• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফিলিস্তিনের পক্ষে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, গ্রেপ্তার ৯০০
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শত শত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করছে দেশটির পুলিশ। এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসগুলো থেকে কমপক্ষে ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। এর মধ্যে শুধু শনিবারই (২৭ এপ্রিল) বোস্টনের নর্থ-ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ব্লুমিংটনের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে চলা বিক্ষোভ থেকে ২৭৫ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদসংস্থা এপির আরেকটি প্রতিবেদন বলছে, গত ১৮ এপ্রিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনপন্থী একটি শিবির সরিয়ে নেয় নিউইয়র্ক পুলিশ। পাশাপাশি শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয় সেখান থেকে। এ ঘটনার পর ফুঁসে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘গণহত্যা থেকে বিচ্ছিন্ন’ থাকার আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা। যেসব প্রতিষ্ঠান অস্ত্র সরবরাহসহ বিভিন্ন উপায়ে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় সহযোগিতা করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি না দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা।  এদিকে ক্যালিফোর্নিয়া, জর্জিয়া এবং টেক্সাসের বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সদস্যরা বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং মার্কিন নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা ভোট গ্রহণ করেছেন। প্রসঙ্গত, হামাস নির্মূলের নামে গত সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজায়। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এ সময়ে আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে গাজায় দখলদার ইসরায়েলের এই নির্বিচার আগ্রাসন ও ধ্বংসযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল। ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত ভূখণ্ডটিতে মানবিক বিপর্যয়ের এমন পরিস্থিতিতেও ইসরায়েলকে সরাসরি মদদ দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র ছাড়াও বড় অর্থনৈতিক সহায়তা বরাদ্দ অব্যাহত আছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।   
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৪

চতুর্থ দিনেও উত্তাল চুয়েট, সড়ক অবরোধ
বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় চতুর্থ দিনের মতো কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রাস্তায় গাছ ফেলে, ব্যারিকেড দিয়ে ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। এর আগে বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন। পরে রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় আসেন চুয়েটের উপাচার্য রফিকুল আলম, সহ-উপাচার্য জামাল উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির প্রমুখ। এ সময় রেজিস্ট্রার শিক্ষার্থীদের দাবি মানা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের জানান। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের মেনে নেওয়া দাবি রাতের মধ্যে লিখিত আকারে প্রকাশের শর্তে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করে কাপ্তাই সড়ক ছেড়ে দেন। তবে সব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আজ সকাল ৮টা থেকে আবারও সড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশাসন তাদের কিছু দাবি মেনে নিলেও সব দাবির সঙ্গে একমত হতে পারেনি।  এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকরা আমাদের কিছু দাবি মেনে নিয়েছেন বলে মৌখিকভাবে বলেছেন। বিষয়টি আমরা আজ রাতের মধ্যে লিখিতভাবে দেখতে চাই। নিহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাস মালিক সমিতি দুই লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এ ছাড়া আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ৫টি বাস ও ৪টি অ্যাম্বুলেন্সের দাবি জানালেও তারা আমাদের ১টি বাস ও ১টি অ্যাম্বুলেন্স প্রদানের বিষয়ে জানিয়েছে। শাহ আমানত ও এ বি ট্রাভেলসের বাস এ সড়কে চলবে না বলে প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু এদের রুট পারমিট বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি আমরা মানবিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুমন দের বরখাস্ত এবং পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলাম। সে বিষয়েও আমরা কোনো ধারণা পাইনি। আশিকুল ইসলাম আরও বলেন, পণ্যবাহী ট্রাকের কথা বিবেচনা করে এবং প্রশাসনের মেনে নেওয়া দাবি রাতের মধ্যে লিখিত আকারে প্রকাশ করার শর্তে আমরা রাতে রাস্তা ছেড়ে দিই। আমাদের বাকি দাবিগুলো আদায়ের লক্ষ্যে আজ সকাল ১০টা থেকে আমরা আবারও রাস্তায় অবস্থান নিয়েছি। সব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। উল্লেখ্য, গত সোমবার আনুমানিক বেলা সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে বাসের ধাক্কায় মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। এ ছাড়া আহত হন একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু। 
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৬

দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে উত্তাল চুয়েট
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো কাপ্তাই সড়ক অবরোধ এবং ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করছে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৯ দফা দাবি দিয়ে মঙ্গলবার ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ, সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কর্মসূচি ঘোষণার সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক, শিক্ষক ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সোমবার বিকেল তিনটার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগর সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের তিন শিক্ষার্থীকে পেছন থেকে শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। এছাড়া গুরুতর আহত পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসটি আটক করলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। নিহত শান্ত সাহা নরসিংদী জেলা সদরের চার নাম্বার ওয়ার্ডের কাজল সাহার ছেলে এবং তৌফিক হোসেন নোয়াখালী সদর উপজেলার সুধারাম থানার নিউ কলেজ রোডের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চুয়েট ক্যাম্পাসে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তৌফিক হোসেনের লাশ তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুধারামে দাফন করা হয়েছে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিলো সবার বড়। তারা বাবা দেলোয়ার হেসেন নোয়াখালী পৌরসভার প্রকৌশলী বলে জানান তৌফিকের বন্ধু নাফিজ হাসান নাফি। আর শান্ত সাহার মরদেহ নরসিংদীতে তার গ্রামের বাড়িতে সৎকার করা হয়েছে বলে তার ভাই পার্থ সাহা জানান। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ক্যাম্পাসে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পৌঁছলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। তারা ক্যাম্পাসের সামনে গাছের গুড়ি ফেলে কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে এবং শাহ আমানত পরিবহনের চারটি বাস আটক করে। এর মধ্যে একটি বাস তারা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা আবার কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করলে মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করছে। তারা দিনভর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। কাপ্তাই সড়কে তারা টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে। শিক্ষার্থীরা বিকেলে ১০ দফা দাবি জানান সংবাদ সম্মেলন করে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, পলাতক চালক ও তার সহযোগীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, সুযোগ সুবিধা সংবলিত আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন, হাসপাতালে আধুনিক সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা দেয়া, রাস্তার মাথা (কাপ্তাই) এলাকা থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত চার লেন মহাসড়ক করা, প্রতিটি বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স নিয়মিত যাচাই করা, শাহ আমানত ও এবি পরিবহন এই সড়কে নিষিদ্ধ করা, শিক্ষার্থী অনুপাতে ছাত্র বাস বাড়ানো, ছাত্রকল্যাণ পরিষদকে জবাবদিহির আওতায় আনা, ছাত্র প্রতিনিধিদল গঠন করা, নিহত ও আহতদের পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহন করা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন অনুরাগ নন্দি অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমরা অনুরোধ করেও বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের অ্যাম্বুলেন্স পাইনি। পেলে হয়তো আরো একজনকে বাঁচানো যেত। ঘটনার দুই ঘণ্টা পর তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রথমে