• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ডিপজল-মিশাকে যা বললেন ইলিয়াস কাঞ্চন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচনে  নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।  শনিবার (২০ এপ্রিল) ফলাফল ঘোষণার পর নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সদ্য বিদায়ী সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। সব শিল্পীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির নির্বাচনে শিল্পীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। এতে আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কারণ, তাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে এফডিসি মুখরিত হয়ে উঠেছিল। আমার বিশ্বাস, এভাবেই এফডিসি আবারও প্রাণ ফিরে পাবে। ফ্লোরগুলো হয়ে উঠবে কাজের জন্য আলোকিত। ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, নবনির্বাচিত কমিটির প্রতি আহ্বান জানাবো— কে জিতেছে, কে হেরেছে সেই প্রশ্নে যাবেন না। বরং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাবেন। রাখবেন চলচ্চিত্রের বর্তমান সংকট কাটাতে গঠনমূলক ভূমিকাও। এ সময় নেতৃত্বে না থাকলেও নির্বাচিত নেতাদের পাশে থাকারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই অভিনেতা।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩২

শিল্পী সমিতির নির্বাচন / সহকর্মী ও গণমাধ্যমকে এড়িয়ে গেলেন ইলিয়াস কাঞ্চন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বিদায়ী কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এসেছিলেন ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে ভোট দিতে। তবে কারও সঙ্গে কথা না বলে তিনি চলে গেছেন অনেকটা চুপিসারেই। জানা গেছে, ভোট দেওয়ার পর শিল্পীরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন, জানিয়েছেন নতুন কমিটির কাছে তাদের প্রত্যাশার কথা। কিন্তু ইলিয়াস কাঞ্চন এফডিসিতে প্রবেশ করে গাড়ি থেকে নেমে সোজা প্রবেশ করেন ভোটকেন্দ্রে। এরপর ভোট প্রদান করে ৫ মিনিটের মধ্যে তিনি বাইরে আসেন। এ সময় দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি সাড়া না দিয়ে এফডিসি থেকে বেরিয়ে যান। এমনকি কোনো গণমাধ্যমেও কথা বলেননি। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় অভিনেতা ডা. এজাজের ভোট প্রদানের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। যা চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।  প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। প্যানেল দুটি হলো মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুণ।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫১

ভয়ে সভাপতির নাম প্রকাশ করছেন না নিপুণ
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পেছানো হয়েছে। ২৭ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪-২৬ মেয়াদের শিল্পী সমিতির নির্বাচন। তবে নতুন এই তারিখ ঘিরে অভিযোগ রয়েছে, কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই ২৭ তারিখ নির্ধারণ করে তফশিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনারের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খসরু। আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন না তিনি। শোনা যাচ্ছে কাঞ্চন সরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সংগঠনটির বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার। তবে বিষয়টি উড়িয়ে দলেন নায়িকা। জানালেন সভাপতি প্রার্থী খুঁজে পেয়েছেন তিনি। এদিকে কথা ছড়িয়েছে সভাপতি খুঁজতে সোহেল রানা, শাকিব খান, অনন্ত জলিল প্রমুখের দ্বারস্থ হয়েছেন নিপুণ। কিন্তু কেউ তার ডাকে সাড়া দেননি। নিপুণ এ প্রসঙ্গে বলেন, সভাপতি প্রার্থীর জন্য আমি সোহেল