• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এপ্রিলে ১৯৩ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার
গেল এপ্রিলে সারাদেশে ১৯৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। মূলত বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ প্রতিমাসে দেশের দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনার পেপার ক্লিপিংয়ের সংরক্ষিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে মোট ১৯৩ জন নারী ও শিশুকন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৫ জন শিশুকন্যাসহ মোট ৪৬ জন। তারমধ্যে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৫ জন। ৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং ১ জন শিশুকন্যা ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। এ ছাড়াও ৪ শিশুকন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৯ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ২ জন। বিভিন্ন কারণে ৭ জন শিশুকন্যাসহ ৩৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ১ জন শিশুকন্যাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। নারী ও শিশুকন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ২টি। অ্যাসিডের শিকার হয়েছেন ১ জন। অগ্নিদগ্ধের কারণে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ জন, এরমধ্যে ১ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৬ জন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পারিবারিক সহিংতায় শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৪টি। গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৪টি, যার মধ্যে ১ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ১৫ জন নারী ও শিশুকন্যার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৬ জন শিশুকন্যাসহ ১৫ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ৩ জন শিশুকন্যা অপহরণের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়াও ১ জন শিশুকন্যাকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ৩ জন কন্যাসহ ৫ জন সাইবার ক্রাইমের ঘটনার শিকার হয়েছেন। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে ১২টি। এ ছাড়া ২ জন শিশুকন্যাসহ ১৪ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
০২ মে ২০২৪, ১৭:৫৭

অটোগ্রাফ দিয়ে প্রতারণার শিকার অভিনেত্রী!
ভক্তদের অনুরোধে অনেক সময় তারকা অটোগ্রাফ দিয়ে থাকেন। কিন্তু সেই স্বাক্ষরই যে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি মানসী সিনহা। অটোগ্রাফ দিয়ে বিপাকে পড়লেন। স্বাক্ষর জাল করে ২৬ লাখ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী। তার বিরুদ্ধে ২৬ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ তুলে জোচ্চর বলেও কটাক্ষ করেছিল দীপঙ্কর নামে জনৈক। তবে এতদিন কিছু বলেননি মানসী। এবার আইনি সহায়তায় আসল প্রতারককে গ্রেপ্তার করালেন অভিনেত্রী। মানসী পরিচালিত ‘এটা আমাদের গল্প’ ছবির মেকিং নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। ২৬ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে সেই ছবি। তার প্রাক্কালেই ন্যায়বিচার পেলেন মানসী সিনহা। ২০২০ সালে এই সিনেমা তৈরির সময়ে তারই অটোগ্রাফ নিয়ে আর্থিক প্রতারণারকাণ্ডে অভিনেত্রীকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কয়েকজন প্রতারক। অটোগ্রাফের নাম করে সই জাল করা হয় মানসী সিনহার। আইনি পথে হেঁটেই তা প্রমাণ করলেন তিনি। সম্প্রতি আইনজীবী অতনু চট্টোপাধ্যায়, প্রযোজক শুভঙ্কর মিত্রকে নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে পুরো বিষয়টি খোলাসা করেন মানসী। তিনি জানান, শুটিং শুরুর সময়ে প্রযোজকের মাধ্যমে একজন ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল অভিনেত্রীর। সেই ব্যক্তি অটোগ্রাফের নাম করে স্বাক্ষর জাল করে ২৬ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ আনে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। এমনকি ওই ফ্রিল্যান্সারই পরবর্তীতে নিজেকে সিনেমার প্রযোজক বলে দাবি করে। পাশাপাশি মানসী সিনহার ওপর আর্থিক প্রতারণার দায় চাপায়। শুধু তাই নয়, সিনেমার সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের পারিশ্রমিকও আটকে দেওয়া হয়। এমনকি শুটিং যাতে এগোতে না পারে, সেই চেষ্টাও লাগাতার চালিয়ে যায় ওই ফ্রিল্যান্সার। প্রথমদিকে অবশ্য সেসব নিয়ে কিছু বলেননি অভিনেত্রী। ভুয়া অভিযোগের মুখে পড়ে আইনি সহায়তা নিতে বাধ্য হন মানসী সিনহা। প্রমাণসহ থানায় এফআইআর করেন অভিনেত্রী। সেই সূত্র ধরেই তদন্তে নামে পুলিশ। মঙ্গলবার মানসী সিনহাকে প্রতারণা এবং তার সম্মানহানিসহ একাধিক অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৪

