহাড় সামন ২৪০ রানের লক্ষ্য দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাব দিতে নেমে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় শুভগত হোমের দল। এতে ৭৩ রানের বড় জয় পায় লিটন দাসের দল। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার জশ ব্রাউন ও তানজিদ হাসান তামিম। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৭ ওভার শেষে ৮০ রান তোলে দলটি। তবে ফিফটি পূরণ করতে পারেনি ওপেনারের কেউই। ২৪ বলে ৪১ রান করে তানজিদ তামিম আউট হলে ২৩ বলে ৩৬ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন জশ ব্রাউন। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি টম ব্রুসও। ৭ বলে ১১ রান করে রিশাদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। ৮ বলে ১২ রান করে শাহাদত হোসেন আউট হলেও ব্যাট চালাতে থাকেন সৈকত আলী। ১১ বলে ৩৬ রান করে সৈকত আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম। ১৩ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন শুভাগত হোম। এরপর শুরু হয় চট্টগ্রামের উইকেট মিছিল। কার্টিন ক্যাম্ফার (৫), শহিদুল ইসলাম (২), আল আমিন (০) এবং বিলাল খান ডাক আউট হলে ২১ বলে হাতে থাকতেই ১৬৬ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। এতে ৭৩ রানের বড় জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১৬তম ওভারে তিন বলে তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে চলতি বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন মঈন আলী। কুমিল্লার হয়ে রিশাদ হোসেন ও মঈন আলী চারটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৬২ রান জড়ো করে লিটন দাস ও উইল জ্যাকস জুটি। দলীয় ৮৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা। ২৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন ফেরেন ব্যক্তিগত ৬০ রানে। লিটনের পরই হৃদয়কে হারায় কুমিল্লা। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন টপ-অর্ডার এই ব্যাটার। এরপর ব্রুক গেস্টও দ্রুতই ফেরেন। ফেরার আগে ১১ বলে খেলেন ১০ রানের মন্থর এক ইনিংস। তবে দলীয় রানের গতিতে উইকেটের আঁচ লাগতে দেননি জ্যাকস। চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন ইংলিশ এই ওপেনার। তাকে যোগ সঙ্গ দেন আরেক ইংলিশ সুপারস্টার মঈন আলিও। এরপর ৫০ বলে এই ফরম্যাটে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকান জ্যাকস। শেষ পর্যন্ত ৫ চার ও ১০ ছক্কায় ৫৩ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে ২৪ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন আলি। ২ চার ও ৫ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান আলি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩৯ রান।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়