• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মুশতাক-তিশার ভিডিও সরাতে নোটিশ
খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে জ্ঞানপাপী, ভণ্ড, কু-শিক্ষিত, সমাজ বিরোধী, যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী, তরুণ প্রজন্ম ধ্বংসকারী, প্রতারক ও সভ্যতা বিরোধী লোক বলে মন্তব্য করে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. তানভীরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই সমাজের হাজার বছরের ঐতিহ্য, কৃষ্টি কালচার ও সভ্যতাকে কলঙ্কিত করে বয়সের বড় ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও, বিয়ে-শাদী করে একসঙ্গে বিয়ের পূর্বের অসামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন কনটেন্ট/ভিডিও তৈরি করছেন এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ছাড়াও প্রিন্টিং ও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচার করছেন। এতে তরুণ প্রজন্মকে অসামাজিক, নোংরা ও যৌন উত্তেজক কর্মকাণ্ডে প্রলুব্ধ করছে, যা এই দেশের ফৌজদারি আইনে অপরাধ বলে যোগ করেন তিনি। দৃশ্যমান এসব প্রকাশনা, ভিডিও ও সাক্ষাৎকার রয়েছে তা তুলে নিতে কিংবা ডিলিট করতে বলা হয়েছে। ডিলিট না করা হয় এবং ভবিষ্যতে মুশতাক-তিশা দম্পতির এরূপ অসামাজিক, যৌন উত্তেজক, নোংরা কনটেন্ট/ভিডিও/সাক্ষাৎকার প্রকাশ করলে সাইবার সিকিউরিটি আইন, ২০২৩ ও দেশের প্রচলিত সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জাকির হোসাইনের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. তানভীরুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন। খন্দকার মুশতাক আহমেদ ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য এবং ওই প্রতিষ্ঠানটির একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশা।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৭

‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের এ আর রহমান ভার্সন সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
কবি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ রিমেক করেছিলেন এ আর রহমান। মূলত বলিউডের ‘পিপ্পা’ সিনেমার জন্যই গানটি নতুন আঙ্গিকে তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু গানটি প্রকাশিত হওয়ার পরই গানটিকে বিকৃত করা হয়েছে— এমন অভিযোগ তোলেন বিদ্রোহী কবির নাতি অনির্বাণ কাজী।   এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে রহমানের কম্পোজ করা ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের ভার্সনটি সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।   মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রলসহ এ আদেশ দেন। গত ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী ও ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির এ রিট দায়ের করেন। সুপ্রিম কোর্টের ওই ১০ আইনজীবী হলেন— ব্যারিস্টার মাহদী জামান, ব্যারিস্টার আহমেদ ফারজাদ, আইনজীবী বায়েজীদ হোসাইন, শহিদুল ইসলাম, নাঈম সরদার, ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার শেখ মঈনুল করিম, মো. শাহেদ সিদ্দিকী, মো. আনাস মিয়া ও মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান। পাশাপাশি রিটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে ১৯ নভেম্বর অবিলম্বে বাংলাদেশে ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের এ আর রহমান ভার্সন ফেসবুক, ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, ওটিটি প্ল্যার্টফর্ম, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য নেটমাধ্যম থেকে অপসারণ বা ব্লক করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।  আর এতে সাড়া না পেয়ে রিট করা হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে বলিউড সিনেমা ‘পিপ্পা’। এতে কবি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের রিমেক ব্যবহার হয়েছে। রিমেকটি তৈরি করার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন রহমান। নতুন সুরের গানটিকে মেনে নিতে পারছেন না পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশের নজরুলের ভক্তরা।  গানটিকে বিকৃত করা হয়েছে অভিযোগ এনে অনির্বাণ বলেন, রহমানকে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়েই জানতে চাই, তাকে কে অধিকার দিল গানটি বিকৃত করার? স্বত্ব দেওয়ার সময় তো সুর বদলের কথা বলা হয়নি। কী রকম একটা করে দিয়েছে গানটাকে! একটা গ্রামীণ সংগীতের মতো, ভাটিয়ালির মতো করে দিয়েছে। অনেক সস্তা করে দিয়েছে’।  গানের ক্রেডিট থেকে তার পরিবারের নাম মুছে ফেলা হোক। প্রসঙ্গত, ১৯২২ সালের ২০ জুন ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটি লিখেছিলেন কবি কাজী নজরুল। পরে ১৯৪৯ সালের জুন মাসে রেকর্ড করা হয় গানটি। গিরিন চক্রবর্তীর গলায় প্রথম ভেসে ওঠে বিদ্রোহের এই গান।   
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়