• ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সোহেল অটল
প্রতি বছর লেখকদের সাহিত্য পুরস্কার প্রদানের ধারা চালু করেছে সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল। এ বছর গল্প-উপন্যাস ক্যাটাগরিতে সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন সাংবাদিক ও লেখক সোহেল অটল। তার লেখা কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের জীবনীগ্রন্থ ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ এর জন্য এই সাহিত্য পুরস্কার পেলেন। রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনের দ্বিবাষিক সম্মেলনে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজীসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে এ সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার গ্রহণ করে সাংবাদিক ও সাহিত্যিক সোহেল অটল বলেন, ‘পুরস্কার প্রাপ্তি আনন্দের। লেখকের জন্য প্রেরণাদায়ক। ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল এবং জুরি বোডের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ এ বছর শিশু সাহিত্য, অনুবাদ, গল্প-উপন্যাস ও কবিতা ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন সাহিত্যিককে ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল সাহিত্য পুরস্কার দেয়া হয়। জুরি বোড প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দেশের খ্যাতনামা ঔপন্যানিক সেলিনা হোসেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৬

পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে সাংবাদিক : প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, কারা সাংবাদিক, তাদের যোগ্যতা কী হবে–এসব নিয়ে সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা শেষে নীতিমালা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাংবাদিক শুধু ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট নয়। সম্পাদক ও প্রকাশক, সবাই সাংবাদিকের আওতায় পড়বেন। সোমবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) শেরপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, দেশে অনেকে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করছেন। কিন্তু অধিকাংশই নন-গ্র্যাজুয়েট। উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পাস আছে। তার নিচেও আছে। কিন্তু পত্রপত্রিকায় লেখালেখিতে তারা বেশ ভালো। কাজেই তাদেরও সাংবাদিক হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে পাঁচ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র ছাড়া সাংবাদিক হিসেবে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।   অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মুক্তাদিরুল আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সাংবাদিকতার নীতিমালা ও প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণবিধি নিয়ে বক্তব্য দেন কাউন্সিলের সচিব (অতিরিক্ত সচিব) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার।    প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান পাস হওয়ার মাত্র ১৪ মাসের ভেতরে ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু প্রেস কাউন্সিল আইন করেন। এর মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকদের উঁচু স্তরে নিয়ে গেছেন। সাংবাদিকদের জন্য সম্মানজনক পরিবেশ তৈরি করেছেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৫

বাংলাদেশ আইএমওতে কাউন্সিল সদস্য হওয়ায় উদযাপন
ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) কাউন্সিলে ‘সি’ ক্যাটাগরির সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি উদযাপনের লক্ষ্যে রাজধানীর সোনারগাও হোটেলে আলোচনা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে।  রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোঃ মাকসুদ আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। আইএমও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশ সমমর্যাদার কিন্তু ভিন্ন ক্যাটাগরির এ, বি ও সি এর মধ্যে “সি” ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছে। গত বছরের ১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত বিশেষায়িত এই এজেন্সির ৩৩তম অধিবেশনে আইএমও কনভেনশনের ১৬ ও ১৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিনটি ক্যাটাগরিতে কাউন্সিল সদস্যপদে গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ সালের জন্য ৪০ সদস্যের নতুন আইএমও কাউন্সিল সদস্যদের নির্বাচিত করা হয়।  আন্তর্জাতিক শিপিং পরিষেবা প্রদানে সর্বাধিক আগ্রহী এমন ১০ টি দেশ ‘এ’ ক্যাটাগরিতে, আন্তর্জাতিক সমুদ্রবাহীত বাণিজ্যে সর্বাধিক আগ্রহী এমন ১০ টি দেশ ‘বি’ ক্যাটাগরিতে এবং ‘এ’ ও ‘বি’তে নির্বাচিত নয় অথচ যাদের সামুদ্রিক পরিবহন বা নেভিগেশনে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে এবং যাদের কাউন্সিলে নির্বাচন বিশ্বের সব প্রধান ভৌগলিক অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে এমন ২০ টি দেশকে “সি” ক্যাটাগরিতে  নির্বাচিত করা হয়।  