• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঈদযাত্রা স্বস্তি করতে ১৫ বছরে আ.লীগ সরকারের যত উদ্যোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪
ঈদযাত্রা স্বস্তি করতে ১৫ বছরে আ.লীগ সরকারের যত উদ্যোগ 
ফাইল ছবি

দেশে গত ১০ বছর আগেও ঈদযাত্রা যেন ছিল এক দুঃস্বপ্নের নাম। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দময় মুহূর্ত ভাগ করে নিতে পোহাতে হতো নানা দুর্ভোগ। রাস্তাঘাট, মহাসড়ক এবং অবকাঠামো নির্মাণ করে সেই দুর্ভোগ কমিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এখন মানুষ অনেকটা সস্তিতেই ঈদে বাড়ি যেতে পারেন। পথে ভোগান্তি কমাতে এবং ঈদযাত্রা আরও স্বস্তির করতে এবারও নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। তাই আশা করা যাচ্ছে, এবার তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এখন আর ঈদে বাড়ি যেতে পদ্মা নদীতে ফেরি পার হওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা লাগে না। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের ১৯টি জেলার সরাসরি সংযোগ চালু হয়। আর এতে করে কোনো প্রকার বিঘ্ন ছাড়া এসব এলাকার মানুষ ঈদে বাড়ি যাচ্ছে। পদ্মা নদীতে ফেরি পার হয়ে দক্ষিণের জেলাগুলোতে ঈদের সময় বাড়ি যেতে সময় লাগত অন্তত ১২ থকে ১৬ ঘণ্টা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই সময় ২৪ ঘণ্টাও ছাড়িয়ে যেত। ফেরি ঘাট এলাকায় পড়ে যেত দীর্ঘ অপেক্ষার লাইন। এখন সেই সময়ে কমে এসেছে মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। দক্ষিণের অনেক জেলাতেই এখন দিনে গিয়ে দিনে ফেরত আসা যায়।

পদ্মা সেতুর ফলে সারাদেশে অবাধ যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিরাট প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে একটি নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে এটি হবে ট্রান্সন্যাশনাল এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর পদ্মা বহুমুখী সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত রেলওয়ে উদ্বোধন করার ফলে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের অনেকগুলো জেলা রেল সংযোগের আওতায় এসেছে।

একসময় সড়ক পথে ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা যেতে ১০টি নদীতে ফেরি পারাপার হতে হতো। নদী পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগার পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হতো। সেই প্রতিবন্ধকতা দূর করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। পটুয়াখালির লেবুখালি এলাকায় পায়রা নদীর ওপর নির্মিত পায়রা সেতু এখন কুয়াকাটার সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপন করেছে। এখন আর কুয়াকাটা যেতে কোন ফেরি পার হতে হয় না। অর্থাৎ ঢাকা থেকে কুয়াকাটা এখন নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের আওতায়।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার সঙ্গে আনোয়ারাকে সংযুক্ত করে কমিয়ে আনা হয়েছে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের সড়ক পথের দূরত্ব। এক্ষেত্রে পথ কমেছে অন্তত ৫০ কিলোমিটার এবং সাশ্রয় হবে এক ঘণ্টা। এই টানেল তৈরি করার ফলে কক্সবাজার যেতে এখন আর চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করতে হয় না।

২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করার মাধ্যমে বাংলাদেশ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জগতে প্রবেশ করেছে। একই বছরের ১১ নভেম্বর বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন উদ্বোধন করা হয়েছে। এ রেলপথ চালু হওয়ায় মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ এবং কক্সবাজার একটি স্মার্ট সিটিতে পরিণত হবে। ইতোমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই রেল সেবা।

শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ সরকার সড়ক মহাসড়কের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করেছে এই দীর্ঘ সময়ে। বিশ্বমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য নেওয়া হয়েছে আরও বেশ কিছু মেগা প্রকল্প। বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, ক্রস-বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট উল্লেখযোগ্য। নিরবচ্ছিন্ন মহাসড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিগত দেড় দশকে ৫ হাজার ৬৫৯টি সেতু ও ৬ হাজার ১২২টি কালভার্ট নির্মাণ-পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।

সড়ক মহাসড়কের পাশাপাশি বিস্তৃত হয়েছে রেল নেটওয়ার্ক। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রেলওয়ের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ দ্রুত ও সহজীকরণের লক্ষ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে নির্মিত রেলসংযোগ উদ্বোধন করা হয়েছে। দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার সঙ্গে ঢাকা থেকে সরাসরি রেলসংযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

জনগণের প্রত্যাশা পূরণ এবং সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের নিমিত্ত রেলওয়ের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন রুটে মোট ১৪২টি নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে এবং ৪৪টি ট্রেনের রুট বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি স্মার্ট করা হয়েছে রেলওয়ের টিকেটিং সিস্টেম। এখন ঈদযাত্রায় শতভাগ টিকেট অনলাইনে বিক্রি করা হয়। আর তাতে আগের দিন রাত থেকে স্টেশনে লাইন দিয়ে টিকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট নিরসনে ইতোমধ্যে ছোট- বড় বহুসংখ্যক উড়ালপথ বা ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে। আর তাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের যাত্রা সময় কিছুটা কমে এসেছে। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলে যাত্রা স্বস্তির করতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।

