• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হঠাৎ কনসার্টে সুনিধির দিকে ছোড়া হলো পানির বোতল
কনসার্টে সংগীতশিল্পীদের উদ্দেশ্য করে বোতল ছুড়ে মারার ঘটনা নতুন না। বিশ্বের বড় বড় গায়কদের বোতল হজম করতে হয়েছে। এবার ঘটনাটি ঘটল জনপ্রিয় বলিউড গায়িকা সুনিধি চৌহানের সঙ্গে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেরাদুনে শো করছিলেন সুনিধি। তার গানের ছন্দে দুলছিল গোটা কনসার্ট। ভক্তরা ছিলেন মাতোয়ারা। ঠিক এ সময় এক বেরসিক দর্শক গায়িকাকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন পানির বোতল। আচমকা এ ব্যবহারে কিছুটা চমকে যান সুনিধি। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে দেন জবাব। সুরে সুরে বলেন, এভাবে বোতল ছুড়ে কী হবে তা বলো! তাতে কী হবে বলো তো, শো বন্ধ হয়ে যাবে। তোমরা কী সেটাই চাও? চিৎকার করে না বলেন দর্শকরা। এরইমধ্যে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। নেটিজেনরা মেতেছেন নিন্দায়। একজন প্রতিবাদ করে লিখেছেন, একজন শিল্পীর দিকে এভাবে পানির বোতল ছোড়ার ঘটনা, এমন ব্যবহার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এতে শিল্পীর কঠিন পরিশ্রম ও প্রতিভাকে অসম্মান করা হয়। যদি তাদের কাজের প্রশংসা করতেই হয় তাহলে সম্মান দিতে শিখুন। প্রসঙ্গত, সুনিধির বয়স যখন চার তখন থেকে কনসার্ট মাতাচ্ছেন। পরে অসংখ্য জনপ্রিয় গান দিয়ে বুঁদ করেছেন বলিউড। কখনও এ ধরনের অভিজ্ঞতা হয়নি। এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। 
০৫ মে ২০২৪, ১৭:৩৯

মিষ্টি কিনে রেখেছিলেন রিঙ্কুর বাবা, কিন্তু জায়গা হলো না বিশ্বকাপে
গত আইপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। দেশের জার্সিতে নিজেকে প্রমাণও করেছেন এই বাঁ হাতি ব্যাটার। ফলে সকলের আশা ছিল আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিমানে উঠবেন এই তরুণ ক্রিকেটার। কিন্তু সবাইকে হতাশ করলেন ভারতীয় নির্বাচকরা। ১৫ সদস্যে স্কোয়াডে জায়গা হয়নি রিঙ্কুর। অথচ তার বাবা কিনে রেখেছিলেন মিষ্টি! ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ছেলে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাবে সেটা ভেবেই বাজারে গিয়ে মিষ্টি আর আতশবাজি কিনে এনেছিলেন রিঙ্কুর বাবা খানচন্দ্র সিং। বিশ্বকাপ দল দল ঘোষণা হলেই উদযাপন করা যাবে, মিষ্টিমুখ করানো হবে সবাইকে। কিন্তু দল ঘোষণার পর হতাশই হতে হয়েছে রিঙ্কুর বাবাকে। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খানচন্দ্র বলেন, আশা তো অনেক ছিল। মনটা খারাপও হয়ে গেছে কিছুটা। মিষ্টি এবং বাজি কিনে এনে রেখেছিলাম। আশা করেছিলাম যে বিশ্বকাপের দলে ও একাদশে রিঙ্কু থাকবে। তারপরও আমরা আনন্দিত। তিনি আরও বলেন, রিঙ্কুর মন খারাপ। সেটা ওর মাকে বলেছে। ওরও মন ভেঙে গেছে। ওর মাকে বলছিল যে প্রথম একাদশে বা ১৫ জনের দলে আমার নাম নেই, তবে আমি আমেরিকায় যাব (রিজার্ভ খেলোয়াড়)। তবে ছেলেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন খানচন্দ্র সিং। তার বিশ্বাস, ভবিষ্যতে ভালো করার সুযোগ পাবেন ছেলে, আমি তো এটাই চাই যে সে যেন ভারতের হয়ে আগামীতে খেলে সফল হয়। ছেলের জন্য আমি পরিচিতি পেয়েছি। সবাই এখন আমাকে ওর জন্যই চেনে। রিঙ্কু আমার নাম উজ্জ্বল করেছে। জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন রিঙ্কু। তাতে ব্যাট হাতে মাঠে নামার সুযোগ হয়েছে ১১ ইনিংসে। ১১ ইনিংসে ৮৯ গড়ে এই বাঁহাতি রান করেছেন ৩৫৬। স্ট্রাইক রেট ১৭৬.২৩। ফিফটি রয়েছে ২টি। এমন একজনের দলে না থাকা ফিনিশিংয়ে ভারতকে বিপাকে ফেলে কিনা সেটাই এখন দেখার।
