• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনা / ৭ মরদেহ হস্তান্তর, মৃত একজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি 
রাঙ্গামাটির সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সাতটি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একটি মরদেহের স্বজনদের সন্ধান মেলেনি। অপরটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাঘাইছড়ি সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল চৌধুরী বলেন, দুটি মরদেহ হিমাগারে রাখা হয়েছে। স্বজনরা এলে হস্তান্তর করা হবে। তদন্তসাপেক্ষে দুর্ঘটনার কারণ বলা যাবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি। এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ৯০ ডিগ্রি এলাকার একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক খাদে পড়ে। এ ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন কক্সবাজারের জসিম উদ্দিন (২৮), ময়মনসিংহের এরশাদুল (৩০), নজরুল ইসলামের ছেলে আবুল মোহন (১৮), চান মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন বাবু (২০), শহিদুল্লাহর ছেলে শাহ আলম (২৮) ও হেলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন (২৯), গৌরীপুরের আব্দুল জব্বারের ছেলে তপু হাসান (১৭) ও সাগর (২০) এবং গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার মহিউদ্দিন মোড়লের ছেলে ওলি উল্লাহ ওলি (৪০)। নিহতদের পাঁচ লাখ ও আহতদের দুই লাখ করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আহতরা হলেন, গাজীপুরের আখির উদ্দিনের ছেলে সামিউল উদ্দিন (১৯), ঢাকার হাসান আলীর ছেলে আমির উদ্দিন (৪৫), ময়মনসিংহের গোরীপুরের আব্দুল জব্বারের ছেলে জাহিদ হাসান (২৪), ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জের আবুল হাশেমের ছেলে মো. লালন (২৭) ও মকবুল হোসেনের ছেলে মোবারক হোসেন (৩২) ও কুড়িগ্রামের আফজাল মিয়ার ছেলে লালন মিয়া (১৮)।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২০

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত জোড়া কচ্ছপ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এবার ভেসে এসেছে দুটি মৃত কচ্ছপ। যার একটির ওজন প্রায় ৪০ কেজি অন্যটির ওজন ৩৫ কেজি।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ১১টার দিকে কুয়াকাটা সৈকতের পশ্চিম দিকে স্থানীয়রা কচ্ছপ দুটিকে দেখতে পেয়ে ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য কে এম বাচ্চুকে জানান। পরে কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটি, বনবিভাগ ও ইকোফিশের সমন্বয়ে কচ্ছপ দুটি বালুচাপা দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, মূলত কদিন আগে সমুদ্রে জেলিফিশের আদিক্য বেড়ে যাওয়া কারণে কচ্ছপ তীরে আসতে পারে। কারণ এ ধরনের কচ্ছপগুলো জেলিফিশ খেতে পছন্দ করে। আজকে যে কাছিম দুটি আসছে তার বৈজ্ঞানিক নাম লেপিডোসেলিম ওলিভাসিয়া (Lepidochelys olivacea) এরা সাধারণত ৫০ বছরের অধিক সময় বেঁচে থাকে। আমাদের কর্মীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কচ্ছপগুলোর পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতের চোটে কচ্ছপ দুটোর মৃত্যু হয়েছে। কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু জানান, একটি কচ্ছপের লেজে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং রক্তক্ষরণ হচ্ছে, মনে হচ্ছে কোনকিছুর সাথে আটকে মারা গেছে। এর আগে ২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে বেশকিছু কচ্ছপের দেখা মিলছিল এই সৈকতে তবে ২৪ সালে এই প্রথম। সামুদ্রিক প্রাণীর এই মৃত্যুগুলো আমাদের সমুদ্র পরিবেশের জন্য বেশ হুমকি। বনবিভাগ মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যদের কাছে তথ্য পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আমার ফোর্সসহ দ্রুত চলে আসি। একটি কচ্ছপ একটু দূর্ঘন্ধ ছড়াচ্ছে তাই তাদের সহযোগীতায় মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।       
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ৩