রাজধানীর বিমানবন্দর থকে টঙ্গী হয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত চলমান বিআরটি প্রকল্পের আটটি ফ্লাইওভারের মধ্যে সাতটি ফ্লাইওভার গত ২৫ মার্চ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফ্লাইওভারগুলোকে দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ফ্লাইওভারগুলো হলো ৩২৩ মিটার দৈর্ঘ্যরে এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাম পার্শ্ব), ৩২৩ মিটার দৈর্ঘ্যরে এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান পার্শ্ব), ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের জসীমউদদীন ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউ-টার্ন-১ গাজীপুরা ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের ভোগড়া ফ্লাইওভার ও ৫৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে চান্দনা চৌরাস্তা ফ্লাইওভার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সব ফ্লাইওভার উন্মুক্ত করায়, বিশেষ করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ঈদযাত্রা আরও সহজ ও স্বস্তিদায়ক হবে। বিগত দিনে ঈদের সময় গাজীপুরে যে ভোগান্তি হয়েছে এবার আর তা হবে না। ইতোমধ্যেই এ প্রকল্পের ৯১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেন মহাসড়ক ‘জয়দেবপুর-এলেঙ্গা’২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের মহাসড়কটি তৈরি করা হয়েছে। মূল মহাসড়কটি চার লেনের। এর সঙ্গে দুই পাশে ধীরগতি ও স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য আরো দুটি লেন তৈরি করা হয়েছে। দ্রুতগতি আর ধীরগতির গাড়ি একসঙ্গে চললে দুর্ঘটনার একটি আশঙ্কা থাকে। চার লেনের দুই পাশে ‘গার্ডরেল’ দেওয়া হয়েছে। এত স্থানীয় মানুষ কিংবা কোনো গবাদিপশু চার লেনের সড়কে প্রবেশ করতে পারবে না। মহাসড়কটিতে সাতটি ফ্লাইওভার ও ১১টি আন্ডারপাস তৈরি করা হয়েছে। মহাসড়কের পাশে যেসব বাজার রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো রয়েছে, সেগুলোতে সড়ক প্রতিবন্ধক দেয়া হয়েছে। অনেকগুলো ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। এসব অবকাঠামো ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানজট লাঘবের পাশাপাশি মহাসড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও উন্নত করেছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত চার লেন চালু করা হয়েছে এবার। প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সময় বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক পাড়ি দিতে যাত্রী ও চালকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে থাকতে হয়। তবে এ বছর মহাসড়কের নকলা ব্রিজ, ফ্লাইওভার ও চার লেনের কাজ অনেকাংশে শেষ হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি পেতে পারেন উত্তরবঙ্গের ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ, যাত্রী ও চালকেরা। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়ক থেকে বগুড়ার মোকামতলা হয়ে রংপুর পর্যন্ত পুরোটাই চার লেনের ফ্যাসিলিটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-৩) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।

প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, সাসেক সড়ক প্রকল্প এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত চলছে। প্রতিবার যেটা হয় উত্তরবঙ্গের ঈদযাত্রা নিয়ে শঙ্কা থাকে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। গত বছরের তুলনায় সড়ক ব্যবস্থা অনেক ভালো। গত বছরও কোনো সমস্যা হয়নি। এবছরও হবে না। বঙ্গবন্ধু সেতুপশ্চিম সংযোগ সড়ক থেকে বগুড়ার মোকামতলা হয়ে রংপুর পর্যন্ত পুরোটাই চার লেনের ফ্যাসিলিটি দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়কের কিছু কিছু জায়গায় ছয় লেনও নির্মাণ করা হয়েছে। পাঁচলিয়া, সয়দাবাদ, কড্ডার মোড় ওভারব্রিজ চালু করে দেওয়া হয়েছে। আর হাটিকুমরুল থেকে বগুড়ার মির্জাপুর পর্যন্ত কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সড়কে যেখানে যেখানে খানাখন্দ ছিল তাও সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পড়তে হয়, এজন্য খুলে দেওয়া হবে পাঁচলিয়া ওভারব্রিজ। কাজ ও প্রায় শেষের দিকে। আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে পুরো সড়ক চার লেনে উন্নীত হবে।

সরকারের নানা উদ্যোগে ঈদ যাত্রা ভোগান্তিবিহীন হয়েছে গেল বছর। সেই প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘরমুখী যাত্রীদের জন্য এর চেয়ে ভোগান্তিহীন যাত্রা অনেক বছর ধরে হয়নি। ঘরমুখী যাত্রা যেমন স্বস্তিদায়ক ছিল, তেমনি ফিরে আসাটাও স্বস্তিদায়ক হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে জেলা আঞ্চলিক ও জাতীয় পাকা মহাসড়ক প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আ.লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার
ছাড় পাচ্ছেন না স্বজনকে প্রার্থী করা মন্ত্রী-এমপিরা
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ৩০ এপ্রিল
‌‘হিটস্ট্রোকে’ আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
X
Fresh