অটোরিকশা ও পরে অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তায়। আর মেডিকেল সেন্টারেও এই ধরনের আহতদের চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নাই। তিন জানান, কয়েক মাস আগেও এই সড়কে এবি ট্রাভেলস নামে আরেকটি পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়ায় দুই জন ছাত্র আহত হয়েছিলেন। তখনো আমরা ওই পরিবহনের বাস আটকে সড়কের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি চেয়েছিলাম। তখন আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমরা এখন যে ১০ দফা দাবি দিয়েছি তা পূরণের জন্য ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত প্রতিশ্রুতি চাই। কোন দাবি কত দিনে পূরণ করা হবে তাও লিখিত দিতে হবে। তার আগ পর্যন্ত আমাদের সব ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো আমরা, বলেন তিনি। আরেক জন ছাত্র নাজমুল হাসান বলেন, কর্মসূচি ঘোষণার সময় ভিসি, প্রোভিসিসহ প্রশাসনের লোকজন ছিলেন। তারা দাবি মেনে নেয়ার তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিশ্রুতি না দিয়ে সময় নিয়েছেন। তবে তারা দাবির সঙ্গে একমত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, দুইজন ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। ছাত্রদের দাবির সবগুলো আমাদের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। এর জন্য নানা কর্তৃপক্ষ আছে। আর কিছু দাবি আছে যা পূরণ করতে সময় লাগবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বসে দাবিগুলো নিয়ে কথা বলব। কীভাবে পূরণ করা যায় দেখব। যেমন চার বা ছয় লেনের মহাসড়ক তো আমরা করতে পারব না। দায়ীদের আটক করবে পুলিশ। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আর আমরা যেগুলো সম্ভব সেগুলো পূরণ করব। দুর্ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেল সেন্টারে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স আছে। তবে তিনটি তখন জরুরি রোগী বহন করছিল। আর ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকার একটি ক্ষতিপূরণ দেয় সেটা তারা পাবে। বাস মালিককেও দিতে হবে। আর আমরা নিহতদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। আহতের চিকিৎসা খরচ দিচ্ছি। আরও কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে। জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ শিক্ষকরা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেছেন। রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন দাস জানান, এখনো তারা ওই বাসের চালক ও হেলপারকে আটক বা চিহ্নিত করতে পারেননি। তিনি বলেন, আমরা শাহ আমানত পরিবহনের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের ওই বাসের চালক ও কর্মচারীদের নাম জানাবে। আশা করি দ্রুত তাদের আটক করতে পারব।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫৪

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, গণগ্রেপ্তার
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ইসরায়েলের হামলা ও যুদ্ধের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে কলম্বিয়া ও ইয়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে এই বিক্ষোভ, যা থামাতে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চলমান বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নিয়েছে। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, বার্কলে, এমআইটি, টাফটস ইউনিভার্সিটি, ইমারসনসহ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।  যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থি ও ইসরায়েলপন্থি শিক্ষার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষ ও ইসলামভীতি বাড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে আসছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রধান আলোচনা ও বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ ও বাকস্বাধীনতা। এরপর ইসরায়েল গাজায় হামলা চালানো শুরু করলে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠে। গত সপ্তাহে  নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে একশোর বেশি বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করার পর ক্যাম্পাসগুলোতে চলমান আন্দোলন বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করে। গ্রেপ্তারকৃত এসব শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে, নিজেদের ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষক সোমবার গণ ওয়াকআউট করেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্লাস ভার্চুয়ালি পরিচালিত হবে বলে সোমবার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, অনেক মার্কিন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্যাম্পাসের ইহুদিভিত্তিক সংগঠনসহ বিভিন্ন মাধ্যম চলমান এই বিক্ষোভকে ইহুদি-বিরোধী আন্দোলন হিসেবে দাবি করছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১২