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হলো।   সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত রবি আলম (৪) ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সফি আলমের ছেলে এবং ৮১নং ক্লাস্টারের ৬নং কক্ষের বাসিন্দা ছিল।   নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।       এর আগে, একই দিনে সকাল ৯টায় মোবাশ্বেরা (৩) নামে আরও এক শিশু মারা যায়। সে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সফি আলমের মেয়ে। বিস্ফোরণে তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়েছিল। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন থাকা জোবায়দার (২২) শরীরের ২৫ শতাংশ, রোসমিনার (৫) ৫০ শতাংশ, আমেনা খাতুনের (২৪) ৮ শতাংশ ও সোহেলের (৫) শরীর ৫২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।  উল্লেখ্য, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়। আহতদের প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৪

জয়পুরহাটে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ
জয়পুরহাট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের মৃত শ্রমিকদের পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।  সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় চত্ত্বরে এসব নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। জানা যায়, অনুষ্ঠানে জয়পুরহাট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ৫ জন মৃত শ্রমিকের পরিবারের মাঝে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। নগদ অর্থ পেয়ে খুশি মৃত শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা। সেই সঙ্গে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দাবিও জানিয়েছেন তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি আলী হাসান সাবু, সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, অর্থ সম্পাদক শামীম সরদার, দপ্তর সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, সড়ক সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক ফারুক হাসান, সদস্য কদম আলী।  
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪২

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ৫ ফুট লম্বা ডলফিন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে একটি ৫ ফুট লম্বা ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছে। এর মাথা ও পিটের অংশের চামড়া উঠানো রয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কুয়াকাটার গঙ্গামতি এলাকায় ৩৩ কানি পয়েন্টে ডলফিনটি দেখতে পান স্থানীয় জেলেরা। ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি এটি সকালের জোয়ারে পানিতে ভেসে এসেছে। পরে আমাদের কমিটির টিম লিডারকে জানাই। সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, সমুদ্রের পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ায় সামুদ্রিক প্রাণীগুলো এভাবে মারা যাচ্ছে। আজকে ভেসে আসা ডলফিনটি ইরাবতী প্রজাতির পুরুষ ডলফিন। তবে বেশ লম্বা সময় পরে ফের এ ডলফিনটি আসলো। আমরা এটা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছি, কেন প্রতিবছর এমন পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বনবিভাগকে অবগত করে আমাদের সদস্যরা নিরাপদ স্থানে ডলফিনটিকে মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এ উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি ডলফিন নিয়ে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যাতে এ মৃত্যুর কারণগুলো বের করা হয়। চলতি বছরে এটাই প্রথম সৈকতে আসা মৃত ডলফিন।    
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৮

কক্সবাজার সৈকতে আবারও ভেসে এলো মৃত ডলফিন
