• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে যেসব পণ্যের দাম
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।  আগে যেটি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হতো সেটি আজকের বাজারে ৭০ টাকা।  অন্যদিকে বাজারে আদা-রসুনের দামও বাড়তি।  প্রতি কেজি আমদানি করা এই পণ্য বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।  এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দার মতো পণ্যের সঙ্গে মাছ ও মাংসের দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল। এ ছাড়া স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও।  প্রতি কেজি সজনে ডাটা ১৪৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  এ ছাড়া পেঁপে, বরবটি, করলা, কাকরোল, ঝিঙা, চিচিঙা ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  বলতে গেলে পটোল ও ঢেঁড়স ছাড়া ৮০ টাকার নিচে ঢাকার বাজারে কোনো সবজি নেই। তবে বাজারে গত কয়েকদিনে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে।  বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে।  ডজনে ১০ টাকা কমে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।  বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, শুধুমাত্র পেঁপেই সারাবছর কম দামে পাওয়া যায়।  কিন্তু আজকে বাজারে এসে দেখি পেঁপের দাম উঠেছে ৮০ টাকায়।  অথচ, গত সপ্তাহে বাড়তি দামের মধ্যেও ৫০ টাকায় পেঁপে কিনেছিলাম।   দেশে কি পেঁপের আকাল পড়েছে? বিক্রেতারা বলছেন, গতরাতে (বৃহস্পতিবার) বৃষ্টির কারণে কারওয়ান বাজারে সবজি সরবরাহ কিছুটা কম ছিল।  তার আগে প্রচণ্ড গরমে সবজি নষ্ট হয়েছে।  সব মিলিয়ে রোজার ঈদের পর থেকেই সবজির বাজার চড়া।
০৩ মে ২০২৪, ১২:১১

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ঢাকার সড়কে তীব্র যানজট
সপ্তাহের প্রথম ও শেষ কর্মদিবসে রাজধানীতে যানজট যেন নিত্যসঙ্গী। শেষ কর্মদিবসে অফিস শেষে অনেকে তড়িঘড়ি করে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় সড়কে গাড়ির চাপ যেমন বাড়ে তেমনই বাড়ে যানজট। আজ সকাল থেকে যানজটের মুখে পড়েছে নগরবাসী। দুপুরের পর অফিস ছুটির সময় যানজট আরও তীব্র হতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টার পর থেকে সরেজমিনে দেখা যায়, বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণি, কারওয়ানবাজার, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, মগবাজার, বাংলামোটর, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, মিন্টু রোড, রামপুরা, বাড্ডা, নতুনবাজার, পল্টন এলাকায় যানবাহনের তীব্র চাপ রয়েছে। সিগন্যালগুলোতে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যানবাহনকে। তবে মেট্রোরেল যেসব রুটে রয়েছে, সেসব রুটে তেমন যানজট নেই।  সকালে সড়কে যানজটের ফলে অফিসগামী অনেককেই হেঁটে রওনা দিতেও দেখা গেছে। বেশি কষ্টের মুখে পড়তে হচ্ছে রোজাদার ব্যক্তিদের। বাড্ডা থেকে বিজয় সরণি যাবেন একজন চাকরিজীবী। তিনি বলেন, বাসে ওঠার পর থেকেই জ্যাম শুরু। থেমে থেমে মহাখালী পর্যন্ত আসছি। এখন বাকি রাস্তা যেতে কতক্ষণ লাগবে কে জানে। আরেক চাকরিজীবী বলেন, রোজা রেখে জ্যামের মধ্যে বসে থাকা কষ্টকর। তাই হেঁটেই রওনা দিয়েছি। শিক্ষার্থী মেজবাহ যাবেন ফার্মগেটে। তিনি বলেন, বনানী থেকে বাসে উঠেছি। প্রায় ঘণ্টাখানেক হয়ে যাবে, এখনো পৌঁছাতে পারিনি। রোজা রেখে এমন ভোগান্তি বেশ কষ্টকর। বাসচালকরা বলছেন, সড়কে অন্যান্য দিন যানজট থাকলেও বৃহস্পতিবার গাড়ির চাপ বেশি থাকে। সে কারণে এদিন তীব্র যানজট লেগে থাকে। বাসের জন্য অপেক্ষা করা একজন যাত্রী বলেন, প্রায় ১৫ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি একটি বাস নেই। বাস এলেও উঠতে পারব কি না সন্দেহ। গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়াতে হয়, যা খুবই বিরক্তিকর। কিন্তু কিছু করার নেই। আবার জ্যামের কারণে ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারবো কি না কে জানে।   