রণবীরের ভিডিও ভাইরাল, উত্তাল নেটদুনিয়া
বর্তমানে নানান ধরনের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে বলিউড তারকাদের। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে তাদেরকে। শুধু যে অভিনেত্রীরাই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন তা নয়, বিপদে পড়ছেন অভিনেতারাও। দিন দুয়েক আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল আমির খানের ভিডিও। এবার ভাইরাল হয়েছে রণবীর সিংয়ের ভিডিও। যা দেখে রীতিমতো উত্তাল নেটদুনিয়া।       সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রণবীর  ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করছেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি।      ভিডিওতে অভিনেতাকে বলতে শোনা যায়— দেশের জনগণের সব সমস্যা এবং বেকারত্ব উদযাপন করাই কেন্দ্রীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য।  ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর আগে ক্যাটরিনা কাইফ, রাশমিকা মান্দানার বিকৃত ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বোঝাই যাচ্ছে, নির্বাচনি পরিস্থিতিতে আমির ও রণবীরের ডিপফেক ভিডিও তৈরি করে রাজনৈতিক প্রচারের কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে।   এদিকে গত ১৯ এপ্রিল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রণবীর লিখেছেন, ডিপফেক থেকে নিজেদের বাঁচান বন্ধুরা।   এনডিটিভির খবরে জানানো হয়েছে, মূল ভিডিওটি এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ছিল। সেখানে এই অভিনেতা প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন।  সম্প্রতি আমিরের একটি ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে অভিনেতাকে বলতে শোনা গেছে, ‘ভারত কোনো গরিব দেশ নয়। ভারতের প্রতিটি নাগরিক লাখপতি। প্রত্যেকের কাছে কম পক্ষে ১৫ লাখ টাকা আছে।  মূলত এরপরেই আমিরের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয় যে ভিডিওটি নকল। পাশাপাশি গত ১৭ এপ্রিল মুম্বাইয়ের খার থানায় পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে ৪১৯ ও ৪২০ ধারায় অভিযোগও দায়ের করেন আমির।   ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৯

প্রীতি জিনতার ভিডিও ভাইরাল, উত্তাল নেটদুনিয়া
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি। এরপর ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে গত দেড় দশক রুপালি পর্দা থেকে দূরে আছেন প্রীতি। সম্প্রতি তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যা দেখে রীতিমতো উত্তাল নেটদুনিয়া।       যদিও প্রীতির ওই ভিডিওটি অনেক পুরোনো। বর্তমানে নিজের ক্রিকেট দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। পাশাপাশি স্বামী ও যমজ সন্তানদের নিয়ে পারিবারিক সময় কাটাচ্ছেন এই নায়িকা।  বলিউডে স্পষ্টবক্তা হিসেবে বরাবরই খ্যাতি রয়েছে প্রীতির। কারও সহযোগিতা ছাড়াই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। তবে নেপথ্যে কেউ না থাকলে অথবা কারও সহযোগিতা ছাড়া বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করা খুব কঠিন কিংবা  মুশকিল বলে মনে করেন প্রীতি।  পুরনো এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, বলিউডে সিনেমা পাওয়ার জন্য যত দূর খুশি ছেলেমেয়েরা যেতে পারে। যাদের কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড নেই, তারা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। তবে শুধু ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা বলছি না। যে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকলেই এই সমস্যা। সেই সব ছেলেমেয়েদের জন্য বলিউড একেবারেই নিরাপদ জায়গা নয়।  পুনোরায় সিনেমার পর্দায় ফেরার প্রসঙ্গে প্রীতি জানিয়েছিলেন, বলিউডে ফিরে যাওয়ার বিশেষ কারণ থাকলে নিশ্চই ফিরবেন  তিনি। ভালো সিনেমা, ভালো চরিত্র পেলে আবারও অভিনয় করবেন।   এদিকে মনের মতো চরিত্র কিংবা সিনেমার সুযোগ পাননি বলেই পর্দায় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন প্রীতি। এমনটাই মনে করছেন নেটিজেনদের একাংশ। ৪৯ বছর বয়সেও তার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, গালে টোল পড়া হাসি এখনও ঝড় তোলে অভিনেত্রীর ভক্তদের মনে।     সূত্র : আনন্দবাজার   