রানা ভাইয়ের কাছে যাইনি। আমি শুধুই দোয়া চাইতে গিয়েছিলাম। আপনারা খোঁজ নিতে পারেন। আর অনন্ত জলিল ভাই প্রতিবছরই পিকনিকের টাকা দেন। এবারও যখন টাকা আনতে গিয়েছিলাম, বলেছিলাম, “ভাইয়া আপনি বিভিন্ন সময়ে চলচ্চিত্রের যেকোনো ব্যাপারে টাকা দেন। আপনি শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্বে থেকে কাজটি আরও ভালোভাবে করতে পারেন।” এতটুকুই। কিন্তু বিষয়টি এত বড় করে ছড়িয়েছে, অবাক হয়েছি। অন্যদিকে শাকিব খান ও আরশাদ আদনানের কাছে সভাপতি প্রার্থী হতে কখনও প্রস্তাব দেননি বলে জানান এই অভিনেত্রী। আগামী ২৭ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর থাকবেন এক প্যানেলে। তারা নিপুণের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। 
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩২

নিপুণের জন্য বড় নেতার অনুরোধে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করেন ইলিয়াস কাঞ্চন
দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদের অনুরোধে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। তবে নিপুণের হয়ে অনুরোধ করা সেই বড় রাজনীতিবিদের নাম বলেননি তিনি। খবর রয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী নেতা নিপুণের হয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনকে নির্বাচনে আসার অনুরোধ করেছিলেন। একজন রাজনীতিবিদের অনুরোধে গতবার সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, নিপুণ শুধু আমাকে না, আমার ছেলেকেও ম্যানেজ করেছে। তবু আমি দাঁড়াতাম না। আমাদের দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদ অনুরোধ করেছিলেন। কারণ, তার প্রতি আমার একটা ভালোবাসা-শ্রদ্ধা রয়েছে, যার কারণে আমার এ জায়গায় আসতে হয়েছে। কমিটি নিয়ে তুলকালাম হয়ে যাওয়ার পরও পদত্যাগ না করার কারণ জানিয়ে চিত্রনায়ক কাঞ্চন বলেন, আসলে পদত্যাগ জিনিসটি ভালো নয়। আমার তরফ থেকে কোনো ক্রটি আমি করিনি। ভালো হতো আমাদের সবাই যদি এক মানসিকতার হতো। বছরে অন্তত একটি সাধারণ সভার নিয়ম আছে, কিন্তু আমরা সেটিও করতে পারিনি। আসলে এত অনিয়ম যে একা একটা মানুষ তো আর সব করতে পারে না। প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে মিশা-ডিপজল এক প্যানেল হয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। অন্যদিকে নিপুণের নির্বাচন করার কথা রয়েছে তবে এখন পর্যন্ত তিনি তার প্যানেলের জন্য সভাপতি খুঁজে পাননি। 
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৬

ইলিয়াস কাঞ্চন নেতৃত্বাধীন কমিটি দুই বছরে পিকনিক ছাড়া কিছু করেনি : সোহেল রানা
ভারতীয় সিনেমা দেশে এসে সয়লাব করে দিচ্ছে। দুই দিনের মধ্যে সেন্সর হয়ে যাচ্ছে। এগুলো ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া কিছুই না। যতদূর শুনেছি, শিল্পী সমিতি ও অন্য একটি সমিতি এর সঙ্গে জড়িত। ভারতীয় সিনেমা মুক্তি দিতে হলে তাদের (সমিতিকে) টাকা দিতে হয়। এটা চরম অন্যায়। এভাবে সমিতি টাকা নিয়ে বিদেশি কালচার আমাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এটা মানা যায় না। ভিনদেশি সিনেমা দেশের প্রেক্ষাগৃহে আমদানি প্রসঙ্গে এভাবেই বললেন দেশীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অন্যতম অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। রূপালি পর্দার এক সময়ের সাড়া জাগানো এই নায়ক আরও বলেন, ভারতীয় সিনেমা আমাদের দেশে আসুক। আমরা আটকে থাকতে চাই না। আমাদের সিনেমাও ভারতে যাক। তবে যেসব সিনেমা সেখানে পাঠানো হয় যেগুলো আমাদের দেশেই চলে না। সেখানেও সেটি বস্তার মধ্যে পড়ে থাকে। আমাদের দেশে ১০ বছরে কি ভালো সিনেমা তৈরি হয়নি? শাকিবের ভালো-ভালো সিনেমা বাংলাদেশে নেই? যেগুলো ভারতে গিয়ে কাঁপিয়ে দিতে পারে। সেগুলো তো পাঠানো হয় না। পাঠায় কারা সেখানে তো কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। সেখানে সমিতির কিছু করণীয় থেকে যাচ্ছে। সেগুলো তাদের করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজনে প্রতিটি সমিতির পাশে দাঁড়াতে হবে। সম্প্রতি শিল্পী সমিতি থেকে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন রাখলে এই অভিনেতা বলেন, কি অপরাধে পরপর তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত জায়েদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে জানি না। তার ভুল থাকতে পারে কিন্তু তাকে শোকজ করা হয়েছে কিনা, নিয়ম অনুযায়ী সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে কিনা বলতে পারছি না। আমার জানা মতে, কারো সদস্যপদ স্থগিত করতে হলে তিনবার শোকজ করতে হয়। তার উত্তর যদি সন্তোষজনক না হয়ে থাকে তাহলে সবাই মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এভাবে হয়েছে কিনা আমার ঠিক জানা নেই। সঠিকভাবে হয়ে থাকলে ঠিক আছে। আর যদি সঠিক নিয়মে না হয়ে থাকে তাহলে নির্বাচনের আগে তাকে বের করে দেওয়া ভালো হয়নি। তাদের মধ্যে যে দূরত্ব ছিল সেটা মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল সেটাকে আরও উসকে দেওয়া হয়েছে। একসময় শিল্পীদের দাওয়াত দিতেন জায়েদ খান। সেই তিনিই দুই বছর ধরে সমিতির দাওয়াত পাচ্ছেন না। সম্প্রতি পিকনিকে দাওয়াত পায়নি এই অভিনেতা। এক প্রশ্নের জবাবে সোহেল রানা বলেন, এটা সাধারণ একটা অভদ্রতা। জায়েদের সদস্যপদ যদি নাও থাকে পূর্বে সমিতির জন্য কয়েক বছর কাজ করেছে সে জন্য হলেও ওরে দাওয়াত দেওয়া ছিল ভদ্রতা। জায়েদ তো বড় অন্যায়কারী কিংবা ক্রিমিনাল না যে, দাওয়াত দেওয়া যাবে না। শিল্পী না তারপরও অনেককেই তো দাওয়াত করা হয়েছে। নিজের সহকর্মীর প্রতি পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত। সেখানে দাওয়াত না দেওয়া শোভনীয় মনে হয়নি। জায়েদকে আটকে দেওয়ার জন্যই সদস্যপদ স্থগিত করেছে। ওরাই বেশি কাজ করেছে। সবার নাম আসে না। জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক যার কারণে বার বার নাম আসে।  জায়েদ খানকে ঘিরে শিল্পী সমিতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চলমান। এ নিয়েও কথা বলেছেন এই অভিনেতা। বললেন, আমার জানা মতে জায়েদের পক্ষ থেকে কোনও কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে না। জায়েদকে নিয়ে যদি কেউ কেউ বলে সেটা হয়ত বিশেষ কয়েকজন লোক বলতে পারে। যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের কাছে প্রচার যন্ত্র একটু বেশিই থাকে। তারা যদি ইচ্ছে করে অনেক কে লাগিয়ে দিয়ে বলতে পারে তাদেরকে ছোট করো। এটা তো আমাদের স্বভাব চরিত্রের মধ্যেই আছে। যোগ করে বলেন, আগে কখনো এই পদটি নিয়ে আলোচনা হয়নি। শেষ দুই বছর এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে কখনো জায়েদ বেশি কথা বলেনি। যখনই বলেছে সম্মান রেখেই বলেছে। আর নিপুণকে নিয়ে যেটা বলেছে আইনের কথা টেনে বলেছে। এটা বলতেই পারে। উভয়ের মধ্যে যে ভেদাভেদ রয়েছে সেটা থাকা ভালো না। আগামী নির্বাচনে সেটা দূর হবে বলে আশা করি। রাজনীতিতে যেমন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই এবার শিল্পী সমিতিতেও সেটাই চাই। ইলিয়াস কাঞ্চন নেতৃত্বাধীন কমিটি দুই বছরে পিকনিক ছাড়া কিছু করেনি সে কথা উল্লেখ করে সোহেল রানা বলেন, শিল্পী সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আসলে ইলিয়াস কাঞ্চন এই দুই বছরে কিছুই করতে পারেনি। কারণ, পুরো কমিটি নিয়ে একটা মিটিংই করতে পারেনি। এক দল কখনো মিটিংয়ে আসেনি। একা তো ওর পক্ষে কিছু করা সম্ভব না। ওর জীবনের এই একটা পার্ট সেটা ভুলে যেতে চাইবে। এই সময়ে শিল্পী সমিতি একটা পিকনিক ছাড়া কিছুই করতে পারেনি। আগে মিশা-জায়েদ যেভাবে কাজ করত এ কমিটি আসার পর সেরকম কিছুই দেখিনি আমি। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ থাকলে কখনোই ভালো কিছু করা সম্ভব না। ভালো কিছু করতে হলে সবাইকে এক হয়ে করতে হবে। সে দিক থেকে মিশা-জায়েদ কমিটি অনেক ভালো ছিল। মানুষ জানত একটি কমিটি আছে বিপদে পাশে পাওয়া যায়। সবসময় ঈদে দু-তিনশো মানুষের বাসায় উপহার যেত। -বললেন এই অভিনেতা। অনেকে সমিতির এ কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। কি বলবেন? উত্তরে সোহেল রানা বলেন, তাহলে সমিতির কাজ কি? তাদের কাজ ডাকাতি-চুরি করা? সমিতির কাজই হচ্ছে শিল্পীদের সাহায্য করা। প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানো। পাশে দাঁড়িয়েছে কিনা সেটাই বড় কথা। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ১৮৪ জন শিল্পীর ভোটাধিকার বাতিল করেছিল শিল্পী সমিতির সর্বশেষ সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের কমিটি। এ নিয়ে বেশ চর্চা হয়েছিল। ইলিয়াস কাঞ্চন কমিটিতে এসে তাদের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেন। তবে এই সদস্যপদ বাতিলের দায় জায়েদের কাঁধে আসে বরাবরই। যদিও দফায় দফায় উত্তর দিয়েছেন এই নায়ক। জানিয়েছেন তিনি এক নয়, পুরো কমিটির সিদ্ধান্তে সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল। এবার এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন সে সময়ের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সোহেল রানা। তিনি বলেন, সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছিল সবার সিদ্ধান্তেই। এখানে একা জায়েদের দোষ হবে কেন? এখানে দায়ী হলে পুরো কমিটি হবে। আমি, ইলিয়াস, আলমগীর, ফারুক, উজ্জ্বল ছিল। তাহলে তো আমরা পাঁচ জনই দায়ী। আমরা ৪৬ জনের সদস্যপদ স্থগিত করেছিলাম। পরবর্তীতে ওরা আরো কিছু এড করেছিল। সেটা কমিটি করতে পারে। আমরা যে ৪৬ জন বাতিল করেছিলাম তার মধ্যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না কেন তাদের বাতিল করেছি। এটা নিয়ে নয়, শেষ নির্বাচন থেকে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। নিজেদের মধ্যে এটা থাকা ঠিক না। এবার চাচ্ছি সবাই মিলে কাজ করবে। আর যেন ভাগ না হয়। সবাই মিলে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করবে। 
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:০১

ইলিয়াস কাঞ্চন সবচেয়ে বড় প্ল্যানবাজ লোক : জায়েদ খান
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যেনো আলোচনা ও উন্মাদনা শেষ নেই। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে শিল্পীদের মাঝে উত্তেজনা। ইতোমধ্যেই নতুন-পুরোনো অনেক তারকারই নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে নির্বাচনের নতুন তারিখ। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে তর্ক-বিতর্ক। কদিন আগে সমিতির বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার ঘোষণা দেন- জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের। যা নিয়ে হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। বিভিন্ন কারণে এবার জায়েদ খান দুষলেন সদ্য বিদায়ী সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে। জানালেন, তিনি (ইলিয়াস কাঞ্চন) একজন প্ল্যানবাজ লোক। বুধবার (৬ মার্চ) গণামধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জায়েদ খান বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন হচ্ছেন সবচেয়ে বড় একটা প্ল্যানবাজ লোক। একুশে পদক পাওয়া একজন স্মরণী-বরণীয় মানুষ, তিনি আমাদের সবার সিনিয়র। যতই কান্নাকাটি করুক না কেন, এসব ঝামেলার দায়িত্ব কিন্তু উনার ঘাড়েই নিতে হবে। ২০২২ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর চ্যানেল আইতে আমরা একসঙ্গে একটা অনুষ্ঠান করেছিলাম। তো তাকে (কাঞ্চন) আমি কল দিয়ে বললাম, কাঞ্চন ভাই চলেন আমরা শপথ করি। উনি বললেন, দুই-তিন দিন অপেক্ষা করি। আমি বললাম, অপেক্ষা করার দরকার কী! চলেন আমরা শপথ করে ফেলি? তিনি এই দুই-তিন দিন সময় দিয়েছেন মুহাম্মদ হোসেনকেও। সে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘুরে চিঠি এনে এই নোংরামিটা করলেন। নির্বাচিত একটা ছেলে চেয়ারে বসতে পারলেন না। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় না কাঞ্চন ভাই কোনোদিন সমিতির গঠনতন্ত্র পড়ছেন! তাকে জিজ্ঞেস করবেন, কোন ধারায় কী আছে- তিনি বলতে পারবেন না। আর আমাকে জিজ্ঞেস করেন কোন ধারায় কী আছে, সব মুখস্থ। সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে বাতিল করা হয়েছিল চিত্রনায়িকা সুচরিতা ও চিত্রনায়ক রুবেলের সদস্যপদও। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে জায়েদ বলেন, সুচরিতা ও রুবেল ভাইয়ের সদস্য ও কার্যকরী পদ স্থগিত করা হয়েছিল, সেটাও অবৈধ। কেন বলি? কারণ, চিঠি দিয়েছিল নিপুণ। তখন রুবেল ভাই ও সুচরিতা আপা বলেছিলেন, ‘আপনি তো সেক্রেটারি না, আপনি আমাকে চিঠি দিতে পারেন না। এই পদ নিয়ে মামলা চলমান।’ এরপর পরর্তীতে ইলিয়াস কাঞ্চনও চিঠি দিয়ে জানিয়েছে তাদের কার্যকরী পদ স্থগিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে আসন্ন নির্বাচনের প্রধান কমিশনার ও আপিল বিভাগ চূড়ান্ত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রধান কমিশনার হিসেবে থাকছেন খোরশেদ আলম খসরু। তিন সদস্যর এই বোর্ডে অন্য দুই সদস্য হলেন এ জে রানা ও মোহাম্মদ নিশাদ। আপিল বিভাগে প্রধান হিসেবে রয়েছেন শামসুল আলম। তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে রয়েছেন ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মজনু ও নির্মাতা সেলিম আজম।
০৭ মার্চ ২০২৪, ২০:২৮

ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্য কিছুই করতে পারিনি : সীমান্ত
বিতর্ক, আলোচনা, সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে নিয়ে। বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন নেতৃত্বাধীন ২০২২-২৪ মেয়াদের কমিটি নানা কারণে সমালোচিত। এরই মধ্যে কমিটির মেয়াদ শেষ। এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কাঞ্চন। তার প্যানেল থেকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করে ভোটে পরাজিত হলেও কো-অপ্টের মাধ্যমে কমিটিতে জায়গা পান চলচ্চিত্র অভিনেতা সীমান্ত আহমেদ। তবে নিজের প্যানেলের সভাপতির ওপর অনেকটাই বিরক্ত এই অভিনেতা। জানান, ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্য দুই বছর কাজ করতে পারেননি তারা। সীমান্ত বলেন, সভাপতির অনুমতি ছাড়া তো কিছু করা সম্ভব না। আমরা কমিটিতে আসার পর সেভাবে আসলে কিছু করা হয়নি, করতে পারিনি। যখন শিল্পীরা বলে তোমাদের অনেক আশা নিয়ে ভোট দিয়েছি, তখন তাদের কিছু বলতে পারি না। শিল্পীদের জন্য কিছু করতে না পারায় তাদের মুখ দেখাতে পারি না। এই অভিনেতা বলেন, অনেক উদ্যোগ নিলেও সভাপতি রাজি হয়নি। রোজার ঈদের পর ঈদ পুনর্মিলনী করতে চেয়েছিলাম এবং কোরবানির সময় শিল্পীদের জন্য গরু কোরবানি দিতে চেয়েছিলাম। এতে কাঞ্চন ভাইয়ের মত ছিল না। যার কারণে করতে পারিনি। আগ্রহ থাকলেও এমন অনেক কিছুই আমরা তার জন্য করতে পারিনি। সীমান্ত আরো বলেন, উৎসবে শিল্পীদের চাহিদা তো থাকেই। দুই ঈদ, ইফতার এবং পিকনিক এর চেয়ে বেশি কিছু তো শিল্পীরা প্রত্যাশা করে না। এতেই অনেক শিল্পী ভাই-বোনেরা অনেক আনন্দ পায়। সব শিল্পীরা বছরের একটি পিকনিকের অপেক্ষা করে। বিশেষ করে কোরবানির ঈদ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এ নিয়ে আমাকে শিল্পীদের অনেক মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সভাপতির জন্য কোরবানি হয়নি। কেন গরু কোরবানি দেব, ঈদের দিন কে থাকবে? সবার বাসায় কাজ আছে এমন নানা কথা। তারপরও ঈদের পর মিলনমেলা করার ইচ্ছে ছিল কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠেনি। ওটা হলেও এত কথা হতো না। মোট কথা ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্যই অনেক কিছু করতে পারিনি বললেন সীমান্ত। ছোট ও বড় পর্দার অভিনেতা সীমান্ত আহমেদ। কখনও খল চরিত্রে আবার কখনও মজার মজার কমেডি চরিত্রে দেখা মেলে তার। আসন্ন নির্বাচনেও নিপুণের প্যানেল থেকে সম্পাদকীয় পদে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগ্রহ জানিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে সীমান্ত নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্ব শেষ করেছেন বলে জানিয়েছেন। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এরই মধ্যে চলচ্চিত্রের সিনিয়র শিল্পী মিশা সওদাগর ও  ডিপজল নিজেদের প্যানেল ঘোষণা দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, নিপুণ প্যানেল গড়বেন অমিত হাসানকে সভাপতি করে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

সাতপাকে বাঁধা পড়লেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী
বহুদিন ধরেই প্রেম-বিয়ের গুঞ্জন উড়ছিল টলিউড অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে নিয়ে। অবশেষে সেই গুঞ্জনকে পেরিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আইনি বিয়ে সম্পন্ন করেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। এবার সাতপাকে বাঁধা পড়লেন তারা।  শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। দক্ষিণ কলকাতায় বসেছিল তাদের বিয়ের আসর। পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতেই ধর্মীয় রীতিতে এবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা।  আগামী ৬ মার্চ পার্ক স্ট্রিটের এক ব্যাঙ্কোয়েটে হবে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রিসেপশন পার্টি। শুভদৃষ্টি, মালাবদল, সাত পাক, সিঁদুরদান— একেবারে বাঙালি রীতি মেনেই বিয়ে করেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। শুধু তাই নয়, বিয়ের মেনু থেকে শুরু করে তাদের সাজ-পোশাকেও রয়েছে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া।  বিয়েতে লাল বেনারসি, গা ভর্তি সোনার গয়না, শোলার মুকুট আর ফুলের সাজে সেজেছিলেন শ্রীময়ী। বরের সাজও কম জমকালো নয়। ধুতি আর ভারী কাজ করা পাঞ্জাবিতে পাল্লা দিয়ে সাজেন কাঞ্চনও। বিয়ের বেনারসি শ্রীময়ী নিজেই নকশা করেছেন বলে জানা গেছে।   পরকীয়ার জেরেই ভেঙেছে কৌতুক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের সংসার। স্ত্রী পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি আইনি বিচ্ছেদ হয় কাঞ্চনের। তাদের সংসারে ওশ নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিচ্ছেদের পর ছেলের দেখাশুনা একাই করছেন পিংকি। তবে শ্রীময়ীর এটি প্রথম হলেও কাঞ্চনের তৃতীয় বিয়ে। সূত্র : আনন্দবাজার   
০৩ মার্চ ২০২৪, ১২:২৭

কাঞ্চনের বিয়ে নিয়ে যা বললেন প্রাক্তন স্ত্রী পিংকি
বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনে যখন মাহিয়া মাহির বিচ্ছেদের খবরে সরগরম তখন পশ্চিমবঙ্গের টলিউডও বাজছে একই সুরে। পরকীয়ার জেরে ভাঙল সেখানকার কৌতুক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের সংসার। স্ত্রী পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঞ্চন এক ছাদের নিচে থাকছেন না অনেকদিন। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। এবার সেটাও সম্পন্ন হলো। গত ১০ জানুয়ারি তাদের বিবাহবিচ্ছেদের পক্ষে রায় দিয়েছেন ভারতীয় আদালত। বিচ্ছেদ ঘোষণার ৪৮ ঘন্টা পার না হতেই ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন কাঞ্চন মল্লিক। পাত্রী অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) অর্থাৎ বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন করেছেন তারা।  