• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চলন্ত ট্রাকে চালকের মৃত্যু, প্রাইভেটকারের ওপর উঠে গেল ট্রাক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চলন্ত ট্রাকের ভেতরে মারা গেছেন ট্রাকচালক মো. আব্দুল মান্নান (৬০)। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি প্রথমে সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এ ছাড়া পাশে থাকা একটি প্রাইভেটকারের ওপর উঠে যায় ট্রাকটি। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা তিন শিক্ষার্থী সামান্য আহত হন। শনিবার (৪ মে) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানঘাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  ট্রাক চালকের মো. আব্দুল মান্নান কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার বাসিন্দা ছিলেন। হাইওয়ে পুলিশ নিহত চালকের লাশ ও আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, চলন্ত ট্রাকটির চালক হঠাৎ মারা যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে ট্রাকটি আশপাশের গাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারের পেছনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। গাড়িতে থাকা যাত্রীরা সামান্য আহত হয়েছেন। পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন উদ্ধার করেছে।
০৪ মে ২০২৪, ১৬:৪৭

সজনে পাড়তে উঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
রাজবাড়ীর পাংশায় সজনে পাড়তে গাছে উঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আব্দুল আজিজ ফাজু (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে পাংশা পৌরসভার কুরাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফাজু ওই এলাকার আব্দুল লতিফ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক। মৃত ফাজুর প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলাম খান জানান, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে বাড়ির কাছে গোবিন্দ কুণ্ডুর গাছে সজনে পাড়তে ওঠেন ফাজু। ওই গাছের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তার ছিল। বিদ্যুতের তারে লেগে সজনে গাছের একটি ডাল আগে থেকেই বিদ্যুতায়িত হয়েছিল। তবে বিষয়টি বুঝতে পারেননি ফাজু। ওই ডালে হাত লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গাছের ডালে আটকা পড়েন। এ সময় বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করা হলে তারা বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে ঘটনাস্থলে এসে মই দিয়ে গাছে উঠে প্রায় আধাঘণ্টা পর ফাজুকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার। তিনি জানান, মরদেহ উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। 
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫০

রেললাইনে উঠে গেল বাস, প্রাণে বাঁচল হাজারও যাত্রী 
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে উঠে পড়ে বাস। এ ঘটনায় বাস ও ট্রাকের চালকসহ ৪ থেকে ৫ জন আহত হন। এ দিকে এমন ঘটনায় ডিউটিরত পুলিশ সদস্যের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ঢাকা ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের হাজারও যাত্রী।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার হাতিয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কিছু সময়ের জন্য ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় ঢাকাগামী আরপি এক্সপ্রেস নামে একটি বাস ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনের উপরে উঠে যায়। এ সময় মধ্যরাতে মহাসড়কে ঘটনাস্থলে ডিউটিরত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরীসহ আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তারা জানতে পারেন টাঙ্গাইল থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের দিকে ছেড়েছে। একপর্যায়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট জায়গায় ফোন করে ট্রেনটি থামানোর জন্য অনুরোধ জানান এসআই টিটু। পরে ট্রেনটি ঘটনাস্থলে এসে দাঁড়ালে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারও যাত্রী। এরপর দ্রুত বাসটি সরানো হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ট্রেনে থাকা যাত্রীরা জানান, হঠাৎ করে ট্রেনটি হাতিয়া নামক এলাকায় থেমে যায়। পরে জানতে পারি এখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে উঠে পড়ে। ঘটনাস্থলে দ্রুত ট্রেনটি দাঁড় না করালে যেকোন বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আগেই অবগত হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পায় ট্রেনের হাজারও যাত্রী। এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে বাসটি রেললাইন উঠে যায়। পরে দ্রুত পুলিশ রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ঘটনাস্থলে দাঁড় করানো হয়। এতে করে ট্রেনের হাজারও যাত্রী রক্ষা পায়। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় বাসের ৪ জন যাত্রী ও ট্রাকের চালকসহ ৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাকটি সেতু পূর্ব থানায় রাখা হয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৭

