• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মিয়ানমারে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। দেশটির সবচেয়ে উষ্ণতম এপ্রিল হিসেবে গতকাল রোববার ৪৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) মিয়ানমারের আবহাওয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোববার দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে অঞ্চলের চাউক শহরে তাপমাত্রার পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর দেশটিতে এপ্রিল মাসে এত গরম আর দেখা যায়নি। একই দিন বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনের তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ ছাড়া মান্দালয় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মিয়ানমারের শুষ্ক কেন্দ্রীয় সমভূমিতে অবস্থিত চাউকের একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানে খুব গরম ছিল এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম। এ রকম হলে আমরা কিছুই করতে পারি না। দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের শুষ্ক প্রাণকেন্দ্রে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড় থেকে তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। বৈশ্বিক তাপমাত্রা গত বছর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলেছে, এশিয়া বিশেষ করে দ্রুত গতিতে উষ্ণ হচ্ছে, এই অঞ্চলে তাপপ্রবাহের প্রভাব আরও গুরুতর হয়ে উঠছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছেম, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপপ্রবাহ দীর্ঘতর, ঘনঘন ও তীব্রতর হচ্ছে। এদিকে, জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলেছে, বিশেষ করে এশিয়া দ্রুতগতিতে উষ্ণ হয়ে উঠছে, আর এর প্রভাবও গুরুতর হয়ে উঠছে। সূত্র : এএফপি
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪৮

মিয়ানমারে সেনা ট্রেনিং নিয়ে ফেরা ২ রোহিঙ্গা গুলিসহ গ্রেপ্তার
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রাইফেলের বুলেটসহ দুই রোহিঙ্গা যুবক আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কক্সবাজার-টেকনাফ আঞ্চলিক মহাসড়কের নয়াপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।  হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওনের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। আটক দুই রোহিঙ্গা হলেন, কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্লক-ই-৩১৪-তে আশ্রিত ইসলামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ (১৯) ও নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্লাস্টার-৬৫, রুম নং-জে-১২৩ এর আব্দুস সালামের ছেলে আনোয়ার মোস্তফা (১৮)। তাদের কাছে মোট ১৭টি বুলেট পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম জানান, টেকনাফ-কক্সবাজারমুখী পায়রা সার্ভিসের একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তল্লাশি করছিল হোয়াইক্যং থানা পুলিশ। একপর্যায়ে যাত্রীর আসনে থাকা দুই যুবককে সন্দেহ হলে তাদের দেহ তল্লাশি করে পুলিশ। এ সময় কেফায়েত উল্লাহর কোমরে বাঁধা কালো রঙয়ের ব্যাগে গুলিগুলো পাওয়া যায়। অবৈধ বুলেট রাখায় ওই রোহিঙ্গা যাত্রী ও তার সহযাত্রী আনোয়ার মোস্তফাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মিয়ানমার থেকে এই বুলেট কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নেওয়ার জন্য বহন করছিল। ১৯ এপ্রিল তারা দালালের মাধ্যমে মায়ানমারের মংডু জেলার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বুচিডং ক্যাম্পে যায়। সেখানে সেনাবাহিনী তাদেরকে জিথ্রি রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়। সেনাবাহিনীর পক্ষে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।  তিনি আরও জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে সাত দিন থাকার পর অতিরিক্ত গরম ও খাদ্য কষ্টে সেখান থেকে আজ সীমান্ত পেরিয়ে পুনরায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এ বিষয়ে টেকনাফ থানায় অস্ত্র আইনে একটি নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০১

মিয়ানমারে আটকে পড়াদের ২৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ২৪ এপ্রিল জাহাজে করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৪ এপ্রিল মিয়ানমারের একটি জাহাজ বাংলাদেশে আসবে। দেশটিতে নানাভাবে আটকা পড়া ১৪৪ জন বাংলাদেশিকে ওই জাহাজে করে নিয়ে আসা হবে।  জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে গিয়ে ১৭০ জনের মত বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন। তাদের কেউ জেলে আছেন এবং কারও বিচার প্রক্রিয়া চলমান। এর মধ্যে কেউ কেউ মাছ ধরতে গিয়েও মিয়ানমার সীমান্তে ঢুকে আটক হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১৪৪ জনকে ফেরানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। হাছান মাহমুদ আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা ওই জাহাজে করেই ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠানো হবে। যদিও আশ্রয় নেওয়া ২৮৫ জনকে আজ (সোমবার) ফেরত পাঠানের কথা ছিল, সেটা পিছিয়ে ২৫ এপ্রিল করা হয়েছে।  উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘর্ষ সম্প্রতি ভয়াবহ আকার ধারন করে। যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে। ওই সংঘাতের মধ্যে মিয়ানমারের অনেক সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫২