এদিকে কয়েক বছর আগে পিংকি দাবি করেছিলেন টিভি অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। যদিও এই অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে আসছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। কিন্তু পিংকির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের এক মাসের মাথায় শ্রীময়ীকে রেজিস্টি বিয়ে করেন কাঞ্চন।  কাঞ্চন-শ্রীময়ীর জন্য মঙ্গল কামনা করে পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি মন থেকে চাই নবদম্পতি খুব ভালো থাকুক, সুখে থাকুক। দীর্ঘদিনের প্রেম করার পর সাহসিকতার সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়াকে সাধুবাদ জানাই। এটাই তো হওয়া উচিত ছিল। আমাদের জীবনে কারো জন্য কিছু আটকে থাকে না। আমি আমার ছেলেকে নিয়ে ভীষণ সুখে আছি। রোজ রাতে ছেলেকে জড়িয়ে গপ্পো মীরের ঠেক বা সানডে সাসপেন্স শুনি। এর চেয়ে অনাবিল আনন্দ আর কী হতে পারে। আমার মতে, ওরা যেটা করেছে সেটা একদম ঠিক করেছে। কাজ করছি, বাড়ি ফিরে ছেলের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি, এই বেশ ভালো আছি। এখনকার সময়ে মানুষের জীবনে শান্তির খুব অভাব বলে মনে করেন পিংকি। তা উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী বলেন, আমাদের জীবনে এখন শান্তির খুব অভাব। তাই যে যার সঙ্গে ভালো থাকে তাকে তার সঙ্গেই ভালো থাকতে দিতে হয়। কোনো কিছু জোর করে আটকে রাখতে নেই, যা হয় ভালোর জন্যই হয়। একজন মা কখনো দুর্বল হয় না। সব পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষমতা একজন মায়ের মধ্যে থাকে। আমি চাই ছেলেটাকে যাতে মানুষের মতো মানুষ করতে পারি। এটা এখন আমার কাছে চ্যালেঞ্জ। বাবার বিয়ে ওশের জীবনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ ওর মায়ের নাম পিংকি ব্যানার্জি।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৭

অবশেষে ২৬ বছরের ছোট সেই শ্রীময়ীকেই বিয়ে করলেন কাঞ্চন মল্লিক
বহুদিন ধরেই প্রেম-বিয়ের গুঞ্জন উড়ছিল টলিউড অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে নিয়ে। অবশেষে সেই গুঞ্জনকে বিয়ের মাধ্যমে সবকিছু বাস্তবে রূপ দিলেন এই যুগল। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) অর্থাৎ বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন করেছেন তারা।  এদিকে  ভারতীয় গণমাধ্যমকে ২৭ বছর বয়সী শ্রীময়ী বলেন, এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না যে, ‘মিস’ থেকে ‘মিসেস’ হয়েছি। একটা মিশ্র অনুভূতি কাজ করছে। দু-জনে মিলে সামনের দিনগুলো ভালোভাবে কাটানোর কথা ভাবছি। ৫৩ বছর বয়সী কাঞ্চনের সঙ্গে থাকার প্রসঙ্গে শ্রীময়ী বলেন, আপাতত মায়ের কাছেই রয়েছি। ৬ মার্চের পর থেকে দুজনে একসঙ্গে থাকা শুরু করব। এদিকে কিছুদিন আগে খবর চাউর হয়, আগামী ৬ মার্চ বিয়ে করবেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। তবে এ খবরও মিথ্যা নয়। কারণ, এদিন সামাজিকভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন তারা। তবে বিয়ের অনুষ্ঠান কোথায় হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে অতিথিদের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। টিভি অভিনেত্রী পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। ২০২১ সালে পিংকি অভিযোগ করেন, শ্রীময়ীর সঙ্গে কাঞ্চনের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এরপর কাঞ্চন-পিংকির মাঝে তৈরি হয় চূড়ান্ত তিক্ততা। দীর্ঘদিন আলাদা থাকার পর গত ১০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এ দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। আর এরই মধ্যে তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করলেন কাঞ্চন। তবে শ্রীময়ীর এটি প্রথম বিয়ে। 
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়