• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ডিপজল-মিশাকে যা বললেন ইলিয়াস কাঞ্চন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচনে  নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।  শনিবার (২০ এপ্রিল) ফলাফল ঘোষণার পর নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সদ্য বিদায়ী সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। সব শিল্পীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, গত ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির নির্বাচনে শিল্পীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। এতে আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কারণ, তাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে এফডিসি মুখরিত হয়ে উঠেছিল। আমার বিশ্বাস, এভাবেই এফডিসি আবারও প্রাণ ফিরে পাবে। ফ্লোরগুলো হয়ে উঠবে কাজের জন্য আলোকিত। ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, নবনির্বাচিত কমিটির প্রতি আহ্বান জানাবো— কে জিতেছে, কে হেরেছে সেই প্রশ্নে যাবেন না। বরং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাবেন। রাখবেন চলচ্চিত্রের বর্তমান সংকট কাটাতে গঠনমূলক ভূমিকাও। এ সময় নেতৃত্বে না থাকলেও নির্বাচিত নেতাদের পাশে থাকারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই অভিনেতা।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩২

শিল্পী সমিতির নির্বাচন / সহকর্মী ও গণমাধ্যমকে এড়িয়ে গেলেন ইলিয়াস কাঞ্চন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বিদায়ী কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এসেছিলেন ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে ভোট দিতে। তবে কারও সঙ্গে কথা না বলে তিনি চলে গেছেন অনেকটা চুপিসারেই। জানা গেছে, ভোট দেওয়ার পর শিল্পীরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন, জানিয়েছেন নতুন কমিটির কাছে তাদের প্রত্যাশার কথা। কিন্তু ইলিয়াস কাঞ্চন এফডিসিতে প্রবেশ করে গাড়ি থেকে নেমে সোজা প্রবেশ করেন ভোটকেন্দ্রে। এরপর ভোট প্রদান করে ৫ মিনিটের মধ্যে তিনি বাইরে আসেন। এ সময় দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি সাড়া না দিয়ে এফডিসি থেকে বেরিয়ে যান। এমনকি কোনো গণমাধ্যমেও কথা বলেননি। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় অভিনেতা ডা. এজাজের ভোট প্রদানের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। যা চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।  প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। প্যানেল দুটি হলো মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুণ।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫১

ইলিয়াস কাঞ্চনের অনিয়ম নিয়ে রুবেলের বিস্ফোরক মন্তব্য
২০২২ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে বিগত দুই বছরে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি তার কমিটিকে। ইলিয়াস কাঞ্চন মনে করেন, কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের অসহযোগিতার কারণেই বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে। যে কারণে মনে কষ্ট রয়ে গেছে এই অভিনেতার। ক্ষোভ ও দুঃখ নিয়ে শিল্পী সমিতি থেকে বিদায় নেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার কমিটির সহ-সভাপতি রুবেল প্রসঙ্গে বলেছিলেন, রুবেলের আমার এখানে আসা উচিত ছিল। রুবেল আমার বন্ধুর ছোট ভাই। কিন্তু ও আসেনি। তবে এ প্রসঙ্গে নায়ক-নেতা রুবেল বললেন ভিন্ন কথা। মুখ খুলেছেন ইলিয়াস কাঞ্চনের অনিয়ম প্রসঙ্গে। ছুড়ে দিলেন প্রশ্ন। সম্প্রতি ইফতারের পর মিশা-ডিপজলের নিয়মিত ইফতার আয়োজনে