• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এসি হেলমেট! তীব্র গরমেও রাস্তায় থাকবে মাথা ঠান্ডা (ভিডিও)
তীব্র গরম যে শুধু বাংলাদেশে অনুভূত হচ্ছে তা নয়, বেশ কয়েক দিন ধরে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কয়েকটি শহরে রোদের খরতাপে পুড়ছে। এসব শহরে জনজীবনে হাসফাস অবস্থা। যেখানে অফিস ও বাসাবাড়িতে সার্বক্ষণিক এসিতেও টিকে থাকা মুশকিল। সেখানে এই তাপদাহে রাস্তায় সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকে ট্রাফিক পুলিশ। প্রচণ্ড গরমে লড়াই করার জন্য এক অনন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন ভারতের উত্তর প্রদেশ লখনৌ ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ।   গরমে মাথা ঠান্ডা রাখতে কর্মীদের মাথায় দেওয়া হয়েছে এসি হেলমেট। ট্রাফিক পুলিশ যাতে তীব্র গরমেও প্রফুল্লের সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করতে পারে তাই এমন উদ্যোগ।  পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই ডিভাইস। এর ভিত্তিতে কানপুর ট্র্যাফিক পুলিশকে দেওয়া হচ্ছে হেলমেটগুলো।    ট্রাফিক পুলিশদের কষ্টের কথা চিন্তা করে আইআইএম ভাদোদরার এক ছাত্র এই অভিনব আবিষ্কার করেছেন। এটি ব্যাটারি দ্বারা চালিত। একবার চার্জ দিলে চলবে প্রায় আট ঘণ্টা। হেলমেটে এসি ভেন্ট রয়েছে যাতে মাথায় ঠান্ডা বাতাস আসে। এতে স্বস্তিতে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশরা।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৪

জোড়া মাথা আলাদা করা রাবেয়া-রোকেয়া কেমন আছে, জানালো সিএমএইচ
মাথা জোড়া লাগানো যমজ শিশু রাবেয়া ও রোকেয়া অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় মন্ত্রী চলমান চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং অস্ত্রোপচারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল তাদের দেখতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যান ডা. সামন্ত লাল সেন এবং হাঙ্গেরি থেকে আগত চিকিৎসক দল।  রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাবনার চাটমোহর উপজেলার রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা বেগম দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় দুই মাথা জোড়া লাগানো যমজ সন্তান রাবেয়া ও রোকেয়া। যাদেরকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ক্র্যানিওপ্যাগাস টুইনস। মাথা জোড়া লাগানো যমজ শিশু চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বিকলতা। ২৫ লাখ জীবিত যমজ শিশুর মধ্যে মাত্র একটি জোড়া মাথার শিশু জন্ম নেয়। প্রায় ৪০ শতাংশ জোড়া মাথার শিশু মৃত অবস্থায় জন্ম নেয় এবং আরও এক তৃতীয়াংশ শিশু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা যায়। শতকরা প্রায় ২৫ ভাগ শিশু জোড়া মাথা নিয়ে বেঁচে থাকে, যাদের শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে আলাদা করার সুযোগ রয়েছে কিন্তু এর সাফল্যের হারও খুব বেশি নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১৯ সালের ১ আগস্ট ৩৩ ঘণ্টাব্যাপী বিরল এই অপারেশনটি প্রথমবারের মতো ঢাকার সিএমএইচে সম্পন্ন হয়, যা বিশ্বে ১৭তম। চিকিৎসকরা জানান, অস্প্রোপচারের সবচেয়ে জটিল অংশ ‘যমজ মস্তিষ্ক’ আলাদাকরণের কাজটি সম্পন্ন করতে ২০১৯ সালের ২২ জুলাই রাবেয়া ও রোকেয়াকে সিএমএইচে আনা হয়। ১ আগস্ট অপারেশন হয় তাদের। অপারেশনে দেশি ও বিদেশি শতাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন।   এর আগে একই হাসপাতালে ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি এবং ১৩ মার্চ পুনরায় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটব্যাপী দুটি অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এ অপারেশন দুটির মাধ্যমে তাদের মাথায় বিদ্যমান ক্ষতস্থান নতুন কোষ দ্বারা পূর্ণ করা হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাবেয়ার মাথার বাম দিকের চামড়ার ক্ষত শুরু হয় এবং পরে তা বেড়ে চামড়ার নিচে লাগানো কৃত্রিম মাথার খুলি দৃশ্যমান হয়। এই জটিলতা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ২০২২ সালের ৭ মার্চ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সিএমএইচে একটি সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন। বর্তমানে রোকেয়া ও রাবেয়া দুজনই সুস্থ আছে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৬