০২ মে ২০২৪, ১২:৩৪

চেন্নাইয়ের হয়ে শেষটা রাঙানো হলো না মোস্তাফিজের
চলতি আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে চেন্নাইয়ের জার্সিতে শুভসূচনা করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের আইপিএল শেষ হলো ফিজের। কিন্তু নিজের বিদায়ী ম্যাচটা জয় দিয়ে রাঙাতে পারলেন না এই টাইগার পেসার। নিজেদের দশম ম্যাচে পাঞ্জাবের কাছে সাত উইকেটে হেরেছে চেন্নাই। বুধবার (১ মে) আগে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাবকে ১৬৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে চেন্নাই। জবাব দিতে নেমে সাত উইকেট এবং ১৩ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। এতে চতুর্থ জয়ের দেখা পেলো দলটি। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পাঞ্জাব। ১০ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন প্রাভসিমরান সিং। এরপর রাইলি রুসোকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন জনি বেয়ারস্টো। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে এগোতে থাকে পাঞ্জাব। তবে ফিফটি কাছ থেকে ফিরতে হয়েছে দুই ব্যাটারকেই। ৩০ বলে ৪৬ রান করে বেয়ারস্টো আউট হলেও ২৩ বলে ৪৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন রুসো। এরপর পাঞ্জাব শিবিরের হাল ধরে শাশাঙ্ক সিং এবং স্যাম কারান। শেষ পর্যন্ত শাশাঙ্কের ২৬ বলের ২৫ রান এবং কারানের ২০ বলের অপরাজিত ২৬ রানের ভর করে সাত উইকেট এবং ১৩ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। চেন্নাইয়ের হয়ে শার্দুল ঠাকুর, রিচার্ড গ্লেসন এবং শিভম ডুবে একটি করে উইকেট নেন। এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চেন্নাইকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয় দুই ওপেনার আজিঙ্কা রাহানে এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড়। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৬৪ রান। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি রাহানে। ২৪ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ডান হাতি ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শিভম ডুবে। ৯তম ওভারে ডাক আউট হন এই ভারতীয় ব্যাটার। ৪ বলে ২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন রবিন্দ্র জাদেজা। এতে ৬ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ছন্দ হারায় চেন্নাই। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন গায়কোয়াড়। ৪৪ বলে ফিফটি তুলে নেন চেন্নাই দলপতি। ২৩ বলে ২১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন সামার রিজভি। ৪৮ বলে ৬২ রান করে আউট হন গায়কোয়াড়। শেষ দিকে ৯ বলে ১৫ রান করে আউট হলে ধোনির ১১ বলে ১৪ রানের ইনিংসে ভর করে  সাত উইকেটে ১৬২ রানে লড়াকু পুঁজি পায় চেন্নাই সুপার কিংস।  পাঞ্জাবের হয়ে রাহুল চাহার এবং হারপ্রিত ব্রার দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও আর্শদ্বীপ সিং এবং কাগিসো রাবাদা দুটি করে উইকেট নেন।
০২ মে ২০২৪, ০০:১৩

পহেলা মে যেভাবে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হলো
