• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জায়েদ খানের স্বর্ণের ফোন ফেলে দেওয়ার রহস্য ফাঁস
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় তাকে নানান কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হতে হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন ঘটনায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে হঠাৎ নিজের মেজাজ হারাতে দেখা গেছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন সাকিব। ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা গেছে, সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তার ঠিক পাশেই দাঁড়ানো ছিল চিত্রনায়ক জায়েদ খান। হঠাৎ দেখা যায়, সাকিব তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি সুইমিংপুলে ছুড়ে ফেলে দিয়ে হেঁটে চলে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাকিবের এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে যান জায়েদ খান। কারণ, পানিতে ছুড়ে ফেলা ফোনটি ছিল তার। বিষয়টি নিয়ে সাকিব আল হাসানের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে জায়েদ খান তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, নাম্বার ওয়ান বলেই কি ফোন ফেলে দেবে? শিগগিরই সব জানাবো, তারপর আপনারাই বিচার কইরেন। এদিকে অনেকেই বলছেন সাকিব ও জায়েদ খানের ফোন ফেলে দেওয়ার বিষয়টি বিজ্ঞাপনের একটি অংশ। নেটিজেনদের সেই ধারণা সত্য হলো। এবার পুরো বিজ্ঞাপনটি জায়েদ খান তার নিজের ওয়ালে শেয়ার দিয়েছেন। জায়েদ খান এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। 
০২ মে ২০২৪, ২২:২৫

শাকিব-অপুর বিয়ের কাজিকে লুকিয়ে রাখার রহস্য প্রকাশ্যে
ঢাকাই সিনেমার অন্যতম সেরা জুটি অপু বিশ্বাস-শাকিব খান। একসঙ্গে অভিনয় করে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অনেক সুপারহিট সিনেমা। সিনেমায় অভিনয় করতে করতে বাস্তব জীবনেই দুজন জড়িয়ে যান প্রেমের সম্পর্কে। অবশেষে ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তারা। ওই সময় কাজিকে দুই দিন লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য দিয়েছেন শাকিব-অপুর বিয়ের সাক্ষী প্রযোজনা ব্যবস্থাপক মামুনুজ্জামান মামুন। হুট করেই নাকি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শাকিব-অপু। মামুনকে কাজি ডাকতে বললেও তিনি ভরসা পাচ্ছিলেন না। তার ধারণা ছিল যেকোনো সময় মত বদলাবেন তারা। যার কারণে তিনিই লুকিয়ে রেখেছিলেন কাজিকে।  মামুন বলেন, ‘মনে প্রাণে আছো তুমি’ ছবির শুটিং চলা অবস্থাতেই শাকিব-অপু বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তখন মিরপুর শাহ আলী মাজার রোডের একটি বাসায় থাকতেন অপু। হঠাৎ করেই একদিন শাকিব তার কালো রঙের গাড়িতে করে আমাকে সেখানে নিয়ে গেলেন। সেখানেই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পরে দুজন বিষয়টি আমাকে জানালেন এবং কাজি ডাকতে বললেন। আমি শাকিবকে বললাম, বিয়ে তো অনেক বড় ব্যাপার, ভেবেচিন্তে কাজটি করেন। অপুকেও একই কথা বললাম। কিন্তু দুজনেই সিদ্ধান্তে অটল। তারা বললেন, বিয়ের সংবাদ গোপন থাকবে। একসময় বড় অনুষ্ঠান করে সবাইকে জানাব আমরা। বিয়ের পুরো বিষয়টি তখন কেবল অপুর মেজ বোন লতা ও শাকিবের চাচাতো ভাই মনির জানতেন। লতাও আমাকে বললেন, তারা যখন চাইছে, তখন আপনি কাজি ডাকেন। কাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এর মধ্যে ফরিদপুরে শাকিবের বাড়ির কাছ থেকে মজিবুর রহমান নামের এক কাজিকে নিয়ে আসি। তারা সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন ভেবে কাজিকে ঢাকায় এনে দুদিন গোপন করে রাখলাম! দেরি দেখে অপু আমাকে বললেন, কাজি আনছেন না কেন? শাকিব কি আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না? আবার শাকিবেরও একই জিজ্ঞাসা, অপু কি আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না? বাধ্য হয়ে শাকিব-অপুর বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করেন মামুন এমনটা উল্লেখ করে বলেন, বাধ্য হয়ে তাদের বিয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। বিয়ের আগের দিন শাকিব অপুর জন্য একটি হীরার সেট ও একটি লেহেঙ্গা কিনেছিলেন। শাকিব এখন যে বাসায় থাকেন, ওই বাসায় বিয়ের ব্যবস্থা করা হলো। আসরের নামাজের ঠিক আগে আগে বিয়ে পড়ানোর সিদ্ধান্ত হলো। আমি কাজিকে নিয়ে গেলাম। এরই মধ্যে অপু ও তার বোন লতা এসে হাজির হলেন। বিয়ের সময় আমি অপুর উকিল বাবা হিসেবে কাবিননামায় স্বাক্ষর করি। লতাও অপুর পক্ষে সই করেন। আর শাকিবের চাচাতো ভাই মনির সই করেন তার পক্ষে। বিয়ের দেনমোহর বড় অংকে হয়েছিল। অংকটা না হয় বললাম না। তবে ওই সময় অপু বলেছিলেন, দেনমোহর দিয়ে কী হবে, সংসারটাই বড়। বিয়ের ঘণ্টা দুয়েক পর অপু ও লতা তাদের বাড়িতে চলে যান।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৯