উপস্থিত হয়ে কথার পরিপ্রেক্ষিতে ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে এই ‘লড়াকু’ নায়ক বলেন, কাঞ্চন ভাই শতভাগ রাইট। কিন্তু আমি যদি অন্যদিকে তাকে ছোট একটি প্রশ্ন করতে চাই যে, কোন দিন কি এজিএস কিংবা আপনি ফোন দিয়ে জানতে চেয়েছেন না আসার কারণ। আর কোনদিন আপনি আমাকে আসার জন্য বলেছেন? কেউ আমাকে আসার জন্য ফোন দেননি। তারা আমাকে সরাসরি চিঠি পাঠিয়েছেন। যেখানে তিনবার চিঠি পাঠানোর নিয়ম সেখানে একবার চিঠি পাঠানো হয়। যোগ করে রুবেল বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি আমি বিগত সময় শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং একাধারে ১২বার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলাম। আমি যতটুকু জানি যদি কাউকে বাদ দিতে হয় তাহলে ঘরোয়াভাবে মিটিং করে বাদ দিতে হবে। সেখানে আপনি (ইলিয়াস কাঞ্চন) বিশাল ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে আমাকে ও সুচরিতাকে বাদ দিয়েছিলেন। এটা কি খুব সম্মানজনক কাজ করেছিলেন? ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে এটা কি আপনাদের কাছে আমার প্রাপ্য? আমাকে বাদ দেওয়ার কথাটি ছোট ভাই সাইমনের মুখ দিয়ে বলিয়ে দিলেন। সেটি কি ঠিক কাজ করেছিলেন? এটি আপনার কাছে আমার প্রশ্ন। তারপরও আমি কোন জায়গায় এসব ব্যাপারে কখনো কিছু বলিনি। চুপ করে সব সহ্য করেছি। দুই বছর এফডিসি আসিনি। এখন যেহেতু তিনি এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাই বলতে বাধ্য হয়েছি। এত বছরের ক্যারিয়ারে একটু সম্মান পেতেই পারি। এসময় রুবেল শিল্পীদের অনুরোধ করে বলেন, দয়া করে কেউ দুই নৌকায় পা দিবেন না। কথাটি খারাপ শোনালেও বলতে হয় আমরা অনেকেই দুই নৌকায় পা দেওয়া পছন্দ করি। তাদের কাছে অনুরোধ আপনারা দুই নৌকায় পা দিবেন না। এর জন্য আপনাকে আল্লার কাছে জবাব দিতে হবে। আপনি জন্মের পর মৃত্যুর তারিখ নির্ধারিত হয়ে আছে। যে যোগ্য এবং আপনার পছন্দ তাকে ভোট দিন। কিন্তু আজ এখানে কাল ওখানে এসব করবেন না। ব্যক্তিগত পছন্দ থাকতেই পারে। তবে সব জায়গায় তাল দেয়া ঠিক না। প্রসঙ্গত, আসছে ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বী করবে। একটি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। অন্যটি মাহমুদ কলি ও নিপুণ আক্তার। মিশা-ডিপজল প্যানেল প্রচারণায় সরব থাকলেও কলি-নিপুণকে সেভাবে মাঠে দেখা যাচ্ছে না।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৩

নিপুণের জন্য বড় নেতার অনুরোধে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করেন ইলিয়াস কাঞ্চন
দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদের অনুরোধে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। তবে নিপুণের হয়ে অনুরোধ করা সেই বড় রাজনীতিবিদের নাম বলেননি তিনি। খবর রয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী নেতা নিপুণের হয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনকে নির্বাচনে আসার অনুরোধ করেছিলেন। একজন রাজনীতিবিদের অনুরোধে গতবার সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, নিপুণ শুধু আমাকে না, আমার ছেলেকেও ম্যানেজ করেছে। তবু আমি দাঁড়াতাম না। আমাদের দেশের বড় একজন রাজনীতিবিদ অনুরোধ করেছিলেন। কারণ, তার প্রতি আমার একটা ভালোবাসা-শ্রদ্ধা রয়েছে, যার কারণে আমার এ জায়গায় আসতে হয়েছে। কমিটি নিয়ে তুলকালাম হয়ে যাওয়ার পরও পদত্যাগ না করার কারণ জানিয়ে চিত্রনায়ক কাঞ্চন বলেন, আসলে পদত্যাগ জিনিসটি ভালো নয়। আমার তরফ থেকে কোনো ক্রটি আমি করিনি। ভালো হতো আমাদের সবাই যদি এক মানসিকতার হতো। বছরে অন্তত একটি সাধারণ সভার নিয়ম আছে, কিন্তু আমরা সেটিও করতে পারিনি। আসলে এত অনিয়ম যে একা একটা মানুষ তো আর সব করতে পারে না। প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে মিশা-ডিপজল এক প্যানেল হয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। অন্যদিকে নিপুণের নির্বাচন করার কথা রয়েছে তবে এখন পর্যন্ত তিনি তার প্যানেলের জন্য সভাপতি খুঁজে পাননি। 
