• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সৌদি সরকারের অনুমতি ছাড়া হজ করলে পাপ হবে!
পবিত্র হজ পালন করার ক্ষেত্রে সৌদি সরকারের অনুমতি নেওয়াকে বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করেছে দেশটির আলেম-ওলামাদের সমন্বয়ে গঠিত সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’। হজ প্রক্রিয়া আরও গতিশীল এবং পবিত্রস্থানগুলোর পবিত্রতা নিশ্চিতে শরীয়াহ আইনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সৌদি আরবে।  সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, বিজ্ঞ আলেমরা মতামত দিয়েছেন, অনুমতি ছাড়া যারা হজ করতে যাবেন তাদেরকে হজের সুযোগ দেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও যারা অনুমতি ছাড়া হজ করবেন তারা এর মাধ্যমে পাপ করবেন। শুক্রবার (২৬ মার্চ) সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এবং দুই পবিত্র মসজিদের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে আলেমদের কাছে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। এরপর আলেমরা ঘোষণা দেন, হজ করতে হলে অবশ্যই পূর্বে অনুমতি নিতে হবে। ‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ জানিয়েছে যে হজ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা সাজিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, খাবার সরবরাহ এবং অন্যান্য সেবা। যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন করে হজ করবেন তারা আরও ভালো ও উন্নত সেবা পাবেন। উল্লেখ্য, ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি হলো হজ। প্রতি বছর জিলহজ মাসে হজ করেন বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। যে মুসল্লিদের আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা রয়েছে তাদের জন্য জীবনে অন্তত একবার হলেও হজ করা ফরজ। সারাবিশ্ব থেকে মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে হজ করতে পারেন সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এবার হজ করার জন্য অনুমতির বিষয়টি আবশ্যিক করে দিয়েছে দেশটির সরকার। শুধু তাই নয়, অনুমতি ছাড়া হজ পালন করলে পাপ হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করলেন সে দেশের বিজ্ঞ আলেমরা। 
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৯

ডামি সরকারের উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে দেশ : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি সরকারের উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে বাংলাদেশ এখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত। অপরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য গাছপালা বন-জঙ্গল উজাড় করে, নদী নালা ভরাট করে এবং তাপবিদ্যুৎ ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে মানুষের জীবনকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশকে এখন গ্যাস চেম্বারে পরিণত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সারাদেশে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ নগরীর পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে মিরপুরে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণের কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন ‘তার বাবা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে’। তিনি বলেন শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ তো বাকশাল, যেখানে গণতন্ত্র থাকবে না, মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না। সেদিনতো ৪টি পত্রিকা বাদে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সাংবাদিকরা বেকার হয়ে বায়তুল মোকাররমে ফল বিক্রি করতেন। বর্তমানে বিগত ১৭ থেকে ১৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশে আবারও ভয়ংকর বাকশাল কায়েম করেছেন। বিপদজনক বাকশাল কায়েম করেছেন। আজকে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে ও মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এ কারণে মানুষ এখন আর ভোট দিতে পারে না। সংসদকে পরিণত করা হয়েছে এন্টারটেইনমেন্ট হাউজে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও ভোটের অধিকারের কথা বলতে গিয়ে আমার ভাইদের জীবন দিতে হচ্ছে। দুর্নীতি আর লুটপাটরে মাধ্যমে দেশটাকে উজার করে দেওয়া হয়েছে। সারাদেশকে বানানো হয়েছে লীগময়। সত্য বললেই জেলে পুড়ে দেওয়া হয়।  এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সদস্য সচিব আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, কেন্দ্রীয় সদস্য তাবিথ আউয়াল, মহানগর উত্তর বিএনপির আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তফা জামান, আতাউর রহমান (চেয়ারম্যান), মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেকে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৬

বিএসএফের নরহত্যার দায় সরকারের ওপরেও বর্তায়: রিজভী
