• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে জিম্বাবুয়ের মান বাঁচানো পুঁজি
শঙ্কা ছিল টাইগার বোলারদের দাপটের দিনে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। তবে সেই শঙ্কা রীতিমত দুঃস্বপ্নে রূপ দিয়েছে রোডেশিয়ানদের লোয়ার-অর্ডার। অষ্টম উইকেটে মাসাকাদজা ও মাদান্দের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১২৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সফরকারীরা। শুক্রবার (৩ মে) মাসাকাদজা ও মাদান্দের ৭৫ রানের জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের সংগ্রহ গড়েছে সিকান্দার রাজার দল। টস জিতে বোলিংয়ে নেমে টাইগারদের হয়ে ইনিংসের শুরু করেন শরিফুল। তার ওভারে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে অভিষেক রাঙান জিম্বাবুয়ের ওপেনার জয়লর্ড গাম্বির। একই ওভারে আরও একটি চার হাঁকান এই ওপেনার। শরিফুলের হাফ ভলিতে মাপা শটে তুলে নেন ৮ রান। তবে উদ্বোধনী জুটি থিতু হতে দেননি মেহেদী। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে আরভিনকে পরাস্থ করেন। মেহেদীর দ্বিতীয় বলেই উড়ে যায় ওপেনার ক্রেগ আরভিনের অফ স্ট্যাম্পের বেলস। মাপা লেংথের বলে সামনে পায়ে একটু জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন আরভিন। তবে ব্যাটে না পাওয়ায় রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে। এরপর আক্রমণে এসেই ভেলকি দেখান ১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার ফুল লেংথের সুইংয়ে রীতিমত খাবি খান অভিষিক্ত গাম্বি। শর্ট ফাইন লেগে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার। ষষ্ঠ ওভারে জোড়া উইকেট হারায় সফরকারীরা। রান আউটের ফাঁদে পরে কাটা পড়েন ব্রায়ান বেনেট। ১৫ বলে ১৬ রান করে ফেরেন বেনেট। এরপর ক্রিজে নেমেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সিকান্দার রাজাও। রোডেশিয়ানদের অধিনায়ককে টিকতে দেননি শেখ মেহেদি। তাকে সুইপ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। আর প্রথম স্লিপে কোনো ভুল করেননি লিটন। চোখের পলকে ১ উইকেটে ৩৬ থেকে ৪ উইকেটে ৩৬ রানে পৌঁছায় সফরকারীরা। ইনিংসের সপ্তম ওভারে এসে ফের জোড়া উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এতে ৯ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা। প্রথম বলে উইলিয়ামস এবং পরের বলেই বার্লকে ফেরান তাসকিন। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন তারা। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও দেখেশুনে সেই বলটি ছেড়ে দেন লুক জঙ্গি। ৭ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে সফরকারীরা। এরপর জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন মাসাকাদজা এবং মাদান্দে। টাইগার বোলারদের সামলে ৭৫ রানের জুটি গড়েন তারা। শেষ পর্যন্ত তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট খুইয়ে ১২৪ রানে থামে রোডেশিয়ানরা। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন এবং সাইফউদ্দিন। এ ছাড়া মেহেদীর শিকার দুই উইকেট।
০৩ মে ২০২৪, ২০:২২

সংসদে ধর্ষণের অভিযোগ  / মান বাঁচাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন রাজনৈতিক কর্মী
সংসদ ভবনে নিজের সহকর্মীর হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অস্ট্রেলিয়ার একটি টিভি চ্যানেলে অভিযোগ তুলেছিলেন ব্রিটানি হিগিন্স নামে এক রাজনৈতিক কর্মী। তিন বছর আগে ঘটনাটি যখন সামনে আসে, হতবাক হয়ে গিয়েছিল পুরো বিশ্ব। এবার চাঞ্চল্যকর এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে সিডনির একটি দেওয়ানি আদালত।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) রয়টার্স, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ানসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তথ্যটি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন করেছে।  গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার নেটওয়ার্ক টেন টেলিভিশনে ২০২১ সালে ব্রিটানি হিগিন্স নামে পার্লামেন্ট হাউসের ওই রাজনৈতিক কর্মী ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন নিজের সহকর্মী ব্রুস লেহরম্যানের বিরুদ্ধে। তবে ওই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছিলেন  ব্রুস। শুধু তা-ই নয়, ব্রিটানির ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগটি প্রচারের কারণে সেদিনের উপস্থাপিকা লিসা উইলকিনসনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেছিলেন তিনি। এবার ওই মানহানির মামলার লড়াইয়েই হেরে গেলেন ব্রুস লেহরম্যান। সহকর্মী ব্রিটানিকে ধর্ষণের যে অভিযোগ, তার সত্যতা পেয়েছেন আদালত।