বিশ্বের অনেক দেশেই ‘মে ডে’ পরিচিত প্রাচীন এক বসন্তের উৎসব হিসেবে। কিন্তু বর্তমানে এটা বেশি পরিচিত শ্রম দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে। বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিতেই দিনটি পালিত হয়ে থাকে। প্রতি বছর কাজের পরিবেশ আরও ভালো করা এবং ট্রেড ইউনিয়নকে আরও শক্তিশালী করার দাবিতে বিশ্বজুড়ে এদিন নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি হতে দেখা যায়। শুরুর দিকে এই দিবসটি বিভিন্ন সামাজিক ও সমাজতান্ত্রিক সংস্থা এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো পালন করতো। যদিও এই দিবসের পেছনের আসল প্রতিবাদটি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, কিন্তু সেখানে এটি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার পালন করা হয়ে থাকে। কীভাবে এর শুরু? ১৮৮৬ সালে ব্রিটিশ সমাজ সংস্কারক রবার্ট ওয়েনের এক চিন্তা থেকে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলো দিনে ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে এক বিরাট প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করে। রবার্ট ওয়েন ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি পূরণে স্লোগান ঠিক করেন, ‘আট ঘণ্টা কাজ, আট ঘণ্টা বিনোদন এবং আট ঘণ্টা বিশ্রাম’। সবচেয়ে বড় আন্দোলনটা হয় পহেলা মে শিকাগোতে, যেখানে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক সমবেত হন। সে সময় কারখানায় কোন নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা বা বিশ্রাম ছাড়াই টানা কাজ করে যাওয়াটা স্বাভাবিক ছিল। আর সেসময় শিকাগো ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকারখানা ও ইউনিয়ন সংগঠনগুলোর কেন্দ্র। পরবর্তী কয়েক দিনে এই আন্দোলনকে ব্যবসায়ী ও রাজনীতি মহল পছন্দ না করলেও, আরও হাজার হাজার ক্ষুব্ধ শ্রমিক ও আন্দোলনকারী এতে উক্ত হতে থাকেন। এ সময় কিছু নৈরাজ্যবাদীও এতে যোগ দেন যারা কোন রকম নিয়ম ও আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক কাঠামো স্বীকার করেন না। উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে, পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদর মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দেয়, একজন মারা যায় ও অনেকে আহত হয়। পুলিশি নিষ্ঠুরতায় ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত বিক্ষোভকারী এবং শ্রমিক নেতারা পরদিন ৪ই মে শিকাগোর বিখ্যাত হেমার্কেট স্কয়ারে কর্মসূচির ডাক দেয়। এ সময় আজও পরিচয় জানতে না পারা এক ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়েন। ওই বিস্ফোরণের ফলে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, সাতজন পুলিশ সদস্য নিহত হয় এবং ৬৭ জন কর্মকর্তা আহত হয়। চারজন বিক্ষোভকারীও নিহত হয় এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়। এই ঘটনা পরে পরিচিতি পায় হে মার্কেট ম্যাসাকার হিসেবে। পরবর্তীতে আট জন নৈরাজ্যবাদী খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত হন এবং তাদের দোষ ঠিকভাবে প্রমাণের আগেই তাদের অনেককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এই ঘটনাগুলোর স্মরণে, ১৮৮৯ সালে ২০ দেশের সমাজকর্মী, শ্রমিক নেতা ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর এক আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে পহেলা মে তারিখ 'মে দিবস' পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অন্যান্য দেশও মে দিবস পালনে যোগ দেয় শিকাগোর এই সংঘাত পরবর্তী কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন