• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মায়ের কাছে আকুতি জিম্মি জাহাজে থাকা প্রকৌশলীর
‘আম্মু, ওরা মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। যেভাবেই হোক, আমাদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন, আম্মু।’- ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর মা জোছনা বেগমকে এই আকুতি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাত আটটায় সর্বশেষ ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন জোছনা বেগম। এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। মোবাইলে তানভীর মাকে বলেন, ‘আম্মু, ওরা মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। এখনও ইফতার করি নাই। তারা খাবার দিলে ইফতার করব। কবির গ্রুপের চাচার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যেভাবেই হোক, আমাদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন, আম্মু।’ ছেলের চিন্তায় জোছনা বেগম বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে ছুটে আসেন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে কবির গ্রুপের কার্যালয়ে। এ সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ‌‘যেভাবেই হোক তার ছেলেকে যেন ফিরিয়ে আনা হয়।’- এই আকুতি জানিয়েছেন তিনি। জোছনা বেগম বলেন, মোবাইল কেড়ে নেওয়ার আগে ছেলের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা হয়। জাহাজটি সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে দস্যুরা। তবে তারা কারও গায়ে হাত তোলেনি। নাবিকদের জন্য দোয়া করতে বলেছে। ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি আছেন জাহাজটির ২৩ জন নাবিক। এরই মধ্যে ভয়ানক হুমকির খবর ভেসে এসেছে জিম্মি জাহাজটি থেকে। 
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৯

প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে আকুতি জানালেন সেই বৃষ্টির মা
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের মা বিউটি খাতুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার মেয়ের মরদেহ দাবি করেছেন।  বৃষ্টির মা বিউটি খাতুন বলেন, তার পেটেই জন্ম হয়েছে বৃষ্টির। ঢাকায় গিয়ে সে কেন অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হয়েছে সেটা জানেন না তারা। তার কলিজার টুকরার মরদেহটুকু চান তারা। বাড়িতেই তার দাফন কাফন করতে চান। জানা যায়, কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রামে জন্ম বৃষ্টি খাতুনের। খোকসা উপজেলার বনগ্রামের শাবলুর আলম সবুজের ৩ মেয়ের মধ্যে সবার বড় বৃষ্টি ওরফে অভিশ্রুতি। মেজো বোন ঝর্ণা রাজবাড়ি কলেজে পড়েন। আর ছোট বোন বর্ষাকে নিয়ে মা বিউটি খাতুন থাকেন গ্রামের বাড়িতে। ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে ভর্তি হন ঢাকার ইডেন কলেজে। কুষ্টিয়ায় বেড়ে ওঠা বৃষ্টি বড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি করতেন সাংবাদিকতা। দেখতেন বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে সেই স্বপ্ন থামিয়ে দিলো বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এলাকাবাসিরা বলছেন, মারা যাওয়া বৃষ্টি ঢাকায় কিভাবে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হলেন তাও তাদের অজানা। তবে বৃষ্টি ফেসবুকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত। কিছু বন্ধু বান্ধবীর কাছেও সে এই নামে পরিচিত। তাই মৃত্যুর পরে সে মুসলিম না কি হিন্দু তা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। ফলে মরদেহ হস্তান্তরে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। নিথর মরদেহটি পড়ে আছে এখনো হাসপাতালের হীম ঘরে।  ঢাকার রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি জানান, অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ৮ থেকে ৯ মাস ধরে মন্দিরে যাতায়াত করতেন এবং পূজা করতেন। সে সূত্রেই তার সঙ্গে পরিচয়। অভিশ্রুতি শাস্ত্রী জানিয়েছিলেন, তার মা-বাবা বেনারসে থাকতেন। তারা মারা যাওয়ায় দাদুর হাত ধরে ঘটনাচক্রে তিনি কুষ্টিয়ায় এসেছিলেন ছোটবেলায়। অভিশ্রুতির দাদু মারা গেলে একটি পরিবার তাকে দত্তক নিয়েছিল। তবে এ পরিবার মুসলিম না হিন্দু ছিল, তা তিনি বলেননি। তাই অধিকতর তদন্ত করে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল পরিচয় সামনে আনা জরুরি।  মেঝ বোন ঝন্না ও ছোট বোন বর্ষা এ বিষয়ে বলেন, পরিচয় নিয়ে জটিলতা কেনো হবে। কোনো হিন্দু পরিবারের মেয়েকে মুসলিম পরিবারে দত্তক দেওয়া হয় না। এটা নিছক গল্প। বৃষ্টি কেন নিজেকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী পরিচয় দিত সেটা তারা জানেন না। বৃষ্টির এখানেই জন্ম, এখানেই লেখাপড়া, আমাদের সঙ্গেই বেড়ে ওঠা। এলাকাবাসী সব জানেন। এদিকে, অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসাতে চলছে শোকের মাতম। শেষবার এক নজর দেখার অপেক্ষায় পরিবার পরিজন।পরিচয় নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে এসব নিয়ে অজানার মধ্যে এলাকাবাসি। তাদের দাবি সব প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত মৃতদেহ পরিবারের কাছে দেওয়া হোক। 
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪১

বাঁচার আকুতি জানিয়ে মুশতাক-তিশার নতুন ভিডিও
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত দম্পতি মুশতাক-তিশা। গত ৯ ফেব্রুয়ারি দর্শনার্থীদের রোষানলে বইমেলা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তারা। এরপর হত্যার হুমকি পেয়ে নিরাপত্তা চেয়ে ডিবির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এবার আলোচিত এই দম্পতি গভীর রাতে এক ভিডিও বার্তায় বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে ভিডিও বার্তায় মুশতাক-তিশা দম্পতি বলেন, এই দেশে কি আমাদের বাঁচার অধিকার নেই? এক লোক প্রকাশ্যে গণমাধ্যমে এসে আমাদের দুজনকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমরা শঙ্কিত। আমরা বাঁচতে চাই। নিরাপত্তা চাই। বইমেলায় যেতে চাই। আর এই হুমকি দেওয়া ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখতে চাই। মুশতাক আরও বলেন, শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় নিরাপত্তা চেয়ে আমরা জিডি করেছি। এরই মধ্যে নতুন করে একটি ভিডিও আমাদের নজরে আসে যেখানে আমাকে ও আমার স্ত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমি তার বিচার চাই। সেইসঙ্গে জীবনের নিরাপত্তা চাই। আমরা শরীয়া মোতাবেক বিয়ে করেছি। কোন অন্যায় করিনি। একই বিষয়ে সিনথিয়া ইসলাম তিশা বলেন, আমি একজন নারী, একজন মানুষ। আমার কী অপরাধ? আমার বাঁচার অধিকার নেই? প্রকাশ্যে এভাবে কেন হুমকি দেবে। আমরা শরীয়া মোতাবেক বিয়ে করেছি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। তাদের বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরমধ্যে বইমেলায় নিজেদের নিয়ে দুটো বই প্রকাশ পেলে তারা আবারও আলোচনায় আসেন।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়