• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মৃত সন্তান প্রসবের পর প্রেমিকার মৃত্যু, প্রেমিক গ্রেপ্তার

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৫
পুলিশ
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিউলী আকতার (১৮) নামে এক তরুণী মৃত সন্তান প্রসবের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিউলী মার যান। এদিকে শিউলীর স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের তালুকদার মার্কেট এলাকায় নিজ বাড়িতে বেলা ১১টার দিকে শিউলী মৃত সন্তান জন্ম দেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাশের ঘরের যুবক মাহামুদ ওরফে কালুর (২২) সঙ্গে শিউলী প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিয়ের আশ্বাসে মেয়ে ও তার পরিবার বিষয়টি গোপন রাখে। একপর্যায়ে প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসলে ছেলে ও তার পরিবার মেয়েটিকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটির পরিবার স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে তথ্য গোপন রেখে ওষুধ খাইয়ে বাচ্চাকে মেরে ফেলে।

সরেজমিনে আরও জানা যায়, প্রসবের দিন রাতেই সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে অভিযুক্ত মাহমুদ ওরফে কালু নামের ওই যুবককে ২৫ হাজার টাকা ও ডাক্তারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়েটির চিকিৎসাবাবদ দেওয়া হয়। এরপরই মৃত শিশুকে অজ্ঞাত স্থানে জানাজা ছাড়া কবর দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মাহামুদ কালুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মা নাছিমা বেগম আরটিভিকে বলেন, মেয়েটির চরিত্র ভালো না। সে বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছিল। কমপ্লেক্স এলাকার এক সওদাগরের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এখন আমার ছেলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।

শিউলীর মা বিবি ফাতেমা বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় মামলা করেন। তিনি আরটিভিকে বলেন, বাবা হারানো ২ মেয়েকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে খেয়ে না খেয়ে আমাদের দিন চলছিল। মাহামুদ কালু আমার পাশের বাড়ির ছেলে। দীর্ঘদিন আমার মেয়েকে বিরক্ত করছিল। আমি তার মা-বাবাকে জানিয়েও সুরাহা পায়নি। আমি একদিন অন্যের বাড়িতে কাজ করতে গেলে মাহামুদ আমার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক মেয়েকে ধর্ষণ করে। আমার মেয়ে গর্ভবতী হলে মাহামুদ তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। আমার মেয়ে অসুস্থ হলে আমি মাহামুদের পরিবারকে জানালেও তারা সহযোগিতা করেনি। আমার মেয়েকে টাকা-পয়সার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন আরটিভিকে বলেন, মেয়েটির মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। ৫ জানুয়ারি সোমবার মেয়েটির মায়ের অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা হয়েছে। আসামি মাহামুদ ওরফে কালুকে রাতে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার আয়ু সন্দ্বীপ থানার সাব ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. মাঈন উদ্দিন ভূঁইয়া আরটিভিকে বলেন, আসামি মাহামুদ গতকাল রাতে নদী পার হয়ে সন্দ্বীপ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় কুমিরা ঘাট থেকে সীতাকুণ্ড পুলিশের সহায়তায় রাত ২টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমের ডিএনএ সংরক্ষণের জন্য সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, মামলটি খুবই চাঞ্চল্যকর। আমরা গভীরভাবে তদন্ত করছি, এ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে ঢাকায় কৃত্রিম বৃষ্টি
‘রাজধানীর ১০ থানায় কিশোর গ্যাং বেশি’
পাবলিক রিলেশনস অফিসার যেভাবে সাফল্য বয়ে আনে প্রতিষ্ঠানে
‘চিফ হিট অফিসার ডিএনসিসির কেউ নন’
X
Fresh