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে তাতে সরকারেরও দায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন  বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।  সরকারের নতজানু নীতির কারণেই বিএসএফ আশকারা পাচ্ছে দাবি করে রিজভী বলেন, মনে হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা শেখ হাসিনা ভারতকে দিয়ে দিয়েছেন। তাই প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিএসএফ কতৃর্ক বধ্যভূমি বানানো হলেও আওয়ামী সরকারকে নিশ্চুপ থাকতে হয়। তিনি বলেন, ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন দখলদার আওয়ামী সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডারদের দিয়ে নিজস্ব সেনাদল গঠন করে নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু বিএসএফ’র বর্গীর ভূমিকার বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করতে পারেনি। বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, বিএসএফের নরহত্যার দায় দখলদার আওয়ামী সরকারের ওপরেও বর্তায়। সোমবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে হাসান মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। সীমান্তে রক্তের দাগ যেন শুকাচ্ছেই না। বাংলাদেশি মানুষের রক্তে সীমান্ত সবসময়ই ভেজা থাকছে। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় এদেশে আইনের প্রয়োগ হয় মন্তব্য করে এরপর রিজভী বলেন, দেশের আইন শেখ হাসিনার সংস্করণ অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হয়। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর বাংলাদেশের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে উঠেছেন শেখ হাসিনা। জেল-জুলুম, অত্যাচার আর অবিচারের প্রকটতা দেখে বিশ্ব সম্প্রদায় বিচলিত হলেও তাতে শেখ হাসিনার কিছু যায় আসে না। তার সব অপকর্মের দায় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্যই মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করা হয়েছে তা আজ দেশ-বিদেশে সর্বজনবিদিত। বেগম খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে দেশবাসী এতদিন যা মনে করেছে, আজ মার্কিন প্রতিবেদনেও সেটি উঠে এসেছে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩২

নতুন সরকারের ১০০ দিন
দেশে টানা চতুর্থ দফা ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ, এই মেয়াদে সরকারের প্রথম ১০০ দিন পূর্ণ হলো শনিবার (২০ এপ্রিল)। প্রথম ১০০ দিন নিয়ে সরকারের ঘোষিত কর্মসূচি না থাকলেও ছিল বেশ কিছু উদ্যোগ। এর মধ্যে অন্যতম হলো– দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা, জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তোলা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষা। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এসব উদ্যোগের অনেকটির ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত সফলতা এসেছে।  নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ  বর্তমান সরকারের ১০০ দিনের মধ্যে রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে স্বস্তিতে কেটেছে রমজান মাস। শাকসবজি, পেঁয়াজ ও ফলমূলসহ স্থানীয় মৌসুমি ফলের দাম ছিল নিম্নমুখী। ব্যাপকভাবে কমেছিল তরমুজের দাম। চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, গম ও আটার দাম অপরিবর্তিত ছিল। জিরার পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজ, দেশি রসুন, শুকনা মরিচ, হলুদসহ কয়েকটি মসলার দামও কম ছিল। সুলভে দুধ, ডিম, মাংস কিনেছে ৬ লাখ মানুষ রোজায় ঢাকাসহ ৩৫ জেলায় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে প্রায় ছয় লাখ মানুষ এসব পণ্য কিনেছে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ৩৫টি জেলায় এসব পণ্য বিক্রি হয়েছে। উদ্বোধনের দিন থেকে ২৭ রোজা পর্যন্ত মোট পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৯৭১ জন সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস কিনেছেন। গরিব মানুষের জন্য ঈদ উপহার ঈদ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডার থেকে গরিবদের শাড়ি, লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি দেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ঈদ উপহার হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কাজ চলছে। জনপ্রতিনিধিরাও নিজ নিজ আসনের দুস্থ মানুষকে উপহারসামগ্রী দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডার থেকে দেশের ৩০০ সংসদ সদস্যের মাধ্যমে গরিব মানুষের জন্য সাত ধরনের উপকরণ দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে শাড়ি, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, লুঙ্গি ও বিভিন্ন ধরনের পোশাক।  স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ১০০ দিনের কোনো পরিকল্পনা নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের জন্য এক শ’ দিন খুবই অল্প সময়। ১০০টি হাসপাতালও এখন পর্যন্ত পরিদর্শন করতে পারিনি। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন ও বেসরকারি হাসপাতালে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছি। সেবামূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অবৈধ হাসপাতাল বন্ধে কাজ চলমান। সেবা বিকেন্দ্রীকরণে উদ্যোগ হাতে নিয়েছি।’ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য খাত দুর্নীতিমুক্ত করা মূল লক্ষ্য বলে জানান তিনি। দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের হটলাইন ১৬১২২, ফেসবুক, ওয়েবসাইট ও সরকারের ৩৩৩ হটলাইনের মাধ্যমে ভূমির দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছেন। এ লক্ষ্যে তিনি এসিল্যান্ড অফিস, ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করছেন। এরই মধ্যে ঢাকার ধানমন্ডি ও লালবাগ এসিল্যান্ড অফিস পরিদর্শন করেছেন। দেশের ১৬টি জেলা, ৩২টি উপজেলা, ৬৪টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে ঘিরে এক শ’ দিনের পরিকল্পনার আওতায় আনা হয়েছে। জেলা পর্যায়ের জমির মালিকদের খতিয়ান দেওয়া, উপজেলা পর্যায়ে নামজারি নিশ্চিত করা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় নিশ্চিত করা হচ্ছে।  এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প চালু সরকারের প্রথম ১০০ দিনে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগে। এ বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১০০ দিনের মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি গেটের কাছের র‍্যাম্প চালু হয়েছে। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক চারলেন করা হয়েছে। বিআরটির বোর্ডবাজার পর্যন্ত নিচের অংশও চালু হয়েছে। ঢাকা ইপিজেড থেকে তিন কিলোমিটার সড়ক নতুন দুটি লেন চালু করে মোট তিনটি লেন হয়েছে। এসব কারণে ঈদযাত্রা সহজ হয়েছে। এ সময় আরও কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যেগুলোর সুফল আগামীতে দেখা যাবে। চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে চায় সরকার ২০২৬ সালে এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার এ সময়ের মধ্যেই চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে গত ২৮ মার্চ যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে দু’দেশ। এরও আগে গত ডিসেম্বরে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ স্বাক্ষরের লক্ষ্যে যৌথ সমীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। একইভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে এ ধরনের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টায় ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো গত ৭ জানুয়ারির ভোটের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো। এর মধ্যে রয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে তৎপর দেশ যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে এসেছে দু’দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা। নির্বাচনের পরপরই সম্পর্ক জোরদারে ঢাকা সফরে আসেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস মিনিস্টার। নতুন সরকার গঠনের পর জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম ১০০ দিনে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সুইডেনের রাজকন্যা, আয়ারল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী, ভুটানের রাজা, ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বাংলাদেশ সফর করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতসহ বিভিন্ন দেশে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ফোরামের বৈঠকে অংশ নেন। কাতার, জর্ডান ও মরিশাসে কর্মী পাঠানো চূড়ান্ত প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন জানান, সরকারের প্রথম ১০০ দিনে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রচুর কাজ করেছে। এ সরকারের প্রথম তিন মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। কাতার, জর্ডান ও মরিশাসে কর্মী পাঠানোর বিষয়টি চূড়ান্ত প্রায়। নতুন শ্রমবাজারের মধ্যে রাশিয়াতে শ্রমিক যাওয়ার বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত। কোরিয়া ও জর্ডানে গার্মেন্টস শ্রমিক যাবে। কুয়েতে যাবে নার্স। কথাবার্তা চলছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া দুবাইয়েও শ্রমিক যাবে। এ মন্ত্রণালয়ের বড় কাজ দক্ষ শ্রম জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা, সেটি জোরদার করা হয়েছে। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ  পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ, প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ এবং পাহাড় কাটা বন্ধে অংশীজনের পরামর্শ নিচ্ছেন। মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন। বৈশ্বিক বায়ুদূষণ সূচকে প্রথম দিকে থাকা ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বায়ুদূষণ মান ২৫০-এর উপরে গেলে অ্যালার্ট জারি করার ঘোষণা দেন মন্ত্রী। আড়াই মাস ধরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বায়ুদূষণ নিয়ে প্রতিদিন তথ্য থাকছে। কক্সবাজারের উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান  গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, সরকারের প্রথম ১০০ দিনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাস্টারপ্ল্যান প্রজেক্টের আওতায় উপাত্ত সংগ্রহ (ডেটা কালেকশন) ও জিআইএস তথ্য সংগ্রহ করে বিশেষজ্ঞ মতামত সংগ্রহ হয়। তা ছাড়া মহেশখালীতে নির্মাণাধীন যাত্রী ছাউনি ও ভাস্কর্যের প্রথম ধাপের কাজ শেষ করে দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হয়েছে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৮