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৪

থালাপতি বিজয়ের ‘হুইসেল পোডু’ গানে উত্তাল নেটদুনিয়া (ভিডিও)
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির থালাপতি বিজয়ের সিনেমা মানেই হিট। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য দর্শকনন্দিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। বিজয়ের পরবর্তী সিনেমা ‘দ্য গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’। এটি তার ৬৮তম সিনেমা।  অর্চনা কালপাথির প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন ভেঙ্কট প্রভু। সিনেমাটির ফার্স্ট লুক পোস্টার প্রকাশ্যে আসার পরই ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে ভক্তদের। এবার সিনেমার প্রথম গান ‘হুইসেল পোডু’-তে মেতেছে নেটদুনিয়া। গত ১৪ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে গানটি। মাধন কার্কির কথায় গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন বিজয় নিজে এবং ইউভান শংকর রাজা। গানে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি কম্পোজও করেছেন রাজা।   আগামী ৫ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বিজয়ের দ্য গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’। সিনেমায় তিনি ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন— মাইক মোহন, প্রশান্ত, প্রভু দেবা, স্নেহা, লায়লা, জয়রাম, মীনাক্ষী চৌধুরী এবং যোগী বাবুসহ অনেকেই। প্রসঙ্গত, বিজয়কে সর্বশেষ দেখা গেছে লোকেশ কানাগরাজ পরিচালিত ‘লিও’সিনেমায়। গেল বছর দক্ষিণের বক্সঅফিস মাতিয়েছে সিনেমাটি। বিশ্বব্যাপী ৬২৩ কোটি রুপির বেশি আয় করে সিনেমাটি।        
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১১

ইসরায়েলকে সহায়তা করায় উত্তাল জর্ডান
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৩০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান কিন্তু সেগুলো ইসরায়েলে পৌঁছানোর আগে অনেকগুলো ভূপাতিত করে জর্ডান। আর এতেই সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে দেশটির জনগণ। তবে জর্ডান সরকার জানিয়েছে, আত্মরক্ষার জন্য এটি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে। সরায়েলের পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে জর্ডানও ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভূপাতিত করার দায়িত্ব নিলেও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জর্ডান সরকার জানিয়েছে আত্মরক্ষার জন্য এটি করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, কারণ এগুলো আমাদের জনগণ ও জনবহুল এলাকার জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জর্ডানের নাগরিকরা তাদের সরকারের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন। জর্ডানের রানিসহ প্রতি পাঁচজনের একজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। হুসেইন নামে দেশটির একজন রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, জর্ডান যেভাবে ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে তাতে আমি খুবই বিরক্ত। বিপদের আশঙ্কা থাকায় তিনি তার পুরো নাম উল্লেখ করতে চাননি। এখানকার অনেকেই এটা মেনে নিচ্ছে না। আমরা ইরানকে সমর্থন করি না এবং গাজায় এখন যা ঘটছে তার পেছনে ইরানের বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করি৷ কিন্তু গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন যে-কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে আমরা আছি। মারিয়াম নামে আম্মানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, জর্ডানে ইরানের জনপ্রিয়তা নেই। কিন্তু আমি ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের বাধা দেওয়া ও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রত্যাখ্যান করি। আম্মানের সামরিক বিশ্লেষক মাহমুদ রিদাসাদ ডিডাব্লিউকে বলেন, সপ্তাহান্তে যে ঘটনা ঘটেছে তাকে ‘কখনও ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য করা হয়েছে তেমনটা বলা যাবে না, বরং জর্ডানের সার্বভৌমত্ব এবং আকাশসীমা রক্ষার জন্য করা হয়েছে'৷ কারণ, ড্রোন বা মিসাইল কোথায় পড়বে তা জানা যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ এদিকে জর্ডান সহায়তা করেছে বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যমে খুশির খবর প্রকাশ সম্পর্কে রিদাসাদ বলেন, এটা ইসরায়েলের প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছু নয়। ব্রাসেলসভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশ্লেষক তাহানি মুস্তফা ডিডাব্লিউকে জানান, সপ্তাহান্তের ঘটনা নিয়ে জর্ডানের নাগরিকেরা বিভক্ত৷কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে জর্ডানের অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক নিয়ে মানুষ বিস্তারিত জানে না, কারণ এসব বিষয় নিয়ে এখানে বেশি লেখা হয় না। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডানের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে জর্ডানের সংসদের অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে সমালোচনা রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য, পরিবহন ও বিমান বাধা ছাড়াই জর্ডানে ঢুকতে ও ঘুরে বেড়াতে পারবে৷ গাজা নিয়ে আম্মানে বিক্ষোভ শুরুর পর অনেকে জর্ডান থেকে মার্কিনিদের তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলতে শুরু করেন বলে ডিডাব্লিউকে জানান মুস্তফা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আম্মানে ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে কয়েক হাজার স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। তারা ১৯৯৪ সালে ইসরায়েল ও জর্ডানের মধ্যে সই হওয়া শান্তি চুক্তি বাতিলেরও আহ্বান জানান।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৫

‘ডেডবডি’র ট্রেলারেই উত্তাল নেটদুনিয়া (ভিডিও)
ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে একগুচ্ছ সিনেমা। এর মধ্যে অন্যতম হলো ওমর সানী অভিনীত সিনেমা ‘ডেডবডি’। সম্প্রতি সিনেমাটির ট্রেলার প্রকাশ্যে এসেছে। আর ট্রেলার মুক্তির পর রীতিমতো উত্তাল নেটদুনিয়া। ‘ডেডবডি’র ট্রেলারের প্রশংসায় মেতেছেন নেটিজেনরা।    মূলত ভৌতিক গল্পের ওপর নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এটি নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ ইকবাল। আগেই সিনেমাটি নিয়ে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন নির্মাতা।  সেসময় ইকবাল বলেছিলেন ‘ডেড বডি’ দেখার পর যদি কেউ বলতে পারেন এর নির্মাণ খারাপ, তাহলে জীবনে আর সিনেমা নির্মাণ করব না। এফডিসিতে দাঁড়িয়ে কথা দিয়ে গেলাম। আমি অন্যদের মতো না। কথা দিলে তা রাখি। ট্রেলারের ভিডিওতে যেমন ভৌতিক রহস্য লুকিয়ে আছে, তেমনি অ্যাকশন এবং রোমান্টিকতার ছোঁয়াও রয়েছে। বলা যায়, ট্রেলারেই যেন বাজিমাত করেছে ‘ডেডবডি’র। অনেকেই ট্রেলারটি দেখে প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি নির্মাণেরও।   এ প্রসঙ্গে নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘আমাদের ছোট ভাই মোহাম্মদ ইকবাল সিনেমাটি হলিউডের স্টাইলে বানিয়েছে। অ্যানিমেশনগুলো দুর্দান্ত হয়েছে! আমার মন বলছে এ সিনেমা ঈদে খুব ভালো ব্যবসা করবে। অ্যাকশন, রোমান্সে ভরপুর সিনেমাটির দুটি পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে। পোস্টার দুটিতে ছিল রহস্য, অ্যাকশনের আভাস। ‘ডেডবডি’ সিনেমায় বেশ চ্যালেঞ্জিং একটি চরিত্রে হাজির হবেন শ্যামল মাওলা। প্রসঙ্গত, ওমর সানী-শ্যামল ছাড়া ‘ডেডবডি’ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন— মিশা সওদাগর, জিয়াউল রোশান, মিষ্টি জাহান, রাশেদ মামুন অপু, কলকাতার এনিসহ অনেকে।   
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৭

নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল ইসরায়েল
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তেলআবিব, জেরুজালেম, সিজারিয়া, রানানা এবং হার্জলিয়াতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভে নেতানিয়াহুর পদত্যাগের পাশাপাশি আগাম নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের হাতে বন্দি ১৩৪ ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্ত করার দাবিও জানানো হয়। নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না। বিক্ষোভে অংশ নিয়ে জিম্মি লিরি আলবাগের মা শিরা আলবাগ বলেন, আমার ছেলে এবং অন্য জিম্মিরা কী অবস্থায় আছে, সেই চিন্তায় ১৭৬ দিন ধরে অন্য কিছু ভাবতে পারি না। জিম্মি বিনিময় চুক্তিতে যে-ই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাকে ইসরাইলের জনগণ ক্ষমা করবেন না। বিক্ষোভে অংশ নেন প্রায় ৫৪ দিন আগে মুক্তি পাওয়া জিম্মি রাজ বেন-আমি। তিনি বলেন, হামাসের হাতে জিম্মি সবাই বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা থামব না। এদিকে বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ কর্মকর্তারা শহরের কিরিয়া সামরিক সদর দপ্তরের প্রবেশদ্বার বিগিন গেটে বিক্ষোভকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বিক্ষোভ দমনে জলকামানও ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান ও আলজাজিরার
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়