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) ধর্ষণের বিষয়টি সত্যিই ঘটেছিল বলে রায় দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল আদালতের বিচারক মাইকেল লি। রায়ে হিগিন্সকে ধর্ষণের পর ব্রুস লেহরম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। নেটওয়ার্ক টেন টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশ্রুসিক্ত হিগিন্স বলেছিলেন—২০১৯ সালে কীভাবে এক মন্ত্রীর অফিসের সোফায় তার চেতনা ফিরেছিল এবং চেতনা ফেরার পর শরীরের ওপর তিনি ব্রুসকে দেখেছিলেন। তবে ব্রুস লেহরম্যান দাবি করেন, সেদিন রাতে তারা দুজন ক্যানবেরায় মদ্যপানের পর নিজ নিজ পথে যাওয়ার আগে একটি উবার শেয়ার করে প্রথমে অফিসে এসেছিলেন। সোমবার ব্রুস লেহরম্যানের মানহানির মামলাটি বাতিল করে দিয়ে নিজের রায়ে বিচারপতি মাইকেল লি বলেন, ব্রুস লেহরম্যান ২৮ বছর বয়সী হিগিন্সের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের জন্য নারকীয় উপায় গ্রহণ করেছিলেন এবং এ বিষয়ে হিগিন্সের সম্মতি আছে কি না সেই বিষয়ে উদাসীন ছিলেন। তবে অফিসে ফেরার সময় হিগিন্স মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপ ছিলেন বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারক। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, অস্ট্রেলিয়ার আদালতে সোমবার এমন একটি মামলার আইনি রায় হলো, যা বছরের পর বছর ধরে জাতিকে আতঙ্কিত করে রেখেছে। এ ঘটনার সুবিচারের জন্য হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বলা হচ্ছে, নিজের করা মানহানির মামলার জের ধরেই অতীত অপরাধে ফেঁসে যাচ্ছেন ব্রুস লেহরম্যান। মানহানির বিচার শুরু করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিচারপতি লি বলেছেন, সিংহের ডেরা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর মিস্টার লেহরম্যান তার টুপির জন্য ফিরে এসে ভুল করেছেন। পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা এই বিচারে এক ডজনেরও বেশি সাক্ষীর কাছ থেকে সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এদের মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে ভাড়া করা একজন ‘ঠোঁট পাঠকের’ বিশ্লেষণ, হিগিন্সের মা-বাবা এবং পার্লামেন্টে ব্রুস ও হিগিন্সের সহকর্মীদের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেন আদালত। রায়ের পর আদালতের বাইরে কথা বলার সময় নেটওয়ার্ক টেন আউটলেটের উপস্থাপিকা মিসেস উইলকিনসন বলেছেন, ‘আমি আজ অস্ট্রেলিয়ার নারীদের জন্য আনন্দিত বোধ করছি।’ এ বিষয়ে নেটওয়ার্ক টেনও একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, সত্যের বিজয় হয়েছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৯

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান আজ পঞ্চম, মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। দূষণ মাত্রার দিক থেকে তালিকায় আজ রাজধানী ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। ঢাকার দূষণমাত্রার স্কোর হচ্ছে ১৭১ অর্থাৎ এখানকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।  শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য। বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা চিয়াং মাইয়ের বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ২২৯ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৯৩ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর। সূচকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীনের বেইজিং এবং শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৮৫। এর অর্থ দাঁড়ায় সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর। স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৪

চাপে আছে মার্কিন ডলার, কমছে মান 
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিও টালমাটাল হতে শুরু করেছে। অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দামে পতন হয়েছে। আগামী দিনও এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। শনিবার (৯ মার্চ) রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, গত শুক্রবার (৮ মার্চ) ডলারের সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে।  গেল জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে সুদের হার কমতে শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করায় অস্ট্রেলিয়ান ও নিউজিল্যান্ডের ডলার বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ডলারের সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ এবং নিউজিল্যান্ড ডলারের সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ। এদিকে জাপানি ইয়েন ডলারের বিপরীতে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে উঠেছিল। ডলার ০ দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে ১৪৭ দশমিক ০৫ ইয়েনে ছিল, এটি ২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সবচেয়ে দুর্বলতম। ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর ০ দশমিক ০৬ শতাংশ কমে ১ দশমিক ০৯৪২৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ডলার চাপে পড়ায় এই সপ্তাহে ইউরো উত্তোলন বেড়েছে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেন, সুদের হার কমানোর জন্য যে আত্মবিশ্বাস দরকার ফেডারেল রিজার্ভ তা থেকে ‘খুব বেশি দূরে নয়’। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমালে মুদ্রা সাধারণত দুর্বল হয়ে পড়ে। ইক্যুইটি ক্যাপিটালের প্রধান অর্থনীতিবিদ স্টুয়ার্ট কোল বলেন, বাজার কিছুটা অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, আমি মনে করি, সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল রিজার্ভ শিগগিরই সুদের হার কমানোর অবস্থানে থেকে সরে আসবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রম বিভাগের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো শুক্রবার কর্মসংস্থান প্রতিবেদনে বলেছে যে গত মাসে ২ লাখ ৭৫ হাজার চাকরি তৈরি হয়েছে। জানুয়ারির তথ্য সংশোধন করে দেখা গেছে, আগের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩ লাখ ৫৩ হাজারের পরিবর্তে ২ লাখ ২৯ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। টানা তিন মাস বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৭ শতাংশে থাকার পর ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশে।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৮

ব্যাঙের ছাতার মতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কমেছে উচ্চশিক্ষার মান
দেশে নতুন করে আবারও অনুমোদন পেতে যাচ্ছে বেসরকারি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়। যাচাই-বাছাই না করে ব্যাঙের ছাতার মতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় উচ্চশিক্ষার মান কমছে বলছেন শিক্ষাবিদরা। মতামত উপেক্ষা করে নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে হতাশ খোদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও। দেশে ১১৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি অনুমোদন পেয়েও এখনো কার্যক্রমই শুরু করতে পারেনি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করলেও দীর্ঘসময় ধরে অস্থায়ী ক্যাম্পাস, উপাচার্য না থাকা, আইন না মানা ও সনদ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগে কালো তালিকাভুক্ত। ফলে এসব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সর্তক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বিদ্যমান অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যখন টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে, ব্যর্থ হচ্ছে মানরক্ষায়- এ অবস্থায় আরও তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ডজন খানেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও চট্টগ্রামে পোর্টো গ্র্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয় নামে নতুন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।   ঝিনাইদহে সৃজনী বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে এবং রাজধানীতে প্রায় শ’খানেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকার পরও পূর্বাচলে সাউথ পয়েন্ট ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টোকনোলজি নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। মান নিয়ন্ত্রণ না করে গণহারে রাজনৈতিক বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে তা উচ্চ শিক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল। এসব প্রতিষ্ঠান জ্ঞান সৃষ্টির পরিবর্তে বেকার তৈরির কারখানায় পরিণত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, অনেক সময় কমিশনের মতামতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নানা ফাঁক-ফোকর দিয়ে নাম সর্বস্ব এসব বিশ্ববিদ্যালয় অনুমতি পাচ্ছে।   ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘এমনও অতীতে হয়েছে, আমরা বলেছি এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেছে, যেভাবেই হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি তারা নিয়েছে।’ যদিও মানহীন এসব বিশ্ববিদ্যালয় এক সময় হারিয়ে যাবে দাবি করে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যারা মান ধরে রাখতে পারেনি তারা কিন্তু হারিয়ে গেছে। প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বর্তমানে আছে এমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও একসময় ছিটকে পড়বে।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৪