গাজায় এক কবর থেকেই উঠে আসছে শত শত লাশ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালের পাশে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। কবরটি থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কবর খোঁড়ার কাজ শেষ হয়নি এখনও। এরই মধ্যে এতগুলো মরদেহ উদ্ধারের খবর হতবাক করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে।  খবর সিএনএনের।  খান ইউনিসের বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের পরিচালক কর্নেল ইয়ামেন আবু সুলেমান জানিয়েছেন, গত শনিবার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এই গণকবর থেকে সোমবার আরও ৭৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আল শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আরেকটি গণকবরে পাওয়া গেছে ৩০টি মরদেহ। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি মরদেহের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারও গায়ে মাঠেই ফাঁসি দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাদের জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল নাকি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা আমরা জানি না। বেশিরভাগ লাশই পচে গেছে। এর আগে খান ইউনিস বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র এবং এই অনুসন্ধান মিশনের প্রধান রায়েদ সাকার বলেছিলেন, গত ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর তারা আরও ৪০০ নিখোঁজ মানুষের মরদেহের সন্ধান করছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরদেহগুলো বর্জ্যের স্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল। তাদের মধ্যে নারী ও বয়স্ক মানুষও ছিল। গাজার হাসপাতালে শত শত লাশের গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবর আতঙ্কিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিনি বলেছেন, গাজায় নাসের এবং আল-শিফা হাসপাতাল ধ্বংস করা এবং সেখানে শত শত মরদেহ গণকবর দেওয়ার প্রতিবেদন দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত আমি।  প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল দক্ষিণ গাজার এই শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। শহরে থেকে ইসরায়েলি সেনারা চলে যাওয়ার পরই এই গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকায় তীব্র বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াইও হয়েছে। এসব কারণে এলাকাটি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে যে, তারা ইসরায়েলে জিম্মি শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গাজা থেকে কয়েক ডজন মরদেহ সরিয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৩

উদ্বোধনের দিনই উঠে গেল সড়কের পিচঢালাই!
উদ্বোধনের দিন উঠে গেল সড়কের পিচঢালাই। এতে ক্ষুব্ধ হন খোদ প্রধান অতিথি ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। রোববার বিকেলে সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের বনগ্রাম-চিনাখড়া-ভায়া সামান্যপাড়া সড়ক ও সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, রোববার (৭ এপ্রিল) সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম-চিনাখড়া-ভায়া সামান্যপাড়া সড়ক ও সেতুর উদ্বোধন করতে যান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি। এ সময় এলাকাবাসী নির্মিত পিচঢালাই সড়ক হাত দিয়ে তুলে ডেপুটি স্পিকারকে দেখান।  এ সময় ডেপুটি স্পিকার উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ভারপ্রাপ্ত) ওপর ক্ষুব্ধ হন। ঠিকাদারকে খোঁজেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ঠিকাদার পালিয়ে যান বলে জানা যায়।  তথ্যসূত্র বলছে, স্থানীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে আরডিআরআইডিপি অ্যান্ড এসইউপিআরবি প্রকল্পের আওতায় ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম-চিনাখড়-ভায়া সামান্যপাড়া ১ হাজার ৭০০ মিটার সড়ক ও সেতুর নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় পাবনার সুজানগরের ‘মন্ডল কনস্ট্রাকশন’।  স্থানীয় বাসিন্দা কালাম, সুমনসহ অনেকেই জানান, কাজ নিম্নমানের হওয়ায় পিচঢালাই সড়কের পাথর একাই উঠে যাচ্ছে। এ সড়ক ২ মাসও যাবেনা। তাদের অভিযোগ সাঁথিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের একজন সার্ভেয়ার মির্জা ইদ্রিস উদ্দিন আহমেদ (উপসহাকারী প্রকৌশলীর দায়িত্ব প্রাপ্ত) ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে এ সড়কে নিম্নমানের কাজ হয়েছে।  এ সময় এলাকাবাসী নতুন করে সড়ক নির্মাণের দাবি জানান। ক্ষেতুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আলম পিনচু বলেন, সড়কের কাজ যে মানের হওয়ার কথা ছিল সে মানের হয়নি। হাত দিয়েই লোকজন পিচঢালাই পাথর তুলে ফেলছে। কাজ ঠিক না করে বিল না দেওয়ার দাবি জানান তিনি।  সড়ক নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মন্ডল কনস্ট্রাকশন’ স্বত্বাধিকারী রফিক মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাঁথিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, মাত্র দুদিন হলো ঢালাই হয়েছে। গরমই কাটেনি। অতিরিক্ত রোদের কারণে সড়কের পিচঢালাইকৃত পাথর উঠে যাচ্ছে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২১