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান শিকার এশিয়া: জাতিসংঘ
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। অন্যান্য মহাদেশের তুলনায় এ অঞ্চলে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। ফলস্বরূপ এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এসব তথ্য। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। ডব্লিউএমও বলছে, গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে একদিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্যদিকে শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয়গুলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানি নিরাপত্তা ব্যাপক সংকটের মুখে পড়বে।   মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেছেন, ‘এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের বেশির ভাগই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এভাবে অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’ ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, গত বছর প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ। তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া ও পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তনের এই প্রভাব ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে। চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশব্যাপী বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও ক্রমে তা তীব্র থেকে অতি তীব্র হয়ে উঠেছে। এমনিতে এপ্রিল বছরের উষ্ণতম মাস; তবে অন্যান্য যেকোনো বছরের চেয়ে অনেক বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে এবারের মাসটি। অসহনীয় গরমে এক পশলা বৃষ্টির জন্য হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। মাসের এখনও বাকি সপ্তাহখানেক, এরই মধ্যে কয়েক দফায় হিট এলার্ট জারি হয়েছে দেশে। মাসের মাঝামাঝি এসে প্রতিদিন মরুর দেশগুলোর তাপমাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা।  টানা এই তাপপ্রবাহকে অস্বাভাবিক বলছেন দেশের আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেছেন, গত এক দশক থেকেই এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকছে তাপমাত্রা। এপ্রিল মাসের গড় স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩.২। তবে এবার এপ্রিলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। অধিকাংশ জায়গায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির ওপরে থাকছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের আগে দেশের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ ব্যাপারে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘এপ্রিল মাস দেশের উষ্ণতম মাস। তবে কালবৈশাখীর ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হলে ওই দিন বা তার পরদিন তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে। যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি সেভাবে হয়নি, ফলে দেশের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান। সামনে দেশের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। ফলে চলমান তাপপ্রবাহ সহসাই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত আমরা দেখছি না।’ এদিকে জলবায়ুর এ বিরূপ পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর সবশেষ প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, ‘আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২০

‘অন্যায়ের শিকার হয়েছে বার্সেলোনা’
কয়েক দিন আগেই পিএসজির কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে বার্সেলোনা। এবার লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে শিরোপা থেকে দূরে সরে গিয়েছে কাতালানরা। তবে হারের পর লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি না থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ। তার দাবি, অবিচারের শিকারের হয়েছে বার্সা। রোববার (২২ এপ্রিল) রাতে এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকে ৩-২ গোলে হেরে ফিরতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। এদিন ম্যাচের ২৮তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল বার্সা। কর্নার থেকে আসা বলে লামিন ইয়ামালের ব্যাক ফ্লিক গোললাইন থেকে ঠেকান রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। রেফারি গোলের বাঁশি না বাজালেও গোলের জন্য আবেদন করতে থাকেন বার্সার খেলোয়াড়রা। কিন্তু লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি নেই। তাই ভিএআর দেখে বল গোললাইন অতিক্রম করেনি বলে সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।   ম্যাচ শেষে লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি না থাকায় তাই ক্ষুব্ধ জাভি বলেন,লা লিগার মতো টুর্নামেন্টে গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাটা অস্বস্তিকর। এটিকে বিশ্বসেরা লিগে পরিণত করতে হলে এই প্রযুক্তি লাগবেই।  গোললাইন প্রযুক্তি না থাকায় বার্সা অন্যায়ের শিকার হয়েছে বলেও মনে করেন জাভি। তিনি বলেন, কী হয়েছে তা সবাই দেখেছে। আমি আর কী বলব? এজন্য লিগ কর্তৃপক্ষ আমাকে শাস্তি দিতে পারে। কিন্তু ছবি তো আছে। আজ মনে হচ্ছে আমরা পুরোপুরি অবিচারের শিকার হয়েছি।  ‘আমি ম্যাচের আগেও বলেছিলাম, আশা করি রেফারি সঠিক সিদ্ধান্তই দেবেন। কিন্তু এমনটা ঘটেনি। তবে আমরা খুব ভালো খেলেছি। আমাদের তিন পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল।’ ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগ তো বটেই, এমনকি দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলেও রয়েছে গোললাইন প্রযুক্তি। অথচ লা লিগার মতো টুর্নামেন্টে এই প্রযুক্তি নেই। নিজে গোলরক্ষক বলেই হয়তো এ নিয়ে চুপ থাকতে পারেননি বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের-স্টেগান।  ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, গোললাইনে যা ঘটেছে, তা নিয়ে আসলে বলার ভাষা নেই। এটা ফুটবলের জন্যই অস্বস্তিকর। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালা হয় এখানে, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিসের জন্যই নেই। অথচ এই প্রযুক্তি অন্যান্য লিগে আছে, আমাদের এখানে কেন নেই বুঝতে পারছি না। 
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৪

মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকরা শোষণের শিকার হচ্ছেন। এরই মধ্যে অনেক অসহায় প্রবাসীকে অপরাধীতে পরিণত করা হয়েছে এবং শোষণের শিকার হওয়ার কথা জানাতে গিয়ে কেউ কেউ তীব্র প্রতিহিংসার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল ও অসম্মানজনক। এসব শ্রমিকের মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে। প্রবাসীদের ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং তাদের শোষণ, অপরাধীকরণ ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে রক্ষা করার জন্য মালয়েশিয়ায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা বলেন, অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় এসে দেখেন যে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের চাকরি নেই। অনেক সময় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে তাদের থাকতে বাধ্য করা হয়। ফলে এসব শ্রমিক গ্রেপ্তার, আটক, দুর্ব্যবহার ও বহিষ্কারের ঝুঁকিতে রয়েছেন। মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রবাসী কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে সক্রিয় অপরাধীচক্র। আমরা প্রতিবেদন পেয়েছি যে উভয় সরকারের কিছু উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা এটি প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এটা অগ্রহণযোগ্য এবং এর অবসান হওয়া দরকার। তারা বলেন, এই শোষণমূলক নিয়োগের অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশকে এসব ঘটনার তদন্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৭

অস্ত্রোপচার করে চেহারা পাল্টে ট্রলের শিকার রাজকুমার রাও
বলিউডের এ সময়ের স্বনামধন্য ও দর্শকপ্রিয় অভিনেতা রাজকুমার রাও। ব্যতিক্রমধর্মী চরিত্রে অভিনয় করে এই বলিউড তারকা সিনেপ্রেমীদের আকুণ্ঠ প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন। বরাবরই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে নিজের অভিনয় প্রতিভা মেলে ধরতে ভালোবাসেন এই অভিনেতা। এবার তেমনি এক চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে নিজের চেহারায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন বলিউড অভিনেতা রাজকুমার। আর সেই চেহারার কারণে নেটিজেনদের ট্রলের শিকার হলেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নতুন সিনেমা 'শ্রীকান্ত'র কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করার জন্য নতুন এ লুক তৈরি করেছেন অভিনেতা। জানা গেছে, নতুন ওই সিনেমায় শিল্পপতি শ্রীকান্ত বোল্লার চরিত্রে অভিনয় করবেন রাজকুমার। রুপালি পর্দার সে চরিত্রকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতেই চেহারায় এমন বদল এনেছেন অভিনেতা। আর এ কারসাজি হঠাৎই প্রকাশ্যে আসে দিলজিৎ দোসাঞ্জের কনসার্টে।   সম্প্রতি দিলজিৎ দোসাঞ্জের কনসার্টে রাজকুমার রাও উপস্থিত হন। আর তারপরই এ অভিনেতার নতুন লুক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে নেটপাড়ায়। তার নতুন লুক দেখে এরইমধ্যে নেটিজেনদের একাংশ দাবি করেছেন, সৌন্দর্য বাড়াতে কৃত্রিম উপায় অর্থাৎ অস্ত্রোপচারের সাহায্য নিয়েছেন রাজকুমার। তারা বলছেন, পুরানো ছবি আর নতুন এ ছবি একসঙ্গে রাখলেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে পার্থক্য। সহজেই চোখে পড়ছে রাজকুমারের নাক, ঠোঁট, চোয়াল ও থুতনির অমিল।   এ প্রসঙ্গে রাজকুমার রাও জানান,  অস্ত্রোপচার করেননি তিনি। বরং তা ছিল মেকআপের কারসাজি। তবে রাজকুমারের এমন ব্যাখ্যা মানতে নারাজ তার ভক্ত ও নেটিজেনরা। প্রসঙ্গত, তুষার হিরানান্দানি পরিচালিত 'শ্রীকান্ত' ছবিটিতে রাজকুমার রাও ছাড়াও থাকবেন জ্যোতিকা, আলায়া এফ, শরদ কেলকার প্রমুখ।রাজকুমার রাওয়ের এই সিনেমাটি আগামী ১০ মে মুক্তি পাবে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৮