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাবে তুরস্ক
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তুরস্ক। একই সঙ্গে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অন্যান্য ইস‌্যু‌তেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে দেশটি। রোববার (৩ মার্চ) তুরস্কের আনতালিয়ায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের স‌ঙ্গে বৈঠক ক‌রেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠ‌কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ শাখার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী এবং তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই নিজ দেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ফিদান।  বৈঠকে আনতালিয়া ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফিরতি চিঠি হাকান ফিদানকে হস্তান্তর করেন হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানান তিনি।  এ সময় ড. হাছান মাহমুদ দুই দেশের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদের প্রস্তাব করেন। যেখানে বাংলাদেশি কৃষক ও বিশেষজ্ঞরা তুরস্কে মৌসুমি চাষ করবেন এবং ফলনের পর বাংলাদেশে ফিরে যাবেন। তার এ প্রস্তাবের প্রেক্ষি‌তে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান জানান, তুরস্ক বিষয়টি পরীক্ষা করবে এবং আগামী জুলাই মাসে ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তরের পরবর্তী পরামর্শের সময় এটি নিয়ে আলোচনার সু‌যোগ র‌য়ে‌ছে।  এ সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে দেওয়া প্রশংসাপত্রের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এবং ফোরামে উপস্থিতির জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ফিদান। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করা ও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে তার দেশের অব্যাহত সমর্থনেরও আশ্বাস দেন। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধ করতে এবং আরব দেশগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে তুরস্কের আরও বৃহত্তর ভূমিকা কামনা করেন ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠকে উভয় নেতা আশা প্রকাশ করেন যে, ইউক্রেনের যুদ্ধ শিগ‌গিরই শেষ হবে এবং জ্বালানি, এলএনজি ও ফসলের দাম কমবে, যা এখন উভয় দেশের পাশাপাশি উন্নয়নশীল বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বৈঠকে তুরস্কের স্বাধীনতার শতবর্ষ এবং বাংলাদেশ ও তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে হাকান ফিদানকে অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের সংগ্রাম থেকে শক্তিশালী অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম জাতির বন্ধুত্বের উষ্ণ বন্ধন প্রতিনিয়ত দৃঢ়তর হচ্ছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ০২:২৭

টেকনাফ সীমান্তে ভারী গোলাগুলি, মিয়ানমারে উড়ছে কালো ধোঁয়া  
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদীর ওপার মিয়ানমার থেকে ভারী গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। শনিবার (২ মার্চ) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত টেকনাফের হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সীমান্তে মিয়ানমারে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া যায়। এতে আতঙ্কের মধ্যে আছেন সীমান্ত এলাকার হাজারো মানুষ। টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, সকাল থেকে থেমে থেমে ভারী মর্টারশেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এছাড়া নাফ নদীর ওপারে সকাল থেকে আগুনের কালো ধোঁয়াও দেখা যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রাম গুলোতে চলছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘর্ষ। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদীতে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা টহল বৃদ্ধি করেছে।     হ্নীলা সীমান্তের বাসিন্দা মো. ইলিয়াছ বলেন, সকাল থেকে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এখন আবার নতুন করে সেখানে আগুন দেখা যাচ্ছে। এতে আমরা সীমান্তের লোকজন ভয়ের মধ্যে আছি। হ্নীলা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি তারেক মাহমুদ রনি বলেন, সকালে বিকট শব্দ শুনে ভয়ে ছিলাম। এ রকম শব্দ খুব কম শোনা যায়। যেন মনে হচ্ছে বাড়ির পাশে এসে বোমা পড়েছে। মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে আমাদের ওপর খুব বাজেভাবে প্রভাব পড়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে সীমান্তে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। ওপারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও পুলিশের টহল বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্তে বসবাসরতদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে এখনও মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। সম্প্রতি নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে চারশ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবির কোস্ট গার্ড সদস্যরা। এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড চট্টগ্রাম পূর্বজোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, ওপারের চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নাফনদী দিয়ে সীমান্তে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা থেকে আমরা (কোস্ট গার্ড) নাফনদীতে টহল জোরদার রেখেছি। নতুন করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৪