এদিকে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকলেও বেশির ভাগ গণপরিবহনে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বাসের গেটে অনেককে ঝুলতে দেখা গেছে। চৈত্রের গরমে ভিড় ও যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকে বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে হাঁটা ধরছেন। সারাদিন রোজা রাখার কারণে অনেকে তা-ও করতে পারছেন না। যানজটে বসে ভোগান্তি নিয়েই অপেক্ষা করছেন বাড়ি ফেরার। এবার রমজানে সরকারি অফিসগুলোর সময়সূচি ঠিক করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা। মূলত অফিস শেষে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে বাসায় ফেরার তাড়া থাকে কর্মজীবীদের। যার চাপ পড়ে সড়কে। এ বিষয়ে তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি মোস্তাক আহমেদ বলেন, অফিস ছুটির পর সবাই ইফতার করতে একসঙ্গে বাড়ির পথ ধরে। তার ওপর আজকে শেষ কর্মদিবস। যার ফলে সড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। কারণ, রাস্তার ধারণক্ষমতার তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। তারপরও কোথাও গাড়ি দাঁড়িয়ে নেই। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল আছে। পাশাপাশি রমজান ঘিরে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাই যেন ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করছি। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক গুলশান বিভাগের মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার (এসি) আরিফুল ইসলাম রনি বলেন, রাস্তায় গাড়ির চাপ রয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত তা স্বাভাবিক। গতকাল গাড়ির চাপ আরও বেশি ছিল, সেই তুলনায় আজকে একটু কম। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত যানজট বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছি আনতে কাজ করছি।
১৪ মার্চ ২০২৪, ২১:২৮

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের ডজনে বাড়ল ২০ টাকা
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ডিমের দাম ডজনে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগেও খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩২ থেকে ১৩৬ টাকায়। তা এখন বেড়ে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৬ টাকায়। এ ছাড়া খুচরা প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকা করে।  রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও গ্রামীণ দোকানগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে সবজির দাম বাড়তি থাকায় ডিমের ওপর চাপ বেড়েছে। একদিকে চাহিদা বেড়েছে, আবার অপরদিকে রয়েছে সরবরাহ সংকট। তাই ডিমের বাজার বাড়তি রয়েছে। বড়তাকিয়া খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৬ টাকায়। এ ছাড়া বিভিন্ন গ্রামীণ দোকানে প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছে ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। এদিকে প্রতি পিস হাঁসের ডিমের দাম ২০ থেকে ২২ টাকা এবং প্রতি হালি হাঁসের ডিমের দাম ৮০ থেকে ৮৮ টাকা। বারইয়ারহাট পৌর বাজারে ডিমের আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে পাইকারি ১০০ ডিম বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকায়। ডিমের বৃহৎ আড়ত টাঙ্গাইল থেকে সেই ডিম কিনতে হচ্ছে এক হাজার টাকায়। বড় দারোগাহাট বাজারে ক্রেতা মহি উদ্দিন জানান, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে ক্রেতারা অসহায় হয়ে পড়েছে। অভিযান চালিয়ে জরিমানা করে, তারপরেও দাম নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। দাম বেড়ে যাওয়ায় এক হালির বেশি কেনা সম্ভব হয় না। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বেশি। আমাদের পরিবারগুলোর চলতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। উপজেলার কাটাছারা ইউনিয়নের চত্বর ভূঁইয়ারহাট বাজারের দোকানী কামাল মিয়া বলেন, আমি পাইকারিভাবে প্রতি পিস ডিম কিনেছি ১১ টাকা ৫০ পয়সায়। পরিবহন খরচ রয়েছে, অনেক ডিম নষ্ট হয়ে যায়। প্রতি পিস ডিম ১৩ টাকায় বিক্রি না করলে লাভ হবে না। করেরহাট একরাম পোল্ট্রির স্বত্তাধিকারী একরামুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আমার খামারে প্রতিদিন প্রায় চার হাজার ডিম উৎপাদন হয়। প্রতি পিস ডিম পাইকারের কাছে বিক্রি করছি ১০ টাকায়। প্রতি পিস ডিমে উৎপাদন খরচ পড়ছে প্রায় ৯ টাকা ৮০ পয়সা। এর কমে বিক্রি করলে লোকসানে পড়তে হবে। করেরহাট বাজার কমিটির সহসভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, বর্তমানে ডিম উৎপাদনের খরচ অনেক বেশি। অনেক খামারি লোকসানে পড়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। বিশেষ করে মুরগির খাবারের দাম বাড়তি। অন্যদিকে ডিম আমদানি হয়নি, তাই বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহের সংকট দেখা দিয়েছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়