জিয়া ছিলেন মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারদের মতোই ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ পরিতাপের বিষয়, সেই বিএনপি মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস ১৭ এপ্রিল পালন করে না। গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অনুষ্ঠানরত নবম 'আওয়ার ওশান কনফারেন্সে' যোগদানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে 'নভোটেল এথেন্স' হোটেল বলরুমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।  জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সূচিত এ অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে তা প্রমাণ হয়।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলা অর্থাৎ বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের আগের মধ্যরাতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের কলকাতা প্রেসক্লাবে সমবেত হতে বলা হয়। গোপনীয়তার মধ্যে তাদেরকে পরদিন সকালে মুজিবনগরে পৌঁছানো হয় যেখান থেকে তারা সংবাদ পরিবেশন করেন। এ সময় গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনানুগ ও পরিশ্রমী জীবনের জন্য নিজের ও গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসার কথা জানিয়ে এই সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে  ও সবাইকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে আহবান জানান মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সমবেতদের হর্ষধ্বনির মধ্যে তিনি জানান, গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন যে গ্রিস আরও ৬টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। গ্রিস আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ত্রিশটিরও বেশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও  আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।  গ্রিস আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স মোহাম্মদ খালেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস নেতৃবৃন্দের মধ্যে গোলাম মওলা, হাজী আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল খালেক মাতুব্বর, আহসান উল্লাহ হাসান, শেখ আল আমিন, আব্দুল কুদ্দুস মাতুব্বর, রায়হান খান, মিজানুর রহমান আলফা প্রমুখ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন। 
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১২

সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পহেলা বৈশাখে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছিল সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক। তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে এবং যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছে। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামাতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সবসময় সতর্ক থাকায় অতীতের মতো বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি। এই বিষয়ে সরকার সকলের সহযোগিতা কামনা করে। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ১৯৯৩ সালে ১৪০০ বঙ্গাব্দে, বাংলা শতবর্ষ বরণ করার সময় বেগম খালেদা জিয়া সরকার বাধা দিয়েছিল। তাদের বাধা দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তাজনিত নয় বরং বাঙালির সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক এই উৎসবকে নিরুৎসাহিত করা। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল সংগঠনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আমরা সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছিলাম। তিনি বলেন, নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা করব এক্ষেত্রে সবাই সবসময় সহযোগিতা করবেন যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে অনুষ্ঠান উদীচী করেছে সেখানে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটতো তার দায়-দায়িত্ব কে নিতো এ প্রশ্ন রেখে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মনে করি নিয়ম বা নির্দেশ না মেনে অনুষ্ঠান যারা করবেন তাদেরকেই সেই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতা ব্যবস্থা করেছে। তার সরকারের সময়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের  অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’-কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১০

পাহাড়কে অশান্ত করা সরকারের নতুন নাটক : মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, পাহাড়কে অশান্ত করে সরকার নতুন নাটক শুরু করছে। বান্দরবানের ঘটনা সরকারের ব্যর্থতা। সরকার দেশে আইএস (ইসলামিক স্টেট) নাটকের মতো নতুন নাটক শুরু করেছে বলে দাবি করেন তিনি। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে উত্তরায় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম জামালকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, বিএনপির কুকি চিনকে উসকে দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকার বিএনপিকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন বক্তব্য দিচ্ছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপির গণতন্ত্র নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। ৯৫ শতাংশ মানুষ সবশেষ জাতীয় নির্বাচন বয়কট করেছে দাবি করে মঈন খান বলেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। সরকার দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ করেছে। বিএনপি দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছে বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩০

