• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, সৎ মায়ের যাবজ্জীবন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সৎ মেয়েকে হত্যায় শারমিন আক্তার (৩৬) নামের এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এ আদেশ দেন। শারমিন আক্তার উপজেলার মেহারী গ্রামের শামীম মিয়ার স্ত্রী। মামলার এজাহার সূত্র জানায়, মেহারী গ্রামের শামীম মিয়ার প্রথম স্ত্রী দুই ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে বিদেশ চলে যান। তিন সন্তানকে লালনপালন করতে শামীম মিয়া বিয়ে করেন শারমিন আক্তারকে। দুই ছেলে বড় হয়ে যাওয়ায় তারা সুমাইয়াকে (১২) রেখে ঢাকায় বসবাস করে ডিস লাইনের কাজ করছিলেন। ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে সুমাইয়ার মরদেহ ঘরে পাওয়া যায়। এ খবর পেয়ে শামীম মিয়ার দুই ছেলে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। তারা সুমাইয়ার মরদেহের গলায় কালো চিহ্ন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনায় শারমিন আক্তারসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন শামীম মিয়ার ছেলে আরমিন ভূঁইয়া। এ মামলায় শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে জিজ্ঞাসাবাদে শারমিন হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে এ মামলায় শারমিনকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা কসবা থানার উপপরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে যুক্তিতর্ক ও সাক্ষী জেরা শেষে বুধবার জেলা জজ শারমিন নিগার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শারমিন আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুল আলম খোকন জানান, রায় প্রদানকালে কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে গ্রেপ্তারের পর হাজতবাসকালীন সময় কারাদণ্ডের মেয়াদ থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞ আদালত আদেশ দিয়েছেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৪

ঋণের টাকা পরিশোধ করতে বোনের বাসায় লুট, বাধা দেয়ায় শ্বাসরোধে হত্যা
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ বেগম শিমুকে (৩৮) হাত-পা বেঁধে মুখে গামছা গুঁজে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় তার সহোদর ভাই ও এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর পিবিআই। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা এবং রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো নিহতের ভাই কাপাসিয়া উপজেলার কুলগঙ্গা গ্রামের সিরাজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে কামরুজ্জামান রুবেল (৩৬) এবং তার সহযোগী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার মামদাবাদী গ্রামের আস্কর আলীর ছেলে মিনাল ওরফে মিষ্টার (২১)। পুলিশ তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির ৫৭ হাজার টাকা উদ্ধার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গাজীপুর পিবিআই’র উপপরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরান জানান, হত্যার শিকার শাহনাজ বেগহম শিমুর ভাই কামরুজ্জামান রুবেল গাজীপুরের একটি আবাসিক হোটেলে চাকরি করতো। প্রায় ৫ মাস পূর্বে রুবেল চাকরি ছেড়ে দেয়ায় সে আর্থিক অভাবে পড়ে। এ সময় সে বিভিন্ন পরিচিতদের কাছ থেকে ধারদেনা করে ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়ে। ঋনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে সে তার বোনের বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা পয়সা চুরির সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনার দুইদিন আগে আসামী রুবেল তার সহযোগী মিনাল ওরফে মিষ্টারের সাথে তার বোনের বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন বিকেলে মিনাল ওরফে মিষ্টার জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আসলে রুবেল ও মিনাল একটি ব্যাগে একটি সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, গামছা, কেচি নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর আসে।  তারা শ্রীপুর বাস স্ট্যান্ড হতে অটোরিকশা ভাড়া করে বরমী পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে চা সিগারেট খায়। কিছুক্ষণ পরে তারা সেখান থেকে অটোরিকশায় রাত ৮ টায় সিংহশ্রী ব্রিজে যায়। তারা সিংহশ্রী ব্রিজ থেকে পায়ে হেটে আসামী রুবেলের বোন প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ আক্তার সিমুর বাড়ির সামনে আখ (গেন্ডারী) খেতে লুকিয়ে থাকে। রাত ১২ টার পর আসামিরা শাহানাজ আক্তার সিমুর পাশের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ওপর দিয়ে বাসার ছাদে উঠে। পরে পিছনের রান্না ঘরের সিমেন্টের টিন খুলে রান্না ঘরে প্রবেশ করে। পরে রান্না ঘরের দরজা খুলে বাহিরে এসে ঘরের পেছনের খোলা জানালায় বাঁশের লাঠি দিয়ে ঘরের দরজার সিটকারী খুলে ঘরে প্রবেশ করে। আসামি রুবেল ও মিষ্টার এক সাথে শিমুর ঘরে প্রবেশ করে। শিমুল তাদের সারা শব্দ পেয়ে চিৎকার শুরু করলে আসামি মিষ্টার সুইচ গিয়ার দেখিয়ে ভয় দেখায় এবং বলে আমরা তোমার কোন ক্ষতি করব না, চিৎকার বন্ধ কর। তাদের কথা শুনে শিমুল চিৎকার বন্ধ না করলে মিস্টার গামছা দিয়ে শিমুলের মুখ চেপে ধরে। শিমুর ভাই আসামী রুবেল শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এ সময় শাহানাজ আক্তার সিমুর নখের আঁচড় লেগে আসামি রুবেলের বাম ও ডান হাতে জখম হয়।  শাহানাজ আক্তার সিমু তার ভাই রুবেলকে যেন চিনতে না পারে সেজন্য শাহানাজ আক্তার সিমুর চোখ ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে মিস্টার। আসামি রুবেল শাহানাজ আক্তার সিমুর আলমারি খোলার জন্য চাবি খুঁজতে থাকে। এসময় আসামী মিষ্টারের সাথে শাহানাজ আক্তার সিমুর ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে আসামি মিষ্টার শাহানাজ আক্তার সিমুর মুখে আঘাত করে তার বুকের ওপর বসে গলায় চেপে ধরে। শিমুর ভাই আসামি রুবেল টেবিলের ড্রয়ার থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, কানের ফুল ও নগদ তিন হাজার টাকা এবং শাহানাজ আক্তার সিমুর ব্যবহৃত মোবাইল সেট নিয়ে যায়। আসামি রুবেল ও মিষ্টার ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত ও পা পেছন দিয়ে বেঁধে বাড়ির পকেট গেইট দিয়ে বের হয়ে যায়। পরদিন সকালে আসামী রুবেল সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, মোবাইল সেট ভেঙ্গে জাজর ব্রিজের নীচে খালের পানিতে ফেলে দেয় এবং লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার ১ লাখ ৫০ টাকা বিক্রি করে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের পূর্ব ভিটিপাড়া গ্রামের স্বামীর বাড়িতে শাহনাজ বেগম শিমুকে হাত-পা বেঁধে মুখে গামছা গুঁজে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পুলিশ ওইদিন সকালে লাশ উদ্ধার করে। শিমুর স্বামী দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের পূর্ব ভিটিপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।  
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৮