সিয়াম-মেহজাবীনের বিস্ফোরক পোস্ট ঘিরে রহস্য
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়ক সিয়াম  আহমেদ। বড় পর্দায় কাজের  আগে অভিনয় করেছেন ছোট পর্দা ও বিজ্ঞাপনচিত্রেও। অপর দিকে ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ মেহজাবীন চৌধুরী। এই দুই জনপ্রিয় তারকা আবার বেশ ভালো বন্ধুও। নাটক থেকে শুরু করে একসঙ্গে কাজ করেছেন বিজ্ঞাপনেও। এবারের ঈদ উৎসবে বিখ্যাত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতেও পারফর্ম করেছেন তারা। কিন্তু হুট করেই অল্প সময়ের ব্যবধানে দুজন দুজনকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। দুজনের পোস্টে নেট দুনিয়া ভাইরাল। হঠাৎ কী হলো দুজনের মধ্যে? এই প্রশ্ন অল্পসময়েই তৈরি হয়েছে দর্শক ভক্তদের মনে। তারা দুজনেই ফেসবুকে লিখেছেন কেউ কারও সঙ্গে নেই। একজন থাকলে অন্যজন সেখানে পা মাড়াবেন না। মেহজাবীন তার ফেসবুকে লিখেছেন, সিয়াম আহমেদ যেখানে থাকবে, প্লিজ আমাকে সেখানে ডাকবেন না।   এদিকে মেহজাবীনের কিছুক্ষণ পরই সিয়াম তার ফেসবুকে লিখেছেন, মেহজাবীন-ও যেখানে থাকবে, আমার সেখানে যাওয়ার কোন ইচ্ছা নাই। তাদের পোস্টের পর অসংখ্য ভক্ত অনুরাগীদের কমেন্টের বন্যা বয়ে গেছে। এটা সত্য নাকি কোনো ইভেন্ট কিংবা নাটকের প্রচার কিনা তা নিয়ে ঘোরের মধ্যেও রয়েছে নেটিজেনরা। 
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১১

