• ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা আর পাবেন না এমপিরা
সংসদ সদস্যদের (এমপি) শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা বন্ধ হচ্ছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়িতে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ হতে পারে। বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। গাড়ি আমদানিতে সাধারণ নাগরিকদের সিসিভেদে ৮৯ থেকে ৮৫০ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হলেও সংসদ সদস্যরা বিনা শুল্কে গাড়ি আমদানির সুযোগ পান। আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল)  চাপে এই সুবিধা তুলে দিচ্ছে সরকার। আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে। বাজেট চূড়ান্ত করার আগে রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে বাজেট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। বৈঠকে এনবিআরের কর্মকর্তারা আসছে বাজেটে কী কী প্রস্তাব করা যেতে পারে, তার নানান দিক তুলে ধরেন। এরই অংশ হিসেবে এমপিদের গাড়ি আমদানিতে সর্বোচ্চ ২৫% শুল্ক আরোপের সুপারিশ করা হয়। এ প্রস্তাব শুনে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সবুজ সংকেত দেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়। এমপিরা সাধারণত উচ্চ সিসির বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করে থাকেন। এসব গাড়িতে শুল্কছাড়ের কারণে সরকার এত দিন কোনো রাজস্বই পায়নি। এনবিআর জানায়, ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এমপিরা ৩১৬টি শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করেন। এসব গাড়ির আমদানিমূল্য ২৬০ কোটি টাকা। সর্বোচ্চ শুল্ক বিবেচনায় নিলে এসব গাড়ির পেছনে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি প্রায় ২ হাজার ২১০ কোটি টাকা। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গত বেশ কয়েকটি সংসদ থেকেই এমপিদের শুল্কমুক্ত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানির অবাধ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ সুযোগে সরকারের বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হয়। আইএমএফ চায় এ খাত থেকে অন্তত কিছু হলেও রাজস্ব আদায় হোক। তারই আলোকে আসছে বাজেটে এ রকম একটি প্রস্তাব থাকতে পারে।’  
১৪ মে ২০২৪, ২০:০৪

যুক্তরাষ্ট্রের তুলায় উৎপাদিত পোশাকের শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা চায় ঢাকা
যুক্তরাষ্ট্রের তুলা থেকে তৈরি বাংলাদেশি পোশাকের জন্য শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা প্রদানের অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে পোশাকের বাইরে অন্যান্য সম্ভাবনাময় পণ্য যেমন ওষুধ, সিরামিকসহ বেশ কিছু পণ্য রপ্তানির সুযোগ এবং ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি করেছে বাংলাদেশ। রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্ট (টিকফা) এর অন্তবর্তী বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্প এখন অনেক বেশি কমপ্লায়েন্ট। এখানে পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকরা দরিদ্র জনগোষ্ঠির, তাদের জীবমান উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র যদি অবদান রাখতে চায় তাহলে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করতে পারে। এছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধান অনুসারে আফ্রিকার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল রেখেছে। তাহলে বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলো কেন পাবে না। আমরা ইতোমধ্যে শ্রম পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি করেছি এবং আইনি সংস্কার আনা হয়েছে।  তিনি বলেন, সার্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়ার যোগ্য বলে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করেছি। তপন কান্তি ঘোষ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমরা প্রযুক্তি সহায়তা চেয়েছি, যার মাধ্যমে কৃষিসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারি। একইসঙ্গে কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেশন এবং প্রয়োজনীয় এ্যাক্রিডিটেশন নিশ্চিতকল্পে সহায়তা চেয়েছি।   তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির অধিক উন্নতির জন্য সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১১ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এছাড়া তারা মেধাস্বত্ব আইনের যথাযথ প্রয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন ফ্যাসালিটিজের আওতায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তুলা রপ্তানি বাড়াতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্র ইতমধ্যে তুলা আমদানিতে ডাবল ফিউমিগেশন পদ্ধতি বাতিল করেছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি অনেক বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দুই বছর আগে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের তুলার বাজারের হিস্যা ছিল ৯ শতাংশ। ডাবল ফিউমিগেশন পদ্ধতি বাতিল করার পর এখন তা বেড়ে প্রায় ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এমতাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত তুলা ব্যবহার করে বাংলাদেশে উৎপাদিত আরএমজি পণ্যগুলোতে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ। সূত্র : বাসস
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়