‘স্কাউটিংকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে’ 
স্কাউটিংকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ৮ এপ্রিল দেশব্যাপী স্কাউটস দিবস উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষে স্কাউটস সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দিবসটির এবারের থিম ‘স্মার্ট স্কাউটিং, স্মার্ট সিটিজেন’ যা সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্কাউটস প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রম হিসেবে স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও আদর্শ নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ১৯৭২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ স্কাউটসকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করেন। তার অনুপ্রেরণা এবং উদ্যোগের ফলে ১৯৭৪ সালের ১ জুন ১০৫তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্কাউটস বিশ্ব স্কাউট সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ স্কাউটস’র বিস্তৃতি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জনে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার স্কাউটিংয়ের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশে স্কাউটিং সম্প্রসারণ ও স্কাউট শতাব্দী ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ৪৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সিলেট অঞ্চল ও মৌলভীবাজার জেলা স্কাউট ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ এবং ৪৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘আঞ্চলিক স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, লালমাই উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছি। ‘রোভার স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বাহাদুরপুর’ এর উন্নয়নে ইতোমধ্যে ৪৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি। চট্টগ্রামে রোভার স্কাউটদের জন্য একটি অ্যাডভেঞ্চার ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণের জন্য ১৮৮ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৫৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ (৪র্থ পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুটি করে স্কাউট দল গঠন এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীরা যেন স্কাউট প্রশিক্ষণ পায় তার জন্য আমি নির্দেশনা প্রদান করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিশু-কিশোর, যুবকদের প্রযুক্তি জ্ঞাননির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। আমি আশা করি, বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রত্যেক সদস্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা জ্ঞানভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সূত্র : বাসস
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২০

সরকারের অত্যাচার-নির্মমতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের অত্যাচার-নির্মমতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দুর্ভাগ্য ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে ক্ষমতা দখলে রেখেছে। তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। অনেক গণতন্ত্রকামী যুবককে হত্যা করেছে। রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, পুলিশ অনেকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। কাউকে না পেয়ে অনেকের স্ত্রী, বোন, মা কিংবা সন্তানকে নিয়ে গেছে। তাদের ওপর নির্যাতন করেছে। আজকে কারও মনে কিন্তু হাসি নেই। এভাবে একে একে বর্ণনা দেওয়া সম্ভব নয়। অনেককে সাজা দিয়ে সর্বস্বান্ত করেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, যেসব ভাই, সহযোদ্ধা আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের গৌরবের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি, যে জায়গায় তারা ন্যায়বিচার পাবেন। আজকে কত শিশু তার বাবাকে ভিক্ষা চায়। তবে মজলুমের অশ্রুধারা কখনো বৃথা যেতে পারে না। ফখরুল আরও বলেন, সীমান্ত অরক্ষিত। বান্দরবানে অস্ত্র ও ব্যাংক লুট হয়েছে। সরকার স্পষ্ট করে বলতে পারছে না কারা এটার সঙ্গে জড়িত। যখন কোনো দোষ চাপাতে হয় তখন জঙ্গি খুঁজে বের করে। এতে প্রমাণিত হয়, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর। আজকে দেশের পানি সমস্যা, সীমান্ত সমস্যা নিরসন করতে পারেনি। দেশের বিচারব্যবস্থাকে দলীয়করণ করেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের জন্য দোয়া এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা, তাদের পরিবারে ঈদ উপহার বিতরণ ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব)। অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৪০ জনকে সহায়তা দেওয়া হয়। অ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান চুন্নুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আ ন হ আক্তার হোসেন, অ্যাবের মহাসচিব আলমগীর হাসিন আহমেদ ও সহ-সভাপতি মোস্তাফা জামান সেলিম প্রমুখ।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪০

ঈদযাত্রা স্বস্তি করতে ১৫ বছরে আ.লীগ সরকারের যত উদ্যোগ 