বন কর্মকর্তা হত্যার রহস্য উন্মোচন
কক্সবাজার উখিয়া বন বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এই মামলার প্রধান আসামি ডাম্পার চালক মো. নুরুল ইসলাম বাপ্পিকে ৯ দিন পরে চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ১২টার দিকে উখিয়া থানার হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও উখিয়া সার্কেল মো. রাসেল এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, গ্রেপ্তার বাপ্পি উখিয়া রাজা পালং ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড  হরিণ মারা গ্রামের মো. কাসেমের ছেলে। সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় থেকে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও উখিয়া সার্কেল মো. রাসেল জানান, উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা চিহ্নিত পাহাড় কাটা সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজসে বিভিন্ন সময়ে দোছড়ি বিটের হরিণমারা এলাকার সরকারি বনভূমির পাহাড় কেটে ড্রাম ট্রাক (ডাম্পার) গাড়ি ভর্তি করে মাটি চুরি করে নিয়ে যেত। ওই দিন  বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান মাটি পরিবহনে বাধা দিলে তাকে ডাম্পার ধাক্কায় গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে হত্যা করে আসামিরা পালিয়ে গিয়েছিল। পরে উখিয়া থানা পুলিশ এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছৈয়দ করিমকে (৩৫) গ্রেপ্তারে সক্ষম হলেও প্রধান আসামিসহ অন্যরা পলাতক ছিলেন। ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে আসছে। মামলার এক নাম্বার আসামি ডাম্পার চালক বাপ্পি চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় অবস্থান করছেন, এমন সংবাদে গত সোমবার ভোররাতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।    উল্লেখ্য, রোববার (৩১ মার্চ) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছিল একদল পাহাড়খেকো। খবর পেয়ে বনবিভাগের দোছড়ি বিটের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান সজলসহ কয়েকজন বনকর্মী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনিসহ মোটরসাইকেল আরোহী দুইজনকে পাচারকারীদের মাটিভর্তি ডাম্পট্রাক চাপা দেয়। এতে সাজ্জাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে মারা যান এবং মোহাম্মদ আলী নামের এক বনরক্ষী আহত হন। এ ঘটনায় সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত সাজ্জাদুজ্জামান সজল (৩০) কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে। ঘটনায় আহত বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার আবুল মনজুরের ছেলে।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০১

সর্বহারা নেতা রাজ্জাক হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৫
পাবনা সদর উপজেলার চাঞ্চল্যকর আত্মসমর্পণকৃত সর্বহারা নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুরের মো. বক্কর প্রামাণিকের ছেলে মো. ওহিদুল্লাহ (৪৫), পাবনা পৌর এলাকার পশ্চিম সাধুপাড়ার মহসিন রেজার ছেলে মো. আকাশ (৩০), একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শোভন ওরফে শুভ ওরফে ভালা (২৮), চর সাধুপাড়া এলাকার মৃত রুস্তম প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল হান্নান (৪৮) এবং চর শিবরামপুর এলাকার কালু বিশ্বাসের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৫)। পুলিশ সুপার জানান, গোপন সংবাদ এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডিএমপির গুলশান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী আসামি মো. ওহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আকাশ এবং শোভনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল হান্নানকে দুটি অস্ত্র এবং আব্দুর রহমানকে একটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও জানান, ওহিদুল্লাহ এবং আত্মসমর্পণকৃত সর্বহারা নেতা আব্দুর রাজ্জাক গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুরের বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্র ধরেই তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। পরবর্তীতে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, মারামারি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয়ের মধ্যে চরম শক্রতা শুরু হলে ওহিদুল্লাহ নিজ এলাকা ছেড়ে শহরের সাধুপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করে। এরই জেরে ওহিদুল্লাহের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং আব্দুর রাজ্জাককে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন। ঘটনার দিন গত ১৭ মার্চ আসামি ওহিদুল্লাহ স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে তার অপর দুই সহযোগীদের নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সাধুপাড়া থেকে মানিকনগর বাজারে যায় এবং সুযোগ বুঝে বিল্টুর দোকানে চা খাওয়া অবস্থায় গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৪

পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ের মৃত্যু নিয়ে রহস্য
প্রয়াত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সামিয়া রহমান সৃষ্টির (৩৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুল-সংলগ্ন ‘রংধনু’ আবাসিক হোটেলের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন তিনি। সন্ধ্যায় হোটেল কর্তৃপক্ষ ইফতার নিয়ে ওই কক্ষের দরজা নক করে। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরবর্তীতে থানায় খবর দেয়। এরপর সেখানে গিয়ে রুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন বলেন, রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন সামিয়া রহমান। ইফতারির সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ ইফতার নিয়ে ওই কক্ষের দরজা নক করে। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরবর্তীতে থানায় খবর দেয়। এরপর সেখানে গিয়ে হোটেলের রুমটির দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, তার শরীরে দৃশ্যমান কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হয়েছে এগুলো সপ্তাহখানেক আগের। সামিয়া রহমান উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডে স্বামী তানিমের সঙ্গে থাকতেন। আর তার বাবা চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০২