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার সেই চিকিৎসক বাবার মৃত্যু
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার চিকিৎসক কোরবান আলী মারা গেছেন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের ছেলে আলী রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল বিকেলে পশ্চিম ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় বেশ কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য একজন পথচারীকে মারতে দেখেন কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানা। এ সময় লোকটিকে সাহায্য চাইলে রানা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ১পুলিশ এসে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।  পরে কিশোর গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা রানার বাসার সামনে এসে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বাসার পাশের দোকানে ইফতারি কিনতে গেলে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য রানার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা কোরবান আলীর ওপরও হামলা চালায় তারা। হামলায় কোরবান আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে আকবর শাহ থানায় একটি মামলা করা হয়।  ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪

কিশোর গ্যাং / ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে হামলার শিকার চিকিৎসক বাবা
কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ৬০ বছর বয়সী কোরবান আলী নামে এক দন্তচিকিৎসক বাবা। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে কোরবান আলীর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে এক পথচারীকে বাঁচাতে ৯৯৯-এ কল করার অপরাধে ডা. কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানাকে মারধর করার সময় এ ঘটনা ঘটে।  অভিযুক্ত ওই কিশোর গ্যাং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী ও ছাত্রলীগকর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলার পর প্রথমে ডা. কোরবান আলীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ‘মেডিকেল সেন্টার’ নামে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালটির আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট আছেন তিনি।  ভুক্তভোগীর স্বজন জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ডা. কোরবান আলীর অবস্থা বর্তমানে সংকটাপন্ন। চিকিৎসকরা রোববার রাতেই তাকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেছেন। তবে তার লাইফ সাপোর্ট এখনো খোলা হয়নি। যেকোনো সময় কৃত্রিম লাইফ সাপোর্ট অটো শাটডাউন হয়ে যেতে পারে।’ জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী ডাক্তারের ছেলে আলী রেজা রানা। এমন সময় একদল কিশোর একজন পথচারীকে পেটাচ্ছিল। তাদের মার সহ্য করতে না পেরে লোকটি বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। লোকটিকে কিশোর দলের মার থেকে বাঁচাতে জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দেন রানা। পরে পুলিশ এসে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।’ জসিম উদ্দিন জানান, এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে রানার বাসার সামনে এসে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এরপর গত শুক্রবার বাসার পাশের দোকানে ইফতারি কিনতে গেলে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য রানার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা কোরবান আলীর ওপরও হামলা চালায় কিশোর গ্যাং। হামলায় কোরবান আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। এ ঘটনায় ৮-১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৭