মিয়ানমারে আবার গোলাগুলি, বিকট শব্দে শাহপরীর দ্বীপে আতঙ্ক
টেকনাফের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তিন দিন বন্ধ থাকার পর আবারও গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।    শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিকেল পাঁচটার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়ার পূর্ব পাশে মিয়ানমার থেকে তিনটি মর্টার শেলের বিকট শব্দ ভেসে আসে।      হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালী সীমান্তে জুমার নামাজের আগপর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এ সময় সীমান্তের কাছাকাছি চিংড়ির খামারে থাকা বাংলাদেশি লোকজন ভয়ে পালিয়ে এসেছেন। হোয়াইক্যংয়ের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, খারাংখালী সীমান্তে নাফ নদীর ওপারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি আমাকে জানান। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। আজ বিকেল পাঁচটার দিকে তাদের নিকটবর্তী নাফ নদীর পূর্ব পাশে অবস্থিত মিয়ানমারের মংড়ু শহরের নলবন্ন্যা গ্রামে পরপর তিনটি মর্টার শেলের শব্দ শোনা যায়।  সীমান্তবর্তী সাবরাং ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, বিকট শব্দে শাহপরীর দ্বীপও কেঁপে উঠলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটবর্তী মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।  
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৩

মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে। দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ, দূতালয়ে নবনির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। এর বাইরেও ইয়াঙ্গুনের একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন। দ্বিতীয় পর্বে আয়োজন করা হয় একটি বর্ণাঢ্য বহুজাতিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে ১২ দেশের ১৬টি ভাষাভাষী মানুষের অংশগ্রহণে বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে তাদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।  মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন দূতালয়ে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রদূত হোসেন ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত মাতৃভাষা বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠায় তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান যে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তা বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা এবং বহুভাষিকতার প্রচারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঐতিহাসিক পটভূমি ও তাৎপর্য উল্লেখ করেন। এই বছরের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বহুভাষার মাধ্যমে শিক্ষা : প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জ্ঞান চর্চার স্তম্ভ’ তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই দিনটি শুধুমাত্র আমাদের মাতৃভাষাকে সম্মান করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষই নয়, আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ে ভাষা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তারও স্বীকৃতি দেয়।   ইয়াঙ্গুন ইউনিভার্সিটি অফ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজেস-এর সাথে যৌথভাবে আয়োজিত ‘মাতৃভাষার গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে রাষ্ট্রদূত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর দাও উই হ্নিন, প্রফেসর উইন মায়ো টিন্ট, ড. উইন মিং উং এবং অ্যাকশন এইডের মিয়ানমারের কান্ট্রি ডিরেক্টর শিহাব উদ্দিন আহমেদ আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। আলোচকরা মাতৃভাষার গুরুত্ব এবং সমসাময়িক সমাজে তাদের সংরক্ষণ ও প্রচারের কৌশল তুলে ধরেন। দিবসটির অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ ছিল বর্ণাঢ্য বহুজাতিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেখানে ভারত, চীন, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, রিপাবলিক অব কোরিয়া, লাও পিডিআর, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা তাদের নিজ নিজ সংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করে। অনুষ্ঠানে ৩০টি দেশের রাষ্ট্রদূত, অন্যান্য কূটনীতিক, মিয়ানমারে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দুই শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২০শে ফেব্রুয়ারি, ইয়াঙ্গুন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সহযোগিতায়, দূতাবাস একটি স্কুল প্রোগ্রামের আয়োজন করে যেখানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত স্কুলের বাচ্চাদের সাথে মাতৃভাষার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন এবং তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণে উত্সাহিত করেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৪