বাংলাদেশি পাসপোর্টের মান আরও একধাপ কমলো
২০২৪ সালের পাসপোর্ট র‌্যাংকিংয়ে বিশ্বের ৮ম দুর্বল পাসপোর্টের তকমা পেয়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স’ মঙ্গলবার বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করেছে। হ্যানলি সূচক অনুযায়ী শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯৭তম। একই অবস্থানে রয়েছে বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন দেশ উত্তর কোরিয়া। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেপালের (৯৮তম), পাকিস্তানের (১০১তম) এবং আফগানিস্তানের (১০৪তম) তুলনায় শক্তিশালী অবস্থানে আছে। গত বছরের বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকের ত্রৈমাসিক সংস্করণে বাংলাদেশি পাসপোর্টের অবস্থান ছিল ৯৬তম। এর আগে একই বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১তম। চলতি বছরের তালিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ২২৭টি গন্তব্যের মধ্যে ৪২টিতে ভিসা ছাড়া কিংবা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করা যায়। বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে আগাম ভিসা ছাড়া ইউরোপের কোনো দেশে ভ্রমণ করা সম্ভব নয়। হ্যানলি সূচক অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপের পাসপোর্ট (৫৮তম)। মালদ্বীপের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই বিশ্বের ৯৪টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। এরপরই রয়েছে ভারত (৮০তম), ভুটান (৮৭তম) ও শ্রীলঙ্কা (৯৬তম)। আর এই সূচকের একেবারে তলানিতে রয়েছে আফগানিস্তান (১০৪তম)। তালেবান শাসিত এই দেশের পাসপোর্টধারীরা মাত্র ২৮টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারেন। চলতি বছর হ্যানলি সূচকে নজিরবিহীন এক অবস্থান দেখা গেছে। এ বছর বিশ্বের মোট ছয়টি দেশ সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষ অবস্থান দখল করেছে। আর এই ছয় দেশ হলো ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, সিঙ্গাপুর ও স্পেন। এসব দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসায় বিশ্বের ১৯৪টি দেশ ভ্রমণ করতে পারেন। ১৯ বছর আগে হ্যানলি বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ শুরু করার পর থেকে এবারই প্রথম সর্বাধিক ছয়টি দেশ যৌথভাবে শীর্ষ স্থান দখল করলো। এদিকে, হেনলি সূচকে দ্বিতীয় স্থানে যৌথভাবে রয়েছে ফিনল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও সুইডেন। এই তিন দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৯৩টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারেন। এ ছাড়া তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে থাকা অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের নাগরিকরা ১৯২টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করতে পারেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে যৌথভাবে বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে, পর্তুগাল ও যুক্তরাজ্য। এসব দেশের নাগরিকরা বিশ্বের ১৯১টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারেন। আর যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে থাকা গ্রিস, মাল্টা ও সুইজারল্যান্ডের পাসপোর্টধারীরা ১৯০টি গন্তব্যে ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় যেতে পারেন। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় ৬ নম্বরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, নিউজিল্যান্ড ও পোল্যান্ড। সাত নম্বরে রয়েছে কানাডা, হাঙ্গেরি ও যুক্তরাষ্ট্র। আট নম্বরে এস্তোনিয়া ও লিথুয়ানিয়া। নয় নম্বরে লাটভিয়া, স্লোভাকিয়া ও স্লোভেনিয়া। আর ১০ নম্বরে রয়েছে আইসল্যান্ড। অন্যদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্টের তালিকায় রয়েছে প্রথম থেকে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক, পাকিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া। সাত নম্বরে যৌথভাবে রয়েছে লিবিয়া, নেপাল, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড। আট নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ ও উত্তর কোরিয়া। নবম অবস্থানে শ্রীলঙ্কা ও ইরিত্রিয়া। আর দশম স্থানে রয়েছে ইরান, লেবানন, নাইজেরিয়া ও সুদান। সূত্র : হ্যানলি গ্লোবাল
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়