কক্সবাজার সৈকতে আবারও ভেসে এসেছে একটি মৃত ডলফিন। ডলফিনটির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করছে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট। সংরক্ষণ করা হবে কঙ্কালও। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইনানী সৈকতে মৃত এই ডলফিনটি ভেসে আসে। পরে জেলেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে এটিকে উদ্ধার করে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইনানী সৈকতে ভেসে আসা মৃত ডলফিনটি ইন্দোপ্যাসিফিক হ্যাম্পব্যাক প্রজাতির। এমন প্রজাতির ডলফিন এবারই প্রথম এসেছে। ভবিষ্যতে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য হ্যাম্পব্যাকের কঙ্কাল সংরক্ষণ করা হবে। উদ্ধার করা ইন্দোপ্যাসিফিক হ্যাম্পব্যাকের ওজন ২৪০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ১০ ইঞ্চি। তিনি বলেন, এর আগে সৈকতে ভেসে আসা ইরাবতী ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি। এটির ওজন ৭০ কেজি। দুটির নমুনা সংগ্রহের পর সৈকতের বালিয়াড়িতে মাটিচাপা দেওয়া হবে। এরপর এক থেকে দেড় বছর পর দুটির কঙ্কাল উত্তোলন করে সংরক্ষণ করা হবে। অন্যদিকে প্রাণীদের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ। তিনি বলেন, নানা কারণে সাগরে এসব প্রাণীর মৃত্যু ঘটতে পারে। তবে প্রাণীগুলোর আবাসস্থলে কোনো বড় ধরনের সমস্যা হয়েছে কি না, তা অনুসন্ধানে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করে সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর আগে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি বিপন্ন স্তন্যপায়ী পরপইসের মৃতদেহ ভেসে আসে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হিমছড়ি সৈকতে একটি ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন ভেসে এসেছিল। উল্লেখ্য, বোরির হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত কক্সবাজার শহর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়া সৈকতে অন্তত ২০টি মৃত সামুদ্রিক কচ্ছপ ভেসে এসেছে। এ ছাড়া ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট ও ২০ মার্চ একই সৈকতে মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেও টেকনাফ সৈকতে দুটি মরা ডলফিন ভেসে এসেছিল। এ ছাড়া গত বছর ১৮ এপ্রিল রাতে কলাতলী সৈকতে একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ২০২১ সালের ৯ ও ১০ এপ্রিল পরপর দুইদিনে হিমছড়ি সৈকতে দুটি মরা তিমি ভেসে এসেছিল।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪০

মৃত মায়ের স্বপ্ন পূরণে চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষা দেন ববিতা
মেয়েকে আদর্শ শিক্ষক বানানোর স্বপ্ন দেখতেন হৃদরোগে আক্রান্ত বগুড়ার ধুনট উপজেলার শাহেলা খাতুন। কিন্তু তার সে স্বপ্ন দেখে যাওয়া হলো না। মেয়ের এসএসসি পরীক্ষার আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন তিনি। মাকে চিরনিদ্রায় রেখে সকল কষ্ট চেপে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সাতটিকরি গ্রামের দলিলুর রহমানের মেয়ে ববিতা খাতুন। জানা গেছে, হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে শাহেলা খাতুনের মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েছেন গোপালনগর ইউএকে উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক শাখার শিক্ষার্থী ববিতা। পরীক্ষার হলে অন্যান্য সহপাঠীদের সঙ্গে বসে বারবার চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষা দেন তিনি। পরীক্ষার আগে মেয়েকে নিজ হাতে তৈরি করে দোয়া দিয়ে পরীক্ষার হলে পাঠাবেন মা, এটাই ছিল হয়তো স্বাভাবিক চিত্র। কিন্তু লড়াকু ববিতার ভাগ্যে তা আর হয়নি। মায়ের নিকট থেকে দোয়ার পরিবর্তে মাকে কবরে রেখে কেন্দ্রে আসতে হয় তাকে। মমতাময়ী মায়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে কেন্দ্রে এসেছিল সে। ববিতা খাতুন বলেন, আমার মা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। তিনি চাইতেন আমি যেন পড়াশোনা করে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি। তিনি আমাকে শিক্ষক বানানোর স্বপ্ন দেখতেন। তাই মায়ের কথা ভেবেই পরীক্ষা দিয়েছি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ খবর পেয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মীর্জা ওমর ফারুক ববিতার খোঁজ খবর নিতে পরীক্ষা কক্ষে যান। তিনি শোকাহত ববিতার পাশে দাঁড়িয়ে সান্ত্বনা দেন। এসময় কক্ষের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চোখেও পানি চলে আসে। ববিতা ভালোভাবে পরীক্ষা দেওয়া ও বাড়িতে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন কেন্দ্র সচিব।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৩