বাবরের নেতৃত্ব ছাড়ার রহস্য উন্মোচন করলেন জাকা আশরাফ
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবর আজম। তবে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে তৈরি হয় নানা প্রশ্ন। এবার বাবরের অধিনায়কত্ব ছাড়ার কারণ সম্পর্কে মুখ খুললেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাবেক চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ।  ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি পাকিস্তান। তাই বাবরকে শুধু টেস্ট ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন জাকা আশরাফ।  কিন্তু এক ফরম্যাটের জন্যও যদি বাবরকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে কোনো সংস্করণেই বাবর অধিনায়কত্ব করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন।  আসরের ৯ ম্যাচে চার জয়ের বিপরীতে ও পাঁচটিতেই হেরেছিল দ্য গ্রিন ম্যানরা। অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্বও দিতে পারেননি বাবর। ব্যাট হাতে ৯ ম্যাচে ৪০ গড়ে ৩২০ রান করেছিলেন তিনি। পাকিস্তানের লাহোরে এক সংবাদমাধ্যমকে জাকা আশরাফ বলেন, আমি বাবরকে লাল বলে নেতৃত্বে থাকতে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সাদা বলে নতুন কাউকে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাবর বলেছিল, যদি তাকে এক সংস্করণ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সব সংস্করণ থেকেই পদত্যাগ করবে। তিনি আরও বলেন, আমি তাকে দলের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে খেলতে পরামর্শ দিয়েছিলাম। কেননা এটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল অধিনায়কত্বের চাপ ওর জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। বাবর সরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব পান যথাক্রমে- শান মাসুদ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। মাত্র এক সিরিজ পরই আফ্রিদিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বে বহাল আছেন মাসুদ।  জাকা আশরাফ মনে করেন, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে আফ্রিদিকে আরও বেশি সময় দেওয়া উচিত ছিল। পাশাপাশি সাদা বলের নতুন অধিনায়ক বাবরের জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন আশরাফ।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৩

সিলেট টেস্টে সাফল্যের রহস্য উন্মোচন করলেন ডি সিলভা
টাইগারদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে লঙ্কানরা। ব্যাটে-বলে দুই বিভাগেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে সফরকারীরা। ম্যাচ শেষে দলের সাফল্য নিয়ে কথা বলেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। সিলেট টেস্টে বড় অবদান রেখেন দুই সেঞ্চুরিয়ান কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার। তবে আসল কাজটা করেছেন লঙ্কান পেসাররা। তিন পেসার মিলেই সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশের পুরো ২০ উইকেট। সোমবার (২৫ মার্চ) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ধনাঞ্জয়া বলেন, এখানের উইকেট দেখে পেস বোলিং উইকেট মনে হয়েছিল। তাই আমরা ৩ পেসার খেলিয়েছি। দিনশেষে এটি কাজে লেগেছে বলে আমার মনে হয়।  ‘দিন যত গড়িয়েছে পেসারদের গতি কমেছে। তবে আমার মনে হয় যেভাবে আমাদের পেসাররা বোলিং করেছে তাতে আমি বেশ খুশি।’ লঙ্কানদের একাদশে খেলা তিন পেসার হলেন কাসুন রাজিথা, বিশ্ব ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারা। তাদের বাকি পেসারদের নিয়ে তিনি বলেন, আরও অনেকেই আছে। আসলে আমরা বলতে পারি না যে সে প্রথম সে শেষ। সবাই খেলার জন্য প্রস্তুত আছে। নির্বাচকরা আমাদের যে দল দিয়েছে তাতে আমি খুশি। তিনি আরও বলেন, আসলে আমাদের দেশেও আমরা ৩ পেসার নিয়ে খেলে থাকি। যেকোনো উইকেটে যদি নতুন বলে সুইং থাকে, রিভার্স সুইং থাকে, উইকেট নেওয়ার সুযোগ থাকে।  ‘এখানেই (পেসারদের দিয়ে) উইকেট নেওয়ার সুযোগ থাকে অধিনায়কের কাছে। স্পিনারদের উইকেট খুব বেশি সাহায্য করছিল না। ফলে আমি পেসারদের খেলিয়ে খুশি।’
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩১