বামপন্থী দলগুলোর জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করতে থাকে। দক্ষিণ ইউরোপে প্রথম মে দিবস পালনে এগিয়ে আসে স্লোভেনিয়ান এবং ক্রোয়াটরা, যারা সেসময় অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কাজের নিচু পরিবেশ, অল্প বেতন এবং দীর্ঘ কর্মঘণ্টার প্রতিবাদে ১৮৯৩ সালে সার্বিয়ার শ্রমিকরা এক মে দিবস র‍্যালি বের করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যখন দ্রুত শিল্প কারখানায় উন্নতি ঘটতে থাকে, তখন রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পরও বিশ্বজুড়ে শ্রমিকরা মৌলিক চাহিদা পূরণে সংগ্রাম করতে থাকে। জার্মানিতে ১৯৩৩ সালে নাৎসি পার্টি ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিক দিবসের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। একইসাথে এই ছুটি ঘোষণার সাথে সাথে ফ্রি ইউনিয়ন তুলে দেয়া হয় এবং জার্মান শ্রমিক আন্দোলনও থামিয়ে দেয়া হয় (যদিও ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর আবারও ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত হয়)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির জয়ের পর বৈশ্বিক মানচিত্র বদলে যায়। বিশ্বে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিভক্তি বেশি করে চোখে পড়তে থাকে। বিভিন্ন সমাজতান্ত্রিক দেশ যেমন কিউবা, সে সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীনে বছরের পর শ্রমিক দিবস পালিত হয়ে এসেছে এবং এ দিনের ছুটিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। সাধারণত এদিন বিরাট সমাবেশের আয়োজন করা হত, যেমনটা মস্কোর রেড স্কয়ারে দেখা যেত। সেই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তিরা যোগ দিতেন। এদিন একইসাথে সোভিয়েত সামরিক বাহিনীর শক্তিমত্তাও প্রদর্শন করা হত। সমাজতান্ত্রিক নেতারা বিশ্বাস করতেন এই নতুন ঘোষিত ছুটি ও উৎসব ইউরোপ এবং আমেরিকার শ্রমিক শ্রেণীকেও উদ্বুদ্ধ করবে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াইয়ে। সমাজতান্ত্রিক ফেডারেল রিপাবলিক অফ যুগোশ্লাভিয়ার গল্পটাও ছিল একই রকম। সেখানে ১৯৪৫ সাল থেকে মে দিবসের দিন সরকারি ছুটি পালিত হয়ে আসছে। দিনটি উদযাপনে মিছিল ও সামরিক র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয় এবং একইসাথে রাষ্ট্রীয় প্রচারণার জন্য বেছে নেয়া হয় দিনটিকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে শ্রমিক ও ইউনিয়নগুলি আরও ভালো কাজের পরিবেশের দাবিতে মে দিবস ঘিরে র‍্যালি ও সমাবেশ করে। বেকারত্ব ও দারিদ্র্যতার সাথে লড়াইয়ে শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি এখনো গুরুত্বের সাথে দেখা হয়ে থাকে। বেকারত্ব কমলেও এবং কাজের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসলেও, আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন – আইএলও তাদের ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বলছে, বেশিরভাগ জি-২০ দেশে গত বছরের মুদ্রাস্ফীতির সাথে তাল রেখে মূল বেতন ভাতা দিতে পারে নি। আইএলও বলছে, গত বছর ক্রয়ক্ষমতা (পিপিপি) অনুযায়ী চরম দারিদ্রসীমায় থাকা শ্রমিক যাদের আয় দিনে ২.১৫ ডলারেরও কম, তাদের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লাখ বেড়ে গিয়েছে। আর সহনীয় দারিদ্র্য সীমায় থাকা শ্রমিকের সংখ্যা (ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী যারা দিনে ৩.৬৫ ডলারের কম আয় করেন) বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮৪ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে আইএলও। -বিবিসি।