‘শুধু জীবন্ত নয়, আমার শরীরের মৃত কোষগুলোও আবেদনময়ী’
বলিউডে স্টারকিড ছাড়া পথচলা নবাগত যে কারও জন্যই ভীষণ কঠিন। বিশেষ করে নায়িকাদের নানান সমস্যার মুখে পড়তে হয়। কাস্টিং কাউচ থেকে শুরু করে বডি শেমিং– বিভিন্ন সময় কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাদেরকে। ইন্ডাস্ট্রির ক্ষমতাধরদের মন জুগিয়ে না চললে, চলার পথটা খুব একটা মসৃণ হয় না নায়িকাদের। শুধু প্রতিভার ওপর আস্থা রেখে অভিনয় ক্যারিয়ার টিকিয়ে রাখা চ্যালেঞ্জিং।  সম্প্রতি বলিউডের এমন বাস্তবতাই এবার উঠে এলো অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুরের কথায়। যার ক্যারিয়ার শুরুর পথ চলাটা মোটেও সহজ ছিল না। ‘লাভ সোনিয়ে’ থেকে শুরু করে ‘সুপার থার্টি’, ‘বাটলা হাউস’, ‘জার্সি’, ‘পিপ্পা’সহ আরও বেশ কিছু বলিউড সিনেমায় অভিনয় করে রীতিমতো দর্শকের নজর কাড়েন ম্রুণাল।  দিনদিন এই নায়িকার চলচ্চিত্রের সংখ্যা বাড়লেও শুরুর পথটা ছিল কাঁটায় ভরা। ধীরে ধীরে সেসব বাধা পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে আসতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে ম্রুণালকে।   সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ারের নানান বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন ম্রুণাল। অভিনেত্রী বলেন, মারাঠি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয়ে অভিষেক হলেও সবসময় চেয়েছি বলিউডের সিনেমায় কাজ করতে। মূলত সে কারণেই কয়েকজন নির্মাতাকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে যে বডি শেমিংয়ের শিকার হবো কিংবা কাজের বদলে কটাক্ষ জুটবে— সেটা কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি।    তিনি আরও বলেন, এক নির্মাতা তো আমাকে সরাসরি বলেই দিয়েছিলেন যে— আমি মোটেও আবেদনময়ী নই। তাদের জন্য সেই অভিনেত্রী প্রয়োজন, যে আবেদনময়ী। তার এই কথার জবাবে আমি বলেছিলাম, শুধু জীবন্ত নয়, আমার শরীরের মৃত কোষগুলোও আবেদনময়ী– যা দেখার দৃষ্টি সবার নেই। আমিও সেটি সবসময় দেখাতে চাই না। ন্যাচারাল থাকতেই পছন্দ করি, যাতে একজন নির্মাতা আমাকে যেকোনো চরিত্রের জন্য ভাবতে পারেন। ম্রুণাল বলেন, অভিনয়ের জগতে প্রতিষ্ঠার জন্য কখনও কোনো অপ্রীতিকর বিষয়কে সমর্থন করিনি। অংশ নিইনি শীর্ষ তারকা হওয়ার দৌড়ে। দর্শক যদি অভিনয়ের জন্যই আমাকে ভালোবাসেন, তখন অভিনয়ের দিকেই মনোযোগী হওয়া উচিত।  তাই কবে কে আমাকে গেঁয়ো ভূত, নন-গ্ল্যামারস কিংবা আবেদনহীন বলেছে, সেটা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখেই ভালোকিছু কাজ করে এগিয়ে যেতে চাই।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৬

ফিলিপাইনে সোনার খনির গ্রামে ধস, মৃত ৫
ফিলিপাইনে দাভাও দে ওরো প্রভিন্সে প্রবল বৃষ্টির ফলে ধস নেমেছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৭ জন। উদ্ধারে সেনা নামানো হয়েছে। দক্ষিণ ফিলিপাইনে মাসারা বলে যে গ্রামে ধস নেমে এই কাণ্ড হয়েছে, গ্রামটি সোনার খনির গ্রাম বলে পরিচিত। বুধবার সেখানে এই ধস নামে। বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩১ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ১১ জনের আঘাত গুরুতর। মাসারা গ্রামে বহু বাড়ি ও দুইটি বাস কাদামাটির স্রোত ও পাথরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ার ফলে এই ধস নামে। আঞ্চলিক বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ম্যাকাপিলি বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টি থেমে যায়। রোদ ওঠে। তাই এরকমভাবে ধস নামবে, তা ভাবা যায়নি। উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য সেনা নামানো হয়েছে। তিনজন গুরুতর আহতকে চিকিৎসার প্রয়োজনে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই অঞ্চলে রাস্তা বলে আর কিছু নেই। সেলফোনের সিগন্যাল নেই। এখানে কাজ করাটা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের।  মাসারা ও তার আশপাশের চারটি গ্রামের ২৮৫টি পরিবারকে উদ্ধার করে নিরাপদ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে বন্যা ও ধসের জন্য এখানে ১৮ জন মারা গিয়েছিলেন বলে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০১