অবন্তিকার আত্মহত্যার নেপথ্যে উঠে এলো আরও কয়েকজনের নাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিষয়ে মুখ খুলেছেন তার মা তাহমিনা শবনম। জানিয়েছেন, অবন্তিকার এই মৃত্যুর নেপথ্যে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীসহ আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত। একইসঙ্গে মেয়ের এই আত্মহত্যার নেপথ্যে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে নিজেও আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন সন্তানহারা এই মা। অবন্তিকার মৃত্যুর পর কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ের বাসায় শনিবার কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের সামনে অনেক কথা তুলে ধরেন তাহমিনা শবনম। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে ছিল অত্যন্ত উদ্যমী। আমার মেয়ে মেধাবী এটাই কি তার অপরাধ? সে তার সেশনে ফার্স্ট, এটাই কি তার অপরাধ? সে জিডি (জেনারেল ডিউটি) পাইলটে টিকেছে, এটাই কি তার অপরাধ?’ তিনি বলেন, ‘আমি প্রক্টর, চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কোনো বিচার পাইনি। আমি বিচার না পেলে শেষ হয়ে যাব। আমার কিছুই নেই। নিজে শেষ হয়ে গেলে আর কিছুই থাকবে না।’ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অবন্তিকার মা বলেন, ‘মেয়েটা কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার কলতাবাজারে ছিল। এখানে ইউনিভার্সিটির ছেলেগুলা ওই বাসা পর্যন্ত গিয়ে জানাইছে যে ওর নামে জিডি আছে। ওরে ওখান থেকে বের করে দিয়েছে। ওই বাসার মেয়েরা তো জানার কথা না। আমার মেয়ে এসে বলতেছে- মা ওরা তো আমাকে এইভাবে মেন্টাল টর্চার করতেছে। আমি পড়তে পারি না।’  তাহমিনা শবনম বলেন, ‘পরে আমি ওর সঙ্গে ঢাকায় গেলাম। আমি যখন গেলাম মেয়েরা তখন চুপ। আমি বুঝতে দেই নাই মেয়েদেরকে যে ওর (অবন্তিকার) পরীক্ষা চলতেছে। মেয়ের পরীক্ষা যখন শেষ, আমি যেদিন চলে আসি মেয়েরা অবন্তিকাকে বলতেছে- তোমার কি পরীক্ষা শেষ? নাকি পরীক্ষা শুরু হবে? তার মানে তাদেরকে ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্ধন দিয়ে রাখছে তাকে কীভাবে টর্চার করবে।’ তিনি বলেন, ‘রাফি, আম্মান, মাহিয়া, লাকি, রিমি, আঁখি, বন্যা, দ্বীন ইসলাম এ ঘটনার জন্য মূল দায়ী। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে আপনারা ছেলেদেরকে জিজ্ঞেস করেন তারা কেন এমন করছে। সে তো স্টুডেন্ট ভালো। ক্লাসের টপ লিস্টেড মেয়ে। তার সঙ্গে কেন এরকম করছে? বলে যে আপনার মেয়ে একটা মেসেজ দিয়েছে। ওই মেসেজটা কিসের? মেসেজটা কিন্তু আমার কাছে আছে। এই মেসেজে কোনদিন কোনো জিডি হয় না। কোনো কিছুই হয় না। মানে, ও ওর সঙ্গে অ্যাফেয়ার করেছে, এই কথাগুলো। এই কথাগুলো দিয়া তো কখনও জিডি হয় না।’ মা তাহমিনা শবনমের অভিযোগ, এক বছর আগে থেকে অবন্তিকার এক সহপাঠী বিভিন্নভাবে তাকে উৎপীড়ন করত। এ নিয়ে তার মেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে নালিশ করে। কিন্তু সহকারী প্রক্টর ঘটনার বিচার করেননি, উল্টো মেয়েকে ডেকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ওই ছেলের পক্ষ নেন তিনি। তখন ওই ছেলে আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ে। আপত্তিকর মন্তব্য করত, হুমকি দিত। এসব ঘটনার বিচার চেয়ে না পেয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ২১:০৫

ক্রীড়াতে মানুষে মানুষে সম্পর্ক গড়ে উঠে : গৃহায়ন মন্ত্রী
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ক্রীড়া বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের সাথে সংযোগ করে দেয়। ক্রীড়া হলো এমন একটি ব্যবস্থাপনা যেখানে মানুষে মানুষে সম্পর্ক গড়ে উঠে। ক্রীড়াতে মুসলিম ক্রীড়া, হিন্দু ক্রীড়া, খ্রিষ্টান ক্রীড়া বলে কোন বিভাজন নেই।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই কথা বলেন তিনি।  মন্ত্রী আরও বলেন, যারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ও ক্রীড়াতে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে তারা ব্যর্থ হয়ে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়েরা আজকে ক্রিকেট খেলে, ফুটবল খেলে, নৌকা বাইচ হয়।  জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী প্রমুখ। 
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৮