০১ মে ২০২৪, ০৯:২৩

কুয়াকাটায় ১ কোরাল বিক্রি হলো ৩৩ হাজারে
বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়ল ২৬ কেজি ২৫০ গ্রাম ওজনের এক কোরাল মাছ। যা উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে কুয়াকাটা পৌর মৎস্য বাজারে বিক্রি হলো ৩২ হাজার ৭৫০ টাকায়। জেলের দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কুয়াকাটা বাবলাতলা এলাকার জেলে রাসেল তার ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে গেলে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে বিশাল কোরালটি ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টা নাগাদ কুয়াকাটা পৌর মৎস্য মার্কেটে উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে কুয়াকাটা ফিশ পয়েন্টের পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন মাছটি কেনেন। এ বিষয়ে ফিশ পয়েন্টের পরিচালক মো. নাসির বলেন, সচরাচর এত বড় মাছ পাওয়া যায় না। দুপুরে মাছটি মার্কেটে আসার পর ১২৫০ টাকা কেজি দরে কিনি। জেলে মো. রাসেল বলেন, অনেক দিন মাছ পাই না। ভাগ্য সহায় বলেই এত বড় মাছ আল্লাহ দিয়েছে। অনেক লোক ক্রয় করতে চেয়েছে, পরে কুয়াকাটা মার্কেটে ১২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মো. বাইজিদ বলেন, অনেকদিন পরে এত বড় মাছ বাজারে এলো। ডাকের মাধ্যমে বিক্রি হলো। ভালোই লাগলো এত বড় মাছ দেখে। এ বিষয় কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, নদ-নদী এবং সাগরে বিভিন্ন মাছ পাওয়া যায়। সবসময় বড় মাছ ধরা পড়ছে না। সামুদ্রিক কোরাল এর চেয়েও বড় হয়।  
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৯

জয়ের স্ত্রীর দাবি, সালমান শাহর মতোই তার স্বামীকে টার্গেট করা হলো
সম্প্রতি বিএফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নায়ক জয় চৌধুরীকে বয়কট করেছেন বিনোদন সাংবাদিকরা। তবে এই নায়কের স্ত্রী রোমানা ইসলাম নীড়ের দাবি তার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার। এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। নীড় বলেন, এই ১১ বছরের ফিল্ম জীবনে কেউ বলতে পারবে না জয় কারও সঙ্গে কোনোদিন বেয়াদবি করেছে। শুধু সাংবাদিক ভাইয়েরা না চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত কোনো একটা মানুষ বলতে পারবে না। এমনকি আমাদের বিএফডিসিতে যে ঝাড়ুর কাজ করে তার সঙ্গেও হেসে কথা বলে তাদের সমস্যায় পাশে থেকেছে। এতোটাই ভালোবাসা পেয়েছে সে যে শিল্পীরা তাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে শিল্পীদের নেতা বানিয়েছে। ২৩ তারিখ কী এমন হলো যে এই পরিবেশ হলো?  উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে চিত্রনায়িকা নীড়ের ভাষ্য, আপনার শিল্পীকে কেউ বাউন্ডারি ক্রস করে মারতে আসবে আর আপনি সেটা চেয়ে চেয়ে দেখবেন? এটাই কি কাম্য আপনাদের? ভিডিওতে সবাই দেখেছে শিল্পী সমিতির বাউন্ডারি ক্রস করে একজন ভিতরে ঢুকছিল শিল্পীকে আঘাত করার জন্য। সেটা দেখে আর একজন শিল্পী প্রতিবাদ করেছে! এটাইতোহ শিল্পীদের ধর্ম হওয়া উচিত। খুব অবাক হলাম একা জয় চৌধুরীকে দোষ দিয়ে তাকে কোণঠাসা করা হচ্ছে? এটা কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে না তো?  