নারায়ণগঞ্জে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার নাম সাকিব সিকদার (১০)। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাচঁরুখী এলাকায় তার নানার বাড়ির পাশে থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  নিহত সাকিব রুপগঞ্জের গোলাকান্দাইল এলাকার জিকু সিকদারের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ওসি আহসান উল্লাহ। তিনি বলেন, ১৭-১৮ দিন আগে শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে উপজেলার পাচঁরুখী গ্রামে তার নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে তার মা তাকে ব্লেড আনতে তাকে বাজারে পাঠায়। এরপর থেকে সাকিব আর বাড়ি ফেরেনি। এ দিকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তার নানার নতুন বাড়ির পাশে শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।  তিনি আরও বলেন, সাকিবের সামান্য বাক প্রতিবন্ধিতা ছিল। মুখের কথা অস্পষ্ট ছিল। শিশুটি মাঝে মাঝে বেড়াতে আসলে নানার পুড়ির দোকানে কাজ করতো। মরদেহের গায়ে আঘাতের চিহ্ন ও খুন্তি ছ্যাঁকা দেওয়াসহ রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৭

প্রবাসীর স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ বেগম শিমুকে (৩৮) হাত-পা বেঁধে মুখে গামছা গুঁজে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের পূর্ব ভিটিপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের পূর্ব ভিটিপাড়া গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনেরা জানান, নিহতের স্বামী মোশারফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী। প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ বেগম শিমু একাই স্বামীর বাড়িতে বসবাস করতেন। তাদের কোন সন্তানাদি নেই। সোমবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে প্রতিদিনের মতো একাই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন শিমু। তারা জানান, সোমবার স্থানীয় এক দিনমুজুরকে তার বাড়ীর চারপাশ পরিষ্কার করার জন্য মঙ্গলবার সকালে আসতে বলেছিল। সকাল ৮টায় ওই দিনমুজুর কাজ করতে আসলে তাকে ডাকাডাকি করেন। এ সময় কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনদের জানালে তারা ঘরে প্রবেশ করে খাটের ওপরে শিমুর লাশ দেখতে পান। তার মুখে গামছা গোঁজা এবং হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। ওই নারীর মুখের দুটি দাঁত ভাঙ্গা ছিল। শিমু ঘুম থেকে না উঠায় স্বজনেরা কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ঘরের আসবাব পত্র, আলমারির মালামাল ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা রান্না ঘরের টিন কেটে প্রবাসীর স্ত্রীর কক্ষে প্রবেশ করে। পরে তার হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে মুখে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ সময় ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে তার দুটি দাঁত ভেঙ্গে গেছে। পরে লাশ খাটের ওপর ফেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ডাকাতি না অন্য কোনো ঘটনা তা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।  
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৮

গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামী আটক
নওগাঁর মান্দায় মল্লিকা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার স্বামী মোহসীন আলীকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ মার্চ) ভোরে উপজেলার চকখোপা গ্রামে তাদের শয়নকক্ষে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। মোহসীন আলী উপজেলার চকখোপা গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে এবং নিহত মল্লিকা বেগম পার্শ্ববর্তী ভেবড়া গ্রামের মফের আলীর মেয়ে। তাদের একটি ছেলে এবং মেয়ে সন্তান আছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মল্লিকা বেগম দীর্ঘদিন যাবত দাঁত এবং কিডনিসহ বিভিন্ন রোগে অসুস্থ থাকায় তাদের পরিবারে অশান্তি বিরাজ করছিল। কিছুদিন আগে তার একটি অপারেশও করা হয়েছিল। এরই জেরে হয়তো আজ ভোররাতে মল্লিকা বেগমের স্বামী মোহসীন আলী তাকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী মল্লিকাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে মোহসীন। মল্লিকার গলা ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মল্লিকার মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।    
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৬

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড  
রংপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী আয়শা বেগম বিউটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী দছিম উদ্দিন ভুট্টোকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রোকনুজ্জামান এ রায় দেন। এ ছাড়া লাশ গুমের অভিযোগে ভুট্টুর বাবা বেলাল হোসেন, মা কুলসুম বেগম, মামাতো ভাই বিটু সরকার বিটু, আবু সাইদ, নুরুদ্দিন ও খাজির উদ্দিককে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি বিলকিস বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন জানান, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার মমিন বাজার এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে আয়শা বেগম বিউটিকে যৌতুকের জন্য স্বামী দছিম উদ্দিন ভুট্টো নির্যাতন করতেন। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের ১ জুন তাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গোয়াল ঘরে পুঁতে রাখেন। এর তিন দিন পর গোপনে লাশটি আবারও উত্তোলন করে বাড়ির পাশে একটি পাট ক্ষেতে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে ৭ জুন পুলিশ বিউটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১ জুন পীরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগাছা থানার উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক এই রায় প্রদান করেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৬

৩ বছরের শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, সৎমা আটক
নড়াইলে সৎমায়ের বিরুদ্ধে ৩ বছরের এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গিলাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত নুসরাত জাহান ওই গ্রামের সজীব কাজীর মেয়ে। সজীবের দ্বিতীয় স্ত্রী জোবায়দা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায়। নিহতের দাদি পান্না বেগম বলেন, তিন বছর আগে নুসরাতের বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে জোবায়দাকে বিয়ে করেন সজীব। বিয়ের পর থেকে নুসরাতকে ভালো চোখে দেখতো না সৎ মা জোবায়দা। এ নিয়ে সজীবের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো দ্বিতীয় স্ত্রীর। ওসি কাঞ্চন বলেন, দুপুরের দিকে বাড়ির বারান্দায় কাঁথা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় নুসরাতের মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।  ওসি কাঞ্চন আরও বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৎ মা জোবায়দাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শিশু নুসরাতের গলায় আঙ্গুলের ছাপ দেখা গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০

স্কচটেপ পেঁচিয়ে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, মা ও সৎমা আটক
ফেনীর পরশুরামে হাতে-পায়ে স্কচটেপ পেঁচিয়ে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শিশুর বাবার ভাড়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুর মা ও সৎমাকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পরশুরাম পৌরসভার বাসপদুয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ফেনী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহদাৎ হোসেন, সংশ্লিষ্ট থানার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়ালী উল্যাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা। তদন্তে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এনজিও সংস্থার গাড়িচালক নুরুন নবী ১৩ বছর আগে একই এলাকার কোলাপাড়ার আয়েশা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের দুই মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) ও লামিয়া আক্তার (৮)। পারিবারিক কলহের কারণে নবীকে আদালতের মাধ্যমে তালাক দেন আয়েশা। পরে অন্য একজনকে বিয়ে করে চট্টগ্রামে থাকেন। এদিকে এক ছেলের মা রেহেনা আক্তারকে বিয়ে করে চার বছর ধরে সংসার করছেন নবী। ভোলার লালমোহনে তার সঙ্গেই থাকে আগের ঘরের দুই মেয়ে। প্রথম সংসারের দুই মেয়ে, নতুন স্ত্রী রেহেনার সাত বছরের ছেলে এবং রেহেনা-নবী দম্পতির ঘরের মেয়ে নাবিলাকে নিয়ে তাদের সংসার। নবীর অভিযোগ, আগের স্ত্রী আয়েশা দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দিত। গত সোমবার আয়েশা তার খালাতো ভাই জাবেদের ছেলের আকিকা অনুষ্ঠানে পরশুরামে এসে নবীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। মঙ্গলবার আয়েশার দুই মেয়ে ফাতেমা ও লামিয়াকে বাসায় রেখে নিজের দুই সন্তান নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যান রেহেনা। দুপুরে মোটরসাইকেলে দুজন যুবক এসে লামিয়াকে হত্যা করে। এ সময় লামিয়ার হাত-পা স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। বড় বোন ফাতেমা থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়ালীকে জানায়, দুজন লোক লাল মোটরসাইকেলে এসে গেট খুলে লামিয়াকে জাপটে ধরে। তারা চলে গেলে লামিয়ার দেহ টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়