মিয়ানমারে বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে বাংলাদেশ সীমান্ত
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের ব্যাপকতা বেড়েছে। থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। আর বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে বাংলাদেশ সীমান্ত। এ অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরেও টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের লম্বাবিল ও উনচিপ্রাং সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে থেমে থেমে এবং ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্তে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এর আগে, মঙ্গলবারও থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্ত এলাকা কেঁপে ওঠে। স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে ব্যাপক গোলাগুলি চলছে। যার শব্দ তারা এপার থেকে শুনতে পাচ্ছেন। এ ছাড়া কিছুক্ষণ পর পর বিস্ফোরণের বিকট শব্দে পুরো সীমান্ত এলাকা কেঁপে উঠেছে। সংঘাতময় পরিস্থিতিতে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কাও করছেন তারা। এর ফলে সবমিলিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।   বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়া এলাকা থেকে কখনও কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে, আবার কখনও গুলি বা মর্টারশেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জালাল আহমদ বলেন, এলাকাবাসীর মনে স্বস্তি নেই। না জানি কখন এপারে গুলি বা মর্টারশেল এসে পড়ে। ওপারে থেমে থেমে গোলাগুলি আর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি বলেন, নাফ নদীর ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ মঙ্গলবার ভোর থেকে বেড়েছে। বুধবারও এপারে গুলি-মর্টারশেল এসে পড়ার আশঙ্কার পাশাপাশি রোহিঙ্গাসহ অন্যদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোসহ সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান বিজিবির টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী পেরিয়ে কেউ যেন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। 
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৬

মিয়ানমারে হামলা বন্ধে ৯ দেশের আহ্বান
মিয়ানমারে বেসামরিক লোকজনদের ওপর হামলা বন্ধ এবং রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে জান্তা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ৯ দেশ। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আগে এক বিবৃতি দিয়ে এ আহ্বান জানায় দেশগুলো। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী। জান্তা সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। এছাড়া রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, স্লোভেনিয়া, সুইজারল্যান্ড, ইকুয়েডর ও মালটা। নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্য রয়েছে ১৫টি দেশ। তবে মিয়ানমার জান্তার প্রতি আহ্বান জানানো থেকে বিরত ছিল স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ও চীন। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলাসহ চলমান সংঘাতে বেসামরিক মানুষের যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নিরাপত্তা পরিষদের ২৬৬৯ রেজল্যুশন অনুযায়ী, আমরা সব ধরনের সংঘাত অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মিয়ানমারে নির্বিচার বন্দী করা ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এই বন্দীদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিয়ন্ত সুয়ে ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। নিরাপত্তা পরিষদের ৯ সদস্যের এমন আহ্বানের পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ কিয়াও মোয়ে তুন। তিনি বলেন, জান্তা সরকারকে অস্ত্র, উড়োজাহাজের জ্বালানি ও অর্থ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। কেননা, যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার দিয়ে বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে তারা। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে জান্তা সরকার। এরপর দেশটিতে ৪ হাজার ৪০০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ৭৮ হাজারের বেশি বেসামরিক ঘরবাড়ি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২৬ লাখ মানুষ।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:২৫

মিয়ানমারে আরও ঘাঁটি হারিয়েছে জান্তা, নিহত ৬২ সেনা
মিয়ানমারে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়েছে জান্তা সরকার। দেশটির একের পর এক সামরিক ঘাঁটি দখল করে নিচ্ছে গণতন্ত্রকামী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। গত তিন দিনে অন্তত জান্তা বাহিনীর ৬২ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন (ইএও) সারাদেশে শাসকদের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বাড়িয়েছে। এতে গত তিন দিনে নিজেদের আরও কয়েকটি ঘাঁটি এবং ৬২ জন সেনা হারিয়েছে জান্তা সরকার। সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনাগুলো সাগাইং, ম্যাগওয়ে এবং মান্দালয় অঞ্চল, কাচিন এবং কারেন রাজ্যে ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পিডিএফ এবং ইআও’র গণমাধ্যম শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করে এই তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছে ইরাবতী। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এসব তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। এ ছাড়া এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যও করেনি জান্তা সরকার। মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্ত-ঘেঁষা এলাকায় আরাকান আর্মিসহ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর যুদ্ধ এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে, দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে জান্তা সেনারা। এতদিন এই যুদ্ধকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলা হলেও সীমান্ত পাড়ি দিয়ে সে দেশের একের পর এক সীমান্তরক্ষী বা সেনা সদস্যের অনুপ্রবেশের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশেও। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যেকার তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্তের তিনটি স্থান দিয়ে রোববার দুপুর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপির সদস্যরা। রোববার রাত পর্যন্ত ৯৫ জন জান্তা সেনা প্রবেশের তথ্য দিয়েছে বিজিবি সদর দপ্তর। এমন অবস্থায় সীমান্তের বাসিন্দাদের মাঝেও উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।  
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়