শাহরুখের যে নায়িকার মৃত্যু আজও এক অজানা রহস্য
নব্বই দশকের সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পোস্টার নিয়ে বসতেন হকাররা। সেখানে বিক্রি হতো ভিউকার্ড। উৎসব-পার্বণে মেলা বসত। সেসব মেলায় কিছু দোকান থাকত, যেখানে তারকাদের মুখাবয়ব-সমৃদ্ধ পোস্টার বিক্রি হতো। সেসব পোস্টার-ভিউকার্ডে একটা মুখ খুব দেখা যেত, তিনি বলিউড অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী। ছেলেদের মানিব্যাগে, আয়নার পেছনে, সেলুনে কিংবা মেলায় অথবা ভিসিআরের ক্যাসেটের কভারে থাকত তার লাস্যময়ী ছবি। দিব্যা ভারতী এক দীর্ঘশ্বাসের নাম। অভিমানে ঝরে যাওয়া ফুলের নাম। তিন বছরের অভিনয়জীবনেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিব্যা জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র তিন বছরের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার রেখে ১৯৯৩ সালের ৫ এপ্রিল ১৯ বছর বয়সে অকালেই চলে গিয়েছিলেন দিব্যা। দিব্যা ভারতীর মৃত্যু আজও এক অজানা রহস্য। শুধুই কি দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে ছিল কোনো ষড়যন্ত্র? উত্তর মেলেনি আজও। প্রসঙ্গত, দিব্যা ভারতীর মৃত্যুর সময় পাঁচ থেকে ছয়টি ছবি অসমাপ্ত ছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রযোজকদের নতুন নায়িকাদের নিয়ে নতুন করে শুটিং করে ছবি শেষ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে ‘লাডলা’, যা নতুন করে শুটিং করা হয় শ্রীদেবীকে নিয়ে। রয়েছে, ‘মোহরা’, ‘কর্তব্য’, ‘বিজয়পথ’, ‘দিলওয়ালে’ ও ‘আন্দোলন’। আরও কয়েকটি বড় ব্যানারের ছবির কাজও বন্ধ হয়ে যায়, যেগুলোয় অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত ছিল। বলিউড বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, মাত্র তিন বছরে যে অভিনেত্রী সাফল্যের এই উচ্চতায় উঠতে পারেন, বেঁচে থাকলে হয়তো আজকের দিনে তিনি মাধুরী অথবা শ্রীদেবীর মতোই হয়ে উঠতেন বলিউডের আরেক কিংবদন্তি নায়িকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিব্যার অকালমৃত্যু না হলে শ্রীদেবী, জুহি ও মাধুরী দীক্ষিতদের হিসাব-নিকাশটা অন্য রকম হতো।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৩

নেত্রকোণায় চাঞ্চল্যকর সুইটি হত্যার রহস্য উদঘাটন
নেত্রকোণার পূর্বধলায় চাঞ্চল্যকর সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি (১৮) হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মূল হত্যাকারী মো. এনামুল হককে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) পূর্বধলা থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে খলিশাপুর বোনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এনামুল হক উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের খলিশাপুর (বনপাড়া মালবাড়ী) গ্রামের মৃত মঞ্জুল হকের ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার ঢেউয়াখোলা ইউপির চর শ্রীরামপুর গ্রামের মো. সুবহান'র মেয়ে সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি খলিশাউড়ের রাজিবপুর গ্রামে তার বৃদ্ধ নানা-নানির দেখভাল করার জন্য গত এক বছর যাবৎ তার নানার বাড়িতে থাকতো। সেখানে খলিশাপুর (বনপাড়া মালবাড়ী) গ্রামের মো. এনামুল হকের সঙ্গে সুইটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক থাকা অবস্থায় সুইটি ইরাক প্রবাসী শরিফুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে পারিবারিকভাবে বিবাহের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। কিন্তু এনামুল হক বিয়ের সংবাদ মেনে নিতে পারেনি এবং সুইটিকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। গত ১০ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার পর এনামুল সুইটিকে বাড়ি থেকে মোবাইলে কল দিয়ে স্থানীয় রাজিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিণ পূর্ব কোনায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রকার আলাপ আলোচনা করেন। একপর্যায়ে তিনি একাই সুইটির গায়ে থাকা ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং হত্যার পর লাশ নিয়ে সুইটির নানা মো. আবুল কাশেম'র টিনের বসত ঘরের সামনের খোলা বারান্দার ওড়না দ্বারা ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর ভিকটিমের বাবা অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করে। পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর সোনিয়া আক্তার ওরফে সুইটি হত্যার আসামি মো. এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১১:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়