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৬

শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ইলিয়াস কাঞ্চনের
নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। চার দশকের বেশি সময় অভিনয়জীবন তার। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য হিতে সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই অভিনেতা; যা আজও সিনেমাপ্রেমীদের মনে দাগ কেটে আছে। অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে গড়ে তোলেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলন। এ ছাড়া দুই বছর আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। তবে এবার আর নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়েছেন এই অভিনেতা। বলা যায়, অনেকটা কষ্ট নিয়েই নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। শুধু তাই নয়, রীতিমতো শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্যও করেছেন এই অভিনেতা।  দিন কয়েক আগেই আয়োজিত হয়ে গেল শিল্পী সমিতির বনভোজন। সেখানে অন্য তারকাদের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চনও। তবে বনভোজনে উপস্থিত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এ সময় অভিনেতা জানান, দুঃখ নিয়েই সংগঠন থেকে বিদায় নিচ্ছেন তিনি।  ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সত্যি বলতে, আমি তো আসলে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করতেই চাইনি। অনেক অনুরোধের পর আমি সিদ্ধান্ত নিই। সাধারণত আমি যে দায়িত্ব নিই, সেই দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের চেষ্টা করি। এর আগে শিল্পী সমিতির সেক্রেটারি ছিলাম আমি। এই সমিতি প্রতিষ্ঠার পর প্রথম সেক্রেটারি ছিলেন আহমেদ শরীফ, এরপর আমি ছিলাম। সেসময় নির্বাচন করার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমাদেরকে। যেটা মোটেও ভালো লাগেনি। আসলে একটা ভালো অবস্থানে থাকার পরও শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে পরে আর আগ্রহ দেখাইনি। ওয়াদা করলে সেটা মানুষ রাখে নাকি রাখে না— এটা কিন্তু কম-বেশি সবারই জানা। এরপরও সবার বাড়িতে গিয়ে ভোট চাওয়ার পদ্ধতিটাও ভালো লাগেনি।      অভিনেতা বলেন, সবসময়ই ভেবেছি যারা শিল্পী সমিতির সদস্য, তারা যেন অবশ্যই পেশাদার ও প্রকৃত শিল্পী হন। কিন্তু এবার শিল্পী সমিতি চালাতে গিয়ে দেখলাম, এখানে মোটেও সেটা নেই। জুনিয়র শিল্পী, নাচের শিল্পী, কেউ আবার ফাইটারদেরও নিজস্ব সংগঠন আছে। এদের সবারই শিল্পী পরিচয়টা রয়েছে দ্বিতীয়তে। অথচ তারা সবাই শিল্পী সমিতির পূর্ণ সদস্য হয়ে বসে আছেন। অথচ এই শিল্পী সমিতিতে আমাদের সময়ে নিয়ম, ১০ গুরুত্বপূর্ণ ছবির চরিত্রে অভিনয় করলেই সদস্যপদ পাওয়া যাবে। কিন্তু গত কয়েক বছরে এসব নিয়ম পুরোপুরি পাল্টে গেছে। নিয়ম না মেনেই অনেকে সদস্য হয়েছেন। শুধু ভোটের কারণে এমনটা ঘটেছে। তাই এসব নিয়ে সব সময় জটিলতা লেগেই  থাকত।  তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে ছয় শতাধিক শিল্পী! এটা ভাবা যায়! তা-ও প্রকৃত শিল্পী! সক্রিয় শিল্পী। যাদের নিজস্ব সংগঠন আছে তারা আমাদের সমিতিতে সহযোগী হিসেবে থাকতে পারেন। কিন্তু ভোটাধিকার পাবেন না। অথচ দীর্ঘ সময় ধরে এমন অনিয়ম চলছে। প্রকৃত শিল্পী কম থাকায় শিল্পী সমিতিতে ক্ষমতাধর হয়ে উঠেছেন নাচ ও ফাইটার সমিতির লোকজন। প্রকৃত শিল্পীর চেয়ে ওদের সংখ্যাটাই বেশি। এবার নির্বাচন করলাম, এর আগে নির্বাচন কমিশনার ছিল। তখনো আমার কানে এসেছে, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি হয়। এই নির্বাচনেও টাকার ছড়াছড়ি হয়েছে, আমি তো নিজের চোখে দেখলাম। আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছিল যে, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কেন টাকা দিয়ে ভোট কিনতে হবে। আসলে এটা সমিতির পদ-পদবি ভিন্ন উপায়ে আয়-রোজগার করার সিস্টেম। তাই নির্বাচনে জিততে প্রকৃত শিল্পীদের বাইরে সবাই মরিয়া হয়ে ওঠেন।    শিল্পী সমতির নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি হয়— উল্লেখ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, এটা তো হওয়া উচিত নয়। টাকার ছড়াছড়ি হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, নাম উল্লেখ না করেই বলছি, কিছু মানুষ এখানে আছেন যাদের টাকা আছে। এমনকি প্রকৃত শিল্পীও হতে পারেননি। কিন্তু নির্বাচন করতে চান। কারণ শিল্পী সমিতির সাইনবোর্ডটা থাকলে তাদের সুবিধা হয়। সমিতির সদস্য হওয়ার কারণে, ভালো ভালো জায়গায় যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। বসে আড্ডা দিতে পারছেন। অথচ চলচ্চিত্রে তাদের কোনো ভ্যালু নেই। তাদের ভালো কোনো সিনেমা নেই। এমনকি কেউ তো আবার ঠিকমতো অভিনয়টাও জানেন না। শুধু কৌশল খাটিয়ে, টাকাপয়সা খরচ করে শিল্পী সমিতিতে সদস্যপদ হয়ে সব জায়গায় যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন। সত্যি বলতে, প্রকৃত শিল্পী বাইরে এদের সংখ্যা অধিক। তারা নির্বাচনে যেসব প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাদের সবার কাছ থেকে টাকা নেন। এক রকম প্রতারণাও করেন। যারা প্রকৃত শিল্পী, শুধু তাদের ভোটাধিকার থাকলে এই ধরনের সমস্যা হতো না। এবারের  পিকনিকে অদ্ভুত একটা ঘটনা ঘটেছে, মেয়েরা মেয়েরা দ্বন্দ্ব সংঘাতে জড়িয়েছেন। এসব ঘটনা যেখানে ঘটে, সেখানে তো সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি রাজি নই। অনেকে আবার আমাকে নিয়েও অনেক নেটিবাচক মন্তব্য করেছেন। যেটা বলার কথা নয়। এসব সমিতির এখনকার অবস্থার কারণে সম্ভব হয়েছে।  অভিনেতা বলেন, বেশ অনেক দিন থেকে শুরু হয়েছে। কিন্তু এসব মোটেই কাম্য নয়। আমি দেখলাম, এমন অনেকে টাকা নিয়েছেন, যাদের টাকার প্রয়োজন নেই। ড্যান্সের এমন একজনকে  ডেকে বললাম— তুমি যে টাকাটা নিতে আসছ, এটা তো তোমার দরকারও নেই। তোমার আয়ও আছে। কাজও করছ। না নিলেও পারো। তুমি চাইলে শিল্পী সমিতিতে তহবিল সংগ্রহে ভূমিকা রাখতে পারো। যাদের সত্যিকারের সহযোগিতা যার দরকার, তাদের কাজে আসবে। এ কথা বলার পর ড্যান্সের সেই ছেলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়া তো এখন হাতের মুঠোয়। এখানে কোনো রেস্ট্রিকশন নেই। আমার সম্পর্কে বিভিন্ন কিছু লিখেছে! যদিও আমি এসবের প্রতিবাদও করিনি।        
০৭ মার্চ ২০২৪, ১২:৫০

ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্য কিছুই করতে পারিনি : সীমান্ত
বিতর্ক, আলোচনা, সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে নিয়ে। বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন নেতৃত্বাধীন ২০২২-২৪ মেয়াদের কমিটি নানা কারণে সমালোচিত। এরই মধ্যে কমিটির মেয়াদ শেষ। এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কাঞ্চন। তার প্যানেল থেকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করে ভোটে পরাজিত হলেও কো-অপ্টের মাধ্যমে কমিটিতে জায়গা পান চলচ্চিত্র অভিনেতা সীমান্ত আহমেদ। তবে নিজের প্যানেলের সভাপতির ওপর অনেকটাই বিরক্ত এই অভিনেতা। জানান, ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্য দুই বছর কাজ করতে পারেননি তারা। সীমান্ত বলেন, সভাপতির অনুমতি ছাড়া তো কিছু করা সম্ভব না। আমরা কমিটিতে আসার পর সেভাবে আসলে কিছু