রাস্তায় যৌন হেনস্তার শিকার অভিনেত্রী
বিগবস প্রতিযোগী আয়েশা খান, তাকে কিছু দুঃসহ স্মৃতি আজও তাড়া করে । মুম্বাইয়ের রাস্তায় যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। এখনও ভুলতে পারেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা প্রকাশ করেছেন আয়েশা। একটি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন আমি মালাদে থাকি। একদিন বিকেল বেলা আমার ফ্ল্যাটের সামনে ফুচকা খেতে নিচে নেমেছিলাম। হঠাৎ এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি এসে আমাকে বলেন, বাহ.. তোমার স্তনগুলো তো খুব সুন্দর! ওই লোকটার কথায় আমি চমকে উঠেছিলাম। এরপর আরও এক হেনস্তার ঘটনা বলেন আয়েশা। তার কথায়, আমি একদিন অটো করে কাজে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে অটোওয়ালা আমায় বলল, আমাকে কেউ একটা পিছু করছে। হঠাৎ করে দেখি আমার অটোর পাশে একটি বাইক আসে। বাইকের পেছনে বসা এক যুবক হাত বাড়িয়ে আমার শরীর ছুঁতে চায়। চিৎকার করে উঠেছিলাম। যত্রতত্র হেনস্তা্র বিষয়টি নিয়ে আয়েশা আরও বলেন, আমরা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছি বলেই যে আমাদের এটা সহ্য করতে হয়, তা নয়। আমরা মেয়েরা সত্যিই মাঝে মধ্যে খুব অসহায়বোধ করি। আয়েশা খান একাধারে মডেল ও অভিনেত্রী। তিনি আলোচনায় আসেন রিয়েলিটি শো বিগবসের মাধ্যমে। এরইমধ্যে ক্যারিয়ারে জমা হয়েছে বেশকিছু কাজ। 
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৩

ঘুঘুর চোখ সেলাই করে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার
বাগেরহাটে ঘুঘুর চোখ সেলাই ও আঠা দিয়ে দৃষ্টিহীন করে পাখি শিকার করছে একটি চক্র। বুধবার (৩ এপ্রিল) বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের একটি মাঠে ঘুঘু ধরার ফাঁদ পেতেছিল শিকারি চক্র। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ওই ঘুঘু দুটিকে উদ্ধার করেছে। তবে পালিয়ে গেছে অসাধু শিকারিরা।  স্থানীয়রা জানান, প্রথমে চিকন সুতা দিয়ে সেলাই করা হয় ঘুঘুর চোখ। তার ওপর আঠা দিয়ে আটকানো হয়। এভাবে ঘুঘুর দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি কেড়ে নেওয়া হয়। দৃষ্টিহীন ঘুঘুকে বিশেষ পদ্ধতিতে বেঁধে জাল দিয়ে প্রকৃতিতে থাকা ঘুঘুসহ অন্য পাখি শিকার করেন অসাধু শিকারিরা।  শরণখোলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি শেখ নাজমুল ইসলাম বলেন, কিছু শিকারি ঘুঘুর দুচোখ আটকে ও দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে জালের ফাঁদ পেতেছে এমন খবর পাই। স্থানীয় কয়েকজন তরুণকে নিয়ে আমাদের সদস্য শাহিন হাওলাদার ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শিকারি চক্রটি ঘুঘু দুটিকে রেখে পালিয়ে যায়।  নাজমুল ইসলাম বলেন, মূলত গ্রামের মাঠে ওই দুটি ঘুঘুকে আটকে রাখা হয়েছিল অন্য পাখি ধরতে। সেখানে এই ঘুঘু দুটিকে দেখে ঘুঘু বা অন্য পাখি এলে জালে আটকা পড়তো। বাঁশ বা লম্বা লাঠি মাথায় বেঁধেও এভাবে পাখি দিয়ে পাখি ধরা হয়। আমরা পাখি দুটিকে উদ্ধারের পর চিকিৎসা দিয়ে অবমুক্ত করেছি। বিষয়টি বনবিভাগকেও অবগত করা হয়েছে।  সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পাখিসহ বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ভিটিআরটি দলসহ বন্যপ্রাণী রক্ষা স্থানীয়ভাবে কাজ করা ব্যক্তিরা এ ধরনের বিষয়ে আমাদের জানায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই। এরপর থেকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়