এবারের “সি” ক্যাটাগরির কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচনে মোট ২৫টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ১৬৮টি বৈধ ভোটের মধ্যে বাংলাদেশ ১২৮টি ভোট পেয়ে ১৬তম হয়ে নির্বাচনে  জয়লাভ করে। “সি” ক্যাটাগরিতে জয়লাভ করা অন্য দেশগুলো হলো- সিঙ্গাপুর, মাল্টা, সৌদি আরব, তুরস্ক, মিসর, মেক্সিকো, ফিলিপাইন, চিলি, ইন্দোনেশিয়া, মালায়শিয়া,বাহামা, সাইপ্রাস, মরোক্কো, ডেনমার্ক, কাতার, কেনিয়া, পেরু , ফিনল্যান্ড  এবং  জ্যামাইকা।   আইএমও জাতিসংঘের শিপিং সংক্রান্ত সর্বোচ্চ বিশেষায়িত সংস্থা। এটি শিপিং সুরক্ষা ও নিরাপত্তা এবং জাহাজ দ্বারা সামুদ্রিক ও বায়ুন্ডলীয় দূষণ প্রতিরোধের দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে। আইএমও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সহায়তা করে। বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্প ও সরকারের সকল নিয়ন্ত্রক, আর্থিক, আইনগত ও কারিগরি সহযোগিতার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১৭৫টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা আইএমও, যার হেডকোয়ার্টার লন্ডনে অবস্থিত। নৌপরিবহন অধিদপ্তর বাংলাদেশের আইএমও এর ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। সভায় বক্তারা বলেন, এ বিজয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এক বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য এবং বৈশ্বিক মেরিটাইম সেক্টর ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাপক সমর্থনের একটি প্রমাণ। গত বছরের জুনে নিরাপদ জাহাজ পুনর্ব্যবহার সংক্রান্ত হংকং কনভেনশনে বাংলাদেশের অনুসমর্থন যা আন্তর্জাতিক মেরিটাইম মানদন্ড বজায় রাখতে বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার প্রতিফলিত করেছে তা এই নির্বাচনে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। এই নির্বাচন মেরিটাইম সেক্টরকে সুগঠিত,সুশৃঙ্খল এবং শুসংগঠিত করবে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ পরিচালনা এবং জাহাজ পুনর্ব্যবহার সেক্টরের দক্ষতা বৃদ্ধি করে বৈশ্বিক খ্যাতি অর্জন করবে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৮

এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য হলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ২০২৪-২০২৫ বর্ষের জন্য নতুন কাউন্সিল গঠিত হয়েছে৷ এতে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৪৫৫ ভোট পেয়ে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এশিয়াটিক সোসাইটি প্রাঙ্গনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক শরীফুল্লাহ ভূঁইয়া ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে সভাপতি পদে ৪৯০ ভোট পেয়ে ড. হারুন-অর-রশিদ, সাধারণ সম্পাদক পদে ৫৮৯ ভোট পেয়ে ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে ড. হাফিজা খাতুন, ড. সাজাহান মিয়া, ড. ইয়ারুল কবীর, কোষাধ্যক্ষ পদে ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ ও সম্পাদক পদে ড. মো. আবদুর রহিম নির্বাচিত হয়েছেন। সদস্য পদে ড. এ. কে. এম গোলাম রব্বানী, ড. মাহবুবা নাসরীন, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, ড. আশা ইসলাম নাঈম, ড. আবদুল বাছির, ড. নাজমা খান মজলিস, ড. মো. আবদুল করিম, ড. শুচিতা শরমিন ও ড. সাব্বীর আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমাকে নির্বাচিত করায় এশিয়াটিক সোসাইটির সকল সদস্যকে ধন্যবাদ। গবেষণার গুণগত পরিবর্তন ও বৈচিত্র্য আনার দিকেই আমার মূল লক্ষ্য থাকবে। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষকদের গবেষণায় অনুপ্রাণিত করার উদ্যোগ নেবো। পাশাপাশি সুবক্তাদের এশিয়াটিক সোসাইটিতে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা থাকবে। সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা-চেতনার বিকাশ ঘটানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। অধ্যাপক সাদেকা হালিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় ও স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। জবি উপাচার্য সাদেকা হালিমের বাবা ফজলুল হালিম চৌধুরী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি ১৯৭৬-১৯৮৩ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাবার স্বপ্ন সত্যি করে পড়াশোনা শেষে শিক্ষক হিসেবে তিনি যোগ দেন নিজ বিভাগেই।  পরবর্তীতে কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে পড়তে যান কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে। সেখান থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি নেন ড. সাদেকা হালিম। এরপর কমনওয়েলথ স্টাফ ফেলোশিপ নিয়ে পোস্ট-ডক্টরেট করেন যুক্তরাজ্যের বাথ ইউনিভার্সিটি থেকে। শিক্ষকতার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন ড. সাদেকা হালিম। জাতীয় শিক্ষানীতি কমিটি ২০০৯-এর ১৮ জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের কমিটিতে একজন সদস্য ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ সোশিওলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইমেন ফর উইমেনের নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।  ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, চার মেয়াদে শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও তিনবার সিনেট সদস্য ছিলেন সাদেকা হালিম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সোশ্যাল সায়েন্সের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এই শিক্ষাবিদ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ড. সাদেকা হালিমের প্রায় অর্ধশত গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। লিঙ্গ-সমতা, বন ও ভূমি, উন্নয়ন, আদিবাসী ইস্যু, মানবাধিকার এবং তথ্য অধিকার প্রভৃতি তার গবেষণার বিষয়। ডিএফআইডি, ইউএনডিপি, অক্সফাম, এসডিসি, সেভ দ্য চিলড্রেন, ইউএসএইড প্রভৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থায় গবেষক ও পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন এই সমাজবিজ্ঞানী । প্রথম হিসেবে ড. সাদেকা হালিমের রয়েছে বেশ কিছু অর্জন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত তথ্য কমিশনে প্রথম নারী তথ্য কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৭ সালে সাদেকা হালিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ইতিহাসে প্রথম নারী ডিন নির্বাচিত হন। প্রথম নাজমুল করিম গোল্ড মেডেলিস্ট তিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য এবং উপাচার্যের মেয়ে হয়ে উপাচার্য হবার গৌরব অর্জন করেন তিনি।  ২০২২ সালে সাদেকা হালিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে সেমিনার,ওয়ার্কশপ ও আলোচনা সভা আয়োজন উপ-কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন তিনি। ড. সাদেকা হালিম অতিথি অধ্যাপক হিসেবে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার বকু বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন স্টাডিজ বিভাগ ও আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হায়ার এডুকেশন লিংক প্রোগ্রামের অধীনে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন কিছু দিন। বর্তমানে ড. সাদেকা হালিম বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য-মনোনীত এবং ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসি মনোনীত সিন্ডিকেট সদস্য। তিনি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডেরও সদস্য।  উল্লেখ্য, ‘বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি’ মৌলিক গবেষণার অগ্রণী প্রতিষ্ঠান। ১৯৫২ সালে এশিয়ার মানুষের জীবন-কর্ম এবং প্রকৃতি বিষয়ে গবেষণায় আত্মনিয়োগে গবেষকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ‘পাকিস্তান এশিয়াটিক সোসাইটি’ নামে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে পরের বছর প্রতিষ্ঠানটির নাম বদলে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি’।  
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৫

কাউন্সিল অ্যাট লার্জ হিসাবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. নীনার শপথ গ্রহণ
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া রাজ্যের ফিলাডেলফিয়া সিটির ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং প্রথম নারী মুসলমান কাউন্সিল অ্যাট লার্জ হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. নীনা আহমেদ। গত ২ জানুয়ারি তিনি শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে, গত ৭ নভেম্বরের নির্বাচনে সিটি কাউন্সিল অ্যাট লার্জ পদে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন ড. নীনা আহমেদ। ফিলাডেলফিয়া সিটিতে প্রায় ১৫ লাখের কিছু বেশি লোক বাস করেন। এর মধ্য প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি মুসলমান লোক বাস করেন। তারপরও এর আগে এখান থেকে সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে কোনো মুসলিম নারী জয়ী হতে পারেননি। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সমাজকর্মী ড. নীনা আহমেদ নির্বাচিত হন। ড. নীনা আহমেদের শপথগ্রহণের মাধ্যমে ফিলাডেলফিয়া সিটি হলে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ইতিহাস রচিত হলো। ১৬৮২ সালে ফিলাডেলফিয়া সিটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার পর ৩৪১ বছরের ইতিহাসে ড. নীনা আহমেদই প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত, যিনি সরাসরি ভোটে কাউন্সিল অ্যাট লার্জ হলেন। ২ জানুয়ারি থেকে তার কার্যকাল শুরু হয়েছে। শপথগ্রহণের সময় নিনা আহমেদের স্বামী আহসান নাসরতুল্লাহ, দুই মেয়ে, বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রতিনিধি এবং তার ক্যাম্পেইন অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়