করা হয়নি, করতে পারিনি। যখন শিল্পীরা বলে তোমাদের অনেক আশা নিয়ে ভোট দিয়েছি, তখন তাদের কিছু বলতে পারি না। শিল্পীদের জন্য কিছু করতে না পারায় তাদের মুখ দেখাতে পারি না। এই অভিনেতা বলেন, অনেক উদ্যোগ নিলেও সভাপতি রাজি হয়নি। রোজার ঈদের পর ঈদ পুনর্মিলনী করতে চেয়েছিলাম এবং কোরবানির সময় শিল্পীদের জন্য গরু কোরবানি দিতে চেয়েছিলাম। এতে কাঞ্চন ভাইয়ের মত ছিল না। যার কারণে করতে পারিনি। আগ্রহ থাকলেও এমন অনেক কিছুই আমরা তার জন্য করতে পারিনি। সীমান্ত আরো বলেন, উৎসবে শিল্পীদের চাহিদা তো থাকেই। দুই ঈদ, ইফতার এবং পিকনিক এর চেয়ে বেশি কিছু তো শিল্পীরা প্রত্যাশা করে না। এতেই অনেক শিল্পী ভাই-বোনেরা অনেক আনন্দ পায়। সব শিল্পীরা বছরের একটি পিকনিকের অপেক্ষা করে। বিশেষ করে কোরবানির ঈদ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এ নিয়ে আমাকে শিল্পীদের অনেক মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সভাপতির জন্য কোরবানি হয়নি। কেন গরু কোরবানি দেব, ঈদের দিন কে থাকবে? সবার বাসায় কাজ আছে এমন নানা কথা। তারপরও ঈদের পর মিলনমেলা করার ইচ্ছে ছিল কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠেনি। ওটা হলেও এত কথা হতো না। মোট কথা ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্যই অনেক কিছু করতে পারিনি বললেন সীমান্ত। ছোট ও বড় পর্দার অভিনেতা সীমান্ত আহমেদ। কখনও খল চরিত্রে আবার কখনও মজার মজার কমেডি চরিত্রে দেখা মেলে তার। আসন্ন নির্বাচনেও নিপুণের প্যানেল থেকে সম্পাদকীয় পদে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগ্রহ জানিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে সীমান্ত নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্ব শেষ করেছেন বলে জানিয়েছেন। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এরই মধ্যে চলচ্চিত্রের সিনিয়র শিল্পী মিশা সওদাগর ও  ডিপজল নিজেদের প্যানেল ঘোষণা দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, নিপুণ প্যানেল গড়বেন অমিত হাসানকে সভাপতি করে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার সাংবাদিক ইলিয়াস 
যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। স্থানীয় সময় রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কের অদূরে একটি দ্বীপ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  জ্যামাইকার ১১৩ প্রেসেন্ট হাজতে নেওয়া হয়েছে ইলিয়াসকে। স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো গ্রেপ্তার করা হলো সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই তার খোঁজ শুরু করে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট। হুলিয়া জারির পর থেকেই বিভিন্ন সময় নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন তিনি। নিউইয়র্ক পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রায়ান গ্রানশো জানান, নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকায় ভিডিও করার পর থেকে তার খোঁজ শুরু করে পুলিশ। পরে ফোন ট্র্যাকিং করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গেছে, সম্প্রতি মামলার বাদীর বাড়িতে বোমা হামলার হুমকিসহ আদালত অবমাননার অভিযোগে ইলিয়াসের নামে হুলিয়া (পলাতক আসামিকে হাজিরের নোটিশ) জারি করে পুলিশ। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মিল্টন জ্যাকব ও প্রিমা রব্বনীর করা মামলায় ১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে গেলে তাকে আটক করা হয়। তবে ছেড়ে দেওয়া হয় ছয় ঘণ্টা পর। ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি। এরপর নিউইয়র্কের কুইন্স কাউন্টি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ইলিয়াসকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তার বাড়ির দরজা ও শহরের বিভিন্ন স্থানে ‘ধরিয়ে দিন’ পোস্টার লাগায়। অভিযোগ রয়েছে, ২০ জানুয়ারি দুপুরে মামলার বাদী মিল্টন জ্যাকবকে ফোন করে তার বাড়িতে বোমা নিয়ে আসবেন বলে হুমকি দেন ইলিয়াস। এরপর জ্যাকব মিল্টন ও প্রিমা রব্বনীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ করেন ইলিয়াস, যা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। তবে, ভিডিওটি মানহানিকর ও ভিত্তিহীন দাবি করে সিভিল ও ক্রিমিনাল আইনে ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মিল্টন ও প্রিমা রব্বনী। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ইলিয়াসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। এছাড়া মিতু হত্যা মামলা নিয়ে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ধানমন্ডি থানায় ইলিয়াস হোসেন ও বাবুল আক্তারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় গত ১৮ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন।    
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩২

ইলিয়াস কাঞ্চন নয়, ফেরদৌসকে সভাপতি করে লড়বেন নিপুণ
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষের দিকে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শিল্পী সমিতির বৈঠক। সেদিনই চূড়ান্ত করা হবে এবারের নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন। এবারও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নিপুণ আক্তার এমনটাই জানা গেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে এবার নিপুণের প্যানেলে সভাপতি পদে থাকছেন না বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। তার পরিবর্তে নির্বাচনে দেখা যেতে পারে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদকে।  এবিষয়ে নিপুণ বলেন, গতবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আমি বলেছিলাম, আমার প্যানেল থেকে একজন হলেও জাতীয় সংসদের সদস্য হবেন। ফেরদৌস আহমেদ সেটা করে দেখিয়েছেন। এবার যদি বলি, আমার প্যানেলে জাতীয় সংসদের কোনো সদস্য সভাপতি পদপ্রার্থী হবেন, সেটা নিশ্চয়ই ভালো দেখাবে। অপেক্ষা করেন, সামনে অনেক চমক আসছে। এদিকে, জনপ্রিয় অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল অনেক আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন। এরই মধ্যে তার প্যানেল প্রস্তুত। সাধারণ সম্পাদক সহ তার প্যানেলে চমক রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ডিপজল। প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের মধ্যকার সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে চলমান দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত সুরাহা না হলেও আগামী নির্বাচন সান্নিধ্য। শিল্পী সমিতির বর্তমান মেয়াদের সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার নিয়ে সিনেমার গল্পও হার মানিয়েছে। কথা যুদ্ধ তো আছেই।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৯

যে কারণে কোটি টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন
ঢাকাই সিনেমার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। অভিনয়ে বর্তমানে অনিয়মিত থাকলেও সম্প্রতি নতুন একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছেন তিনি। যেটি নির্মাণ করছেন হাসান জাহাঙ্গীর। নাটকের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন নির্মাণেও রয়েছে তার সমান ব্যস্ততা। সম্প্রতি একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন দুজন। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে বিজ্ঞাপনটির নির্মাণকাজ।  