দেশে গত ১০ বছর আগেও ঈদযাত্রা যেন ছিল এক দুঃস্বপ্নের নাম। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দময় মুহূর্ত ভাগ করে নিতে পোহাতে হতো নানা দুর্ভোগ। রাস্তাঘাট, মহাসড়ক এবং অবকাঠামো নির্মাণ করে সেই দুর্ভোগ কমিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এখন মানুষ অনেকটা সস্তিতেই ঈদে বাড়ি যেতে পারেন। পথে ভোগান্তি কমাতে এবং ঈদযাত্রা আরও স্বস্তির করতে এবারও নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। তাই আশা করা যাচ্ছে, এবার তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না।   দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এখন আর ঈদে বাড়ি যেতে পদ্মা নদীতে ফেরি পার হওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা লাগে না। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের ১৯টি জেলার সরাসরি সংযোগ চালু হয়। আর এতে করে কোনো প্রকার বিঘ্ন ছাড়া এসব এলাকার মানুষ ঈদে বাড়ি যাচ্ছে। পদ্মা নদীতে ফেরি পার হয়ে দক্ষিণের জেলাগুলোতে ঈদের সময় বাড়ি যেতে সময় লাগত অন্তত ১২ থকে ১৬ ঘণ্টা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই সময় ২৪ ঘণ্টাও ছাড়িয়ে যেত। ফেরি ঘাট এলাকায় পড়ে যেত দীর্ঘ অপেক্ষার লাইন। এখন সেই সময়ে কমে এসেছে মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। দক্ষিণের অনেক জেলাতেই এখন দিনে গিয়ে দিনে ফেরত আসা যায়। পদ্মা সেতুর ফলে সারাদেশে অবাধ যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিরাট প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে একটি নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে এটি হবে ট্রান্সন্যাশনাল এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর পদ্মা বহুমুখী সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত রেলওয়ে উদ্বোধন করার ফলে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের অনেকগুলো জেলা রেল সংযোগের আওতায় এসেছে। একসময় সড়ক পথে ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা যেতে ১০টি নদীতে ফেরি পারাপার হতে হতো। নদী পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগার পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হতো। সেই প্রতিবন্ধকতা দূর করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। পটুয়াখালির লেবুখালি এলাকায় পায়রা নদীর ওপর নির্মিত পায়রা সেতু এখন কুয়াকাটার সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপন করেছে। এখন আর কুয়াকাটা যেতে কোন ফেরি পার হতে হয় না। অর্থাৎ ঢাকা থেকে কুয়াকাটা এখন নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের আওতায়।    চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার সঙ্গে আনোয়ারাকে সংযুক্ত করে কমিয়ে আনা হয়েছে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের সড়ক পথের দূরত্ব। এক্ষেত্রে পথ কমেছে অন্তত ৫০ কিলোমিটার এবং সাশ্রয় হবে এক ঘণ্টা। এই টানেল তৈরি করার ফলে কক্সবাজার যেতে এখন আর চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করতে হয় না।    ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করার মাধ্যমে বাংলাদেশ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জগতে প্রবেশ করেছে। একই বছরের ১১ নভেম্বর বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন উদ্বোধন করা হয়েছে। এ রেলপথ চালু হওয়ায় মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ এবং কক্সবাজার একটি স্মার্ট সিটিতে পরিণত হবে। ইতোমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই রেল সেবা। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ সরকার সড়ক মহাসড়কের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করেছে এই দীর্ঘ সময়ে। বিশ্বমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য নেওয়া হয়েছে আরও বেশ কিছু মেগা প্রকল্প। বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, ক্রস-বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট উল্লেখযোগ্য। নিরবচ্ছিন্ন মহাসড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিগত দেড় দশকে ৫ হাজার ৬৫৯টি সেতু ও ৬ হাজার ১২২টি কালভার্ট নির্মাণ-পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।   সড়ক মহাসড়কের পাশাপাশি বিস্তৃত হয়েছে রেল নেটওয়ার্ক। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রেলওয়ের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ দ্রুত ও সহজীকরণের লক্ষ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে নির্মিত রেলসংযোগ উদ্বোধন করা হয়েছে। দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার সঙ্গে ঢাকা থেকে সরাসরি রেলসংযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ এবং সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের নিমিত্ত রেলওয়ের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন রুটে মোট ১৪২টি নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে এবং ৪৪টি ট্রেনের রুট বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি স্মার্ট করা হয়েছে রেলওয়ের টিকেটিং সিস্টেম। এখন ঈদযাত্রায় শতভাগ টিকেট অনলাইনে বিক্রি করা হয়। আর তাতে আগের দিন রাত থেকে স্টেশনে লাইন দিয়ে টিকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট নিরসনে ইতোমধ্যে ছোট- বড় বহুসংখ্যক উড়ালপথ বা ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে।  