‘তারা ট্রেনে উঠে বলে, আমরা মন্ত্রীর এলাকার লোক’
নিজের নির্বাচনী আসনের মানুষজন ট্রেনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলে জানতে পেরেছেন রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রেলমন্ত্রী বলেন, আমার এলাকার যারা ট্রেনে চড়েন, তারা রেলের লোকজনের ওপর দাপট নেয় বলে শুনেছি। তারা ট্রেনে উঠে বলে, ‘মন্ত্রীর এলাকার লোক’। এসব বন্ধ করতে হবে। আমার এলাকার লোক বলেই ট্রেনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে এমন নয়। আমি এলাকার লোকদের বলবো, ট্রেনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে ভদ্র ও ভালো ব্যবহার করবেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে রেলমন্ত্রী রাজবাড়ী স্টেশনে নামেন। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ট্রেনে রাজবাড়ী আসার অনুভূতি অনেক ভালো। এই ট্রেন সার্ভিস আগে ছিল না। ট্রেনে ঢাকা থেকে রাজবাড়ীতে এসেছি খুব অল্প সময়ে। যে সার্ভিসটা পেয়েছি সেটি উল্লেখ করার মতো। এই সার্ভিসের আরও উন্নতি হবে। যারা যাত্রী রয়েছেন তারা সুলভমূল্যে ও সস্তায় যাতে এই সার্ভিসটা পান সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জিল্লুল হাকিম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন রেলের আরও সম্প্রসারণ হবে। রেল সস্তায় সার্ভিস দিয়ে থাকে। মাল পরিবহনেও রেল সস্তায় সার্ভিস দিয়ে থাকে। প্রত্যেকটি জেলায় রেলের কানেক্টিভিটি তৈরি করা হবে। প্রত্যেকটি জেলায় রেল পৌঁছে দেওয়া হবে। আর কিছুদিন পরেই ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন চালু হবে। এছাড়াও আরও কিছু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রেলের সম্প্রসারণের জন্য। রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচুর কোচ আমদানি হচ্ছে। ইঞ্জিনও আমদানি হয়েছে, আরও কিছু আমদানি হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে সুখের খবর এটা রাজবাড়ী রেলের শহর, রাজবাড়ীতে একটা রেলের সবচেয়ে বড় কারখানা নির্মাণ করা হবে। যেটা ১০৫ একর জমি নিয়ে, সৈয়দপুর থেকেও বড়। এই কারখানায় রিপিয়ারিং,মেইনটেনেন্সসহ বগি তৈরির কারখানা যাতে হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটা আমাদের রাজবাড়ীবাসীর জন্য একটি বড় ব্যাপার। এ ছাড়াও মন্ত্রী রাজবাড়ীতে নতুন একটি আধুনিক রেলস্টেশন করার ঘোষণা দেন। রেলমন্ত্রী দুদিনের সরকারি সফরে রাজবাড়ীতে এসেছেন। আজ সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা শুরু করেন। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে তিনি রাজবাড়ী রেলস্টেশনে পৌঁছান। এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকারসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রেলমন্ত্রী ও তার স্ত্রী সাঈদা হকিমকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। 
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১২

শেখ হাসিনা-জেলেনস্কির বৈঠকে যেসব বিষয় উঠে এলো
জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে হোটেল বেয়েরিশার হফে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া বৈঠকে গাজায় নিরপরাধ নারী-পুরুষের ওপর হামলা কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন যে যুদ্ধ কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।  শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধের মাধ্যমে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। কিন্তু যুদ্ধ লিপ্ত দেশগুলোর জন্য তা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না এবং তাদের জনগণকে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।  এ সময় প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভোগ এবং তিনি নিজেও যে দুর্ভোগের শিকার হয়েছিলেন তার স্মৃতি স্মরণ করেন। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বন্দিদশায় তার অমানবিক কষ্ট এবং তার একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মের কথা স্মরণ করেন। হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও জেলেনস্কির মধ্যে আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ স্পষ্টভাবে উঠে আসে। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং যুদ্ধের পর বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছেছেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রধানমন্ত্রীর মিউনিখ ত্যাগ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সূত্র : বাসস
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৫

রেইনট্রি গাছে উঠে অজ্ঞান কাঠুরে, অতঃপর...
পটুয়াখালীর কলাতলা হাউজিং মাঠে রেইনট্রি গাছের ডাল কাটতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন এক কাঠুরে মো. মামুন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন।  শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে মাঠের দক্ষিণ পাশে এ ঘটনা ঘটে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার কলাতলা হাউজিং মাঠের পূর্ব পাশে একটি রেইনট্রি গাছের ডাল কাটতে ওঠেন তিনি। দুপুরের দিকে গাছের চূড়ায় হঠাৎ তিনি অজ্ঞান হয়ে দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে ডালের সঙ্গে আটকে যান। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইসমাইল ও ফারুক মৃধা দেখে তার কোনো সাড়া না পেয়ে অনেক চেষ্টা করেও মামুনকে নামাতে পারেনি।  পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে তাদের বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পর নামানো হয় কাঠুরে রফিককে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।  পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. রেজওয়ান বলেন, খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং আমাদের দুইটি ইউনিটে সদস্যদের এক ঘন্টার পরিশ্রমের পরে তাকে উদ্ধার করি। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাই। বর্তমানে সুস্থ রয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়