সালমান শাহ, শাকিব খানদের মতোই টার্গেট জয়, এমনটাই মনে করে নীড় বলেন, যদি বিচার করতেই হয় আসেন সমান বিচার করতে শিখি? ওখানে কি এমনিই শিল্পীরা ক্ষিপ্ত হয়েছিল? আরও সহজভাবে বলি ওখানে কি এক হাতে তালি বেজেছিল? যে ছেলেটা ১১ বছর কারও সঙ্গে এক মিনিটের জন্য বেয়াদবি করেনি সে হঠাৎ করেই রেগে গেল? যুগে যুগে আমাদের চলচ্চিত্রে হয়ে এসেছে যে একটু মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তাকেই টার্গেট করা হয়েছে! সালমান শাহ, মান্না ভাই, শাকিব ভাই, জায়েদ খান, শেষে আসলো এই জয় চৌধুরী! শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই জয়কে লক্ষ্য করা হয়েছে বলে মনে করেন নীড়। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য সালমান শাহ আজ মরে গিয়েও প্রতিটা মানুষের অন্তরে আছে! মান্না ভাইও একই! শাকিব খান আজ আমাদের সব থেকে বড় সুপারস্টার! জায়েদ খানকে সবাই চেনে! জয়ের কি হবে জানি না! তবে একটা কথা বলতে পারি জয় জীবন দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রকে এবং এখানকার মানুষদেরকে ভালোবাসে। সর্বোপরি বলতে চাই এই শিল্পী সমিতির নির্বাচনই কি কাল হলো? চোখে পড়ে গেলো? চারদিকে এতো প্রশংসা এটাই কি কাল হলো?  আমি নিজে বলতে শুনেছি অন্য শিল্পীরা বলছে আজ জয় না থাকলে আমরা জিততে পারতাম না! অন্য শিল্পীরা বলছে এমন একজন জয় থাকলে আমাদের হয়ে যেতো! পরিবারকে সময় না দিয়ে দিনের পর দিন শিল্পী সমিতিকে সময় দিয়েছে! আমার মনে পড়ে না একটা ইফতার সে পরিবারের সঙ্গে করেছে! ঈদের দিনটা পর্যন্ত সে পরিবারকে দিতে পারেনি। এগুলোই কি কাল হলো? সাংবাদিক ভাইদের একটা কথায় বলবো সঠিক তদন্ত করে সঠিক সিদ্ধান্তটাই আপনারা নেবেন এটা বিশ্বাস রাখি। নীড় বলেন, আবেগ বা প্ররোচণায় পড়ে সিদ্ধান্ত সবার জন্যই ক্ষতির কারণ শিল্পী আর সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক একে অপরের ভাই। তাই ভাই ভাইয়ের সঙ্গে নমনীয় হবে এটাই স্বাভাবিক। সব শেষে আমরা একটা পরিবার।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৯

বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হলো দেশ
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশেও গোলাপি চাঁদের দেখা মিলেছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখো গেছে বিশেষ রঙ্গের এ চাঁদ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশের আকাশে দেখা যাওয়া গোলাপি রঙের চাঁদের ছবি অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন। জানা গেছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে কয়েক দিন ধরে দেখা গেলেও দেশের আকাশে আজই তা উজ্জ্বলভাবে দেখা যাচ্ছে। গোলাপি এপ্রিলের পূর্ণিমার এ চাঁদের আরও নাম রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- ‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ, ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)। গত বৃহস্পতিবার সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, শুক্রবার ভোর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত আকাশ ‘গোলাপি চাঁদে’ উজ্জ্বল থাকবে। তবে শনিবার চাঁদের ঔজ্জ্বল্য সবচেয়ে বেশি থাকবে। এই বিশেষ পূর্ণিমাটি মার্চ মাসে চন্দ্রগ্রহণের ঠিক এক মাস পরে ঘটে। এটি এমন একটি মহাজাগতিক ঘটনা, যখন চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে। যার কারণে এই সময় চাঁদের আকার বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ধূলিকণা এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের শক্তির কারণে অনেক সময় চাঁদের রঙের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যায়। এ ছাড়া অন্যান্য ধোঁয়া দূষণও পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে আসা আলো তাদের নিজ নিজ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অনেক প্রকারে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, যার মধ্যে নীল রঙকে সবচেয়ে দ্রুত বিক্ষিপ্ত হতে দেখা যায়। লাল রঙও বহু দূরে যায়। এই কারণে, যখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে দেখা হয় তখন বাদামী, নীল, হালকা নীল, রূপালি, সোনালি, হালকা হলুদ রঙের দেখায়। আর বিভ্রমের কারণে একে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড়ও দেখায়। জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় একে রিলে স্ক্যাটারিং বা আলোর বিচ্ছুরণও বলা হয়। এপ্রিল মাসে যে পূর্ণিমা দেখা যায় তাকে গোলাপি চাঁদ বলা হয়।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৪

৪০০ সিসির পালসার বাজারে আসার আগেই ফাঁস হলো দাম
বাজাজের ৪০০ সিসির পালসার নিয়ে চলছে আলোচনা। তরুণরা এই বাইক চালানোর জন্য মুখিয়ে আছেন। যদিও এখনো বাজারে আসেনি মোটরবাইকটি। এরই মধ্যে জানা গেল বাইকের দাম। পালসার ৪০০ বাইকের টিজার প্রকাশ করল বাজাজ। আগামী মাসেই আসছে কোম্পানির বহু প্রতীক্ষিত মোটরবাইক। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কোম্পানি। ইতোমধ্যে একাধিক বাইকের আপডেটেড ভার্সন বাজারে এনেছে বাজাজ। এবার ৪০০ সিসির পালসার লঞ্চ হওয়ার অপেক্ষা। বাইকের দাম হতে পারে ভারতে ২ থেকে সোয়া দুই লাখ রুপি। সিসি লিমিটের কারণে এই বাইক বাংলাদেশের বাজারে আসার সম্ভাবনা নেই। বাজাজ এনএস ২০০ বাইকের চেসিস এবং ডমিনার ৪০০ বাইকের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে এই মোটরসাইকেল। আর কিছুদিনের মধ্যেই ফ্ল্যাগশিপ বাইক লঞ্চ করতে চলেছে কোম্পানি। ৩ মে ভারতে লঞ্চ হবে বাজাজ পালসার ৪০০ মডেল।  জানা গিয়েছে, বাইকের দাম সাধ্যের মধ্যেই রাখা হবে। এটি কিনতে খুব বেশি চাপ পড়বে না। প্রিমিয়াম বাইক কিনতে যে টাকা খরচ করতে হয় তা এক্ষেত্রে করতে হবে না। ভারতের অন্যতম সস্তা ৪০০ সিসির বাইক হতে চলেছে বাজাজ পালসার ৪০০। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে বাইকের টিজারও প্রকাশ করেছে কোম্পানি। দারুণ হাই-পারফরম্যান্স ইঞ্জিন থাকবে বাইকে যা সর্বোচ্চ ৪০ হর্সপাওয়ার এবং ৩৫ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। সঙ্গে মিলবে ৬ স্পিড গিয়ারবক্স। বাজাজ পালসার ৪০০ মডেলে বেশ কিছু ফিচার্সও থাকতে চলেছে। বর্তমানে কোম্পানির ঝুলিতে শুধুমাত্র একটি ৪০০ সিসির বাইক রয়েছে যা হল ডমিনার। যা লঞ্চ হয়ে অনেকদিন আগেই।  গত বছরই কোম্পানির সিইও রাজীব বাজাজ জানিয়েছিলেন, তারা শিগগিরই সবথেকে বড় পালসার হাজির করতে চলেছে। এই বাইকে থাকবে স্লিপ ও অ্যাসিস্ট ক্লাচ। টপ মডেলে পাবেন কুইকশিফটারও। ডিজাইনের দিক দিয়ে ফ্রন্ট ও রিয়ার সেকশনে বেশ কিছু চমক থাকতে পারে। পালসার ৪০০ বাইকের গঠন দেখবার মতো হবে বলে আশা করছেন সবাই। ফিচার্সের ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে সামনে ইউএসডি ফর্ক ও পেছনে মনোশক সাসপেনশন। বাইকের দুই চাকাতেই মিলবে ডিস্ক ব্রেক সঙ্গে ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম। সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল এবং ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি পাওয়া যাবে বাইকে। এ ছাড়াও মিলতে পারে টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪১