এ ছাড়া ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে। আর তাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের যাত্রা সময় কিছুটা কমে এসেছে। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলে যাত্রা স্বস্তির করতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।   রাজধানীর বিমানবন্দর থকে টঙ্গী হয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত চলমান বিআরটি প্রকল্পের আটটি ফ্লাইওভারের মধ্যে সাতটি ফ্লাইওভার গত ২৫ মার্চ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফ্লাইওভারগুলোকে দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।   ফ্লাইওভারগুলো হলো ৩২৩ মিটার দৈর্ঘ্যরে এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাম পার্শ্ব), ৩২৩ মিটার দৈর্ঘ্যরে এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান পার্শ্ব), ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের জসীমউদদীন ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউ-টার্ন-১ গাজীপুরা ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের ভোগড়া ফ্লাইওভার ও ৫৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে চান্দনা চৌরাস্তা ফ্লাইওভার।  ওবায়দুল কাদের বলেন, সব ফ্লাইওভার উন্মুক্ত করায়, বিশেষ করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ঈদযাত্রা আরও সহজ ও স্বস্তিদায়ক হবে। বিগত দিনে ঈদের সময় গাজীপুরে যে ভোগান্তি হয়েছে এবার আর তা হবে না। ইতোমধ্যেই এ প্রকল্পের ৯১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেন মহাসড়ক ‘জয়দেবপুর-এলেঙ্গা’২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের মহাসড়কটি তৈরি করা হয়েছে। মূল মহাসড়কটি চার লেনের। এর সঙ্গে দুই পাশে ধীরগতি ও স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য আরো দুটি লেন তৈরি করা হয়েছে। দ্রুতগতি আর ধীরগতির গাড়ি একসঙ্গে চললে দুর্ঘটনার একটি আশঙ্কা থাকে। চার লেনের দুই পাশে ‘গার্ডরেল’ দেওয়া হয়েছে। এত স্থানীয় মানুষ কিংবা কোনো গবাদিপশু চার লেনের সড়কে প্রবেশ করতে পারবে না। মহাসড়কটিতে সাতটি ফ্লাইওভার ও ১১টি আন্ডারপাস তৈরি করা হয়েছে। মহাসড়কের পাশে যেসব বাজার রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো রয়েছে, সেগুলোতে সড়ক প্রতিবন্ধক দেয়া হয়েছে। অনেকগুলো ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। এসব অবকাঠামো ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানজট লাঘবের পাশাপাশি মহাসড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও উন্নত করেছে।    বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত চার লেন চালু করা হয়েছে এবার। প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সময় বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক পাড়ি দিতে যাত্রী ও চালকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে থাকতে হয়। তবে এ বছর মহাসড়কের নকলা ব্রিজ, ফ্লাইওভার ও চার লেনের কাজ অনেকাংশে শেষ হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি পেতে পারেন উত্তরবঙ্গের ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ, যাত্রী ও চালকেরা। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়ক থেকে বগুড়ার মোকামতলা হয়ে রংপুর পর্যন্ত পুরোটাই চার লেনের ফ্যাসিলিটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-৩) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।  প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, সাসেক সড়ক প্রকল্প এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত চলছে। প্রতিবার যেটা হয় উত্তরবঙ্গের ঈদযাত্রা নিয়ে শঙ্কা থাকে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। গত বছরের তুলনায় সড়ক ব্যবস্থা অনেক ভালো। গত বছরও কোনো সমস্যা হয়নি। এবছরও হবে না। বঙ্গবন্ধু সেতুপশ্চিম সংযোগ সড়ক থেকে বগুড়ার মোকামতলা হয়ে রংপুর পর্যন্ত পুরোটাই চার লেনের ফ্যাসিলিটি দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়কের কিছু কিছু জায়গায় ছয় লেনও নির্মাণ করা হয়েছে। পাঁচলিয়া, সয়দাবাদ, কড্ডার মোড় ওভারব্রিজ চালু করে দেওয়া হয়েছে। আর হাটিকুমরুল থেকে বগুড়ার মির্জাপুর পর্যন্ত কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সড়কে যেখানে যেখানে খানাখন্দ ছিল তাও সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পড়তে হয়, এজন্য খুলে দেওয়া হবে পাঁচলিয়া ওভারব্রিজ। কাজ ও প্রায় শেষের দিকে। আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে পুরো সড়ক চার লেনে উন্নীত হবে।  সরকারের নানা উদ্যোগে ঈদ যাত্রা ভোগান্তিবিহীন হয়েছে গেল বছর। সেই প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘরমুখী যাত্রীদের জন্য এর চেয়ে ভোগান্তিহীন যাত্রা অনেক বছর ধরে হয়নি। ঘরমুখী যাত্রা যেমন স্বস্তিদায়ক ছিল, তেমনি ফিরে আসাটাও স্বস্তিদায়ক হয়েছে।   সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে জেলা আঞ্চলিক ও জাতীয় পাকা মহাসড়ক প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়