এ বিষয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, অনেক আগেই আমি গৎবাঁধা কাজ ছেড়ে দিয়েছি। মাঝে একটি বিজ্ঞাপনে আমাকে এক কোটি টাকা অফার করেছিল, আমি করিনি। সেটি ছিল একটি পাথরের আংটির বিজ্ঞাপন। আমি লোভী হলে বিজ্ঞাপনটি করে ফেলতাম। প্রোডাক্ট পছন্দ হয়নি, স্ক্রিপ্ট ভালো ছিল না, তাই করিনি। হাসান জাহাঙ্গীরের প্রশংসা করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, হাসান জাহাঙ্গীরের সঙ্গে আমি আর প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামান ভাই প্রথম কাজ করি। সম্ভবত এটি ২০০০ সালের আগের ঘটনা। সেই থেকে হাসান জাহাঙ্গীরের সঙ্গে আমার হৃদ্যতা। তারপর মাঝে মাঝে কাজ করেছি। অনেক দিন পর তার এই বিজ্ঞাপনে অভিনয় করলাম। আশা করি, বিজ্ঞাপনটি টিভিতে প্রচার হলে আপনাদেরও পছন্দ হবে। আমার অনেকগুলো ভালো কাজের মধ্যে হাসান জাহাঙ্গীরের এই কাজটি অন্যতম। সে খুব ভালো বিজ্ঞাপন নির্মাণ করে। হাসান জাহাঙ্গীর বলেন, বরাবরই ভালো কিছু কাজ করার চেষ্টা করি। যেহেতু বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্ট নির্মাণ এবং আমার নিজের কাজ করার একটা সুযোগ থাকে সেহেতু প্রতিটি বিজ্ঞাপন গুরুত্ব সহকারে করি। সেই ধারাবাহিকতাই এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইকে নিয়ে যে বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করলাম সেটি দর্শকের পছন্দ হবে।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৬

সাইমনের অব্যাহতি নিয়ে ভাবছেন না ইলিয়াস কাঞ্চন!
অনেকটা অভিমানেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। শনিবার (২০ জানুয়ারি) শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর এই অব্যাহতি পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। খবরটি জানিয়েছেন এ নায়ক নিজেই। সাইমনের অব্যাহতির বিষয়ে শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান সমিতির মেয়াদই তো শেষের পথে। ফেব্রুয়ারিতে আবার নতুন নির্বাচন। এখন আর অব্যাহতি চাওয়ার কী আছে! সাফটা চুক্তিতে বিদেশি ভাষার সিনেমা আমদানি করে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে হুমকিতে ফেলা হচ্ছে, সেখানে শিল্পী সমিতির নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন সাইমন। ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে সাইমনের অভিযোগ তুলে ধরলে তিনি বলেন, সাইমন নিজেও তো এই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। কই যেসব বিষয়ে এখন তিনি কথা বলছেন, সেগুলো তিনি কমিটির মিটিংয়ে বসে বলেননি কেন! সমিতির পক্ষে তারও তো সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আছে। এগুলো তো তিনি কখনো উপস্থাপনই করেননি। শিল্পী সমিতির এই সভাপতি ও নায়ক বলেন, আমার তো মনে হয়, আমদানি সিনেমার সাথে এখন তার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে বলেই হঠাৎ প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন। না হলে আগে কেন তিনি এ বিষয়ে সোচ্চার হলেন না। তিনিওতো গুরুত্বপূর্ণ নেতা, তিনি আগে নিষ্ক্রিয় ছিলেন কেন! প্রসঙ্গত,  শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) একদিনেই একসঙ্গে দেশের প্রেক্ষাগৃহে তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। বলা প্রয়োজন, দেশের প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির নিয়ম অনুসারে উৎসব ছাড়া একদিনে দুটির বেশি সিনেমা মুক্তি দেয়া যায় না। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম ঘটেছে। দেশের দুটি সিনেমা ‘কাগজের বউ’ ও ‘শেষ বাজি’ ছাড়াও শুক্রবার মুক্তি পায় ওপার বাংলার ‘হুব্বা’। দেশের দুই সিনেমার চেয়েও বিপুল সংখ্যক বেশি প্রেক্ষাগৃহ নিয়ে পর্দায় সিনেমাটি।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়