বিয়ের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির
ময়মনসিংহে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেছে চাচা-ভাতিজির। নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহ সদরের উজান বাড়েরা গ্রামের আবদুর রহমান (৬২) ও তার ভাতিজি শেফালি আক্তার (৪৫)। তারা বিয়ের কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর পঁচাপুকুর পাড় এলাকায় একটি অটোরিকশাকে জামালপুরগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দিলেএ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে দুর্ঘটনার পর ট্রেনটি আটকা পড়ায় সাময়িক বন্ধ হয়ে যায় জামালপুর-ময়মনসিংহ রুটের ট্রেন চলাচল। রাত ১২টায় ট্রেনটি জমালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে জামালপুরগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ জংশন অতিক্রম করে জামালপুরের দিকে যাচ্ছিল। জংশনের কাছাকাছি এলাকায় মিন্টু কলেজ ও নতুন বাজার রেলক্রসিংয়ের মাঝে পঁচা পুকুরপাড় এলাকায় ক্রসিংয়ে ট্রেনটি একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ট্রেনটি অটোরিকশার ২ যাত্রীকে প্রায় একশ গজ টেনে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নারী ও পুরুষের মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলেই একজন নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন। আবদুর রহমানের ভাই হাবিবুর রহমান জানান, ভাগ্নের বিয়ের কেনাকাটা করতে শেফালিকে নিয়ে শহরে গিয়েছিলেন আবদুর রহমান। জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরলে রাতেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তাদের আর বাড়ি ফেরা হয়নি।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৫

কানাডায় জাঁকজমকভাবে শেষ হলো ‘অঞ্জন দত্ত’ নাইট
কানাডার উইন্ডসর সিটিতে এই প্রথম গান শোনালেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার, অভিনেতা এবং সংগীতশিল্পী অঞ্জন দত্ত। এ আই এ প্রডাকশনের আয়োজনে রোববার (২১ এপ্রিল) উইন্ডসর সিটির কাবোটো ক্লাবে এই গানের আসর অনুষ্ঠিত হয়। কানাডার বিভিন্ন শহর ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অঞ্জন দত্তের ভক্তরা গান শুনতে আসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সৈকত, শাকিল ও তার বন্ধুরা সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর দর্শকদের করতালির মাধ্যমে স্টেজে আসেন অঞ্জন দত্ত এবং একে একে তার জনপ্রিয় গানগুলো শোনাতে থাকেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অমিত দত্ত ও ছেলে নীল দত্ত। লিসা জামান ও সৌম্যশ্রী পালের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মুনতাসির নাসির, আহনাফ বিন শামস, অনিনা রৌদেন, অ্যাঞ্জেলা খন্দকার, বিষ্ণু রায়, ইব্রাহিম খলিল রনি, লিজা রায়, নাগিব মাহফুজ, নজরুল নয়ন, রিফাত রহিম, শাকিল খন্দকার, তাহমিদ আহমেদ সোহেল, রামআনুজ গোস্বামীসহ অনেকে।  অনুষ্ঠানটির স্পনসর করেছেন রিয়েলেটর রনি হায়দার, মটগেজ এজেন্ট তাহমিদ আহমেদ, ব্যারিস্টার সূর্য চক্রবর্তী।  অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিল জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল আরটিভি।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়