মৃত সন্তান প্রসবের পর প্রেমিকার মৃত্যু, প্রেমিক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিউলী আকতার (১৮) নামে এক তরুণী মৃত সন্তান প্রসবের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিউলী মার যান। এদিকে শিউলীর স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের তালুকদার মার্কেট এলাকায় নিজ বাড়িতে বেলা ১১টার দিকে শিউলী মৃত সন্তান জন্ম দেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাশের ঘরের যুবক মাহামুদ ওরফে কালুর (২২) সঙ্গে শিউলী প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিয়ের আশ্বাসে মেয়ে ও তার পরিবার বিষয়টি গোপন রাখে। একপর্যায়ে প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসলে ছেলে ও তার পরিবার মেয়েটিকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটির পরিবার স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে তথ্য গোপন রেখে ওষুধ খাইয়ে বাচ্চাকে মেরে ফেলে। সরেজমিনে আরও জানা যায়, প্রসবের দিন রাতেই  সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে অভিযুক্ত মাহমুদ ওরফে কালু নামের ওই যুবককে ২৫ হাজার টাকা ও  ডাক্তারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়েটির চিকিৎসাবাবদ দেওয়া হয়। এরপরই মৃত শিশুকে অজ্ঞাত স্থানে জানাজা ছাড়া কবর দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মাহামুদ কালুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মা নাছিমা বেগম আরটিভিকে বলেন, মেয়েটির চরিত্র ভালো না। সে বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছিল। কমপ্লেক্স এলাকার এক সওদাগরের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এখন আমার ছেলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। শিউলীর মা বিবি ফাতেমা বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় মামলা করেন। তিনি আরটিভিকে বলেন, বাবা হারানো ২ মেয়েকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে খেয়ে না খেয়ে আমাদের দিন চলছিল। মাহামুদ কালু আমার পাশের বাড়ির ছেলে। দীর্ঘদিন আমার মেয়েকে বিরক্ত করছিল। আমি তার মা-বাবাকে জানিয়েও সুরাহা পায়নি। আমি একদিন অন্যের বাড়িতে কাজ করতে গেলে মাহামুদ আমার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক মেয়েকে ধর্ষণ করে। আমার মেয়ে গর্ভবতী হলে মাহামুদ তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। আমার মেয়ে অসুস্থ হলে আমি মাহামুদের পরিবারকে জানালেও তারা সহযোগিতা করেনি। আমার মেয়েকে টাকা-পয়সার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন আরটিভিকে বলেন, মেয়েটির মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। ৫ জানুয়ারি সোমবার মেয়েটির মায়ের অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা হয়েছে। আসামি মাহামুদ ওরফে কালুকে রাতে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার আয়ু সন্দ্বীপ থানার সাব ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. মাঈন উদ্দিন ভূঁইয়া আরটিভিকে বলেন, আসামি মাহামুদ গতকাল রাতে নদী পার হয়ে সন্দ্বীপ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় কুমিরা ঘাট থেকে সীতাকুণ্ড পুলিশের সহায়তায় রাত ২টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমের ডিএনএ সংরক্ষণের জন্য সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, মামলটি খুবই চাঞ্চল্যকর। আমরা গভীরভাবে তদন্ত করছি, এ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়