সরকারের মাথা আগেই বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রিজভীর 
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মিয়ানমারের মর্টার সেল ফেলছে। বাংলাদেশের নাগরিক মারা যাচ্ছে। কিন্তু সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমরা কাউকে একটা প্রতিবাদও করতে দেখিনি। কারণ, তারা তো মাথা আগেই বিক্রি করে দিয়েছে। এ জন্যই মাথা বিক্রি করে তারা সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি। সরকার ক্ষমতা ছাড়ার ভয়ে আতঙ্কে আছে দাবি করে রিজভী বলেন, তাই বিএনপির শীর্ষ নেতারা কারাগারে। আর উনি তার সোনার হরিণ ধরে রাখতে গণতন্ত্রকামী জনগণ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। কারণ উনি নতজানু, প্রভুদের সাহায্যে জনগণকে তালাক দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে আছেন। অন্য দেশের ছোড়া মর্টার সেলে নাগরিক ও বিজিবি মারা যাবে প্রতিবাদ করতে পারেননি। কারণ, আপনি তো ডামি নির্বাচন করেছেন, জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের ভেতরে ইন্টারনাল নিরাপত্তা একটা বাহিনী তৈরি করেছেন তার নাম ছাত্রলীগ। তাদের কোনো আইন নেই। শুধুমাত্র বিএনপি, যুবদল ছাত্রদলের মিছিল দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশনা আছে। বেআইনি অস্ত্রের লাইসেন্স দিয়ে তাদের ধাওয়া দেবে। যার ফল এখন সরকারসহ সাধারণ জনগণ টের পাচ্ছে। এখন ছাত্রলীগকে নারী নির্যাতনের আশকারা দিচ্ছে। শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে ভয় পান দাবি করে রেজভী বলেন, ছাত্রলীগ নারী নির্যাতন করলে তিনি কোনো কথা বলেন না। শেখ হাসিনা নারীর শ্লীলতাহানিকে অবাধ করে দিয়েছেন ছাত্রলীগের জন্য। বিচার হয় শুধুমাত্র গণতন্ত্রের কথা বললে। আজকে মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদসহ বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীদের বিনা অপরাধে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এ দেশে কোনো সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি মানুষের মাঝে ক্ষোভের দাবানল তীব্রতর হচ্ছে, তাদের পতন অতি সন্নিকটে। টাকা পাচারের অভিযোগ তুলে বিএনপির এ নেতা বলেন, শুধু বড় বড় প্রজেক্ট করে, টাকা আত্মসাৎ করে উন্নত দেশের পাচার করছে সরকার। সভায় উপস্থিত ছিলেন, জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কুদ্দুস, মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদসহ অনেকে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৪

এক খেজুর গাছের ৬ মাথা  
সেই আদিকাল থেকে সুমিষ্ট ফল হিসাবে খেজুর ফলের খ্যাতি পৃথিবীয়। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফিনিক্স ড্যাকটিলিফিরা (phoenix dactylifera) গোত্রভুক্ত এ খেজুর গাছ কমপক্ষে ৬ হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে টিকে আছে। সাধারণত এক মাথা নিয়ে জন্ম নেয় খেজুর গাছ। তবে প্রচলিত নিয়ম ভেঙে একাধিক মাথা নিয়ে মাঝে মাঝে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে অনেক খেজুর গাছকে। যে গাছগুলো দেখতে অদ্ভুত ও অসাধারণ মনে হয়। তেমনি এবার ৬ মাথার একটি খেজুর গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে ঝিনাইদহে কালীগঞ্জ উপজেলার বনখির্দ্দা গ্রামে। গাছটিতে পূর্বে ৭ টি মাথা থাকলেও ১ টি মাথা নষ্ট হয়ে এখন ৬ টি মাথা আছে। উপজেলার বনখির্দ্দা গ্রামের হানিফ মণ্ডলের মাঠের জমিতে বেড়ে উঠেছে ৬ মাথাওয়ালা এ খেজুর গাছটি। এটি দেখতে এখন গ্রামটিতে অনেক মানুষ ভিড় করেন, বিশেষকরে পড়ন্ত বিকালে। বনখির্দ্দা গ্রামের মোহাম্মদ হানিফ মণ্ডলের মাঠের জমিতে এ গাছটি ১০-১৫ বছর ধরে দাড়িয়ে আছে বলে জানান স্থানীয়রা। যে গাছ দেখতে অনেকে এখন বনখির্দ্দা গ্রামের এ মাঠে আসেন। গাছটির বর্তমান মালিক হানিফ মণ্ডলের ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন জানান, আমার আব্বা শুধু একটি খেজুর গাছের চারা লাগিয়েছিলেন, চারা বড় হওয়ার পর দেখছি গাছটির অনেক মাথা হয়েছে। গাছটি কতদিন বাঁচবে জানিনা। গাছটি বাঁচিয়ে রাখার জন্য কেউ যদি উদ্যোগ নেয়, তবে ভাল হয় । কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও বনখির্দ্দা গ্রামের বাসিন্দা ইমন মাহমুদ ইকবাল জানান , গাছটির আগে ৭টি মাথা ছিল, ১ টি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ৬টি মাথা আছে। প্রতিনিয়ত দূর দূরান্ত থেকে গাছটি অনেকে দেখতে আসেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেন গাছটির রক্ষণাবেক্ষণসহ সংরক্ষণ করে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়